সিঁড়ি বেয়ে নিচে নাম ছিলো ইসুয়া। পড়নে নীল টপস উপরে লং কট্টি,আর জিন্স প্যান্ট।নিশুয়া,ঝুমা বেগম এবং ইসুয়ার বাবা তারেক সাহেব ডাইনিং এ বসে breakfast করছিলেন।দৌড়ে আসছিলো দেখে ইসুয়ার মা ঝুমা বেগম রেগে যায়।
ঝুমা বেগম– এই তুই সকাল সকাল কই যাস?
ইসুয়া কাঁধের ব্যাগটা ঠিক করে চুলগুলো হাত দিয়ে সেট করে বলে,”মা ভার্সিটিতে যাচ্ছি।”
নিশুয়া — মা তোমার বড় মেয়ের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ডক্টর দেখাও জলদি।
তারেক সাহেব– আজ তো Friday মামণি।
ইসুয়া– I know বাবা আজ Friday… কিন্তু আজ ভার্সিটি খোলা রাখা হয়েছে। (নিশুয়ার মাথায় চাঁটি দিয়ে) বুঝলি??
ঝুমা– Friday তে ও খোলা?
ইসুয়া– হুম।অলরেডি 10 টা বেজে গেছে।অনেক দেরি হয়ে গেছে,আমার খেয়াল ই ছিলো না।
ঝুমা– জবের first Friday তেই ভার্সিটি খোলা ?
ইসুয়া– ওপ মা দেরি হয়ে যাচ্ছে, আমি গেলাম। বাড়িতে আসলে আমার ক্লাস নিও।
নিশুয়া — সব বুঝলাম।কিন্তু তোর কট্টি উল্টো পড়েছিস কেন?
ইসুয়া নিজের দিকে তাকিয়ে, “ohhhh no.আজই উল্টো হতে হল । দুর এমনিতেই কত late হয়ে গেল।”
ইসুয়া টপস এর উপরের কট্টি টা খুলে ফেললো, আর নিশুয়ার গলা থেকে লেমন কালারের স্কার্ফ টা টেনে গলায় ঝুলিয়ে যেতে যেতে বললো,”সরি নিশু।এখন আর কট্টি ঠিক করে পড়ার টাইম নেই। তোর স্কার্ফ টা নিয়ে গেলাম।”
নিশুয়া — এখন আর কিছু বললাম না। বাড়িতে আয় তুই।
ইসুয়া দরজার সামনে গিয়ে জুতা পায়ে দিতে দিতে বলে, “Thnx”
ঝুমা বেগম– খেয়ে তো যাবি।
ইসুয়া– না মা।আমি ভার্সিটির ক্যান্টিনে খেয়ে নিব। এখন আর এক সেকেন্ড সময় ও নেই।
ঝুমা বেগম– আরে আরে তাড়াহুড়ো করিস না। আস্তে যা।
ইসুয়া– ওকে ওকে বাই।
ইসুয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ভার্সিটির পথে। পথেই একটা গাড়ি পেয়ে উঠে যায়।
এইদিকে ভার্সিটির গেটে ছেলে গুলো—
“যদি তুমি ভালবাসো,ভালো করে ভেবে এসো
খেলে ধরা কোনখানে রবে না।
আমি ছুঁয়ে দিলে পরে,অকালেই যাবে ঝড়ে
গলে যাবে ,যে বরফ গলে না।
আমি গলা বেছে খাব,কানের আশেপাশে রব
ঠোঁটে ঠোঁট মেখে কথা হবে না।
কারো একদিন হব,কারো এক রাত হব
এর বেশি কারো রুচি হবে না।
আমার এই বাজে স্বভাব কোন দিন যাবে না।”
শুভ — দোস্ত তোর কন্ঠে সত্যি যাদু আছে।
রবিন– আমি কি magician??
নয়ন — না রে দোস্ত। শুভ সত্যি বলেছে।
রবিন– আরে বাবা ঠিক আছে।Thnx thnx thnx…
পাশ থেকে একটা জুনিয়র ছেলে নয়ন কে ইঙ্গিত করে,,
ভাই আমাদের ভার্সিটির বাংলা অধ্যাপিকাকে দেখছেন?
নয়ন ভ্রু কুঁচকে তাকায়। সাথে রবিন ও তার হাতের গিটার টা বাইকের সাথে ঠেস দিয়ে রেখে ছেলেটার কথায় মনোযোগ দেয়।
অন্য একটা ছেলে বললো ,,”আরে নয়ন ভাই!তানিম ইসুয়া ম্যামের কথা বলছিলো।”
নয়ন — হ্যাঁ দেখছি তো ।কি হয়েছে?
তানিম — ভাই কারো কিছু হয়নি।আমার heart attack হয়েছে প্রথম দিন দেখেই।
শুভ আর নয়ন কেশে উঠলো।
শুভ — heart attack হলে doctor দেখা।তারপর ও ঐ দিকে যাস না ছোট ভাই।তোর heart খুলে রেখে দিবে ঐ মহিলা।
তানিম — কি বলেন?
নয়ন — জুনিয়র ভাইরে ঐ মহিলা আমাদেরকে দুদিনে সোজা করে দিছে,আর তোদের তো লাঠি বানাই দিবে।So be careful…..
শুভ — তুই হঠাৎ ঐ দিকে নজর দিতে গেলি কেন?
তানিম– কি যে বলেন।নজর কি দিতে হয়,নজর তো এমনিতেই চলে যায় ।
নয়ন — দেখ তানিম,বড় ভাই হয়ে তোরে একটা উপদেশ দেই।ঐ মহিলার আশেপাশে ও ঘেঁষিস না।আস্ত একটা শাকচুন্নি।
রবিন ততক্ষণে মুখ খুললো,,”ভার্সিটিতে এত মেয়ে থাকতে হঠাৎ তোরা জুনিয়র রা ঐ madam এর দিকে চোখ দিলি কেন?”
তানিমের ক্লাসমেট আসিফ বললো ,”ভাই ঐটা যে এই ভার্সিটির অধ্যাপিকা কেউ বুঝবে হঠাৎ দেখলে?”
রবিন– তোরা পারিস ও । আমি ভাই মেয়েদের থেকে দূরে দূরে থাকি। Not interested…..
শুভ — তোর gf আছে না?মেয়ে দিয়ে কি করবি?
রবিন– Gf মানে ?
শুভ — কেন ? তোর মোবাইল ই তো তোর সব।
রবিন হেসে উঠে। রবিন– তা যা বলেছিস!!
ইসুয়া ভার্সিটির গেট দিয়ে ঢুকছিল,,,
তানিম ছেলেটা শুভ আর নয়ন কে চোখ দিয়ে ইশারা করে দেখায় আর বলে ,”দেখুন। আমার heart attack এর কারণ চলে এসেছে।”
ইসুয়া শুভ আর নয়নের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দুজনেই ইসুয়া কে good morning জানায়।ইসুয়া মুচকি হেসে ভার্সিটিতে ঢুকে। রবিন একবার পিছন থেকে ইসুয়া কে পরখ করে নিল আড়চোখে।
ছেলে গুলো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। রবিন কপাল ভাঁজ করে মোবাইল টা পকেট থেকে বের করে game খেলতে শুরু করে।
ভার্সিটির ক্যান্টিনের দরজায় পাহারা দিচ্ছে লম্বা সুঠাম দেহী চারজন বিদেশী লোক । সবার ড্রেস আপ এক। দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারো personal bodyguards….
সকাল সকাল কারো ক্যান্টিনে আসার প্রয়োজন পড়ে না। তা ও যে কয়জন ক্যান্টিনে আসছে সবাই এই bodyguards এর দল দেখে আর সামনে এগোতে সাহস পায় না। সবাই কেটে পড়ছে।
ক্যান্টিনের মাঝখানের টেবিলে দুটো চেয়ার রাখা হয়েছে। চেয়ার দুটোর একটিতে বসে আছে তমা আর ওর সামনে বসে আছে রিদীমা। রিদীমার চোখে কালো সানগ্লাস, পরনে white শার্ট আর black জিন্স।রিদীমা চোখের সানগ্লাস টা নামিয়ে তমার দিকে তাকায়। হাতের ঘড়ি দেখে বলে উঠে,,,,
রিদীমা– ঠিক 17 মিনিট 23 সেকেন্ড দেরি করেছিস।
তমা রিদীমার কথায় মাথা নিচু করে বসে,”সরি আপু।”
রিদীমা–What sry?তোর জন্য আমি তিন ঘন্টার টাইম সেটিং করে লন্ডন থেকে দেশে চলে আসতে পারলাম, আর তুই আমাকে ভার্সিটির ক্যান্টিনে 17 মিনিট বসিয়ে রেখেছিস?Really রিদীমা চৌধুরীর সময়ের কোনো দাম নেই মনে হয় তোর?
তমা– আমি একটু বিজি ছিলাম।
রিদীমা হা হা হা হা করে হেসে উঠে।
রিদীমা– লন্ডন বসে তোর সেকেন্ডের সেকেন্ডের খবর রাখা এই রিদীমার বাম হাতের কাজ,আর তুই আমাকে ব্যস্ততার excuse দিচ্ছিস?great joke……
তমা রিদীমার কথায় অপরাধী ভঙ্গিতে বলে, “Friend রা আসতে দিচ্ছিলো না। আর আমি জানতাম না তুমি আমাকে খবর পাঠিয়েছো।”
রিদীমা– আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও তাকে জরুরী মনে করা উচিত নয় কি??(জোরে চিল্লিয়ে)
তমা কেঁপে ওঠে, “Sorry”……
রিদীমা নিজেকে শান্ত করে , বড় একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে। তারপর তমার দিকে তাকিয়ে বলে, “কফি নে।”
কথাটা বলে রিদীমা কফির কাপে চুমুক দিল। হঠাৎ ই ক্যান্টিনের দরজা থেকে কিছু সোরগোলের আওয়াজ শুনলো সে।তমা উঁকি দিল দরজার দিকে। দরজা থেকে ইসুয়ার কন্ঠ ভেসে আসছে,,,,
ইসুয়া– ক্যান্টিন কারো পিতৃ সম্পদ নয়। এখানে সকল স্টুডেন্ট আর টিচার দের অধিকার আছে। সবাই সবার সুবিধার্থে ক্যান্টিন ব্যবহার করতে পারে।আর কারো পিতৃ সম্পদ হলেও এটা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। আমাকে আটকানোর কোনো প্রশ্নই আসছে না। সামনে থেকে সরে দাঁড়ান।
ইসুয়া কে রিদীমার বডিগার্ড গুলো বাঁধা দেওয়ায় ইসুয়া রেগে রেগে কথা গুলো বলে। কিন্তু বডিগার্ড গুলো ইসুয়ার কথা কানে নিল বলে মনে হয় না। ইসুয়ার পথ আটকে রেখেছে তারা।
তমার মনে পৈশাচিক আনন্দ বিরাজ করে। মনে মনে বলে,এতদিন তমা আর তার gang যা করতে পারেনি এখন রিদীমার সাথে ঝামেলা করার কারণে ঐটা ইসুয়া কে ভোগ করতে হবে।
রিদীমা ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বডিগার্ডদের একজন কে ইসুয়ার পথ ছাড়তে অর্ডার করে।বডিগার্ড গুলো সরে যেতেই ইসুয়া দৌড়ে ক্যান্টিনে ঢুকে। খিদের জ্বালায় পেট আর মাথা দুটোই ভন ভন করছে।একটা বার্গার আর দুটো সিঙ্গারা দিতে বলে কোণায় একটা টেবিলে চেয়ার টেনে বসে।
রিদীমা কফি কাপটা হাতে নিয়ে ইসুয়া কে পর্যবেক্ষণ করছে আর তমা কফি খেতে খেতে পৈশাচিক হাসি দিচ্ছিলো।
ইসুয়া টেবিলে বসে এক গ্লাস পানি গটগট করে সাভার করে।ক্যান্টিন বয় দুটো সিঙ্গারা নিয়ে আসতেই সেগুলো ও ছু মেরে খেয়ে কিছুক্ষণ বসে।ব্যাগ থেকে একটা মাথাব্যাথার ঔষধ বের করে খায়।ইসুয়ার সারা শরীরের কাঁপুনি টা ততক্ষণে একটু কমে এসেছে।
ইসুয়া এবার ক্যান্টিনের চারদিকে নজর দেয়।তখন রিদীমা কে চোখে পড়ে তার, সাথে তমা বসা।তমাকে সে চিনলে ও রিদীমা যে ভার্সিটির কেউ নয় সেটা সে বুঝতে পারলো।এই কয়দিনে রিদীমা কে সে দেখেছে বলে মনে হয় না।
ইসুয়া নিজেকে ধাতস্থ করে নিজের টেবিল ছেড়ে রিদীমা দের দিকে এগোতে থাকে। রিদীমা ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
তমা মনে মনে — আমার সাথে যা করেছো,করেছো।রিদীমা আপুরে তো চিনো না।উল্টো পাল্টা কিছু করলে গরম তেলে fry করে ফেলবে।
ইসুয়া রিদীমার সামনে এসে দাঁড়ায়,”Sry”
রিদীমা– Why?
ইসুয়া– ঝামেলা করার জন্য। দেখে মনে হচ্ছে আপনি ই personal time এর জন্য বডিগার্ড রেখেছিলেন, but আমার খিদের জ্বালায় পেট মাথা এক হয়ে যাচ্ছিল।তাই এত কান্ড!
রিদীমা হেসে– No problem…. it’s ok
ইসুয়া– আমি আর আপনাদের বিরক্ত করছি না।চলে যাচ্ছি।Again sry……
রিদীমা– ক্যান্টিন টা পিতৃ সম্পদ না হলে ও ভার্সিটি কিন্তু কিছু টা সেরকমই।
ইসুয়া হেসে– আমি তখন রেগে যাচ্ছেতাই বলে ফেলেছি……..Don’t mind,আমি আর আপনাদের কথায় থাকছি না, আমার শরীর টা আপাতত ঠিক আছে।
রিদীমা– I like ur behaviour…. খুব ইন্টারেস্টিং, কোনো রকম মিথ্যা অভিযোগ ছিল না এটা।আমি ও আপনার জায়গায় হলে এটাই করতাম।
ইসুয়া– Thank you …. & bye
রিদীমা– Nice guy…..welcome
ইসুয়া কথা গুলো বলে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে যায়। তমার মুখ টা চুপসে যায়। এটা কি হল!বম ও ফাটল না,আওয়াজ ও হল না।
রিদীমা তমার দিকে সূক্ষ্ম নজরে তাকিয়ে, “যে কারণে আমার এখানে আসা?”
তমা একটা ঢোগ গিলে রিদীমার দিকে তাকায়।
রিদীমা– শুনলাম ভার্সিটিতে lady don এর ভূমিকা পালন করছিস?
তমা– মানে?
রিদীমা– ভার্সিটিতে এসে পড়াশোনা কর,মজা মাস্তি কর।গুন্ডামি করিস,it’s not fear…. আবার বাড়িতে ও ভাঙাচোরা চলছে শুনলাম।
তমা নিশ্চুপ।
রিদীমা– Answer me ….. raskel
তমা মনে মনে ক্ষুব্ধ হয়। তারপর ও কিছু বলার সাহস দেখায় না।
রিদীমা– আমাদের বাড়িতে থাকছিস,খাচ্ছিস আবার আমাদের জিনিস ভেঙে চুরমার করছিস? যে থালায় খাস , সে থালাতেই লাথি মারিস? যেমন বাপ,তেমন বেটি।আমি শেষ বারের মত warning দিলাম আর কখনো তোর নামে কোনো কমপ্লেন যেন আমার কানে না আসে,যদি আসে তার ফলটা ভালো করেই জানা আছে তোর।
রিদীমা উঠে দাঁড়ায়, “এবার আমাকে যেতে হবে।বাবা আর ফুপির কথামতো চলবি।মনে রাখিস আমার নজরের বাইরে কিছু ই করা সম্ভব না। সো,ভালো ভাবে চল।আর যদি grany র আদরের ফায়দা তুলেছিস!! এবার ভার্সিটিতে এসেছি,,পরবর্তী তে বাড়িতে গিয়ে উঠবো….. mind it”
তমা একটা টু শব্দ অবধি করলো না। রিদীমা কথা গুলো বলে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে পড়ে। তমা তার জায়গায় বসে রাগে ক্ষোভে গজগজ করতে থাকে।এই অপমানের শোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়।
ইসুয়া ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে গেলে ও রিদীমা আর তমার এমন আলোচনার কিছু টা বোধগম্য করতে পেরেছিল।
রিদীমা ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে বললো,”সোজা এয়ারপোর্ট চলুন।”
রিদীমা কে গাড়িতে উঠতে দেখলো শুভ।রবিন কে ডেকে বললো,” কিরে? রিদীমা আপু এলো বললি না তো।”
রবিন– রিদীমা আপু মানে?? আপু তো লন্ডনে।
শুভ — আমি মাত্র দেখলাম।
রবিন– দুর ভুল দেখছোস।
শুভ — সত্যি আমি নিজে দেখছি।
রবিন শুভর কথা একেবারে ফেলে দিতে পারলো না, রিদীমার নম্বরে কল দিল।রিদীমা কল রিসিভ করে।
রিদীমা– হ্যাঁ ভাই বল।
রবিন– তুমি কই?
রিদীমা– গাড়িতে।
রবিন– ভার্সিটিতে এসেছিলে?
রিদীমা– হ্যাঁ, এই তো একটু আগে বের হলাম।
রবিন– বাবার সাথে দেখা করেই চলে গেলে?আমার কথা মনে পড়লো না?
রিদীমা– রাখছি আমি।পরে কথা হবে।
রিদীমা ফোনটা কেটে দেয়। কাউকে কৈফিয়ত দেওয়া পছন্দ করে না সে।রবিন ও বুঝতে পারে বোনের ইগনোর করাটা।
অফিসরুমে ঢুকতে ঢুকতে সাইদ রহমান বলেন,,
“কি আফজাল সাহেব। রিদীমা মামণি এলো ,আপনার সাথে দেখা করেনি?”
আফজাল সাহেব– না।কি আর বলবো মশাই, বড়ই ব্যস্ত আমার মেয়ে টা।সবকিছুতে সময় মেইনটেন করে চলছে।আলাদা করে কারো জন্য সময় থাকে না তার কাছে।
সাইদ রহমান– এমন একটা মেয়ে থাকলে আর ছেলের প্রয়োজন পড়ে না।
আফজাল সাহেব– আপনার ছেলে সন্তানের আফসোস টা বরাবর ই রয়ে গেল।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চার মেয়ের পিতা সাইদ রহমান ।
লন্ডনে রাত একটা তখন,,,,
রিদীমা বাসায় এসে শুয়েছিলো।ফোনটা বারবার বাজছে।এত রাতে ফোন ধরতে ইচ্ছে করছে না তার ।জীবন টা যান্ত্রিক হয়ে গেছে। নিজেকে যন্ত্র মানবী মনে হয় মাঝে মাঝে রিদীমার।এত নিয়মের মধ্যে থেকে ও ক্লান্ত লাগে না । বোরিং হয় না।
ফোনে একটা মেসেজ আসলো,রিদীমা মেসেজ টা open করে।
“বাঘিনী। আপনি কি বিরক্ত হয়েছেন?আমি কারো বিরক্তির কারণ হতে চাই না। যদি বিরক্ত না হয়ে থাকেন, তবে কাল সকালের কলটা রিসিভ করবেন।আর disturb করলাম না আজ।Good night…..”
রিদীমা স্বাদের মেসেজের কোনো রিপ্লে করে না।চোখ টা বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা চালায়।
__________(চলবে)