আপুর ননদ যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_১১

তখনি আমার একটা কল আসলো,, আমি নিধীকে বললাম তুমি যাও আমি একটু কথা বলে আসি। আমি ফোনে কথা বলতে লাগলাম নিধী মনের আনন্দে গোসল করতে লাগলো,,, নিধী আমাকে ডাকতে লাগলো, আমি ইসারা দিয়ে বললাম দুই মিনিট।

আমি অন্যদিকে ঘুরে কথা বলতে লাগলাম। কথা বলা শেষে তাকিয়ে দেখি, নিধী স্রতের টানে অথয় পানিতে চলে গেছে। আমার হাত থেকে মোবাইল টা পড়ে গেলো। আমি দৌড়ে নেমে পড়লাম। নিধী সাঁতার কাটতে জানে না। নিধী কিনারে আসার জন্য ছটফট করছে,। আমি স্রতের জন্য নিধীর কাছে পৌছাতেও পারতেছি না।

আস্তে আস্তে নিধী ডুবে যাচ্ছে, শুধু নিধীর হাত দুটো দেখা যাচ্ছে। বাঁচার জন্য ছটফট করতেছে।।। অবশেষে আমি নিধীর কাছে গিয়ে পৌঁছালাম, নিধী ঙ্গ্যন হারিয়ে ফেলছে। এই অবস্থা দেখে আমার চোখেই পানি চলে এসেছে।। আমি নিধীকে নিয়ে তিরে পৌছালাম । তিরে পৌঁছে নিধীকে শুয়িয়ে দিলাম। নিধী প্রচুর পানি খেয়েছে।

আমি নিধীর পেটে চাপতে লাগলাম। কিছুক্ষন চাপার পর নিধীর ঙ্গ্যন ফিরে আসলো। নিধীর ঙ্গ্যন ফিরার পর আমি নিধীকে শক্ত করে জড়িয়ে দরে কেঁদে দিলাম। আমি নিধীকে পাতাল কোলে তুলে নিলাম। নিধীকে নিয়ে রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে ডাক্তার কে কল করলাম।

কিছুক্ষন পর ডাক্তার আসলো, ডাক্তার এসে চেকাপ করে কিছু মেডিসিন দিয়ে দিলো। আমি বাসায় যানাতে চাইলে নিধী জানাতে না করে।
বলে কিছু হয়নি ত এসব বললে বাসায় আরো টেনসন করবে।

আমিঃ আজকে যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো
নিধীঃ হয়নি ত।
আমিঃ হুম
নিধীঃ হলে আর কি আরেকটা বিয়ে করে নিতা।
আমিঃ ফালতু কথা বলবে না।।
নিধীঃ ফালতু কই বললাম।
আমিঃ ফালতু কথা না ত কি কথা বললা এটা।
নিধীঃ যানো নীল যখন আমার চোখ টা বন্ধ হয়ে আসছিলো ঠিক তখন সর্ব প্রথম আমার তোমার কথা মনে হয়েছে। আমি যদি আজকে মারা যায় তাহলে ত তুমি পাগল হয়ে যাবে।
আমিঃ এসব কি বলছিস তুই মরে গেলো আমি কি নিয়ে বাঁচব। এ কদিনে যে তকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি।।।
নিধীঃ আমিও আমার জানটাকে অনেক ভালোবাসি।।
আমিঃ আজকেই বাসায় চলে যাবো এখানে আর থাকবই না।।
নিধীঃ না আজকে যাওয়া যাবে না।।। নীল কালকে যায় আজকে আমার ভালোলাগতেছেনা।
আমিঃ ওকে।
নিধীঃ এখন আসো ত তোমার বোকে মাথা রেখে
একটু বিশ্রাম করব।।
আমিঃ ওকে।

এরপর নিধী ঘুমিয়ে পড়লো,, হোটেল বয় এসে দুপুরের লাঞ্চ টা রুমে রেখে গেলো। আমি নিধীকে ডেকে তুললাম। তুলে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। আমি নিধীকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলাম। নিধী খেয়ে নিলো। তারপর আমিও খেয়ে নিলাম।

খাওয়া শেষে নিধীকে ঔষধ খাইয়ে দিতে গেলাম।
আমিঃ হা করো ত
নিধীঃ কেন?
আমিঃ ঔষধ খাবে।
নিধীঃ ইস এতোগুলা ঔষধ আমি খেতে পারবো না।
আমিঃ না খেলে ভালো হবে কি করে
নিধীঃ এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবো,,তেমন কিছু হয় নি ত শুধু শরীর টা একটু দুরবল।।।
আমিঃ তুমি যদি ঔষধ গুলো খেয়ে নাও তাহলে অনেক গুলা কিস করব।
নিধীঃ ই তুমি ত আমার ই যখন ইচ্ছা কিস করব।
আমিঃ করতে দিলে ত।
নিধীঃ দিবি না কেন?
আমিঃ ঔষধ খাবে না কেন?
নিধীঃ ওকে দে খেয়ে নিচ্ছি।

এরপর নিধী কে এমন ভাবে ঔষদ খাওয়ালাম কোনো বাচ্চা ও এমন ভাবে ঔষধ খায় না।।।
আমাদের দুষ্টমি করতে করতে সারাটিদিন কেটে গেলো। এমন কি আজকে সারারাত ও আমরা ঘুমাই নি। সকালে উঠে আমি সব কিছু গুছিয়ে বাসায় চলো আসলাম।

বাসায় এসে কলিং বেল দিলাম। আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো।।। আম্মু আমাদের দেখে অবাক হয়ে গেলো। নিধী আম্মুর পায়ে দরে সালাম করলো।।।

আম্মুঃ আজকেই এসে পড়লি যে তরা?
আমিঃ হ্য আজকেই এসে পড়লাম।
আম্মুঃ ওকে যা রেস্ট নি।

আমরা রুমে চলে গেলাম। নিজের শহের একটা অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে,, যা অন্য কোনে যায়গায় লাগে না। আমি গিয়ে শুয়ে পড়লাম নিধী ও আমার উপড়ে শুয়ে পড়লো।।

আমিঃ যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
নিধীঃ তুমিও চলো তাহলে।
আমিঃ আমি যদি সাথে যায় তাহলে কিন্তুু অন্য কিছুও হবে।
নিধীঃ না করছে কে।।
আমিঃ ওকে তাহলে চলো।

আমি নিধীকে কোলে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।।। ওয়াশরুমে গিয়ে আমরা দুষ্টুমি করতে করতে ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হয়ে বের হলাম।।।।
সব ফ্রেন্ডদের ফোন দিয়ে বলে দিলাম যে আমি বাসায় এসেছি,,আজকে সবাই দেখা করতে
চাইলো বাট আমি ক্লান্ত বলে চালিয়ে দিছি।।

এভাবে আমাদের রাত হয়ে গেলো। নিধী ডিনার করার জন্য ডেকে গেলো,, আমি নিচে চলে গেলাম।

আব্বুঃ কালকে থেকে দুজনেই ভার্সিটীতে যাবে।
আমিঃ ওকে আব্বু।

খুশিতে নাচতে ইচ্ছা করছে ভার্সিটী যাওয়ার পার্মিশন টা পেয়ে গেলাম। এখন শুধু এনজয় আর এনজয়।।।

রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম সকালে আমি আর নিধী ভার্সিটী তে চলে গেলাম। ভার্সিটী তে গিয়ে ওদের কাছে চলে গেলাম গিয়ে বসে পড়লাম।

জয়ঃ কেমন আছো তোমরা?
নিধীঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি,
তোমরা সবাই কেমন আছো?
জয়ঃ আমরাও ভালো আছি।
হিয়াঃ তা হানিমুন টা কেমন কাটলো?
আমিঃ অনেক ভালো।
রানাঃ সালা তুই বিয়ে করে ফেললি,, আর আমার আম্মু বলে আমি নাকি এখন ও অনেক ছোট প্রেম করার ও বয়স হয় নি।।
প্রিয়াঃ ঠিকি বলছে।

আমরা সবাই আড্ডা দিতে লাগলাম,,, আড্ডা দিয়ে নিধীকে বাসায় দিয়ে আমি একটু মার্কেটে চলে গেলাম। নিধীর জন্য এক জোরা নুপুর কিনে বাসায় ফিরলাম। আমি আমার রুমে চলে গেলাম দেখি নিধী নেই বেলকনি থেকে কথা বলার আওয়াজ আসছে। আমি গিয়ে নিধীর পিছনে দাড়ালাম।

নিধী ফোনে মেঘ নামের কারো সাথে কথা বলছে।
নিধীর কথা শুনে আমার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো। তাহলে কি এই ভালোবাসা এতো কেয়ার সব ই মিথ্যা ছিলো।

চলবে

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *