আমিঃ আপু বলো
আপুঃ কি করিস?
আমিঃ ঘুমিয়েছিলাম।
আপুঃ একটু আমাদের বাসায় আয় ত।
আমিঃ কেন?
আপুঃ নিধী একটু শপিং এ যাবে।
আমিঃ শপিংয়ে যাবে ত আমি গিয়ে কি করবো?
আপুঃ প্লিজ ভাই আসয় তর ভাইয়া তর সাথে যেতে বলেছে৷ জানিস ই ত শহরে নতুন।
আমিঃ ওকে আসতেছি।
আপুঃ পারলে বাইক নিয়ে আসিস ।।
আমিঃ ওকে।
এরপর আমি শুয়া থেকে উঠে,, ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। এরপর রেডি হয়ে আম্মুকে বলে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।।
আপুর বাসার সামনে গিয়ে আপুর নাম্বারে কল দিলাম।
আমিঃ কোথায় তোমার ননদ?
আপুঃ কোথায় তুই?
আমিঃ বাসার সামনে।
আপুঃ বাসায় আয়।
আমিঃ এখন বাসায় যাবো না।
আপুঃ পাঁচ মিনিট ওয়েট কর।
আমিঃ ওকে।
আমি বাইকে বসে মোবাইল টিপতে লাগলাম।
প্রিয়া কল দিলো।
আমিঃ হ্য বল প্রিয়া।
প্রিয়াঃ নীল তুই কোথায়?
আমিঃ আপুর বাসায়।
প্রিয়াঃ ওহ আচ্ছা একটু বাহিরে যেতে চেয়েছিলাম।
আমিঃ কালকে বিকেলে নিয়ে যাবো।।
প্রিয়াঃ ওকে বাই।
আমিঃ হুম বাই।
আমি ফোন টা কেটে দিলাম। কেটে দিয়ে পকেটে রেখে দিলাম। পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে এখন ও আসার কোনো নাম নেই।। আমি তাকিয়ে দেখি নিধী আসতেছে। মেয়েটা শাড়ি পড়েছে একটা।
দেখতে ত খোব সুন্দর লাগছে। মনে হয় বিয়েটা করেই ফেলা উচিত।। নিধী আমার সামনে এসে দাড়ালো ।।।
নিধীঃ এই যে মি. কি দেখেন এমন করে।
আমিঃ আপনাকে
নিধীঃ আমাকে দেখার কি আছে?
আমিঃ আপনি এতোটা মায়াবি যে না চাইতেও আপনার দিকে আমার চোখ চলে যাচ্ছে।
এই কথা শুনে নিধীর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
আমার ও লজ্জা করতেছে মুখ ফসকে কি বলে ফেললাম। এখন কি মনে করবে আমাকে। কথা ঘুরাতে আমি বললাম এখন যাওয়া যাক।
নিধী বাইকে বসেই আমাকে জড়িয়ে দরলো। মেয়েটার লজ্জা মনে হয় একটু কম ই,।
আমিঃ কি করছেন কি? লোকে দেখলে কি ভাববে?
নিধীঃ আযব ত লোকে কি ভাবলো না ভাবলো তাতে ত আমার কিছু যায় আসে না। আপনি আমার হবু জামাই।
আমিঃ হবু জামাই ঠিক আছে বাট বিয়েটা কিন্তুু হয় নি।।
নিধীঃ হয়নি ত কি হয়েছে বাট কিছুদিনর মধ্যে হয়ে যাবে।।
আমিঃ আগে হক তারপর ।
নিধীঃ আচ্ছা আমি জড়িয়ে দরাতে আপনার ভালো
কিসের আপনি বলছি তোমার ভালো লাগে নি।
আমিঃ হ্য লাগছে বাট কখনো এভাবে কেউ জড়িয়ে দরেনি ত তাই একটু লজ্জা করছে।।
নিধীঃ ছেলে মানুষের এতো লজ্জা থাকা ভালো না।
আমি আর কথা না বাড়িয়ে বাইক স্টাট করলাম। বাইক চলতে শুরু করলো নিধী সেই আগের মতোই জড়িয়ে দরে বসে আছে।
আমিঃ কোথায় যাবেন?
নিধীঃ কোথাও না ত
আমিঃ তাহলে আপু যে বললো শপিং এ যাবে।
নিধীঃ বিয়ের আগে আমি তোমার সাথে সময় কাটাতে চাই।
আমিঃ ওহ আচ্ছা।।
নিধীঃ ভালো একটা নিরিবিলি যায়গায় যাবো।
আমাদের এখানে একটা লেক আছে। দেন আমি লেক এর কাছে চলে আসলাম।। এখানে এসে আমি রাস্তার পাশে বাইক টা পার্ক করলাম।।
আমি আর নিধী গিয়ে একটা রাস্তায় পাসে বেঞ্চে
এ বসলাম।।
নিধীঃ আজকে বাসায় যেয়ে বিয়েতে রাজি হয়ে যাবে।।
আমিঃ দেখেন এখন ত আমাদের বিয়ের বয়স হয় নি, তাই বলতে চাইছিলাম কি আমরা বিয়েটা এক বছর পড়ে করি।
নিধীঃ না আগে বিয়ে তারপর সব।
আমি নিধীর হাত দরে ফেললাম। জানলাম না এতো সাহস আমার মনে কই থেকে আসলো।।।
আমিঃ প্লিজ আমরা বিয়েটা এক বছর পড়ে করি।
নিধীঃ এখন করতে প্রবলেম কি?,
আমিঃ দেখেন আমাদের দুজনের ই ত তেমন বয়স হয় নি,, আর আমার এখন বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই।।।।
নিধীঃ ওকে আমার কিছু শর্ত অনুযায়ী চললে এক বছর পড়েই বিয়ে হবে।
আমিঃ কি শর্ত বলেন।
নিধীঃ প্রথমত আমাকে তুমি করে বলতে হবে। প্রতিদিন বাসা থেকে ভার্সিটীতে নিয়ে যাবে আবার বাসায় দিয়ে আসবে। প্রতি রাতেই আমার সাথে ফোনে কথা বলতে হবে।।। প্রতিদিন সকালে আর বিকালে চুমু দিতে হবে।। কোনো মেয়ের সাথে কথা বলা যাবে না।
আমিঃ হিয়া আর প্রিয়া ও না?
নিধীঃ ওরা তোমার ছোট বেলার বন্ধু এদের সাথে প্রবলেম নেই।।
আমিঃ আর কিছু?
নিধীঃ আবাদত এগুলাই থাক।।
আমিঃ ওকে আমি রাজি।।
নিধীঃ আজকে থেকেই শর্ত শুরু।
আমিঃ আচ্ছা
নিধীঃ শর্ত মোতাবেক বিকালের চুমু টা দাও।
আমিঃ পাগল নাকি এই রাস্তায়,, সবার সামনে।
নিধীঃ তাতে কি হয়েছে??
আমিঃ পারবো না।
নিধীঃ তাহলে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুুত হয়ে যাও।
আমি আমার মন কে শক্ত করলাম,, মনে সাহস আনলাম। দেন জড়ের গতিতে নিধীর কপালে একটা কিস করে আবার নিজের যায়গায় বসে পড়লাম। নিধী শুধু মুচকি একটা হাসি দিলো।
এরপর ফেসবুক আইডি, নাম্বার নিলো৷।
আর একটা সেলফি ও তুললো। সন্ধা হয়ে যাচ্ছে তাই আমরা বাসায় চলে আসলাম।।।, আমি নিধীকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে এসে। আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে আমার রুমে চলে আসলাম।
আমার ফোনে একটা কল আসলো, স্কিনে বউ নাম টা বেসে উঠল। এটা নিধীর ই কাজ। আমি কলটা রিসীভ করলাম।
নিধীঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম
আমিঃ ওয়ালাইকুম আসালাম।
নিধীঃ বাসায় গিয়ে পৌঁছাইছ।।।
আমিঃ হ্য এইমাত্র।
নিধীঃ আচ্ছা এখন বাই রাতে কথা হবে।
আমিঃ ওকে।
আমি ফেসবুকিং করতে লাগলাম। রাতে আম্মু ডিনার করার জন্য ডাকলো।। বাসায় শুধু আমি আর আম্মু আব্বু ব্যবসার কাজে গতকাল কানাডা
আছে দু-তিন দিন পর ফিরবে। আমি ডিনার করে আমার রুমে চলে আসলাম।। রুমে এসে নিধী কে
কল দিলাম ঘন্টা খানেক কথা বলে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।।।
সকালে কলেজে যাওয়ার সময় নিধীকে সাথে করে নিয়ে গেলাম। কলজে সবাই আজকে অনেক আড্ডা দিলাম। নিধী খোব মিশুক একটা মেয়ে।
একটুতেই সবার ভালো ফ্রেন্ড হয়ে গেছে।।।।
আমরা একটা ক্লাস করলাম। ক্লাস করে যে যার বাসায় চলে গেলাম।। আমি নিধীকে বাসায় দিয়ে আসলাম।।।। আমি বাসায় চলে গেলাম বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে শুয়ে আছি।।
আমার মনে হলো গতকাল প্রিয়া বাহিরে যেতে চেয়েছিলো আজকে নিয়ে যায়। আমি প্রিয়াকে রেডি হয়ে ওর বাসার সামনে থাকতে বললাম।
আমি রেডি হয়ে গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম।।।
প্রিয়াকে পিকআপ করে নিয়ে গেলাম।।।
আমরা ঘুরতে লাগলাম। প্রিয়ার একটা বাজে অব্বাস হলো ও কোথায় বের হলে প্রচুর পিক তুলবে আজকেও তাই করলো।। যে ভাবে পিক গুলো তুললো নিধী দেখলে আমাকে আস্ত রাখবে না। আমরা বাসায় চলে গেলাম।
এভাবে কেটে গেলো পনেরো দিন। আজকে নিধী পাগলামো শুরু করেছে যে,,,,