আপুর ননদ যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_০৪

এভাবে কেটে গেলো পনেরো দিন। আজকে একটু মাথা ব্যথা করতেছে তাই কলেজে যেতে পারি নি।
সারাদিন শুয়েই ছিলাম। রাতে ডিনার করে রুমে চলে আসলাম।।। তখনি ভাইয়ার ফোন।।

আমিঃ আসসালামু ওয়ালাই ভাইয়া
ভাইয়াঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম
আমিঃ কেমন আছেন?
ভাইয়াঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো
তুমি?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।।
ভাইয়াঃ সকালে নিধী ভালোভাবে ভার্সিটীতে গেলো। ভার্সিটী থেকে সকালেই চলে আসে,
তারপর থেকেই মন খারাপ দুপুরেও কিছু খাই নি রাতেও না।।। শুধু এক কথায় বলছে তোমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত খাবার মুখে তুলবে না।
আমিঃ এসব পাগলামি করার মানে কি ভাইয়া৷
ভাইয়াঃ প্লিজ নীল তুমি একটু বাসায় আসো। আমার একটা মাত্র বোন,, যদি ও নিজের কোনো খতি করে ফেলে তাহলে, আম্মু পাগল হয়ে যাবে।।।
আমিঃ ওকে ভাইয়া এখনি আসতেছি আমি।।

আমি আম্মুর রুমে চলে গেলাম,,, আম্মুর রুমে গিয়ে আম্মুকে সব কিছু খুলে বললাম। আম্মু ও আমার সাথে যাবে বললো, আমি আর বারন করলাম না। আমি আর আম্মু নিধীর বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। সাথে ড্রাইভার নিয়ে এসেছি আম্মু রাতে আমাকে গাড়ি ড্রাইভ করতে বারন করেছে।

আমরা নিধীর বাসার সামনে চলে গেলাম।।। আমরা নিধীর বাসায় গিয়ে কলিংবেল বাজালাম।
ভাইয়ার আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো।।।

আম্মুঃ কেমন আছিস রেহানা।
আন্টিঃ কি করে ভালো থাকি মেয়েটা যে কি পাগলামি শুরু করেছে না।
আম্মুঃ চিন্তা করিস না আমি এসে গেছি সব ঠিক হয়ে যাবে।।।।
আন্টিঃ হুম।
নীল বাবা কেমন আছো?
আমিঃ এইত ভালো
আপনি?
আন্টিঃ মোটামুটি
আন্টিঃ ভিতরে আসো।

এরপর আমি নিধীর রুমে যেতে লাগলাম,, আপনারা হয়তো অবাক হচ্ছেন আপুর শাশুড়ী কে আম্মু কেন তুই করে বললো,,, আসলে আম্মু আর আন্টি বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো।। আর আব্বু আর আংকেল ও ভালো ফ্রেন্ড ছিলো।।। আংকেল কিছুদিন আগে মারা গেছে৷

আমি নিধীর রুমে চলে আসলাম,, রুমে এসে দেখি আপু নিধীর পাসে বসে আছে,, ভাইয়া দাড়িয়ে আছে।

আমিঃ আপু আম্মু এসেছে ।

আপু আর ভাইয়া চলে গেলো,, আমি নিধীর পাসে গিয়ে বসলাম।। নিধী আমাকে দেখে একটু সরে বসলো। বুজলাম না হাঠাৎ করে মেয়েটার কি হলো। যে সুযোগ পেলেই আমাকে জড়িয়ে দরতো। কিস করতো , সে আজ দুরে গিয়ে বসছে।।

আমিঃ কি হয়েছে নিধী?
নিধীঃ কিছুনা।
আমিঃ তাহলে না খেয়ে আছো কেনো?
নিধীঃ আমি আজকেই তকে বিয়ে করবো।
আমিঃ পাগলি এটা কি সম্ভব নাকি।।
নিধীঃ আমি কিছু শুনতে চায় না।
আমিঃ বিয়ে করবো ত আগে পড়াশোনা শেষ হক।
নিধীঃ ততদিনে তুই অন্যকারো হয়ে যাবি।
আমিঃ আরে না আমি ত আমার পাগলিটাকে এ কদিনে ভালোবেসে ফেলেছি।
নিধীঃ ভালোবাসা না ছাই,, প্রিয়ার ফোনে ত আজ সব দেখলাম।
আমিঃ কি দেখলা??
নিধীঃ প্রিয়ার সাথে কতো ক্লোজ হয়ে পিক তুলো,
আর প্রিয়া তোমাকে ভালোবাসে কখন প্রিয়া তোমাকে নিজের করে নেয়, তার কোনো গ্যরান্টি নেই।
আমিঃ পাগলি আমি শুধু তোমার ই থাকবো।

এই বলে নিধীকে জড়িয়ে দরলাম,, নিধী আমাকে,
শক্ত করে জড়িয়ে দরলো, আর বললো আজ কোনো কথাই ই কাজ হবে না,, যে পর্যন্ত বিয়ে করবে না ওই পর্যন্ত কোনো খাবার ই আমি মুখে তুলব না।।।

আমিঃ এটা কি একটু বেশি হচ্ছে না।
নিধীঃ কম বেশি বুঝি না আজকেই বিয়ে করতে হবে আমাকে।।।
আমিঃ আজকে কি করে সম্ভব। পাগলামি করো না নিচে চলো ডিনার করবে।
নিধীঃ বলছি ত আমি খাবো না।।

তখনি রুমে আম্মু আন্টি আপু ভাইয়া সবাই আসলো। এসে সবাই বুজাতে লাগলো,, বাট নিধী কারো কথাই শুনছে না।।।

আন্টিঃ তুই একটা কিছু কর বোন,,
আম্মুকে বললো।
আম্মুঃ আজকে কি করে বিয়ে সম্ভব।
ভাইয়াঃ চাইলেই সম্ভব ।
আম্মুঃ একটু বুঝার চেষ্টা করো নীলের বাবা বাসায় না।
ভাইয়াঃ আমি আব্বু কে বুঁজিয়ে বলবো।
আম্মুঃ দু-চার দিন পরে হলে ভালো হতো।।
আমার একটা মাত্র ছেলে কত সপ্ন ছিলো অনেক দুমদাম করে বিয়ে হবে।
ভাইয়াঃ আম্মু আজকে বিয়েটা হক,, তারপর ওদের পড়াশোনা শেষ হলে অনেক বড় করে অনুষ্ঠান করলেই হবে।।
আম্মুঃ নীল কি বলিস?
আমিঃ আব্বুকে ছাড়া আমি বিয়ে করতে পারবো না।
নিধীঃ তুই বিয়ে করবি না তর গাড় বিয়ে করবে।
আমিঃ ওকে আমার গাড় কেই বিয়ে করো।
ভাইয়াঃ আচ্ছা আমি আব্বু কে ফোন দিচ্ছি।

এই বলে ভাইয়া আব্বু কে ফোন দিলো,, আব্বুর সাথে কথা বলতে বলতে ভাইয়া বাহিরে চলে গেলো। কিছুক্ষনপড়ে ভাইয়া, রুমে আসলো।

রুমে এসে আম্মুর কাছে মোবাইল দিলো,,, আম্মু আব্বুর সাথে কথা বলে কল কেটে দিলো,,

তারপর আম্মু বললো যে,,,

চলবে

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *