রুমে এসে আম্মুর কাছে মোবাইল দিলো,,, আম্মু আব্বুর সাথে কথা বলে কল কেটে দিলো,,
তারপর আম্মু ভাইয়া কে কাজি ডাকতে বললো।
আমি ত বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম,,, কখনো কল্পনা ও করি নি এইভাবে আমার বিয়ে হবে। আমার ফ্রেন্ড রা রাগ করে আমার সাথে কথায় বলবে না। কি একটা বিপদের মধ্যে পড়ে গেলাম।। এরপর কি কাজি ডেকে ভাইয়া আমাদের বিয়ে দিয়ে দিলো।।
নিধী বাসর ঘরে বসে আছে। আমি ছাদে চলে গেলাম। ছাদে কি ভাবতেছি এতো জলদি বিয়ে করবো কখনো ভাবি নাই।. আমি জয় কে কল দিলাম।
জয়ঃ এতো রাতে কি মনে করে ফোন দিলি?
আমিঃ দোস্ত একটা ঘটনা ঘটে গেছে।
জয়ঃ কি ঘটনা?
আমিঃ আমি বিয়ে করে ফেলেছি
জয়ঃ ড্রিংকস করেছিস?
আমিঃ দুর
জয়ঃ তাহলে আবুল তাবল বকছিস কেন?
আমিঃ আরে সত্যি বললাম,, সবাই মিলে জুর করে নিধীর সাথে বিয়ে পড়িয়ে দিছে।।
জয়ঃ কি বলছিস এসব
আমিঃ সত্যি বলছি রে।
জয়ঃ এখন তরা কোথায়??
আমিঃ নিধীর বাসায়।।
জয়ঃ বাসর তাহলে শশুর বাড়ি করবি?
আমিঃ দেখ এখন মজা নিস না প্লিজ।।
জয়ঃ প্রিয়া জানে?
আমিঃ না কেউ জানে না তকেই ফাস্ট বললাম।
জয়ঃ প্রিয়া জানলে যে কি করে বসবে আল্লাহ ভালো জানে।
আমিঃ তরা সবাই ওকে বুঝাবি তাই হবে।
জয়ঃ আচ্ছা।
আমিঃ আর সবাইকে জানিয়ে দে।।।
জয়ঃ ওকে
আমিঃ বাই
এই বলে ফোন কেটে দিলাম।। পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি ভাইয়া আর আপু দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ তোমরা এখানে কিছু বলবে?
ভাইয়াঃ স্যরি নীল
আমিঃ ভাইয়া স্যরি কেন বলছেন?
ভাইয়াঃ আমাদের ও কোনো ইচ্ছা ছিলো না তোমাদের বিয়েটা এভাবে হক বাট পরিস্থিতির শিকার।
আমিঃ আরে ভাইয়া যা হয় ভালোর জন্নই হয়।
আর নিধীকে আমার ভালোই লাগে।
আপুঃ তাহলে রুমে যা।
আমিঃ নিধী খেয়েছে?
আপুঃ না।
আমিঃ এক প্লেট খাবার এনে দাও।।
আপুঃ ওকে।
এরপর আমি নিচে চলে গেলাম। নিচে গিয়ে,,
আপু আমাকে খাবার এনে দিলো,, আমি খাবার নিয়ে নিধীর রুমে চলে গেলাম।।। রুমে গিয়ে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলাম।।। খাবারের প্লেট টা নিধীর টেবিলে রাখলাম।
তারপর খাটের দিকে তাকিয়ে দেখি,, খাটের মাজ বরাবর একটা নীল পরি বসে আছে মাথায় গোমটা দিয়ে।। নিধী এসে আমাকে পা দরে সালাম করতে লাগলো,, আমি নিধীর দুই কাঁদে দু হাত দিয়ে তুলে বোকে জড়িয়ে নিলাম।।
আমিঃ তোমার স্থান আমার পায়ে না বোকে।
নিধীঃ হুম।
এরপর আমি নিধীর ঘোমটা টা খুলে ফেললাম।
লাইটের আলো পড়ে নিধীর মুখ জ্বলজ্বল করছে।
কোনোরকম ই মেক-আপ করে নি,, একবারে ন্যচারাল বিউটি।
আমিঃ যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। তারপর খাবার খাবে।
নিধীঃ না আজকে শুধু তোমাকে খাবো
আমিঃ সেটা দেখা যাবে আগে ত ফ্রেশ হয়ে আসো।
নিধীঃ তুমিও চলো।
এরপর আমি আর নিধী ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
ওাশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে আসলাম। নিধী খাটে গিয়ে বসলো,, আমি খাবারের প্লেট নিয়ে নিধীর সামনে গিয়ে বসলাম।
নিধীঃ খাবো না আমি
আমিঃ তাহলে আজকে ছোফায় ঘুমাবো।
নিধীঃ না
আমিঃতাহলে খেয়ে নাও।
নিধীঃ খেতে পাড়ি একটা শর্ত আছে।।
আমিঃ হুম বলো কি শর্ত
নিধীঃ যে কয় লোকমা খাবার খাবো ওই কয়
টা কিস করতে হবে।
আমিঃ আচ্ছা তুমি যতোগুলা চাও ততোধিক দিবো।
নিধীঃ হুম খাইয়ে দাও
আমিঃ হা করো।
এরপর আমি নিধীকে খাইয়ে দিতে লাগলাম।
খাওয়া অর্দেকের দিকে, তখন নিধী আমার হাত থেকে খাবার প্লেট টা নিয়ে,, আমার মুখের সামনে এক লোকমা খাবার তুলে দরলো,, আমি কিছু না বলে খেতে লাগলাম,, এই প্রথম আম্মু আর আপু ছারা অন্য কোনো মেয়ের হাতে খাবার খাচ্ছি।।।
খাওয়া শেষে নিধী প্লেট রেখে দিলো এরপর আমার হাত দুইয়ে দিলো,, নিধীর শাড়ির আচল দিয়ে আমার মুখ মুছে দিলো। আমি শুয়ে পড়লাম নিধী আমার বোকে এসে শুয়ে পড়লো।।
নিধীঃ অনেকদিনের ইচ্ছা আজকে পুর্ন হলো।
আমিঃ কি ইচ্ছা?
নিধীঃ এইযে, তোমার বোকে মাথা রেখে ঘুমাব।
আমিঃ আস্তে আস্তে তোমার সব ইচ্ছায় পুরণ করে দিবো।
নিধীঃ কখনো ছেরে যাবে না ত?
আমিঃ এখন আর চাইলেও পসিবল না তুমি আমার বউ।
নিধীঃ প্রিয়া কে দিয়ে আমার একদম বিশ্বাস ছিলো না,, তাই এভাবে বিয়েটা করে নিলাম।
আমিঃ অনেক ভালো করছো,,,কিছুক্ষন পড়ে সকাল হয়ে যাবে ঘুমিয়ে পড়ো।
নিধীঃ ঘুমাবো মানে?
আমিঃ তাহলে কি করবে?
নিধীঃ বাসর রাতে মানুষ কি করে?
আমিঃ আজকে অনেক টায়ার্ড লাগতেছে।
নিধীঃ এটা বললে হবে না,, তুমি কথা দিছো,,
যতো ইচ্ছা কিস করবো
আমিঃ আটকাচ্ছে কে।
এই কথা বলাতে নিধী আমার উপরে এসে শুয়ে পড়লো।
নিধীঃ তোমার ঠোঁট দুটো অনেক সুন্দর।
আমিঃ শুধু কি দেখবাই?
নিধীঃ খেয়ে টেস্টিং টাও নিবো।
এই বলে নিধী ফাস্টে আমার কপালে কিস করলো।
এরপর আমার ঠোঁটে হালকা করে একটা চুমু খেলো।।
আমি নিধীকে আমার নিচে ফেলে আমি উপড়ে শুয়ে পড়লাম। নিধী একটু লজ্জা পাচ্ছে এটা ওর ফেস দেখেই বুজা যাচ্ছে।।। নিধীর লজ্জা পাওয়া মুখটা আমাকে আরো ওর প্রতি আকর্ষিত করছে।
আমি আস্তে আস্তে নিধীর লিপের দিকে আমার লিপ নিতে লাগলাম। নিধী চোখ বন্ধ করে ফেললো। আমি কিস না করে নিধীর দিকে তাকিয়ে আছে। নিধী এইবার চোখ টা খুললো,, আর বললো কি হলো,,এটা বলার সাথে সাথেই চার ঠোঁট এক করে দিলাম। এই ফাস্ট টাইম কিস,,, ফিলিং টা একটু না অনেকটাই আলাদা।।
এভাবে নিধীকে অনেলক্ষন কিস করলাম,,নিধী ও রেসপন্স করছিলো,,।
নিধীঃ শুধু কি কিস ই করবে আর কিছু করবে না।
আমিঃ আজকে সব ই করব ওয়েট।
এরপর আমি নিধীর গাড়ে কিস করতে লাগলাম,,নিধী উত্তেজিত হয়ে গেছে,, আমি আস্তে আস্তে নিধীর শাড়ি টা খুলে ফেললাম,,, আর কিছু বলতে পারবো না আমার শরম করে।
সব কিছু শেষে নিধী আমার বোকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে ,, আমাদের দুজনের শরীরে একটা সুতো পর্যন্ত নেই,, শুধু আমাদের গায়ে একটা কাথা দেওয়া। আমি নিধীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
নিধীঃ আমার লাইফের বেস্ট নাইট ছিলো আজকে।
আমিঃ সেম।
প্রাই সকাল হয়ে গেছে এখন ঘুমিয়ে পড়ো,,
নিধীঃ হুম।
নিধী কোনোরকম শরীরে শাড়ি পেচিয়ে শুয়ে পড়লো,, আমার বোকে মাথা দিয়েই শুয়ে আছে।
কেননা রুমে বালিশ একটাই,,আর ও বলে দিয়েছে সবসময় রুমে একটা বালিশ ই থাকবে।।
নিধী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো,
আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,, আমার দম আটকে আসছে ,, আমি চোখ খুলে দেখি যে নিধী,,