আপুর ননদ যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_০৬

সকালে আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,, আমার দম আটকে আসছে ,, আমি চোখ খুলে দেখি নিধী আমার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে শুয়ে আছে। তার জন্যই ত নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

আমি নিধীকে আমার নিচে ফেলে দিলাম,, আমি উপড়ে শুয়ে পড়লাম।

আমিঃ কি করছিলে?
নিধীঃ কিছুনা
আমিঃ ঘুমের মধ্যো কেউ কিস করে?
নিধীঃ কেউ না করলে কি হবে আমি করি।
আমিঃ পাগলি
নিধীঃ কি করবো বলো,, তোমার ঠোঁট আমাকে বলে একটা চুমু দে।
আমিঃ হা হা হা
নিধীঃ হাইসো না সত্যি তোমার ঠোঁট মিষ্টি লাগে,
স্টবেরির মতো।
আমিঃ হয়ছে,।
নিধীঃ আর তোমাকে অনেক ডেকেছি,, তোমার উঠার কোনো নাম ই নেই, তাই এটা করতে হলো।
আমিঃ এতো সকালে উঠে কি করবো, রাতে ঘুম হয়নি আসো ঘুমাবো।

এই বলে নিধীকে জড়িয়ে দরে আবার শুয়ে পড়লাম।। নিধী ও আমাকে জড়িয়ে দরে শুয়ে রইলো , নিধী আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।।। ওমনেই কে জানি দরজা দাক্কাচ্ছে।

নিধীঃ ছারো
আমিঃ কেন?
নিধীঃ কে জানি দরজা দাক্কাচ্ছে।
আমিঃ এই সকালেই কে ডিস্টাব করতেছে।
নিধীঃ এগারো টা বাজে।
আমিঃ এতো বেজে গেছে
নিধীঃ হ্য রাতে ত আমাকে একটুও ঘুমাতে দাও নি নিজে ঠিকি শান্তির ঘুম ঘুমাচ্ছো।
আমিঃ এতো কথা বাদ দিয়ে দেখো কে দরজা দাক্কাচ্ছে।

আমি নিধীকে ছেরে দিলাম দুইটা মেয়ে আসলো রুমে ,, আমি উঠে বসলাম। ওখান থেকে একজন বললো,,

কেমন আছেন দুলাভাই?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো,
আপনারা কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ ।
নিধীঃ নীল এরা হলো আমার বড় আন্টির মেয়ে,
ছোয়া আর এ হলো ছোট আন্টির মেয়ে নিশা।
আমিঃ ওহ।
নিধীঃ তরা কখন এলি?
নিশাঃ এইত এখন।
ছোয়াঃ তা রাতে কেমন এনজয় করলে?
নিধীঃ সেটা তদের না জানলেও চলবে।
নিশাঃ আরে লজ্জা পাচ্ছিস কেন?
নিধীঃ জানতে হলে বিয়ে করে নি,
ছোয়াঃ দুলা ভাইয়ার মতো কিউট একটা ছেলে পেলেই বিয়ে করে ফেলবো।
নিশাঃ কেনো যে তোমার আগে ভাইয়ার সাথে দেখা হলো না।
নিধীঃ পেত্নী নজর দিবি না একবারে মেরে ফেলবো।
নিশাঃ নজর কই দিচ্ছি।
নিধীঃ বাহিরে যা আমরা ফ্রেশ হবো
ছোয়াঃ ভাইয়াকে পেয়ে, আমাদের ভুলে গেলে আপু, যে তারিয়ে দিচ্ছো।
নিধীঃ আরে না দেখস না কতো বাজে আমরা ফ্রেশ হবো।
নিশাঃ তুমি যাও ফ্রেশ হতে আমরা ভাইয়ার সাথে কথা বলি।।
নিধীঃ না কথা সব পড়ে হবে,,অনেক ক্ষুদা লাগবে।
ছোয়াঃ সারারাত খেয়েও তোমার পেট বরে নি।
নিধীঃ তরা যাবি নাকি আমি ভাইয়াকে ডাকবো,
নিশাঃ ভাইয়াকে ডাকতে হবে না যাচ্ছি আমি।।
ওরা চলে গেলো।
আমিঃ ভাইয়াকে অনেক ভয় পায় নাকি?
নিধীঃ হ্য ভাইয়াকে দেখে সবায় ভয় পায়।
চলো শাওয়ার নিবো।
আমিঃ হুম যাও।।।
নিধীঃ একসাথে যাবো,
আমিঃ লজ্জা করবে না তোমার?
নিধীঃ যা দেখার ত গতকাল রাতে সব দেখেই ফেলেছ৷
আমিঃ কি দেখছি?
নিধীঃ যা খবিস এখন যদি লজ্জা দেস তাহলে খবর আছে।
আমিঃ চলো ওয়াশরুমে।

এই বলে আমি নিধীকে কোলে তুলে নিলাম। নিধী ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললো ।

নিধীঃ পড়ে যাবো ত,
আমিঃ বড়সা নেই?
নিধীঃ আছে দেখেই ত ভালোবাসি
আমিঃ তাহলে চুপ করে থাকো।।

এরপর আমি নিধীকে নিয়ে, ওয়াশরুমে চলে গেলাম। দুজনেই শাওয়ার নিয়ে আবার রুমে চলে আসলাম। আমি তোয়ালে পড়ে বসে আছি,, আর নিধী শাড়ি পড়তেছে।

আমিঃ ওই কি পড়বো?
নিধীঃ ওয়েট।

নিধী এসে আমার হাতে একটা ব্লাক কালারের পান্জাবী দিলো। আমি জিঙ্গাস করলাম এটা কোথায় পেলে, নিধী বললো আমার জন্য আগেই কিনে রেখেছিলো।।। নিধী ও ব্লাক কালারের শাড়ি পড়ছে,,।

এরপর আমরা দুজন নিচে চলে গেলাম। ভাইয়া কার সাথে যেনো ফোন এ কথা বলছে,, আম্মু আর আন্টি ছোফায় বসে আছে। আমরা গিয়ে আম্মু আর আন্টিকে ছালাম করলাম।।। আন্টি আমাদের খাবারের টেবিলে বসতে বললো।

আমরা খাবারের টেবিলে বসলাম। ওমনেই ছোঁয়া আর নিশা আসলো,, এসে বললো আন্টি ভাইয়া আর আপুকে আজকে আমরা খাওয়াব, তুমি রেস্ট করো।। তারপর আন্টি চলে গেলো।।

ছোঁয়া খাবার সার্ব করে দিতে লাগলো,, আমি আর নিধী খেতে লাগলাম।

নিশাঃ ভাইয়া কিছু লাগবে?
আমিঃ না।
ছোঁয়াঃ আপনার হাতে খেতে পারলে জীবন ধন্য হয়ে যেতো।
নিধীঃ ওয়েট তদের জীবন ধন্য হওয়াচ্ছি।।
ভাইয়া দেখো ত ওরা খেতে দিচ্ছে না।

এই কথা বলাতেই শালিকা দুটোই পালালো।।

আমাদের খাওয়া শেষ হলো আমরা রুমে চলে আসলাম। দুপুর বারোটা বেজে গেছে,, আমি শুয়ে পড়লাম নিধী এসে আমার বোকে শুয়ে পড়লো,,

নিধীঃ নীল
আমিঃ বলো।
নিধীঃ তোমার বন্ধুদের জানিয়েছো।?
আমিঃ জয় কে জানিয়েছি,, ও সবাইকে জানিয়ে দিবে।।

এরপর ভাইয়া রুমে এসে যা বললো,,এটা শুনে ত আমি অবাক হয়ে গেলাম। এটা কি করে সম্ভব।

চলবে

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *