আমাদের খাওয়া শেষ হলো আমরা রুমে চলে আসলাম। দুপুর বারোটা বেজে গেছে,, আমি শুয়ে পড়লাম নিধী এসে আমার বোকে শুয়ে পড়লো,,
নিধীঃ নীল
আমিঃ বলো।
নিধীঃ তোমার বন্ধুদের জানিয়েছো।?
আমিঃ জয় কে জানিয়েছি,, ও সবাইকে জানিয়ে দিবে।।
তখনি রুমে ভাইয়া আসলো,
ভাইয়াঃ নীল তুমি আর নিধী রেডি হয়ে এয়ারপোর্টে চলে যাও।
নিধীঃ কেনো ভাইয়া?
ভাইয়াঃ আজকে তর শশুর আসতেছে।
আমিঃ আজকে আব্বু আসতেছে?
ভাইয়াঃ হুম
আমিঃ বাট আব্বুর ত কিছুদিন পড়ে আসার কথা ছিলো।।
ভাইয়াঃ সেটা আমি জানি না আমাকে বলছে আমি তোমাদের জানিয়ে দিলাম।।
আমিঃ ওকে।। আসবে কখন?
ভাইয়াঃ দুইটা সময়।
আমিঃ এখন বাজে বারোটা।
ভাইয়াঃ রেডি হয়ে এখনি চলে যাও।।।
নিধীঃ ওকে ভাইয়া তুমি যাও।।
এরপর আমি আর নিধী বাসার সবাইকে বলে,, এয়ারপোর্টে যাওয়ার জন্য বের হলাম। যেতে যেতে আমাদের পুনে দুইটা বেজে গেলো। আমরা এক যায়গায় গাড়ি পার্ক করে দুজনেই দাড়িয়ে আছি।।
কিছুক্ষন আব্বু আসলো,, নিধী আব্বুকে ছালাম করলো।
আব্বুঃ কেমন আছো মামনি?
নিধীঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো
আংকেল আপনি কেমন আছেন?
আব্বুঃ কোনো আংকেল নয় আজকে থেকে আব্বু বলে ডাকবে।
নিধীঃ ওকে আব্বু।
আমিঃ বাহ্ বউমা পেয়ে ত আমাকে ভুলেই গেলেন,
আব্বুঃ কেমন আছিস?
আমিঃ সেটা আপনার জানলেও চলবে।।
আব্বুঃ ওকে তাহলে আমিও বলে দেই নিধীকে ঘটনা টা।।
আমিঃ আরে আব্বু এসব বলার কি দরকার সবাই ওয়েট করছে,, চলো বাসাই চলো।
এরপর আমরা বাসায় চলে আসলাম,, নিধীর বাসায়। নিধীর বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়ে
বিকালের দিকে আমি আর নিধী বাসায় যাওয়ার জন্য রেডি হতে লাগলাম। তখনি ভাইয়া আসলো রুমে।
ভাইয়াঃ নীল তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
আমিঃ জ্বি ভাইয়া বলেন।
ভাইয়াঃ নিধী আমার একমাত্র ছোট বোন কখনো এমন কোনো কাজ করবে না যাতে ও কষ্ট পায়।
আমিঃ ওকে।
ভাইয়াঃ তোমার উপড়ে আমার পুরো বিশ্বাস আছে।
আমিঃ আচ্ছা ভাইয়া টেনশন করবেন না। আমার সবটা দিয়ে হলেও নিধীকে সুখে রাখবো ।।
ভাইয়াঃ আচ্ছা রেডি হয়ে নিচে আসো আব্বু আম্মু রেডি হয়ে বসে আছে।।
এই বলে ভাইয়া চলে গেলো,,আমি নিধীকে শাড়ি পড়িয়ে দিলাম। এরপর আমরা নিচে চলে গেলাম।
নিচে এসে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে আমি আর নিধী আমার রুমে চলে আসলাম। নিধী এসেই রুম গুছানো শুরু করে দিলো,,।
আমি প্রিয়া কে ফোন দিলাম, প্রথমবার দরলো না দ্বিতীয় বার রিসীভ করলো,,
প্রিয়াঃ হ্য নীল বল।
আমিঃ কেমন আছিস?
প্রিয়াঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো,
তুই?
আমিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
প্রিয়াঃ তা বিভাহিত জীবন কেমন কাটছে?
আমিঃ ভালো।
সন্ধ্যায় বাসায় চলে আয় সবাই আড্ডা দিবো।
প্রিয়াঃ দেখি।
আমিঃ এতো কিছু জানি না আমি তর আসতেই হবে বাই
এই বলে কল কেটে দিলাম একে একে সব ফ্রেন্ডদের জানিয়ে দিলাম।। ওরা সবাই আসতেছে।
আমি নিধীকে বলে বাহিরে চলে গেলাম,, বাহিরে এসে একটা শপিংমলে গেলাম, শপিংমলে গিয়ে নিধীর জন্য একটা ব্লাক কালারের শাড়ি আর আমার জন্য একটা ব্লাক কালারের পান্জাবী কিনলাম। তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম।
বাসায় এসে আলমারিতে শাড়ি আর পান্জাবী রেখে দিলাম।
রুমে গিয়ে দেখি নিধী মাজায় ওড়না বেঁধে রুম পরিষ্কার করছে। আমি গিয়ে পিছন থেকে নিধীকে জড়িয়ে দরলাম।
আমিঃ এখন কোনো কাজ হবে না শুধু রোমান্স হবে।
নিধীঃ এখন না রাতে অনেক কাজ করতে হবে।
আমিঃ কাজ টা পড়েও করতে পারবা।
নিধীঃ দরজা খোলা কিন্তুু,,,
আমিঃ ওয়েট লাগিয়ে দিয়ে আসছি।।।
আমি নিধীকে ছেরে দরজা টা লাগিয়ে দিয়ে আসলাম।।। এরপর নিধীকে কোলে তুলে নিলাম।
কোলে নিয়ে খাটে নিয়ে গিয়ে নিধীকে শুইয়ে দিলাম। আমি নিধীর উপড়ে শুয়ে পড়লাম।।।
এরপর আমি নিধীর কপালে একটা কিস করলাম।
নিধীঃ নীল
আমিঃ বলো
নিধীঃ ঠোঁট খাবো।
আমিঃ আচ্ছা।
এরপর আমি নিধীর ঠোঁটে ছোট করে একটা চুমু দিলাম। নিধীর ঠোঁটে আমার ঠোঁট গুজে দিলাম।
নিধী খোব শক্ত করে জড়িয়ে দরে আছে আমাকে।
আমি নিধীর বোকে থেকে উড়না টা ফেলে দিলাম।
নিধীঃ আবার গোসল করাবে আমাকে।
আমিঃ আমার ও ত করতে হবে। ওকে যাও গোসল আমিই করিয়ে দিবো।।
নিধীঃ আচ্ছা।
আমি নিধীর গারে গলায় কিস করতে লাগলাম।
আস্তে আস্তে নিচের দিকে নামতে লাগলাম। নিধীর নিশ্বাস বাড়ি হয়ে আসছে। এরপর কি করলাম আর বলা যাবে না,,,
কাজ শেষ করে আমরা ওয়াশরুমে চলে গেলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে বাহিরে চলে আসলাম। এরপর ব্লাক শাড়িটা এনে আমি নিধীকে পড়িয়ে দিলাম। চোখে কাজল দিয়ে দিলাম। আমিও ব্লাক পান্জাবী টা পড়ে নিলাম।
সন্ধ্যার দিকে জয় রানা রাজু হিয়া আর প্রিয়া আসলো। সবাই এসে আমাদের অভিনন্দন জানালো।।
তারপর জয় বললো যে,