আব্বুঃ এতো রাতে বাসার বাহিরে থাকা টা কি জরুরি ছিলো?
আমিঃ স্যরি আব্বু আর এমন হবে না।
আব্বুঃ আর শুনো তোমাদের জন্য একটা সার্পাইজ আছে।
নিধীঃ কি সার্পাইজ আব্বু?
আব্বুঃ তোমাদের হানিমুনে পাঠাবো,, দেশের বাহিরে পাঠাতে চেয়েছিলাম বাট তোমার আম্মু বারন করলো,, তাই কক্সবাজারের টিকেট কেটে রেখেছি,, ফ্লাইট পরশুদিন সকাল এগারো টাই।
আমিঃ আব্বু হানিমুনে যাওয়া কি দরকার।
আব্বুঃ দরকার আছে বলেই বলছি।।
আমিঃ না আব্বু এখন যাওয়ার দরকার নেই, আর নিধীকে গতকাল রাতে, বলেছিলাম ও মানা করেছে।
আব্বুঃ ওকে।
এই কথা বলাতে নিধী রাগী চোখে আমার দিকে তাকালো। এখন হানিমুনে যাওয়ার কোনো ইচ্ছেই নেই আমার,,। আর বাসা ছাড়া অন্য কোথাও আমার একদম ভালো লাগে না।।
আমি খেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম। নিধী সব কিছু গুছিয়ে রুমে আসবে। আমি গিয়ে একটু ফেসবুকিং করতে লাগলাম,। নিধী রুমে আসলো,রুমে এসে অনেক শব্দ করে দরজা লাগালো।। আমি কিছু বললাম না।।।
নিধী এসে লাইট অফ করে এক পাসে সুয়ে আছে।
বুঝলাম না কি হলো । যে মেয়ের আমার বোকে মাথা না দিলে ঘুম আসে না, সে আজকে অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে আছে, ডালমে কুচ কালা হে।
আমিঃ নিধী?
আমিঃ ওই সোনা
কোনো রিপ্লাই পেলাম না,, আমি গিয়ে নিধীকে পিছন থেকে জড়িয়ে দরলাম, নিধী ছারানোর চেষ্টা করলো,, ছাড়াতে পারলো না দেখে শান্ত হয়ে গেলো।
আমিঃ কি হয়েছে?
নিধীঃ কিছুনা।
আমিঃ বলো না কি হয়েছে।
নিধীঃ কুত্তা আমি তকে কখন না করছি যে হানিমুনে যাবো না।
আমিঃ এসময়ে হানিমুনে যাওয়াত কোনো প্রয়োজন নেই।
নিধীঃ না আমার আছে। এখনি আব্বুু কে যেয়ে বলবি আমরা যাবো।।।
আমিঃ এখন ত আব্বু ঘুমিয়ে পড়েছে।। কালকে
সকালে বলবো।
নিধীঃ সত্যি বলবে ত।
আমিঃ হুম।
এখন নিধী নিজে থেকেই জড়িয়ে দরে বোকে মাথা রাখলো,,,।।
নিধীঃ তুমি এই বিয়েটা এখন ও মেনে নিতে পারো নি তাই না,,
আমিঃ মেনে নিয়েছি বিদায় ই তুমি আমার বোকে শুয়ে আছো, নাহলে নিচে ঘুমাতে হতো।।
নিধীঃ ওহ আচ্ছা।
আমিঃ ঘুমিয়ে পড়ো।
নিধীঃ না আগে আদর করো।।।
আমিঃ না আজকে কিছু হবে না।। ঘুমিয়ে পড়বো।
নিধীঃ আচ্ছা।
নিধী আমাকে জড়িয়ে দরে শুয়ে আছে,, আমি নিধীর কপালে একটা চুমু একে দিলাম।।। নিধী অনেক শক্ত করে জড়িয়ে দরলো আমাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি নিধী আমার পাশে নেই।। আমি বিছানা থেকে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। আজকে অনেক সকালেই ঘুম ভেঙে গেছে। ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ো নিচে চলে গেলাম। দেখি আম্মু সোফায় বসে আছে।
আমিঃ আম্মু নিধী কোথায়?
আম্মুঃ কিচেন রুমে রান্না করতেছে।
আমিঃ ওহ।
আম্মুঃ অনেক না করলাম শুনলো না,, আমাকে জুর করে কিচেন রুম থেকে এখানে বসিয়ে দিয়ে গেলো, আজকে নাকি ও রান্না করবে সবকিছু।।।
আমিঃ ভালোই হবে তোমার আর রান্না করতে হবে না।।
আম্মুঃ তা কি হয় বাবা ও ত এখনো অনেক ছোট এতোকিছু সামলাতে পারবে না ত।।।
আমিঃ আচ্ছা আমি গিয়ে একটু হেল্প করি তাহলে।
আমি কিচেনে চলে গেলাম। দেখি নিধী কোমরে উড়না বেঁধে, রান্না করছে। যে কেউ দেখলে মনে করবে পাক্কা রাধুনি । আমি গিয়ে নিধীকে পিছন থেকে জড়িয়ে দরলাম,,। নিধী চমকে উঠলো আমাকে দেখে বোকে হাত দিয়ে অনেক জুড়ে একটা নিশ্বাস নিলো।।
আমিঃ ভয় পেয়েছো??
নিধীঃ একটু। তুমি এখানে কি করো।
আমিঃ তোমাকে সাহায্য করতে আসলাম।
নিধীঃ না রুমে চলে যাও কিচেনে অনেক গরম তুমি গেমে যাবে।
আমিঃ তোমার ও ত গরম লাগতেছে,, আমার লাগলে তাই কি হবে।
নিধীঃ না তুমি বুঝার চেষ্টা করো তুমি ত কখনো কিচেনে আসো নি অব্যাশ নেই তোমার।।
আমিঃ তুমিও ত আসো নি।।
নিধীঃ বুঝেছি তোমার সাথে পারা যাবে না,, তাহলে পেয়াজ টা কেটে দাও৷।
আমিঃ আমি ত ওটা করতে আসে নি।
নিধীঃ তাহলে?
আমিঃ জড়িয়ে দরে থাকতে এসেছি।
নিধীঃ এটা কেমন সাহায্য মশাই,,আর আজকে এতো সকালে ঘুম ভাঙলো যে।
আমিঃ জানি না।
নিধীঃ যাও ত রুমে গিয়ে বসো কিছুক্ষনের মধ্যোই রান্না শেষ হয়ে যাবে।।।।
আমিঃ ওকে।
এরপর আমি রুমে চলে গেলাম। রুমে গিয়ে ফেসবুকিং করতে লাগলাম। কিছুক্ষন পড়েই নিধী চলে আসলো রুমে।। রুমে এসে ওয়াশরুমে চলে গেলো৷ ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলো।
নিধীঃ চলো নাস্তা করবে।।
আমিঃ হুম ওকে৷।
আমি আর নিধী নিচে চলে গেলাম। নিচে গিয়ে ড্রাইনিং টেবিলে বসলাম।। নিধী খাবার সার্ভ করে দিতে লাগলো।।। আম্মু নিধীকেও বসতে বললো
নিধীও বসলো।। সবাই খাওয়া শুরু করলাম।।
আব্বুঃ অনেক ভালো হয়েছে মামনি ।
আম্মুঃ তুমি এতো ভালো রান্না করতে পারো জানতাম না ত।।।
আমিঃ হয়ছে এখন খাও।।
আমার কথা শুনে নিধীর মুখ টা কালো হয়ে গেলো।
আমি ওরা খাবারের একটুও প্রসংসা করলাম না এটা ভেবে ও কষ্ট পাচ্ছে৷।।
আমিঃ আব্বু কক্সবাজার যাবো সব ব্যবস্থা করো।
আব্বুঃ কালকেই না করলি, আবার আজকে বলতেছিস যাবি।
আমিঃ যা বলছি তাই করো প্লিজ।
আব্বুঃ সব ব্যবস্থা করাই আছে,, কালকে সকাল এগারোটাই ফ্লাইট।
আমিঃ ওকে।
আমি খেয়ে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে খাটে বসে আছি,, নিধীর জন্য ওয়েট করতেছি,, এখনো আসে না কেন , দুর কেমন ডা লাগে।।।।
একটু পড়ে রুমে নিধী আসলো ওর মনটা এখন ও খারাপ।।
এরপর আমি এমন একটা কথা বললাম৷ কথা বলাতে নিধী দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে দরলো। আমি খাটের উপড়ে পড়ে গেলাম,, নিধী আমার উপড়ে,।