ডিভোর্সি সিনিয়র মেয়ে যখন বউ পর্ব_০১

রাত্রি: তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি! তোমার আমি ৫বছরের বড়!আর তুমি কি জানো আমি একটা ডিভোর্সি মেয়ে! আমার একটা ছোট মেয়ে আছে!

রাফি: হ্যাঁ আমি জানি!

রাত্রি: আমার সব কিছু জানার পরে আমাকে বিয়ে কেন করছো!

রাফি: আমার টাকার প্রয়োজন! আপনার আব্বু বলেছে ” আমি যদি আপনাকে বিয়ে করি। তাহলে ওনি আমাকে ১৫লাখ টাকা দিবে। যেইটা দিয়ে আমি আমার আম্মার চিকিৎসা করতে পারবো।

রাত্রি: ১৫লাখ টাকার জন্য তুমি আমায় বিয়ে করতে চাচ্ছো! তোমার সামনে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ আছে! আমি তোমাকে ১৫ লাখ টাকা কর্জ দিচ্ছি। তুমি ওই টাকা দিয়ে ” তোমার আম্মুর চিকিংসা করো। আমাকে তোমার বিয়ে করতে হবে না।

কথক: রাত্রীর কথা শুনে রাফি ‘ওর আম্মুর দিকে আর একবার রাত্রির আম্মু আব্বুর দিকে তাকালো! রাত্রির আম্মু কিছু বলতে যাবে। রাত্রি বাধা দিলো’ রাফি রাত্রির দিকে তাকিয়ে বললো?

রাফি: না’ আমি কর্জ নিতে পারবো না। আমি আপনার আম্মু আব্বুকে কথা দিয়েছি! আর আমার আম্মু বলছে কাউকে কথা দিলে। সেই কথা রাখতে হয়’ না রাখলে মুনাফিক হয়ে যায়।

রাত্রি: তুমি একবার ভেবে দেখো? আমি এমনিতে তোমার সিনিয়র তার উপরে বিবাহিত আবার মেয়ে আছে। তুমি এতো সুন্দর হ্যান্ডসাম একটা ছেলে হয়ে। আমার মতো বুড়িকে বিয়ে করে। সবার সামনে হাসির পাত্র হতে চাও।

রাফি: আমি করো কথা কান দেয় না! কে কি বললো ওইটা দেখে আমার লাভ নাই। আজ আমি না খেয়ে থাকলে কেউ আমায় দেখবে না। নিজের খাবার নিজেকে জোগাড় করতে হয়। তাই কারো কথা শুনে আমার কোনো লাভ নাই। আমার আর আপনার আব্বু আম্মুর সেইম অবস্তাহ! আমি আমার আম্মুর জন্য সব করতে পারি। আমার আম্মুকে কিভাবে ভালো রাখবো। সেইটা নিয়ে আমার চিন্তা! আর আপনার আম্মু আব্বুর চিন্তা আপনাকে কোথায় বিয়ে দিলে আপনাকে সুখী রাখা যাবে। আপনার সুখের জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। আর আমার আম্মুকে বাঁচানোর জন্য আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।

রাত্রি: কথাতো অনেক” সুন্দর করে বলতে পারো।কিন্তু এখানে তো তুমি সার্থর জন্য আমাকে বিয়ে করছো। সার্থ ফুরিয়ে গেলে তো তুমি ও আমায় ছেড়ে যাবে।

রাফি: এখানে তো আপনারা ও নিজেদের সার্থ দেখছেন! এখানে আমরা দুইজন নিজেদের সার্থ দেখছি। যেমন আমি টাকার জন্য আপনাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি। তেমন আপনার ভালো রাখার জন্য আমার সাথে আপনাকে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। নিজের সার্থ জন্য কিন্তু আপনার আব্বু আম্মু আমাকে টাকা দিতে রাজি হয়েছে।এখন যদি আমি স্যারকে বলতাম স্যার আমার এতো টাকা লাগবে। ওনি কখনোই আমাকে টাকা দিতো না। আমাকে শর্ত দিয়ে আমাকে টাকা দিতে রাজি হয়েছে।

রাত্রি: হুম বুঝতে পারলাম! তুমি অনেক মেধাবী একটা ছেলে! যাই হোক তাও তুমি একটু ভেবে দেখো কি করবে। আমি চাই না’ তুমি নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাকে বিয়ে করো। কারণ নিজের মনের বিরুদ্ধে বিয়ে করলে।কখনোই আমরা সুখী হতে পারবো না।উল্টা সমস্যা হবে’ সংসারের অশান্তি হবে।

রাফি: আমি অনেক ভেবে দেখেছি! আমি এখানে আপনাকে মন থেকে মেনে নিতে বিয়ে করতে এসেছি!

রাত্রি: তাহলে আমার কিছু বলার নাই! কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করেন।

কথক: রাত্রীর কথা শুনে কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানো শুরু করে দিলো! দুইজনের বিয়ে পড়িয়ে কাজী সাহেব চলে গেলো! রাত্রী রাফির আম্মুর পায়ে ধরে সালাম করতে যাবে। সাথে সাথে রাফি বলে উঠলো?

রাফি: আম্মুর পায়ে ধরে সালাম করেন না! আম্মু আপনাকে এমনিতে দোয়া করবে।

রাত্রী: কেন?

রাফি: পায়ে ধরে সালাম করতে হয় না। তাই করেন না’ একমাত্র আল্লাহ তায়ালার জন্য মাথা ঝুকাবেন আর কারো কাছে না।ইসলামে পা ধরে বা অন্য কোনো উপায়ে সালাম দেওয়ার কোনো বিধান নেই।

পা ধরে সালাম দেওয়া ইসলামি পদ্ধতি নয়। ইসলাম এই সালাম আমাদের শিক্ষা দেয় নি। এটা স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি কিংবা বাবা-মা কারো জন্যই জায়েজ নেই। সবাইকে মুখেই সালাম দেওয়ার নিয়ম ইসলাম জায়েয করেছে।

হাদিসে বড়জোর মুসাফাহা-মুআনাকার কথা এসেছে, কিন্তু পা ছুঁয়ে সালামের কথা আসেনি। সুতরাং উম্মত হিসেবে আমাদের উচিত- আসসালামু আলাইকুম বলে সালাম দেওয়া।

রাফির আম্মু; হ্যাঁ’ মা আমার পায়ে ধরে তোমার সালাম করতে হবে ন।আমি তোমায় মন থেকে দোয়া করি। তুমি আমার ছেলের সাথে সুখে থাকো!আমি জানি না মা আমি কতদিন বেঁচে থাকবো।এমন হতে পারে অপারেশন পর আমি এই দুনিয়াতে নাও থাকতে পারি। জানি না আল্লাহ কতদিনের আমায় হায়াত দিয়েছে। মা আমার ছেলেটাকে তোমার হাতে তুলে দিলাম। আমার ছেলেটাকে দেখে রেখো! আমার ছেলে বলে বলছি না!, আমার ছেলেটাহ হীরা টুকরা! ওই খুব চুপচাপ প্রকৃতিক’ ওই কষ্ট পেলে কখনোই কাউকে বলে না। নিজের কষ্ট সব সময় নিজের ভিতরে রাখে। যেইটা নিয়ে বেশি ভয় আমার ‘ তুমি কখনোই আমার ছেলের হাত ছেড়ে দিয়েও না।

কথক: রাফির আম্মুর কথা শুনে রাত্রী রাফির আম্মুর হাত ধরে বললো?

রাত্রী: আমি কথা দিলাম’ আপনার ছেলের সুখ দু:খের পাশে থাকবো।

রাফির আম্মু: তোমার কথা শুনে কিছুটাহ হইলেও নিশ্চিন্তায় থাকতে পারবো!

কথক: রাফি রাত্রী ওর আম্মুর সামনে গেলে। রাত্রীর আম্মু আব্বু দুইজনকে জড়িয়ে ধরলো! রাফি রাত্রীর মেয়ের দিকে তাকিয়ে। রাত্রীর ছোট বোনের কাছে গিয়ে রাত্রীর মেয়েকে কোলে তুলে নিলো! রাত্রীর মেয়ের কপালে চুমু দিয়ে বললো?

রাফি: মাশা আল্লাহ ‘

তুলি: রাফি তোমায় আমি কি বলে ডাকবো!

রাফি: আপনার যেইটাহ ভালো লাগে ওইটা বলেন? আচ্ছা এই পিচ্চিটার নাম কি?

রাত্রী: ওর নাম তানিশা রহমান মিষ্টি

রাফি: মাশাল্লাহ” অনেক সুন্দর নাম!

কথক: তুলি কিছুক্ষন ভেবে বললো?

তুলি: নাম ধরে ডাকা যাবে না’ দুলাভাই বলে ডাকবো নাকি? ভাইয়া বলে?

কথক: তুলির কথা শুনে সবাই হেসে দিলো! রাফি তুলির দিকে তাকিয়ে বললো?

রাফি: এতো চিন্তা করেন না! একটা কাজ করেন আমাকে মিষ্টির আব্বু বলে ডাকেন!

কথক: রাফির কথা শুনে রাত্রী মুখে হাসি ফুটে উঠলো! সবাই অনেকটাহ খুশি হলো’ তুলি বললো?

তুলি: ওকে মিষ্টির আব্বু ‘ না এইটা ডাকা ঠিক হবে না। এইটা আপু ডাকবে আমি তার থেকে রাফি ভাইয়া বলে ডাকবো।

রাফি: আচ্ছা!

রাত্রীর আম্মু: আচ্ছা অনেক হয়েছে’ এবার সবাই খাবার খেতে আসো!

কথক: রাত্রীর আম্মুর কথা শুনে সবাই খাবারের টেবিলের সামনে চলে গেলো। রাত্রী রাফিকে এক সাথে বসতে দিলো! রাফির কোল থেকে কাজের মেয়ে টাহ মিষ্টিকে নিলে। মিষ্টি কান্না করতে লাগলো’ রাফি কোলে নিলে! সাথে সাথে মিষ্টির কান্না বন্ধ হয়ে যায়। এটাহ দেখে সবাই অবাক হয়ে যায়। তুলি রাফিকে বলে?

তুলি: বাহ বাহ’ মিষ্টি দেখি ” নতুন আব্বুকে পেয়ে অনেক খুশি!

কথক: তুলির কথা শুনে সবাই হেসে দিলো! রাফি মিষ্টিকে নিয়ে খেতে লাগলো রাত্রী বলে উঠলো?

রাত্রী: রাফি ওকে রহিমা আফার কাছে দেও। এভাবে ওকে নিয়ে খেতে তোমার সমস্যা হবে।

কথক: রাফি রহিমার কাছে দিলে মিষ্টি কান্না করতে লাগলো। রাফি কোলে নিতে চাইলে রাত্রী বলে?

রাত্রী: সমস্যা নাই’ ওই কান্না করতে করতে থেমে যাবে। তুমি খাবার খাও “

রাফি: কিন্তু পিচ্চি তো কান্না করছে।

রাত্রীর আম্মু: তুমি খাও এতো ভেবো না!

কথক: রাফি খাবার তাড়াতাড়ি খেতে লাগলো! সবাই রাফির দিকে তাকিয়ে বললো?

রাত্রীর আম্মু: রাফি আস্তে খাও গলায় ঠেকে যাবে।

রাফির আম্মু: ওকে বলে লাভ নাই!ছোট বাচ্চাদের কান্না ওর সয্য হয় না। আর ওর তাড়াতাড়ি করে খাওয়ার অভ্যাস আছে।

কথক: রাত্রী রাফির দিকে যত দেখছে।ততো অবাক হয়ে যাচ্ছে’ রাফি তাড়াতাড়ি খেয়ে হাত ধুয়ে পানি খেয়ে চেয়ার থেকে উঠে বললো?

রাফি: ওনি মিষ্টিকে নিয়ে কোথায় গেলো?

তুলি: আপুর রুমে ‘

রাফি: ওনার রুম কোনদিকে!

কথক: তুলি রাফিকে রুম দেখিয়ে দিলো! রাফি তুলির কথা শুনে সিঁড়ি ভেঙে উপরে উঠে বাম দিকে ঘুড়ে দৌড়ে যেতে লাগলো! মিষ্টির কান্নার শব্দ অনুসরণ করে রাত্রীর রুমে চলে গেলো। রাফি মিষ্টিকে কোলে তুলে নিলো! মিষ্টিকে কোলে তুলে হাটাহাটি করতে লাগলো আর বললো?

রাফি:মিষ্টিটাহ কান্না করে না! বাবা তো চলে এসেছে কান্না করো না!

কথক: রাফি মিষ্টির কান্না থামানোর চেষ্টা করতে লাগলো! রাত্রী এসেছে দেখে রাফি মিষ্টিকে কোলে নিয়ে হাটাহাটি করছে। আর কান্না থামানোর চেষ্টা করছে! রাত্রী রুমে এসেছে দরজা লাগিয়ে দিলে। রাফি পিছনে ঘুড়ে তাকিয়ে দেখে রাত্রী? রাফি রাত্রীকে বললো?

রাফি: দেখেন না ‘ মিষ্টি তো কান্না থামাচ্ছে না।

রাত্রী: আমার কাছে দেও ” ওর ক্ষুধা লাগছে। তাই কান্না করছে!

কথক: রাত্রী রাফির হাত থেকে মিষ্টিকে নিলো! রাত্রী মিষ্টিকে সুয়ে দিয়ে দুধ খাওয়াতে যাবে। রাফি লজ্জা পেয়ে সোফায় বসে থেকে ” নিচের দিকে তাকিয়ে থাকলো। রাত্রী আয়নার ভিতরে দিয়ে রাফিকে দেখে ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটে উঠলো! রাত্রী রাফিকে বললো?

রাত্রী: তুমি চাইলে পাশে সুয়ে থাকতে পারো।কতক্ষন ওইখানে বসে থাকবে!

রাফি: না সমস্যা নাই’ আচ্ছা আমি কি মিষ্টির সাথে খেলা করতে পারি। না মানে আমি অন্য দিকে তাকাবো প্রমিজ! আসলে আমার বাচ্চা পোলাপাইন অনেক পছন্দ। ওদের দেখলে আদর করতে ইচ্ছে করে। আর মিষ্টি মামুনিকে যে সুইট একটাবাচ্চা। সব সময় কোলে নিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।

রাত্রী: তাই’ আচ্ছা আসো!

কথক: রাফি রাত্রীর অনুমতি পেয়ে ‘ খুশি হয়ে মিষ্টির বাম পাশে বসে। মিষ্টির পায়ে সুর সুরি দিতে লাগলো! মিষ্টি দুধ খাওয়া বাদ দিয়ে! রাফির দিকে তাকিয়ে খিল খিল করে হাসতে লাগলো। আবার দুধ খেতে লাগলো’ রাফি আর মিষ্টি দুষ্টুমি দেখে। রাত্রীর খুশিতে চোখে পানি চলে আসলো! রাফির চোখ রাত্রীর দিকে গেলে। রাফি বলে উঠলো?

রাফি: কি? ব্যাপার আপনি কান্না করছেন কেন? চোখে কিছু পড়ছে নাকি? ওয়েট আমি দেখি?

কথক: রাফি রাত্রীর চোখ চেক করে বললো?

রাফি: কই কিছু তো পেলাম না!

রাত্রী: চোখে কিছু যায় নাই’ জানো রাফি আমি না একটা কথা ভাবছি!

কথক: রাত্রীর কথা শুনে রাফি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো?

রাফি: কি কথা?

রাত্রি: তুমি ও মানুষ সেওমানুষ তো ছিলো! মিষ্টি তো তার নিজের্ রক্ত ছিলো! তার পর কোনোদিন মিষ্টির দিকে ঘুড়েও তাকায় নাই।মিষ্টির সাথে খেলা তো দূরে কথা,মিষ্টি যদি ওর পাশে সুয়ে কান্না করতো।তার পর একবার ও তাকিয়ে দেখার সময় হতো না। অনবরত নিজের গার্লফ্রেন্ড সাথে চ্যাট করতে ব্যস্ত থাকতো। আর তুমি মিষ্টির সৎ বাবা’ আজ প্রথম দেখলে! তার পর তোমার চোখে ওর জন্য কত ভালোবাসা! কত মায়া ‘ কত সুন্দর করে ওর সাথে খেলা করছো দুষ্টুমি করছো। মিষ্টি কান্না করছে দেখে তুমি অল্প খাবার খেয়ে দৌড়ে ছুটে আসলে। অথচ তার নিজের বাবা দেখেও না দেখার ভান করতো!

কথক: রাত্রী কথা গুলো বলে চোখের পানি ফেলতে লাগলো! রাফি রাত্রীর কথা শুনে অনেক খারাপ লাগলো”, মিষ্টির সাথে দুষ্টুমি করতে লাগলো আর বললো?

রাফি: ওর বাবা একজন হতভাগ্য একটা বাবা। যে নিজের ঘরে একটা জান্নাত থাকতেও। সেই জান্নাতটার মূল্যায়ন করতে পারে নাই! তাই না আম্মু ‘

কথক: কথাটাহ বলে মিষ্টির পেটে নাক ডুবিয়ে দিতে হাসাতে লাগলো! রাত্রীর রাফির দিকে এক নজরে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো?

রাত্রী: এই ছেলেটার কথা যত শুনছি। ততো অবাক হচ্ছি’ এমন ও মানুষ আছে। পর সন্তানকে এভাবে আপন করে নিতে পড়ে। আমি নিজেও তো কখনোই হইতো পারতাম না।

কথক: রাফি রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো?

রাফি: এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? চিন্তা করবেন না! আমি কখনোই মিষ্টিকে কষ্ট দিবো না!আর আপনি আমার সহর্ধমিনী ” আর মিষ্টি আপনার মেয়ে তার মানে। ওই আমার ও মেয়ে তাই একজন বাবা হিসাবে। আমার মেয়েকে কিভাবে রাখলে ভালো থাকবে। সেইটা সম্পূর্ণ আমার দায়িত্ব!

কথক: রাফির কথা শুনে যেনো রাত্রী নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না। রাত্রী নিজের চোখের মুছতে মুছতে বললো?

রাত্রী: আমি জানি না’ তোমার মনের ভিতরে কি আছে। তুমি এইসব কথা মন থেকে বলছো নাকি? আমাকে পটানোর জন্য বলছো। আমি জানি না’ কিন্তু আমি তোমার কথা যত শুনছি। ততো তোমার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যাচ্ছে।

রাফি: আমি যাহ বলি তাই করি! আর আমার মন থেকে করি’

কথক: রাত্রী কিছু বলতে যাবে’ তখনই দরজা নক করার শব্দ হইলে। রাত্রী চোখ মুছে স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠলো?

রাত্রী: কে?

তুলি: আপু আমি তুলি’

রাত্রী: কিছু বলবি?

তুলি: হুম’ দরজা খুলো?

কথক: রাফি খাট থেকে নেমে’ দরজা খুলতে চলে গেলো। দরজা খুলতে তুলি ভিতরে ঢুকে পড়লো! তুলি হাতে দুধের গ্লাস দেখে রাফি ভ্রু কুচকে তাকালো! তুলি দুধের গ্লাসটাহ টেবিলের উপরে রেখে বললো?

তুলি: এইটাহ আম্মু পাঠিয়ে দিলো! আর মিষ্টিকে আমাকে দিতে বললো? আজকে মিষ্টি আমার সাথে ঘুমাবে!

রাত্রী: মিষ্টির তো মাঝ রাতে ক্ষুধা লাগে! তুই ওকে সামলাতে পারবি!

তুলি: সমস্যা নাই’ আমি চেষ্টা করবো!

কথক: রাত্রি চোখ দেখে বুঝা যাচ্ছে! তুলির কাছে মিষ্টিকে দিতে চাচ্ছে না। রাফি বিষয়টাহ বুঝে বললো?

রাফি: মিষ্টি আমাদের সাথে থাক!

তুলি: ধ্যাত’ বাসর করবে নাকি? মিষ্টিকে ঘুম পড়াতে পড়াতে সকাল করে ফেলবে! আমি ওকে নিয়ে যাচ্ছি তোমরা এনজয় করো!

রাফি: আপনি যান’ ওকে নিয়ে যেতে হবে না।

রাত্রী: আচ্ছা’ নিয়ে যাক! এক রাত তো আমি চাই না! আমার মেয়ের জন্য তোমার এ-ই সুন্দর মুহুর্ত টাহ নষ্ট হোক! তুলি ওকে নিয়ে যাহ’

কথক: তুলি মিষ্টিকে কোলে তুলে নিয়ে যেতে নিবে। সাথে সাথে রাফি তুলির কোল থেকে মিষ্টিকে নিয়ে বললো?

রাফি: আপনাকে তো বললাম’ আমার কোনো সমস্যা নাই। ওই খানে থাক’ আর মিষ্টি থাকলে আমার সময়টাহ আরো ভালো কাটবে। আমার সময় নষ্ট হবে কেন? আপনি যান!

কথক: তুলি রাফির কথা শুনে আর কিছু না বলে চলে গেলো। রাফি দরজা লাগিয়ে দিয়ে খাটে এসেছে! মিষ্টিকে সুয়ে দিলো’ রাত্রি রাফির দিকে তাকিয়ে বললো?

রাত্রী: তুমি এইটা কেন করলে? এখন ওকে ঘুমা পাড়াতে অনেক সময় লাগবে। সহজে ঘুমাতে চাই না ওই’

রাফি: সমস্যা নাই” ওই যতক্ষন জেগে থাকতে পারে। থাকুক’ আমি অপেক্ষা করতে রাজি আছে।

কথক: রাফি মিষ্টির পাশে সুয়ে থাকলো’ মিষ্টিকে বুকে উপরে সুয়ে দিয়ে! পিঠে আলত করে হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো! মিষ্টি ঘুমানো বাদ দিয়ে ‘ রাফির মুখে সেইম ভাবে থাপ্পড়াতে লাগলো” রাফি রাত্রী ফিক করে হেসে দিলো! রাফি হাসতে হাসতে বললো?

রাফি : দুষ্টু মেয়ে আমার ‘ আমাকে ঘুম পারিয়ে দিচ্ছে।

কথক: রাফি কথাটাহ বলে মিষ্টিকে চুমু দিলো! রাত্রী রাফির কাছ থেকে নিয়ে রাফিকে বললো?

রাত্রী: আমার কাছে দেও আমি ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করি!


চলবে…

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *