রাফি: ওই কি মানুষ নাকি জানোয়ার নিজের সন্তানের সাথে কেউ এমন ব্যবহার করতে পারে। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না’ ছি!
রাত্রী: আমি জানি না’
রাফি: আচ্ছা ‘ থাকেন আমি ওকে নিয়ে গেলাম!
রাত্রী: ওয়েট করো’ ওর পোশাকটাহ পরিবর্তন করে দেই!
কথক: রাত্রী মিষ্টিকে রাফির কাছে রেখে মিষ্টির জামা প্যান্ট নিয়ে এসে পড়িয়ে দিতে গেলে মিষ্টি দুষ্টুমি করতে লাগলো’ রাফি মিষ্টির দুই হাত ধরে থাকলো! রাত্রী জামা প্যান্ট পড়ে দিলো’ তার পর রাফি মিষ্টিকে কোলে নিয়ে খাট থেকে নেমে’ রাত্রীর কপালে চুমু দিয়ে বের হয়ে গেলো! রাত্রী ওদের পিছন পিছন গিয়ে সদর দরজা লাগিয়ে দিয়ে আসলো! রাফি মিষ্টিকে নিয়ে হাটাহাটি করে ৮টার দিকে বাসায় দিকে রওনা দিলো! আর এদিকে রাত্রী বসার ঘরে বসে থেকে টিভি দেখতে দেখে। তখন রাত্রীর আম্মু বলে উঠলো?
রাত্রীর আম্মু: কি ব্যাপার তুই এখানে? মিষ্টি কোথায়? ওই কি ঘুমাচ্ছে।
রাত্রী: না’ ওনি তার বাবার সাথে হাটতে গেছে!
রাত্রীর আম্মু: আমি শুনলাম মিষ্টি নাকি রাতে তোদের কাছে ছিলো। রাফি রাগ করে নাই’ তুই গতকাল রাতে মিষ্টিকে তুলির কাছে রাখলে পারতি। বাহিরে একটাহ ছেলে ‘ রাগ হওয়া স্বাভাবিক!
রাত্রী: আম্মু তুমি যাহ ভাবছো’ তেমন কিছুই হয় নাই। রাফি নিজেই মিষ্টিকে রেখে দিয়েছিলো। আমি বলেছিলাম কিন্তু রাফি শুনে নাই। আম্মু জানো? রাফি না অনেক ভালো! জানি এক দিনে কখনোই কাউকে চেনা যায় না। কিন্তুর আমার মন বলে? ওই যাহ বলে যাহ করছে। ওই মন থেকে করছে’মিষ্টি ও রাফিকে অনেক পছন্দ করে। রাফি যাহ বলে মিষ্টি ও মুখ জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে।জানো ওই সারারাত কত জ্বালাতন করে। গতকাল একদম করে নাই’ সকাল উঠে একায় হাত পা ছোড়াছুড়ি করছিলো।ওদের দুইজনকে দেখলে মনে হয়। সত্যি করে রাফির ওর আব্বু আর রাফির মেয়ে!
কথক: রাত্রীর কথা শুনে ওর আম্মু রাত্রীর পাশে বসে বললো?
রাত্রীর আম্মু: আমরা তাহলে রাফিকে তোর জন্য চয়েজ করে ভুল করি নাই! একে বলে আদর্শ মায়ের আদর্শ ছেলে! রাফি আমাদের অফিসে জব করে’ আমি সব সময় ওকে খেয়াল করতাম! ওই অফিসে সবার আগে আসবে। সব কাজ নিজের মনে করে কাজ করে।এখন পর্যন্ত ওর কোনো রিপোর্ট আছে নাই! তোর আব্বুর ও অনেক খুব পছন্দ ছিলো। কখনোই বলে নাই’ রাফির সম্পর্ক খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে। রাফির এই দুনিয়াতে ওর আম্মু ছাড়া কেউ নাই! বস্তির সবাই ওদের অনেক প্রশংসা করছে।
কথক: রাত্রীর আম্মু আর কিছু বলতে যাবে।তখনই রাফির আম্মু এসেছে হাজীর হইলে। রাত্রী উঠে রাফির আম্মুকে সালাম দিলো?
রাত্রী: আসসালামু আলাইকুম আন্টি” আপনার শরীল এখন কেমন রাতে ভালো ঘুম হয়েছে কি?কোন অসুবিধা হয় নাই তো!
কথক: রাত্রীর দিকে মিষ্টি করে হাসি দিয়ে বললো?
রাফির আম্মু: ওয়া আলাইকুমুস সালাম’ আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো ঘুম হয়েছে। আর শরীলটাহ মোটামুটি ভালো আছে! আর তুমি আমাকে আম্মু বলতে পারো না৷ আন্টি কি হ্যাঁ’ ও হ্যাঁ দাদুমনি রাফি কোথায়?
রাত্রী: ওরা বাহিরে হাটাহাটি করতে গেছে!আর স্যরি আম্মু আচ্ছা আপনি বসেন আমি চা নিয়ে আসছি!আম্মু তুমি ও কি খাবে তাহলে তোমার জন্য নিয়ে আসবো!
রাত্রীর আম্মু: আচ্ছা নিয়ে আয়”
কথক: রাফির আম্মুকে বসিয়ে দিয়ে’ রাত্রী চা বানাতে চলে গেলো! রাফির আম্মু আর রাত্রীর আম্মু দুজন বসে গল্প করতে লাগলো! রাফি সদর দরজায় নক করতে ‘ রাত্রী চা দুইজনকে দিয়ে দরজা খুলতে চলে যায়। দরজা খুলে রাফি আর মিষ্টি দাঁড়িয়ে আছে। রাফি একজন ঘেমে গেছে’ রাত্রীকে দেখে মিষ্টি কোলে উঠলো! রাত্রী শাড়ির আঁচল দিয়ে রাফির মুখের বুকের ঘামছে দিতে দিতে বললো?
রাত্রী: বাপ বেটির হাটাহাটি হয়ে গেছে!
রাফি: হুম হয়ে গেছে ” আম্মু কি উঠেছে।
রাত্রী: হুম’ সবাই উঠে গেছে তুমি বসো আমি চা বানিয়ে দেয়!
কথক: কথাটাহ বলে ৩জন বসার ঘরে চলে গেলো। গিয়ে দেখে তুলি রাত্রীর চা নিয়ে খাচ্ছে৷ রাত্রীকে দেখে মিটি মিটি হাসতে লাগলো!, রাত্রী রাগি লুক নিয়ে তাকালো” পরে আবার হেসে দিলো! রাফি সবার সামনে গিয়ে সালাম দিলো’ সালামের উত্তর পেয়ে রাফি ওর আম্মুর কাছে বসে বললো?
রাফি: আম্মু ‘ আপনাকে নিয়ে হস্পিটালে যাবো। আপনি কষ্ট করে একটু রেডি হয়ে নিয়েন!.
আম্মু: আচ্ছা’দাদুমনিকে আমার কাছে দেও তো!
কথক: রাত্রী রাফির আম্মুর কোলে নিয়ে রান্না ঘরে যেতে নিবে। তখনই রাফি বললো?
রাফি: আপনি কি? চা নিয়ে আসতে যাচ্ছেন নাকি? ওয়েট আমি একটু চা বানানো দেখবো!
কথক: রাফি কথাটাহ বলে রাত্রীর পিছন পিছন রান্না ঘরে গেলো! রাত্রী রাফিকে চা বানাতে দেখাতে যাবে। তখনই রাফি’ পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল?
রাফি: চা বানাতে হবে না! এক কাপ হইলে’ দুইজন এক সাথে খাবো!
রাত্রী: এই ফাজিল’ ছাড়ো কেউ এসেছে যাবে কিন্তু!
রাফি: কেউ আসবে না’
কথক: রাফি রাত্রীকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে! চা কাপে ঢেলে’ রাত্রীকে খেতে দিলো’ রাত্রী চুমুক দিতে’ ঠিক সেই জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে চুমু দিয়ে বললো?
রাফি: আহ কি মজা ‘
কথক: রাফির কথা শুনে রাত্রী ফিক করে হেসে দিয়ে বললো?
রাত্রী: সরো ফাজিল ‘ চিনি ছাড়া চা মজা হয় কিভাবে?
কথক: রাফি রাত্রীর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বললো?
রাফি: এই তো চিনি নিয়ে নিলাম ‘
কথক: রাত্রীর রাফির পাগলামি দেখে হাসতে লাগলো! রাফি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখতে লাগলো? রাত্রী হাসতে হাসতে সামনের দিকে ঘুড়ে চায়ের কাপে চিনি দিয়ে গুলাতে লাগলো! তুলি চায়ের কাপ রাখতে এসেছে’ ওদের এইসব দেখে জোরে হেসে উঠলে! সাথে সাথে রাত্রী রাফি হাসির শব্দ শুনে পিছনে ঘুড়ে তুলিকে দেখে বললো?
তুলি: বাহ কি রোমান্টিক’ দুলাভাই আমার! শুনো রোমান্স রুমে গিয়ে করো! রান্না ঘরটাহ ছেড়ে দেও’
কথক: রাত্রী তুলির কথা শুনে রাগি লুক নিয়ে রাফির দিকে তাকালে! রাফি মাথার পিছনে হাত দিয়ে বললো?
রাফি: আপনি এখানে কি করছেন?
তুলি: আমি তো চায়ের কাপ গুলো রাখতে এসেছি। আমি সত্যি ভাবতে পারি নাই’ এমন দৃশ্য দেখবো। আগে জানলে আসতাম না’
কথক: কথাটাহ বলে হাসতে হাসতে বের হয়ে গেলো! রাফির রাত্রীকে আবার ধরতে যাবে। রাত্রী হালকা করে ধাক্কা দিয়ে বললো?
রাত্রী: যাও তো রুমে” তুলি না হয়ে যদি আম্মু আসতো।।তাহলে কি হতো যাও এখন থেকে!
রাফি: আরে বাবা এভাবে তাড়িয়ে দিচ্ছেন কেন?চা টাহ তো খেতে দেন।
কথক: রাত্রী রাফির হাতে চা টাহ দিয়ে চলে গেলো। মিটি মিটি হেসে ‘ রাফি অসহায় মতো রাত্রীর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে চা খেতে লাগল! চা খেয়ে ‘ কাপ ধুয়ে রান্না ঘর থেকে বের হলো! তুলি রাফিকে দেখে হাসা শুরু করলো।রাফি লজ্জা পেয়ে গেলো’ রাফির আম্মু জিজ্ঞেস করলো?
রাফির আম্মু: কি হয়েছে তুলি? তুমি দেখছি অনেকক্ষন ধরে হাসছো।আমাদের বলো আমরা ও একটু হাসি!
কথক: রাফির আম্মুর কথা শুনে’ রাত্রী রাফি লজ্জা পেয়ে গেলো। তুলির দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকাতে তুলি হাসতে হাসতে বললো?
তুলি: আন্টি ওইটা আপনাদের শুনা যাবে না।
রাত্রী: তুলি তোর না ভার্সিটিতে ক্লাস আছে। রেডি হওয়া বাদ দিয়ে ‘ এখানে বসে থেকে হিহিহি করে হাসছিস কেন?
তুলি: আপু আজকে শক্রুবার’
রাত্রী: ও’ যাহ পড়তে বসেক গা!..
তুলি: আমাকে যেতে হবে না’ তুমি আর ভাইয়া রুমে যাও! তোমাদের রুমে যাওয়া দরকার “
কথক: কথাটাহ বলে তুলি হাসতে লাগলো’ রাফির আম্মু রাত্রীর আম্মু বুঝতে বাকি রইলো না। রাত্রীর আম্মু রাগি লুক নিয়ে তাকালে তুলি হাসি থামিয়ে চলে গেলো!
রাত্রী সোফায় বসলে রাফি’ সিঁড়ি ভেঙে উপরে চলে গেলো! ১০টার দিকে রাফি রেডি হয়ে নিচে নামলো! খাবার খেয়ে ‘ ওর আম্মুকে নিয়ে বের হলো! রাত্রী যেতে চাইলে রাফি নিলো না! রাফি বাহিরে গিয়ে একটা রিক্সা নিলো! দুইজন উঠে হস্পিটালে দিকে যেতে লাগলো? বেশ কিছু দূর যেতে হঠাৎ রাফির আম্মু বলে উঠলো?
রাফির আম্মু: রাফি ‘তুমি আমার জন্য এমন একটা সিদ্ধান্ত কিভাবে নিলে?
রাফি: আম্মু আপনি তো’ আমাকে বলেছেন! সব সময় ভালো কাজ করতে! আর ডিভোর্সি মেয়েকে বিয়ে করা তো খারাপ কিছু না! আর ওনি অনেক ভালো ‘ ওনার আব্বু আম্মু ও অনেক ভালো। সেখানে আমার কোনো সমস্যা নাই! আপনি একটাহ জিনিস বুঝতে পারছেন না। ওনি যদি খারাপ হতো’ তাহলে আমাকে কখনোই বিয়ের সময় বলতো না। টাকা কর্জ দিবে ‘ তাকে বিয়ে করতে হবে না। ওনি আমাকে বার বার ভেবে দেখতে বলছে। আম্মু আমি ওনার সাথে যতটাহ মিশে বুঝলাম। ওনি শুধু একটু ভালোবাসা চাই!আর ভালোবাসা দিতে তো আর পয়সা লাগে না। একটু ভালো ব্যবহার একটু ভালোবাসা পেতে চাই।
রাফির আম্মু: হ্যাঁ’ আমার ও রাত্রীকে অনেক ভালো লেগেছে। কথা বলার ধারণ ভঙ্গি অনেক ভালো’ কিন্তু তুমি আমার এক মাত্র সন্তান! আমি চাচ্ছিলাম না’ আমার জন্য তুমি এভাবে বিক্রি হয়ে যাও।
রাফি: আম্মু আমি বিক্রি হয়েছি! এইটা আমি মানছি ‘ চিন্তা করবেন না। আপনি সুস্থ হয়ে যান’ আর আমি আবার পড়াশোনা শুরু করবো! সাথে জব করবো’ ইনশাআল্লাহ একদিন আমি ঠিক। ওনার ১৫ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিবো!
রাফির আম্মু: ফি আমানিল্লাহ্
কথক: রাফি আর রাফির আম্মু দুইজন গল্প করতে করতে হস্পিটালে চলে গেলো! হস্পিটালে গিয়ে চেক আপ করে ডাক্তারের সাথে কথা বলে। হস্পিটালে থেকে বের হলো’ রাত্রী অনেকবার কল দেওয়াতে রাফি কল ব্যাক করলো! কল রিসিভ করতে রাফি বললো?
রাফি: আসসালামু আলাইকুম ‘ আপনি কল দিয়েছিলেন! দু:খীত খেয়াল করি নাই’ ফোনটাহ মিউট করা হয়ে ছিলো!
রাত্রী:ওয়া আলাইকুমুস সালাম’ তোমরা এখন কোথায়?
রাফি: আমরা কেবল হস্পিটাল থেকে বের হইলাম! মিষ্টি আম্মু কি করে?
রাত্রী: দুধ খাচ্ছে’
রাফি: ও আচ্ছা’ থাকেন বাসায় গিয়ে কথা হবে!
কথক: রাফি কথাটাহ বলে ‘ যে ফোনটাক রাখতে যাবে। সাথে সাথে রাফির আম্মু রাফিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে। রাফি সোজা ল্যাম্পপোস্ট সাথে ধাক্কা খেয়ে হাতে ব্যাথা পেয়ে পড়ে গেলো। রাফি একটা শব্দ শুনে সামনের দিকে তাকাতে দেখে একটা ট্রাক রিক্সা টাহ ভেঙে গুড়া করে ফেলছে! রাফির আম্মু রিক্সার সাথে ঝুলে পড়ে আছে রিক্সা ওয়ালা সামনের চাকার নিচে পড়ে আছে। রাফি চিৎকার দিয়ে উঠলো?
রাফি: আম্মু’
কথক: কথাটা বলে রাফি উঠে দৌড়ে গিয়ে ওর আম্মুর কাছে চলে গেলো। সবাই রাফিদের ঘিড়ে ধরলো! রাফি ওর রিক্সা সরিয়ে দিয়ে ওর আম্মুকে ধরে। কোলে সুয়ে দিয়ে ডাকতে লাগলো?
রাফি: আম্মু এই আম্মু চোখ খুলেন? আম্মু এই আম্মু আমার অনেক ভয় করছে। আম্মু চোখ খুলেন না’ রাফি ডাকাডাকিতে রাফির আম্মু জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে চোখ খুলে। রাফির গালে হাত দিতে বললো?
রাফির আম্মু: আব্বু তুমি ঠিক আছো..!
কথক: রাফির আম্মু কথাটাহ বলে’ রাফির কোল থেকে ঢলে পড়লো! মুখের কাছ থেকে হাত পড়ে গেলো! রাফি চিৎকার করে উঠলো? একজন চেক করে বললে? রাফির আম্মু আর বেঁচে নাই! রাফি যেনো পাগলের মতো করতে লাগলো?
রাফি: আম্মু গো ও আম্মু আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন না। আম্মু গো ও আম্মু আমি আপনাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো। আপনি যে আমার শেষ ভরসা ছিলেন! সেই আপনি আমাকে একা করে চলে গেলেন। আম্মু গো ও আম্মু’ এভাবে চলে যাইয়েন না।
কথক: রাফির কান্না শুনে সবাই চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলো না। আর দিকে রাত্রীর ফেসবুকিং করছিলো হঠাৎ একটা লাইভ দেখে চোখ থমকে গেলো। রাত্রীর হাত থেকে ফোন পড়ে গেলো! রাত্রী এক মুহুর্তে অপেক্ষা না করে মিষ্টিকে রেখে দৌড়ে নিচে নেমে গেলো। সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো?
রাত্রীর আম্মু: রাত্রী কোথায় যাচ্ছি ভাবে দৌড়াচ্ছি কেন?
রাত্রী:আম্মু রাত্রীকে দেখো? আম্মু রাফি!
কথক: রাত্রী এই টুকু কথা বলে দৌড়ে বের হয়ে গেলো! রাত্রী ওর গাড়ির চাবি জন্য আবার দৌড়ে ভিতরে এসেছে। ওর আম্মুর রুম থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে দৌড়ে চলে গেলো! গাড়ি নিয়ে সোজা এক্সসিডেন্ট জায়গাতে পৌঁছে দেখে কেউ নাই কিছু মানুষ শুধু আফসোস করছে। রাত্রী নেমে ওনাদের জিজ্ঞেস করলম
রাত্রী: ভাই এখানে যে একটা এক্সসিডেন্ট হয়েছে। ওই মানুষগুলো কোথায় গেছে।
কথক: লোকটাহ বলে দিলো’ পুলিশ এসেছে নিয়ে গেছে। রাত্রীর আর দেড়ি না করে থানার উদ্দেশ্য বেদ হলো! থানায় গিয়ে দেখে রাফি ওর আম্মুর পাশে বসে পাগলের মতো কান্না করছে। রাত্রী গেলে রাফি রাত্রীকে জড়িয়ে ধরে বললো?
রাফি; আপনি এসেছেন’ আম্মুকে বলেন না চোখ খুলতে। আম্মু কেন চোখ খুলছে না’ আম্মু কি বুঝতে পারছে না। আমি তাকে এই অবস্থা দেখতে পারছি না। আম্মুকে বলেন না’ আমার সাথে কথা বলতে। আমার যে বড্ড কষ্ট হচ্ছে।
কথক: রাফির কান্না শুনে আর রাফির পাগলামি দেখে ওইখানে থাকা পুলিশদের চোখে পানি চলে এসেছে। রাত্রী নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না! রাফিকে বুকে জড়িয়ে বললো/
রাত্রী: রাফি শান্ত হও’ আন্টি আর কোনোদিন তোমার সাথে কথা বলবে না।আন্টি যে আর বেঁচে নাই’ রাফি এভাবে ভেঙে পড় না।
রাফি: না’ আপনি মিথ্যা বলছেন! আমার আম্মু বেঁচে আছেন এই আম্মু উঠেন না! সবাইকে প্রমান করে দেন। আপনি বেঁচে আসেন!
কথক: রাফি পাগলামি করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো! রাত্রীর আম্মু আব্বুকে কল দিয়ে থানায় আসতে বললো! সবাই চলে আসলে পুলিশের সাথে কথা বলে। রাফির আম্মুকে আর রাফিকে নিয়ে চলে আসে। রাফির জ্ঞান ফিরলে ‘ আম্মু বলে চিৎকার করে উঠে! রাফিকে রাত্রী শাক্ত করে ধরে বললো?
রাত্রী: রাফি’ এভাবে ভেঙে পড়ো না! রাফি সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। শেষ বারের মতো তোমার আম্মুকে দেখে নেও! যাও রাফি’
কথক: রাফি দৌড়ে ওর আম্মুর খাটিয়ার কাছে গিয়ে লাস্ট বারের মতো মুখটাহ দেখে কান্না করতে লাগলো! রাত্রীর আব্বু রাফিকে ধরে নিয়ে গেলো! রাফিকে পাঞ্জাবি পড়িয়ে ওযু করিয়ে নিয়ে গেলো। জানাজা পড়িয়ে রাফির আম্মুকে কবর দিতে চলে গেলো! রাত্রীর নিজ্বস কবর স্থানে! রাফি ওর আম্মুকে কবর দিয়ে দিলো! সবাই চলে গেলেও রাফি কবরের পাশে বসে থেকে কান্না করতে করতে বললো?
রাফি; আম্মু গো’ আমি নিজে নিজেকে সামলাতে পারছি না। আমি জানি এভাবে কান্না করা আমার ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু আম্মু আমি আমার মনকে কিভাবে বুঝাবো। আপনি যে আমার প্রাণ ছিলে’ প্রাণ চলে গেলে। কিভাবে নিজেকে সামলাবো আম্মু!
কথক: রাফি কথাগুলো বলে কান্না করতে লাগলো! রাত্রীর আব্বু রাফিকে ধরে তুলে নিয়ে যেতে লাগলো। রাফি দৌড়ে আবার কবরের পাশে গিয়ে কান্না করতে করতে বললো?
রাফি: আংকেল আমি আম্মুকে ছাড়া কিভাবে একা চলে যাবো। আমি যে আম্মুর মুখ না দেখে এক মুহুর্ত থাকতে পারি না৷ আম্মুর মুখে বাবা ডাক না শুনলে যে। আমার ঘুম ভাঙতে চাই না’ আংকেল আমার আম্মু তো আমায় ছেড়ে চলে গেলো।আম্মু কেন আমাকে তখন ধাক্কা দিলো। আজ যদি আম্মুর সাথে এক সাথে চলে যেতে পারতাম। তাহলে ভালো হইতো’
চলবে…?