ডিভোর্সি সিনিয়র মেয়ে যখন বউ পর্ব_০৫

রাত্রী: তোমার রায়হানের আব্বু এসেছে। তাই তোমার সাথে খেলতে পারছে না! তুমি এক কাজ করো” তুমি আপুর ব্যাগ থেকে বই বের করে পড়ো!

কথক: রাফি অবাক হয়ে গেলো! আয়ান রাত্রীর কথা শুনে চলে গেলো! রাফি রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো?

রাফি: এই ছেলেটাহ কে?

রায়হান; আরে আব্বু তুমি আয়ান ভাইয়াকে চেনো না। আয়ান ভাইয়া তো ভাবির ছোট ভাই!

কথক: রাফি অবাক হয়ে রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো?

রাফি: আপনি বিয়ে করেছেন’ আর বিয়ে করলে? আপনার এতো বড় বাচ্চা কিভাবে আসে। এই ছেলেটাহ রায়হানের বড় হইলে তো আপনার সন্তান হওয়ার কথা না। আপনি কি দত্তক নিয়েছেন নাকি?

মিষ্টি: কি যাতা বলছেন’ আয়ান আমার মায়ের পেটের ভাই!

রাত্রী: আয়ান কে কোনো দত্তক নেয় নাই, আয়ান আমার পেটের সন্তান! ওর বাবা ও আমি ওর মা ও আমি!

রাফি: ঠিক বুঝতে পারলাম না! মিষ্টি আয়ানের বয়স কত?ওর তোমার কয় বছরের ছোট!

মিষ্টি: আয়ান আমার ৩বছরের ছোট! আর আপনি আমার আম্মুকে কি বলতে চাচ্ছেন। দেখেন আপনার কোনো অধিকার নাই আমার আম্মুর সাথে এভাবে কথা বলার!

রাকিব: রাফি তুই এইটা কোন ধরনের কথা বলছিস।তুই কি অফিসের কাজ করে করে পাগল হয়ে যাচ্ছিস নাকি?

রাফি: প্লিজ তোমরা চুপ করবে? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমাকে প্লিজ বলবেন ‘ আয়ান কার সন্তান!

রাত্রী: উফফ আপনার সমস্যা কি? আমি অবৈধ কাজ করছিলাম! সেখানে থেকে ওই এসেছে আর কিছু বলবেন?

রাফি; প্লিজ’ বাজে কথা বলবেন না! আপনি ওকে নিশ্চয়ই দত্তক নিয়ে এসেছেন!

রাত্রী: না’ আমি আয়ানের জন্মদাত্রী মাতা! আয়ান আমার দ্বিতীয় স্বামীর ভালোবাসা চিহ্ন। প্লিজ আর আমার মুখ খুলাবেন না।

কথক: কথাটাহ বলে রাত্রী চলে যেতে লাগলো! রাফি যেনো খুশিতে চোখের পানি ঝরতে লাগলো! রাফির ব্যবহার দেখে কেউ কিছু বুঝতে পারলো না।রাফি দৌড়ে রনির রুমে গিয়ে আয়ানকে কোলে তুলে নিয়ে চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগলো।।আয়ান অবাক হয়ে গেলো’ আয়ান বলো? আংকেল কে আপনি আমাকে এভাবে আদর করছেন কেন? রাফি আয়ানের কপালে চুমু দিয়ে বলল?

রাফি: তোমার আম্মুকে জিজ্ঞেস করো আমি কে? আচ্ছা আব্বু থাক’ আমি ফ্রেশ হয়ে নেয়!

কথক: রাফি আয়ানকে ছেড়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। রাফি রুমে গিয়ে গোসল করে নিলো! গোসল করে পোশাক পরিবর্তন করে নিলো! বেশ কিছুক্ষন বসে থেকে ভাবতে লাগলো? ভাবনা জগৎ থেকে বের হয়ে। নিচে চলে গেলো’ নিচে গিয়ে দেখে সবাই বসে থেকে আড্ডা দিচ্ছে। আয়ান রায়হানকে খেলতে বলছে কিন্তু রায়হান উঠছে না, রাফি আয়ানের পাশে বসে! আয়ানকে বললো?

রাফি: চলো আমি তোমার সাথে খেলবো?

কথক: রাফি আয়ানের সাথে উঠানে চলে গেলো! রায়হান ক্রিকেট ব্যাট আর বল নিয়ে আসলো! রাফি ব্যাটিং করতে লাগলো! আয়ান বলিং করতে লাগলো! সবাই বারান্দায় বসে ওদের খেলা দেখতে লাগলো! রনিকে আয়ান বলে? দুলাভাই আপনি ও আছেন না৷ ৩জন খেলে মজা হচ্ছে না! রায়হানের আম্মু বলে উঠলো?

রায়হানের আম্মু: রাফি একটা কথা বলি রেগে যাবে না তো!

রাফি: না বলেন?

রায়হানের আম্মু: আমরা ও একটু খেলি!

রাফি; না না’ আপনার সাথে আমি জীবনেও পারবো না। আপনি ক্রিকেট ক্যাপ্টেন ছিলেন ‘

রায়হানের আম্মু: আরে’ আমরা মেয়েরা এক দল আর তোমরা ছেলেরা এক দল হয়ে গেলো। রনি রাকিব ভাইয়া সাজু ভাইয়া আর ওরা তো অনেক ভালো খেলে! তুমি ছাড়া সবাই অনেক ভালো খেলে।

কথক: রায়হানের আম্মু কথা শুনে সবাই খেলার জন্য রাজি হয়ে গেলো। রাত্রীকে ও রাজি করিয়ে নিলো’ ছেলেরা এক দল হলো আর মেয়েরা এক দল হয়ে গেলো! দুই দল কয়েন দিয়ে ‘টচ করলো! মেয়েদের দল ব্যাটিং করবে ছেলেদের দল বল করবে! খেলা শুরু হয়ে গেলো! রাফি দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ঘেমে একা কার হয়ে গেলো! মেয়েদের দল খেলে ১২০ রান করে ফেললো! ছেলেদের পালা হইলে’ রাফি বারান্দায় বসে আয়ানকে রায়হানকে কোলে বসিয়ে রুমাল দিয়ে ঘাম মুছে দিলো। আর নিজে ঘাম মুছতে মুছতে বলল?

রাফি: উফফ ‘ মিষ্টি তুমি এতো ভালো খেলতে শিখলে কোথায়? তুমি আর তোমার চাচ্চি আম্মা তো। ১০০ রান করে ফেলছো!

মিষ্টি: হিহিহি’ আমি ক্রিকেট খেলা স্কুল থাকতে শিখেছিলাম!

রায়হানের আম্মু: যাক’ শেষ মেষ এই বাড়িতে আমার মতো আরেকটা মেয়ে আসলো!

কথক: কথাটাহ বলে সবাই হাসতে লাগলো! সবাই একটু রেস্ট নিয়ে খেলতে শুরু করে দিলো! রাফি একটা চার মারতে। রাত্রী বুকে গিয়ে সোজা লেগে গেলো! সবাই হা হয়ে গেলো’ রাত্রী বুকে ব্যাথা চেপে দিয়ে বসে পড়লে। রাফি সাথে সবাই দৌড়ে রাত্রীর কাছে গেলো” রাফি রাত্রীর বুকে হাত দিয়ে মালিশ করতে লাগলো! আর বলতে লাগলো?

রাফি: রাত্রী তোমার অনেক ব্যাথা করছে! আই এম স্যরি ‘ আমি বুঝতে পারি নাই। তোমার বুকে এসেছে লাগবে। এই রাত্রী কথা বলো?

কথক: রাফি কান্না করে দিলো” মিষ্টি রাফির উপরে রেগে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো। মিষ্টি রাত্রীকে ধরে বললো?

মিষ্টি: ফালতু একটা মানুষ’ নিলজ্জ কোথা কার’ একটা মেয়ে মানুষের বুকে হাত দিতে লজ্জা করে না।লুচ্চা লম্পট কোথা কার’

রাফি: মিষ্টি আমাকে যাহ ইচ্ছে বলো? রাত্রীকে নিয়ে যেতে দেও।

মিষ্টি: রনি আম্মুকে একটু ধরো”

কথক: রাত্রীকে সবাই ধরতে যাবে’ সাথে সাথে রাফি রাত্রীকে কোলে তুলে নিয়ে বাসার দিকে যেতে লাগলো! মিষ্টির রাগে শরীল কাপতে লাগলো! রাফি রাত্রীকে নিয়ে বাসার ভিতরে চলে গেলো! একটা রুমের ভিতরে গিয়ে খাটে সুয়ে দিয়ে কান্না করতে করতে বললো?

রাফি: এই ‘ চোখ খুলে রাখেন? নিশ্বাস নিচ্ছেন না কেন? এই কথা বলেন? আপনি আম্মুর মতো করেন না!

কথক: কথাটাহ বলে রাফি কান্না ভেঙে পড়লো! রায়হানের আম্মু বললো?

রায়হানের আম্মু: রাফি তুমি সরো বিয়াইন কে মুখে শিপিয়ার দিতে হবে!

কথক: রাফি কথা শুনে সাথে সাথে রাত্রীর মুখে মুখ লাগিয়ে বাতাস দিতে লাগলো! মিষ্টি রাফির মাথার চুল ধরে সরিয়ে দিতে নিলে। রাফি তার পর ও মুখে বাতাস দিতে লাগলো! রাকিব সবাই রাফির উপরে রেগে গেলো?

রাকিব: রাফি তুই কি পাগল হয়ে গেছোস? একটা মেয়ে মানুষের শরীলে এভাবে স্পর্শ করতে লজ্জা করছে না।

কথক: রাকিবের কথা শুনে রাফি রেগে গিয়ে রেগে বললো?

রাফি: উফফ তোমরা চুপ করবে’ প্লিজ কেউ বরফ নিয়ে আসো! আর পানি নিয়ে আসো!

কথক: রাফির কথা শুনে’ রায়হানের আম্মু বরফ পানি নিয়ে আসতে চলে গেলো!! রাফি আবার বাতাস দিতে লাগলো’ রাত্রীকে চোখ খুলতে না দেখে রাফি এইবার কান্না করে দিলো! রাফি কান্না করতে কর‍তে বললো?

রাফি; এই বউ’ বউ! চোখ খুলেন না’ আপনি প্লিজ আম্মুর মতো আমার ছেড়ে যাইয়েন না। এই বউ চোখ খুলেন না’

কথক: রাফির কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো! রাফি আবার বাতাস দিতে রাত্রী জোরে একটা নিশ্বাস ফেলে। তাকিয়ে দেখে রাফি কান্না করছে’ রাফি রাত্রীকে তাকিয়ে থাকতে দেখে! রাত্রীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সারা মুখে কিস করে বললো?

রাফি; আল্লাহ কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া আপনি চোখ খুলছেন!

কথক: মিষ্টি ওর আম্মুর পাশ বসে বলল?

মিষ্টি: আম্মু তুমি ঠিক আছো?

রাত্রী: হুম”

কথক: রায়হানের আম্মু বরফ পানি নিয়ে আসলে! রাফি হাত থেকে নিয়ে রাত্রীকে পানি খাওয়া দিতে লাগলো! তার পর সবাইকে বাহিরে যেতে বললো?

মিষ্টি: আপনি আগে বাহিরে যান’ আপনি খুব বাড়াবাড়ি করছেন!

রাফি: ওকে যাচ্ছি’ তুমি তোমার আম্মুর বুকে এই বরফ গুলো দিয়ে দেও ব্যাথা জায়গায়!

কথক: রাফি রাত্রীকে ছেড়ে দিলো” ছেলেরা সবাই বাহিরে চলে গেলো! রাফি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে দেয়ালে একটা পাঞ্চ করলো! রাকিব রাফিকে বললো?

রাকিব: কি করছিস’ পাগল হয়ে গেছোস নাকি?

রাফি: নিজের উপরে রাগ হচ্ছে’ কেন ওনাকে খেলতে নিষেধ করলাম না। এ-র থেকে যদি বড় কিছু হয়ে যেতো তাহলে কি হতো!

রাকিব: এই ‘ তুই তো ১২বছর জেলে ছিলি! তার ভিতরে ৩বছর পর লন্ডন থাকছোস! তোর তো মিষ্টিদের চেনার কথা না৷ আর তুই বেয়াইন কে বউ বলছিলি কেন রে?

রাফি: আমি কাউকে কিছু বলতে বাধ্য না! আর এখন এইসব প্রশ্ন রাখো!

কথক: রাফি নিজের টেনশন হতে লাগলো! সবাই চলে গেলে রাফি দরজার কাছ থেকে গেলো না! রনির অনেক রাগ হয়ে লাগলো রাফির উপরে রাকিবকে বলে? আব্বু তোমার ভাই কি? আমার শাশুড়ী প্রেমে পড়লো নাকি? আর এইসব কি করছে। মাথা কি তাড় ছিড়ে গেছে নাকি? মান সস্মান আর রাখছে না তোমার ভাই!
রাকিব রনিকে বললো?

রাকিব: আমি নিজেও বুঝতে পারছি না। ওকে তো কোনো মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ করতে দেখি নাই। রায়হানের আম্মুর সাথে ওর বিয়ে হয়েছে। তার পর ও তো কোনোদিন আমি দেখি নাই! রায়হানের আম্মুর দিকে তাকাতে ” এখনো বড় ভাবি হিসাবে সস্মান করে।

কথক: এইদিকে রাকিব রনি কথা বলতে লাগলো! আর ওইদিকে রাত্রী রায়হানের আম্মুর দিকে তাকিয়ে বললো?

রাত্রী: দু:খীত বেয়াইন’ রাফির ব্যবহারে আপনি হইতো কষ্ট পাচ্ছেন। আমি জানি কষ্ট পাওয়ার কথা নিজের স্বামী অন্য কারো প্রতি এতো ভালোবাসা দেখালে!

কথক: রাত্রীর কথা শুনে’ রায়হানের আম্মু বললো?

রায়হানের আম্মু: না’ সমস্যা নাই’ আমি আমার স্বামীকে চিনি।ওই একটু আবেগপ্রবণ মানুষ! আমি আপনার কাছে রাফির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। ওই আসলে এমন খারাপ ছেলে না!আমি কখনোই ওকে কোনো মেয়ের সাথে এমন আচরণ করতে।

মিষ্টি: চাচ্চি আম্মা’ কিছু মনে করবেন না। রাফি চাচ্চুকে আমার একদম পছন্দ হচ্ছে না ওনি আম্মুর দিকে বাজে নজরে তাকিয়ে থাকে! আর আপনারা তো তখন দেখলে আমাকে কিভাবে জড়িয়ে ধরছিলো। কতটাহ জঘন্য ভাবে আমাকে টার্চ করছিলো। আমার মুখে চুমু খাচ্ছি ছি ভাবতে ঘৃণ্য হচ্ছে।

রাত্রী: মিষ্টি’ বাজে কথা বলো না! ওই তোমাকে মেয়ে হিসাবে আদর করেছে। ও খারাপ চিন্তা নিয়ে তোমায় জড়িয়ে ধরে চুমু খায় নাই!

কথক: রাত্রীর কথা শুনে মিষ্টি রাগ উঠে গেলো?

মিষ্টি: আম্মু ‘ তুমি ওনার ব্যাপারে জানো সবাই দেখছে। ওনি কিভাবে তোমার শরীলে হাত বুলাচ্ছিলো! তোমার মুখে বাতাস দিচ্ছো ওইটা মেনে নিলাম। কিন্তু ওইখানে তো আরো ছেলে মানুষ ছিলো। কই কেউ তো তোমার কাছে এগিয়ে আসলো না। ওই শুধু খারাপ ভাবে স্পর্শ করছিলো!

রায়হানের আম্মু: বউমা তুমি রেগে যাও না! রাফি কেন এমন করছে আমরা নিজেও বুঝতে পারছি না৷ আমরা নিজেই অনেক অবাক হয়ে গেছি!রাফিকে যেমন ভাবছো রাফি এমন না!

মিষ্টি: ওই এখানে এখনো দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচ্ছি দিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।

কথক: মিষ্টির কথা শুনে সবাই দরজার দিকে তাকাতে! দরজার পর্দার নিচ দিয়ে রাফির পা দেখা গেলো। রায়হানের আম্মু রাগ হলো? রায়হানের আম্মু বললো?

রায়হানের আম্মু: রাফি’

কথক: রাফি সাথে সাথে ভিতরে ঢুকে বললো?

রাফি: জি?

রায়হানের আম্মু: তুমি এখানে কি করছো? সবাই চলে গেছে। আর তুমি এখানে দাঁড়িয়ে আসো’

রাফি: না মানে? বেয়াইনের এখন কি অবস্থা! আমি কি ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসবো!

রাত্রী: আমি ঠিক আসছি’ আর আমি মনে করি। আমার আশে পাশে আপনি না আসলে খুশি হবো। আর আমাকে নিয়ে ভাবার কোনো মানে হয় না। নিজের স্ত্রীর সন্তানকে নিয়ে ভাবেন। আর আপনি তো ইসলামিক মাইন্ডের মানুষ! তাহলে পর নারীর দিকে তো আগ্রহ দেখাচ্ছেন কেন? প্লিজ দয়া করে! আমার আশে পাশে আসবেন না!

রাফি: রায়হান আমার নিজের সন্তান না’ আর রায়হানের আম্মু আমার স্ত্রী না!

কথক: রাফির কথা শুনে রায়হানের আম্মুর খারাপ লাগলো! রাত্রীকে এইসব বলাতে রাফির কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো’ রাফি দিকে তাকালো! রাত্রী রেগে গিয়ে বললো?

রাত্রী: ছি’ নিজের স্ত্রী সন্তানকে অশিকার করতে লজ্জা করছে না। আপনার আম্মু আপনাকে এইসব শিখাইছে!

রাফি: আমি সত্যি কথা বলছি? আর আমি মিথ্যা বলি না। আপনি ভালো করে জানেন? আর মিথ্যা বলেও আমি আপনাকে কখনোই মিথ্যা বলতে পারবো না। আপনি এইটা তো বিশ্বাস করেন নাকি?

রাত্রী: বিশ্বাস তাও তোমার উপরে’ তোমার মনে হয় তোমাকে আমি আর বিশ্বাস করবো! তুমি তো আমার কাছে মৃত!

কথক: রাফির কথা টাহ শুনে মাথা নিচু করে ফেললো! রায়হানের আম্মু বললো?

রায়হানের আম্মু: আপনারা কি একে উপরকে আগে থেকে চেনেন!

মিষ্টি: হ্যাঁ’ আম্মু তোমরা কি একে উপরকে আগে থেকে চেনো।

রাত্রী: হ্যাঁ খুব ভালো করে চিনতাম! কিন্তু এখন আমি তাকে চিনি না। সেই আমার জন্য মৃত ‘ কারণ সেই ১৭ বছর আগে মারা গেছে!

রাফি: আমাকে কি আপনি কথা বলার সুযোগ দিবেন।

কথক: রাত্রী রেগে গেলো’ রাত্রী চিৎকার করে বললো?

রাত্রী: মৃত মানুষের কথা কে শুনে? মিষ্টি আমার ল্যাগেজটাহ গুছিয়ে দেও! আমি ঢাকায় চলে যাবো’ আমি আর এক মুহুর্ত এখানে থাকবো না। আয়ান কোথায় ওকে ডেকে বলো? আমরা বাসায় যাবো!

রাফি;আয়ান কোথাও যাবে না’ এইটা ওর বাড়ি ওই কেন এখন থেকে যাবে।

মিষ্টি: মানে কি? আয়ানের বাড়ি এইটা হবে কেন? এই আপনারা প্লিজ বলবেন এখানে হচ্ছে টাহ কি?

রাফি: মিষ্টি আম্মু তোমার আম্মুকে বলো? আমার কথা শুনে তার পর যাহ বলবে আমি তাই শুনবো? শুধু আমাকে একবার কথা বলতে দিতে বলো?

রাত্রী: মিষ্টি বলে দে’ মৃত মানুষের কথা আমি শুনি না।

কথক: রাফির রাগ হতে লাগলো! রাফি রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে বললো?

রাফি: প্লিজ এক কথা বার বার বলবেন না। মেজাজটাহ খারাপ হয়ে যাচ্ছে! আমি কিভাবে আপনার কাছে যাবো। কোন মুখ নিয়ে যাইতাম’ যখন গেছিলাম তখন তো দেখি আপনার বিয়ে হয়েছে অন্য কারো সাথে। অন্য কারো সাথে চলাফেরা করা দেখলে। কার মনে হবে না’ ওই মানুষটাহ আপনার স্বামী না। তুলি আপুর স্বামী সেইটা কি আমি জানতাম নাকি? ৩মাস আগে তুলি আপু যখন আমাদের বাসায় আছে। তখন বুঝতে পারলাম ‘ এই লোকটাহ আসলে কে?

রাত্রী: ও আচ্ছা’ একবার আমাদের সামনে এসেছে জিজ্ঞেস করা যায় নাই! এইটা কে কেন আমি তার সাথে ঘুড়ছি! কেন তার সাথে এতো চলা ফেরা করছি!

রাফি: আমি ভেবেছিলাম আপনি যখন সুখে আছেন। সেখানে আমি আর আপনার সামনে গিয়ে কষ্ট দেওয়ার কোনো মানে হয় নাই!

রাত্রী: তুমি তো অনেক ভালো মানুষ! খুব ভালো করছো ৬বছর আগের তুমি আমার সাথে দেখা কর‍তে গেছিলে। কিন্তু ১৮ বছরের ভিতরে ১২ বছর কোথায় ছিলে?

রাফি: জেলে’

কথক: রাফির কথা শুনে রাত্রী চমকে গেলো! মিষ্টি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো! রাত্রী বলে উঠলো?

রাত্রী: জেলে মানে? কি বলছো এইসব!

রাফি: এই জন্য বলছি আমার কথা সম্পূর্ণ শুনেন?

রাত্রী: আচ্ছা বলো শুনি?

কথক: রাফি রাত্রীকে বলতে লাগলো?

চলবে……

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *