রাফি: আমার বাবা মায়ের আমি দ্বিতীয় তম সন্তান! আমার বড় ভাই আছে। আমি আর ভাইয়া জমজ ‘ আমার ভাইয়া এখন কোমায় থেকে বের হয়ে হস্পিটালে আছে! আর রায়হান আমার বড় ভাইয়ের ছেলে!
রাত্রী: আচ্ছা বুঝলাম তার মানে? ওনি তোমার স্ত্রী না!
রাফি: হুম’ ওনি আমার স্ত্রী না! ওনার সাথে আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে হয়েছে! কিন্তু এইটাহ কেউ জানে না’ রায়হান যখন পেটে তখনই গ্রামের মানুষ ক্ষেপে যায়। রায়হানের আম্মুকে রায়হানের নানির বাড়ি সবাইকে গ্রাম ছাড়া করতে নিয়েছিলো! তখনই আমি ওইখানে গিয়েছিলাম ভাইয়ার কথা মতো! পরে ওরা সবাই জোর করে আমাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। সেখান থেকে ওনি আমার স্ত্রী হিসাবে আছে।
রাত্রী: হুম বুঝলাম বাট এ-র সাথে জেলে যাওয়ার সম্পর্ক কি?
রাফি: আমি ভাইয়াকে সাথে নিয়ে আমার সৎ মাকে খুন করেছি।
কথক: রাফির কথা শুনে এক চমকে গেলো! রাফির দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে?
রাত্রী: কি যাতা বলো? তুমি খুন করছো মানে?
রাফি: হ্যাঁ আমি আর ওনাকে মেরে ফেলছি। শুধু ওনাকে না’ ওনার বড় ভাইকেও মেরে ফেলছি। আমাদের মায়ের প্রতিশোধ নিয়েছি!
রাত্রী: আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে! আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবে?
রাফি: বুঝাতে গেলে প্রথম থেকে বলতে হবে! আমার আম্মু এই গ্রামে একজন কৃষকের মেয়ে ছিলো। আর আম্মু একজন শিক্ষিকা ছিল এইখান কার প্রাইমারি স্কুলের। আব্বু আম্মুকে প্রথম দেখাতে ভালোবেসে ফেলে! অথচ আব্বু বিবাহিত ছিলো’ আব্বু ছেলে সন্তানের দরকার ছিলো। কিন্তু আমার সৎ আম্মুদের সবার শুধু মেয়ে হয়েছে। তাই আব্বু আরেকটা বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছিলো! তখন আম্মুকে দেখে পছন্দ করার কারণে নানুর কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়৷
কথক: কথা টুকু বলে রাফি’ এক গ্লাস পানি খেয়ে নিয়ে বললো?
রাফি: আমার আম্মু রাজি না থাকায়! আব্বু নানুকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে জোর করে আম্মুকে বিয়ে করে। আব্বু আবার আমার আম্মুকে সব বউদের থেকে বেশি ভালোবাসতো। আমরা জন্ম গ্রহণ করার পর’ আব্বু আম্মুকে আরো বেশি ভালোবাসতে শুরু করে। কিন্তু আম্মুকে তো আপনি দেখছেন? আম্মু অন্যায় প্রতিবাদ করে। অন্যায় সয্য করতে পারে না’ আব্বুর কোনো অন্যায় দেখলে সাথে সাথে প্রতিবাদ করতো। আমার আব্বু ভালো মানুষ ছিলেন না। ওনি গরীবদের উপরে জুলুম করতেন! এমন কি অন্যায় পথে বেশি চলতেন।আমার আব্বুর নাম নিশ্চয়ই আপনারা শুনেছেন। প্রভাব শালী লোক ছিলো ওনি!
রাত্রী: হুম ” শুনেছি! কিন্তু এখানে তোমার সৎ আম্মুকে কেন মারলে?
রাফি; ওয়েট বলছি’ আম্মু আব্বুর অনেক বড় লোস করে দিলে। বড় আম্মু আব্বু অনেক রেগে যায়’ বড় আম্মু এমনিতে আম্মুকে দেখতে পারতো না৷ আব্বু বেশি ভালোবাসে দেখে তার উপরে আবার আম্মু সব বিষয়ে নক গলাতে দেখে আম্মুকে এই বাড়ি থেকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বের করে দেয়। আম্মুর ঘরে একটা পর পুরুষ ঢুকিয়ে দিয়েছিলো! আব্বু না বুঝে আম্মুকে ভুল বুঝে বের করে দিলে। আম্মু আমাকে নিয়ে এই গ্রাম থেকে চলে যায়৷ আমাকে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করলে আমি আম্মুর সাথে চলে যায়।আর বড় ভাইয়া তখন ঘুমিয়ে থাকায় আম্মু ভাইয়াকে নিয়ে যেতে পারে না। সেই থেকে আমরা ঢাকা চলে গিয়ে ওইখানে থাকতে শুরু করি!
কথক: রাত্রী রাফিকে থামতে দেখে বললো?
রাত্রী: তার পর কি হলো?
রাফি; তার পর কি? আমাদের সংসার টানাটানি করে এক রকম ভাবে চলছিলো। তার পর কি হয়েছে জানেন তো! আর আমার বড় আম্মু আমাদের খোঁজ পেয়েছিলো কিভাবে জেনো। সেইদিন রিক্সা এক্সসিডেন্ট বড় আম্মু করিয়েছিলো। আব্বুর নাম করে ট্রাক ওয়ালা মানুষটাকে ভাড়া করেছিলো!
রাত্রী: কি? তার মানে? আম্মুকে খুন করা হয়েছে!
রাফি: হ্যাঁ” সেইদিন পুলিশ আমাকে বলেছিলো। আমার আব্বু নাকি খুন করেছে! আমি এখানে এসেছিলাম স্বাভাবিক ভাবে থাকছি। আস্তে আস্তে বুঝতে পারি আম্মু যে মারা গেছে আব্বু জানে না। এইসব বড় আম্মু করছে’ বড় ভাইয়াকে আমি সব সত্যি বললে।।দুইজন প্ল্যান করে আব্বুদের দুনীতি সব কিছু পুলিশকে বলে দিয়েছি। সব প্রমান দিয়ে সরকারের কাছে দিয়ে দিয়েছি! এইটা জানতে পেড়ে বড় আম্মু তার বড় ভাইয়া আমাদের মারতে আসে। বড় ভাইয়াকে আগে পেয়ে ভাইয়াকে খুব বাজে ভাবে মেরেছিলো! আমি তো ভেবেছিলাম ভাইয়া হইতো মারা গেছে! তাই নিজের রাগে কন্ট্রোল করতে না পেড়ে আমি দুইজনকে রট দিয়ে মাথায় বারি দিয়ে মেরে ফেলি! যত রাগ ছিলো সব রাগ খাটিয়ে ফেলি! এই ঘটনা একটা লোক দেখেছিলো। পরে পুলিশকে ইনফর্ম করলে আমাকে ধরে নিয়ে যায়। আর ভাইয়াকে হস্পিটালে নিয়ে যায়’ সেই থেকে ভাইয়া কোমা থেকে বের হয়েছে৷ আর ১২ বছর আমি জেল খাটি! আব্বু এইসব শুনে স্টক করে মারা যায়! আর ভাইয়ার হস্পিটালে চিকিৎসা চলছে!
কথক: রাত্রী রাফির কথা গুলো শুনে কি বলবে বুঝতে পারছে না। রাত্রী রাফির দিকে তাকিয়ে বললো?
রাত্রী: তার মানে? শফিক তালুকদার দুই ছেলে তোমরা ছিলে। তোমাদের ছবি তো নিউজে দেয় নাই!
রাফি: রাকিব ভাইয়া আর ছোট চাচ্চু মিলে রিপোর্টদের আমার ছবি নিতে দেয় নাই। তাই কেউ আমার মুখ দেখে নাই! এখনো কেউ জানে না আমি রফিক তালুকদার ছেলে! শুধু আমাদের গ্রামের মানুষ কিছু জন জানে। আর আমি জেল থেকে বের হয়ে’ ৩ বছর ছদ্মবেশ নিয়ে থাকছি! আমার পড়াশোনা শুরু করার জন্য আমি লন্ডন চলে গেছিলাম। ওইখানে রাকিব ভাইয়া সাথে অফিস সামলাছিলাম আর পড়াশোনা করছি। আর হ্যাঁ আমি আপনার সাথে দেখা করতে জেল থেকে বের হয়ে গেছিলাম। কিন্তু পরে তো ভুল বুঝাবুঝির কারণ আর আপনার সামনে যায় নাই। আই এম স্যরি”
রাত্রী: এতো কিছু হয়ে গেছে’ আর তুমি এমন স্বামী যে। একবার বউকে কল দিয়ে বলতে পারো নাই। যে আমি এখানে আসি’ একবার ভেবে দেখছো। আমি কিভাবে তোমাকে ছাড়া চলবো। একবার ও আমাদের কথা ভাবো নাই!
কথক: রাত্রীর কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে গেলো! মিষ্টি অবাক হয়ে গেলো! রাফি রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো?
রাফি: কি করতাম? আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি তখন যাহ ভালো মনে করছি’ তাই করছি!
রাত্রী: বাহ’ তুমি তো নিজের মন মতো চলতে শিখে গেছো!
রাফি: আমি জানি ‘ আপনাকে জানানো উচিত ছিলো। আমি ভুল করছি’ কিন্তু আপনার সাথে যোগাযোগ করি নাই আরেকটাহ কারণ ছিলো। আমার বড় আম্মু যদি জানতো আপনি আমার স্ত্রী! তাহলে আপনার ক্ষতি করার চেষ্টা করতো! অনেক দিক ভেবে আমি এমন কাজ করছি!
মিষ্টি:আম্মু কি বলছে ওনি ? তুমি তার স্ত্রী মানে?
রাত্রী: ঠিক শুনছো রাফি আমার স্বামী! এই জন্য ওই আমার এতোটাহ কাছে এসেছে। আর রাফি তোমাকে অনেক ভালোবাসে! তাই তোমাকে প্রথম দেখাতে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে নাই।
মিষ্টি: আমি কিছুই বুঝতে পারছি না!
রাত্রী: তুই শান্ত হও’ আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলছি!
কথক: রাত্রী মিষ্টিকে বিয়ের থেকে রাফির বের হয়ে যাওয়া থেকে সব কিছু খুলে বললো? মিষ্টি চোখের পানি চলে আসলো? মিষ্টি রাফিকে জড়িয়ে ধরে বললো?
মিষ্টি: আব্বু আমাকে ক্ষমা করে দেন! আমি বুঝতে পারি নাই’ আর আম্মু বাহ কেউ আমাকে কোনোদিন আপনার সম্পর্কে কিছু বলে নাই। তাই আমি আপনাকে চিনতে পারি নাই! শুধু দেখেছি আপনার জন্য প্রতি রাতে কাদতে দেখেছি। কিন্তু কেন কান্না করছে সেইটা জানতাম না! কখনো জিজ্ঞেস করলে বলে ও নাই!
কথক: রাফি মিষ্টিকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে। কপালে চুমু দিয়ে বললো?
রাফি; দূর পাগলি’ আমি কি আমার মিষ্টি আম্মুর উপরে রাগ অভিমান করতে পারি নাকি? আর আমার মেয়েটাহ যে তোতা পাখির মতো এতো কথা বলতে পারে। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না’ সেই ছোট মেয়েটাহ যে এতো বড় হয়ে গেছে।
কথক: রাফির কথা শুনে মিষ্টি ফিক করে হেসে দিলো। ওদের হাসতে দেখে সবাই হেসে দিলো। রায়হানের আম্মু বললো?
রায়হানের আম্মু: এই তার কারণ? এই জন্য তো বলি? মেয়েদের থেকে এতো দূরে কেন থাকে!
মিষ্টি: আচ্ছা চাচ্চি আম্মাকে কি বলবো? মেজো আম্মু বলবো নাকি? নাকি চাচ্চি আম্মা বলবো?
রায়হানের আম্মু: তোমার যেইটাহ ভালো লাগে ওইটা বলো? আর এমনিতে আমি তোমার আব্বুর স্ত্রী না। আমাদের ডিভোর্স অনেক আগে হয়েছে।
কথক: রায়হানের আম্মুর কথা শুনে বাকি সবাই অবাক হয়ে বলে উঠলো? কি তোমাদের ডির্ভোস হয়েছে কবে।রায়হানের আম্মু বলল?
রায়হানের আম্মু: অনেক আগেই ‘
কথক: পিছন থেকে সব কথা শুনে রনি বললো? শেষ মেষ কিনা চাচ্চু হয়ে গেলো শ্বশুর ! রনির কথা শুনে সবাই হেসে দিলো! রাফি বলে উঠলো?
রাফি: আমার মেয়ের খেয়াল রেখেন বাবা জি!
রায়হানের আম্মু: আচ্ছা সবাই ওনাদের একা কথা বলার সময় করে দেওয়া উচিত!
রাফি: আমার মেয়ে থাকলে সমস্যা নাই!
কথক: মিষ্টি রনিকে নিয়ে চলে গেলো’ এক এক করে সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেলো। রায়হান আম্মু বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়ে চলে গেলো! রাফি রাত্রীর কাছে যেতে ” রাত্রী অন্য দিকে মুখ ঘুড়িয়ে নিলো! রাফি রাত্রীর কোলে সুয়ে পড়লো! রাত্রী অন্য দিকে মুখ রেখে রাফির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো! রাফি রাত্রীর গাল দুইটা ধরে নিজের দিকে তাক করিয়ে বললো?
রাফি: বউ আপনি কি আমার সাথে কথা বলবেন না!
রাত্রী: বলতে চাই না’ এখন কথা বলে কি হবে! ১৮টাহ বছর আপনার সাথে কথা না বলে থাকতে পারলে। বাকি জীবনটাও একা কাটিয়ে দিতে পারবো। আর আপনি একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিয়েন!
কথক: রাত্রীর কথা শুনে’ রাফি কিছুটাহ অবাক হয়ে। কোল থেকে উঠে রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো?
রাফি: আমার বউ থাকতে আমি কেন?আরেকটাহ বিয়ে করতে যাবো!
রাত্রী: আমার বয়স কত ৪৩ হয়ে গেছে!
রাফি; হুম তো কি হয়েছে?
রাত্রী: আস্তে আস্তে বুড়ি হয়ে যাচ্ছি! মানুষ তোমাকে কি বলবে?
রাফি: কে কি বললো ওইসব দেখার আমার সময় নাই। তুমি আমার কাছে আগে ও যেমন ছিলে ভবিষ্যতে ওসেইম থাকবে। তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা তুমি আমার শেষ! আমার লাইফে আমি আর কাউকে ভালোবাসতে পারবো না।
কথক: রাত্রী কিছু বলতে যাবে’ তখনই রাফির ফোন বেজে উঠলো! রাফি ফোনটাহ রিসিভ করে কথা বলতে লাগলো? কথা বলা শেষ করে বললো?
রাফি: বউ আমি আসছি!
রাত্রী: কি হয়েছে তুমি এতো খুশি কেন?
রাফি: পরে সবাইকে দেখতে পারবেন! আমি একটু বের হবো!
কথক: রাফি রাত্রীর কপালে চুমু দিলো! রাত্রী রাফির পিছন পিছন বের হলো! বসার ঘরে গিয়ে বললো?
রাফি: ভাবি’ আজকে একটু সেজে থাকেন তো!
কথক: রাফির কথা শুনে রায়হানের আম্মু অবাক হয়ে বললো?
রায়হানের আম্মু: ইয়া’ তুমি কি নিজের বউ বলার জায়গায় আমাকে বলছো নাকি?
রাফি: আরে না’ আমি আপনাকে বলছি! আপনি একটু সেজে থাকেন!
রায়হানের আম্মু: ওমা কেন?
রাফি: দূর আপনাকে এতো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। রাকিব ভাইয়া আর রনি আমার সাথে একটু চলো তো!
রাকিব: বুঝতে পারছি কোথায় যাবি! আচ্ছা থাক আমি লুঙ্গি টাহ পরিবর্তন করে আছি!রনি তুই চাচ্চুর সাথে যাহ!
কথক: রাফি আর রনি বাহিরে চলে গেলো। মিষ্টি রাত্রীর দিকে তাকিয়ে বললো?
মিষ্টি: আম্মু আব্বুর আবার কি হলো?
রাত্রী: জানি না’ এই ওর হুট করে কল আসা দেখলে আমার ভয় লাগে।আর আম্মু আগেই বলেছিলো’ ওই একটু চাপা সাইজে কোনো কিছু সহজে বলতে চাই না।ফালতু একটা স্বভাব “
রায়হানের আম্মু: কি বললে ডাকবো বুঝতে পারছি না। কিন্তু আসলে রাফি এমন না! ওদের ভাইরা এমন !
রাত্রী: আমাকে তুমি ভাবি ও বলতে পারো আপু ও বলতে পারো।
মিষ্টি: আম্মু’ আয়ান কাছে যাও তো! ওই ভয় পেয়ে আছে
কথক: রাত্রী মিষ্টির কথা শুনে ‘ চলে গেলো! সন্ধ্যায় রাফিরা ফিরে আসলো দরজায় নক করলে? কাজের মেয়ে দরজা খুলে দিলো! সবাই এক এক করে ভিতরে ঢুকলো! ভিতরে গিয়ে রাফি মিটি মিটি করে হেসে বললো?
রাফি: ভাবি’
কথক:ভাবি ডাক শুনে রাফির দিকে তাকাতে। রাফির পিছন থেকে রকি বের হয়ে আসলো! রকিকে দেখে রায়হানের আম্মু সাথে সবাই দাঁড়িয়ে পড়লো। রায়হানের আম্মু কয়েক পা পিছিয়ে গেলো। খুশিতে দৌড়ে এসেছে’ রকিকে জড়িয়ে ধরলো। রকি রায়হানের আম্মুকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। কপালে চুমু দিয়ে রায়হানের আম্মুকে শান্ত করতে লাগলো? রায়হানের আম্মু বললো?
রায়হানের আম্মু: আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, তুমি হাটতে পারছো আমার সামনে তুমি দাঁড়িয়ে আসো।
রাফি: ভাবি ভাইয়াকে রুমে নিয়ে যান! আর সেজে থাকতে বলছিলাম তা করে পেত্নীর মতো হয়ে আছেন।
কথক: রাফির কথা শুনে সবাই হেসে দিলো! রায়হান দৌড়ে এসেছে রাফিকে জড়িয়ে ধরে বললো?
রায়হান: আব্বু ‘ তোমার মতো দেখতে এই আংকেল টাহ কে?
রাফি: এইটা তোমার আংকেল হয় না! এইটা তোমার আব্বু ‘ আর আমি আয়ানের আব্বু হই!
রায়হান: হিহিহি আব্বু তুমি আমার সাথে মজা করছো। আব্বু আমি তোমার কন্ঠ চিনি তুমি আমার আব্বু”
রায়হানের আম্মু: না’ এইটায় তোমার আসল আব্বু এদিকে আসো!
কথক: রকি রায়হানকে কোলে তুলে নিলে! রায়হান অবাক হয়ে যায়’রায়হান বলে?
রায়হান: কই আম্মু ওনার শরীল থেকে তো আব্বুর কোনো ঘ্রাণ পাচ্ছি না৷ উফফ আংকেল আমাকে নামিয়ে দেন!, আব্বু তুমি আমার সাথে মজা করবে না। এমনিতে আমি অনেক রেগে আছি। ভাবির আম্মু আয়ান ভাইয়াকে বলছিলো তুমি নাকি আয়ান ভাইয়ার আব্বু!
রাফি: আচ্ছা শুনো আমি তোমার আব্বু কিন্তু! আমার সাথে ওই আংকেলটাও তোমার বড় আব্বু! আর তুমি আমার যেমন ছেলে তেমন আয়ান ও আমার ছেলে!
রায়হান : ও আচ্ছা’ তাই বলো?
কথক: রকি রায়হানের সাথে কথা বলতে লাগলো! রাফি আয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো?
রাফি: কি ব্যাপার আমার আব্বুটাহ ওইখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
কথক: আয়ান রাফির কাছে এসেছে শক্ত করে জড়িয়ে ধরর বললো? আব্বু আপনি আমাদের রেখে এখানে কেন এসেছেন! আপনি জানেন আমি আপনাকে কত মিস করছি। রাফি আয়ানকে পাজা কোলে নিয়ে বললো?
রাফি: আর কখনোই ছেড়ে যাবো না।
কথক: রকি রায়হান কে কোল থেকে নামিয়ে এক এক করে সবার সাথে পরিচয় হয়ে নিলো! সবার সাথে কথা বলে যার যার রুমে চলে গেলো! আয়ান আর রায়হান ওরা নিজেদের রুমে চলে গেলো! রাফি দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকলো। রাত্রী রুমে ভিতরে ঢুকলে ‘ রাফি আস্তে আস্তে পিছন থেকে রাত্রীকে জড়িয়ে ধরলে। রাত্রী হাসি দিলো’ রাফি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো?
রাফি: ভয় পাওয়া বাদ দিয়ে হাসেন কেন?
রাত্রী: আমি জানি আমার দুষ্টু বরটাহ ছাড়া কেউ আমায় জড়িয়ে ধরার সাহস পাবে না।
রাফি: ধ্যাত ‘
কথক: রাফি গম্ভীর মুখ করে খাটে বসে পড়লো! রাত্রী রাফির দিকে তাকিয়ে রাফির কাছে গিয়ে রাফির কোলে বসে বললো?
রাত্রী: আমার বাবুটাহ কি অভিমান করছে?
রাফি: হুম!
কথক: রাত্রী সাথে সাথে রাফির মাথার পিছনে ধরে ঠোঁটের সাথে ঠোঁট বসিয়ে দিলো! রাফি মুচকি হেসে দিলো!
সমাপ্ত!