বসের দেমাগি মেয়ে যখন রোমান্টিক বউ পর্ব_১১


সেদিনের মত লাবন্যর সাথে কথা
বলা শেষ করলাম৷আর মনে মনে
ভাবতে লাগলাম৷এবার পরিচয়টা দিয়েই
দিবো৷
পরের দিন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হলাম
আর আজকে এমনিতেও লাবন্য
আমার সাথে সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে যাবে৷
তাই ভাবতে লাগলাম আজই লাবন্যকে
সব বলে দিবো৷আর লাবন্যকে আমার
জীবনে চিরদিনের জন্য নিয়ে আসব৷
কিন্তু তার আগে আরও একটা কাজ
আছে৷সেটা হলো লাবন্যর বাবাকে
আমার সব পরিচয় আহ সত্যিটা জানানো৷

আর তখন মনে মনে ভাবতে লাগলাম
এখন যদি সত্যিটা বলে দেই,তাহলে কি
ওনি আমার প্রতি রাগ করবে?আর
আমাকে কি ভূল বুঝবে?নাকি সব ঠিকঠাক
মত মেনে নিবে?আর না মানার কারনটাই
আমি বেশি দেখছি কারন এত বড় একটা সত্যি
আমি ওনার কাছ থেকে আড়াল করেছি৷
তারপরও তো বলতেই হবে নয়ত পরে আরও
বড় ভুল হয়ে যাবে৷
তাই আমি ওনার রুমে গেলাম৷আর আমাকে
এত সকালে ওনার রুমে যেতে দেখেই ওনি
বলতে লাগল
–বাবা আরমান!এত সকালবেলা আমার
রুমে?কিছু বলবা নাকি?
–হুম আংকেল৷অনেক কিছুই বলার ছিল
কিন্তু ভরসা করতে পারছিনা।
–কি এমন কথা যেটা তুমি আমাকে বলতেও
ভরসা করতে পারছো না?
–জানিনা কতটা মেনে নিবেন৷তবে সত্যিটা
তো আমাকে বলতেই হবে।
–কি এমন সত্যি!
–আসলে আংকেল আমি কোনো এতিম ছেলে না
আর আমি কোনো রাস্তারও ছেলে না৷
–হুম,তাহলে তুমি কে?
–আমি গ্রামেরই কোনো একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে৷আর আমার বাবা মা সবাই আছে,
–কিহহহহ(অবাক হয়ে)
–হুম আংকেল অবাক হলেও এটাই সত্যি
–তাহলে আমাকে আগে কেন বলোনি?
–আগে বলিনি ভয়ে
–ভয়?কিসের ভয়
–যদি আমার পরিচয় জানতেন তাহলে হয়ত
আমার প্রতি আপনার মায়া ততটা থাকতো না
যতটা এখন আছে,
–এখন যদি বলি,তোমার প্রতি আমার আর কোনো
মায়াই নেই!
–জানিনা সেটা আপনি পারবেন কিনা৷তবে আপনার কাছে যতটা পেয়েছি,সেটা আমার জন্য আর্শিরবাদ স্বরুপ।
–তাহলে কেন তুমি বাসা থেকে বের হয়ে গেলে?কেন তোমার বাবা মাকে ছেড়ে এই শহরে পাড়ি জমালে?
কেনই বা আমার সাথে এমন মিথ্যা নাটক করলে?
তবে কি আমার সম্পত্তির লোভে এসব করেছো?
–দেখুন আংকেল আমি আপনার কাছে নিজের পরিচয় লুকিয়েছি,কিন্তু এর মানে এই না যে,আমি আপনার সম্পত্তির লোভে এত কিছু করেছি৷
আর হ্যা এমনটা কেন করেছি জানেন?
–কেন করেছো(রেগে)
-হুম বলছি,আমি গ্রামের বাবা মায়ের অনেক আদরের একমাত্র সন্তান৷তাই তারা কখনোই আমার কোনো আশা অপূর্ন রাখেনি৷আর হ্যা তাই তারা আমাকে লেখাপড়া করিয়েছে৷আর আমি কম্পিটার ইন্জিনিয়ার৷
কিন্তু তার চাইতে অনেক বড় কথা হলো আমি লেখাপড়া শেষ করে কোনো চাকরি করতাম না৷সারাদিন গ্রামের ভিতর অনেক দুষ্টুমি আর ফাজলামি করতাম কিন্তু একদিন আমার বাবা অনেক রেগে গিয়ে আমাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলল৷আর আমিও তার অভিমানটা না বুঝেই
বাসা থেকে বের হয়ে এই শহরে আসি”অনেক জায়গায় চাকরি খুজেছিলাম কিন্তু টাকার জোর আর ঘুষের টাকার জন্য কোথাও চাকরি পেলাম না৷আর সাথে যে কয়টা টাকা ছিল৷তাও এক সময় শেষ হয়ে গেল৷আর একটা সময় যেখানে থাকতাম টাকা দিতে পারিনি,তার জন্য ওখান থেকে বের করে দিল৷আর সেই রাতেই ঘটনাক্রমে আপনার সাথে পরিচয়৷আর এর পর তো সব জানেন ই!
–হুম জানি৷কিন্তু তুমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছো,তার জন্য তোমাকে সাজা পেতেই হবে।
–হুম ভুল করেছি৷আর এখন যে সাজা দিবেন সেটা আমি মাথা পেতে নিবো।
–তোমাকে কি পরিমান সাজা দিবো সেটা কল্পনাও করতে পারবানা৷আমার খেয়ে আমার পরে আমার সাথেই বেইমানি….
–আমি কোনো বেইমানি করিনি৷আর আমি আমার দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি।
–হুম করেছো আর মনে মনে আমার মেয়েকে বিয়ে করে আমার সব সম্পত্তির মালিক হতেও চেয়েছো।
–সরি,আর হ্যা লাবন্যকে আমি ভালবাসি তারমনে এই না যে আমি আপনার সম্পত্তির লোভে সেটা করেছি৷আর যদি আপনার এটা মনে হয়,তাহলে আজই আমি এখান থেকে আর আপনার সমস্ত সম্পত্তির ছায়া থেকে বের হয়ে চলে যাচ্ছি৷
ভালো থাকবেন৷আল্লাহ হাফেজ।
বলেই রুম থেকে বের হয়ে যাবো,তখণই রাগিভাবে ডাক দিলো।
–এই আরমান দাড়া,তোর শাস্তি তোকে পেতেই হবে।
–হুম৷আমি আপনার যেকোনো শাস্তি মাথা পেতে নিবো,সেটা আগেই বলেছি।
–ওরে বোকা ছেলে,নিজের বাবা মায়ের সাথে রাগ করে তাদের কাছ থেকে চলে এসেছিস,আর এখন কি আবার আমার কথায় রাগ করে এই বৃদ্ধ আরেক বাবাকে ফেলে চলে যাবি?
–আংকেল?(অবাক হয়ে)}.
–আংকেল বলবি না,বাবা বলবি!লাবন্য যেমন আমার মেয়ে,তুই ও আমার ছেলে৷আর আমি তো তোর সাথে এমনিতেই বলছিলাম(হেসে দিল)

আর তখনই আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরল৷আর আমি তখন অনেক খুশি হয়ে ওনার পায়ে সালাম করে৷সেখান থেকে বের হলাম৷অনেক খুশি
লাগছিল৷আসলে লাবন্যর বাবাও এতটা ভালো মানুষ যার বর্ননা করার মত না৷
তখনই মনে মনে বলতে লাগলাম৷এখন লাবন্যকে সত্যিটা বলার পালা৷তারপরই বাসায় গিয়ে বউ করব হি হি হি৷….
আমি তখনই লাবন্যর কাছে গেলাম৷আর গিয়ে তো একদমই অবাক হয়ে গেলাম৷কারন লাবন্য তখনও শুয়ে আছে৷রাগ উঠে গেল৷এই মেয়েটা আমার কথায় যে ইদানীং এত বিরক্ত হয় কেন বুঝিনা৷পরক্ষনেই একটা মুচকি হাসি দিলাম৷কারন ও না জেনে যাকে এত ভালোবাসে সেই ছেলেটা তো আমি৷আর আজকেই তো সব বলব ৷
তখনই লাবন্যকে ডাক দিলাম
–লাবন্য,এই লাবন্য,উঠো না কেন?
–উম,ঘুম পাচ্ছে আমার,উঠতে পারব না।
–ওই আজকে না ঘুরতে যাইবা বলছো!?
–কালকে যাই(ঘুম ঘুম কন্ঠে)
–না ,তুমি এখনই যাইবা
–না আমি যাবো না,
-যাবে না?তোমার ঘাড় যাবে
–তাহলে দেখা যাক কে যায়,

বলেই লাবন্য আমাকে তার রুম থেকে বের করে দিল
মনে মনে ভাবতে লাগলাম৷এটা কি করল? শেষ
মেষ আমাকে রুম থেকে এভাবে বের করে দিল?
না এই অপমান সইতে পারমু না৷
এখনই এর একটা ব্যবস্থা নিমু৷
যেই ভাবা সেই কাজ৷তখনই ফেসবুকে ডুকলাম৷
আই ইয়াম্মা,পেত্নিটা তো দেখছি আগেই ফেসবুকে এসে বসে রইছে৷দাড়া মজা দেখাচ্ছি,,হি হি হি
তখনই ফেসবুকে ওকে একটা মেসেজ দিতেই ও
বলতে লাগল
–কেমন আছো,আর কি করছো(লাবন্য)
–হুম ভালোই আছি কিন্তু মনটা ভালো নেই
–কেন কেন?কি হইছে তোমার?
–আর বইলো না৷কক্সবাজারে ঘূরতে আসছিলাম৷কিন্তু সাথে ঘুরার জন্য কাউকেই পাচ্ছি না
আর বলেন,এখানে কি একা একা ভালো লাগে নাকি?
–কি?তুমি কক্সবাজারে আসছো?
–হুম কেন?
–আরে আমিও তো কক্সবাজারেই আছি
–হি হি হি,মজা করছো তাই না?(না জানার মত)
–আরে আমি সত্যিই এখানে আছি৷
–ওমা তাই,তাহলে তো ভালোই
–হুম৷আমার সাথে দেখা করবে তুমি?
–দেখা করবা?তাহলে তো ভালোই হয়৷মনের মানুষটাকেও দেখতে পারব।
–হুম৷আমি এখনি আসছি,প্লিজ বলো তুমি কোথায়?
–হুম তাহলে এখনি আসো,আর শুনো আরমানকে কিন্তু সাথে নিয়ে আসবা,ওকে আমি দেখব,তোমার বেষ্ট ফ্রেন্ড কেমন?
–আরে ওকে আবার আনার কি দরকার?
–দেখো,যেটা বলছি সেটা করো,আর তোমার সেফটি বলতেও তো কিছু আছে ,তাই না।
–আমার সেফটি টেফটি কীছুই চাই না৷তোমাকে পেলেই হবে
–যেটা বলছি সেটা করো৷আর আমি বেশিক্ষন থাকবো না৷তাড়াতাড়ি আসো….
বলেই ফেসবুক থেকে বের হয়ে গেলাম৷
হি হি হি এবার খেলা জমবে৷
আর তখনই আমি রুমের ভিতর ঘুমানোর ভান করে রইলাম৷আর লাবন্য একটু পরই আমার রুমে ডুকল৷আর এসেই বলল
–ওই আরমান?তুমি না ঘুরতে যাইবা?চলো ঘুরতে যাই?
–হি হি হি,পেত্নিটা কি বলছে রে?ঠেলার নাম বাবাজি হি হি হি(মনে মনে)
–ওই উঠছো না কেন?তুমি না আজকে আমার সাথে ঘুরতে যাইবা?(করুণ সুরে)
–খুব ঘুম পাচ্ছে গো,এখন একটু ঘুমাবো,প্লিজ ডাক দিও না
–প্লিজ আরমান, এমন করো না,দেখো তোমার সাথে ঘুরতে যাবো বলে সেজে এসেছি।
–ইসস কী মিথ্যাবাদি রে,কি মিথ্যা কথা বলছে?আমার সাথে ঘুরতে যাবে বলে সেজেছে নাকি রাজপুত্র নামক আমার ফেইক আইডির ছেলের সাথে দেখা করতে যাবে(মনে মনে)
–ওই চুপ কেন?প্লিজ উঠো
–না গো,ঘুম পাচ্ছে,প্লিজ ডাক দিও না৷
তখন লাবন্য যেন ছটফটানি শুরু করে দিছে৷ও কেমন জানি ছটফট করা শুরু করল৷যেন যেভাবেই হোক ওর যেতে হবেই৷
কি আর করার ওর অনেক রিকোয়েষ্টের পর আমি রাজি হলাম৷আর মনে একটা চিক্কুর দিলাম৷এই না হলে বুদ্ধি আমার?তখন মনে মনে নিজের অজান্তেই লুঙ্গি ড্যান্স দিতে ইচ্ছে করছিলো৷কিন্তু এখন এমন করা চলবে না৷ওর সাথে যেতে হবে৷তাই ওর সাথে যাওয়া শুরু করলাম৷আর ফোনটা সাইলেন্ট করে রাখলাম৷কারন ওখানে গিয়ে লাবন্য ফোন দিতে পারে৷
আর তখন সারপ্রাইজ দেবার আগে ধরা খেয়ে গেলে মজাটাই শেষ হয়ে যাবে৷
তাই সাইলেন্ট করেই লাবন্যর সাথে ঘূরতে বের হলাম৷
আস্তে আস্তে সমুদ্রের তীরে উপস্থিত হলাম৷আর তখনই খেয়াল করলাম৷লাবন্য কাউকে মেসেজ করছে৷আর খুব চিন্তায় পড়ে আছে৷
তখনই বুঝতে পারলাম ও তো আমাকেই মেসেজ করছে৷হয়ত রিপ্লে দিচ্ছি না বলেই এমন মুখটা শুকনো হয়ে গেছে৷আর হঠাৎ ও কাউকে ফোন দিচ্ছিলো কিন্তু মনে হচ্ছে ফোনটাও ধরছে না৷আর ধরবেই বা কেমনে?ফোন তো আমাকেই দিচ্ছে৷আর এখন ধরলেই তো বিপদ৷ভাবলাম একটু পর সব একেবারেই বলে দিবো৷তার আগে আরেকটু মজা করা যাক

-এই লাবন্য?তোমাকে এত চিন্তিত মনে হচ্ছে কেন?তুমি কী খুব চিন্তিত?
–কই না তো৷আমি চিন্তা করব কেন?
–হুম না করলেই ভালো৷তবে কাকে এভাবে ফোন দিচ্ছো?
–কাকে ফোন দিচ্ছি মানে?(রেগে)
–দেখো,আমার যেটা মনে হলো,সেটাই বলছি৷আর সত্যিটা বললে ,যদি কোনো হেল্প টেল্প করতে পারি,তাহলে তো তোমার জন্যই ভালো,তাই না?(হি হি হি আমি হেল্প না করলে করবে কে?মনে মনে)
–কিছুনা৷আর আমার হেল্পের দরকার নেই৷
–কেন কেন?আমার তো মনে হচ্ছে,কারও সাথে দেখা করবা!আর তাকে ফোন দিচ্ছো কিন্তু সে ফোন ধরছে না
–এই,হঠাৎ তুমি এটা বললে কেমনে?
–আরে না,আমার শুধু মনে হলো,তাই বললাম আর কি৷আর যদি কাউকে ফোন দিয়ে থাকো,আর সে যদি তোমার ফোন না ধরে,তাহলে বলব সে খুব পচা একটা মানুষ।
তখনই লাবন্য আমার মুখের মধ্যে চেপে ধরল৷আর মুখে জোড়ে চাপ দিয়ে বলে ঊঠল..
–আরেকবার ওর সমন্ধে কিছু বললে একদম খু*ন করে ফেলব৷তুই জানিস কার সম্পর্কে তুই কি বলছিস?(অনেক রেগে তুই করে বলতে লাগল)
–বাব্বাহ,এত ভালোবাসা?এত ভালোবাসা রাখে কই?(মনে মনে)
–কি বলছি বুঝতে পারছিস,আরেকবার এমন করলে একদম শেষ করে দিবো,তখন আর ফ্রেন্ডের সম্পর্ক মনেই থাকবে না(হেব্বি রেগে গেছে)
–সেই মানুষটা কে গো!যার কারনে আমাকেই মারছো
–সে আমর সব,আমার প্রিয় রাইটার
–ওরে বাবা রাইটার?তো সে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি কাজি নজরুল ইসলাম?
–দেখো উল্টা পাল্টা কথা বলবা না৷ও এগুলোর কোনোটাই না,তবে সে আমার জীবন,আর সে আমার প্রিয় থেকেও প্রিয় রাইটার।
ওরে বাবা রে?এই পাগলির মনে এতটা জায়গা করে নিয়েছি আমি?ভাবতেই অবাক লাগে৷তখন ভাবলাম আরেকটু মজা করা যাক।
–তো সে যেহেতু কোনো কিছু লেখেই না,তো কিভাবে রাইটার হলো!
–ও ফেসবুকে গল্প লিখে,আর ওর গল্প আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
–এহহহ,এমন ফেসবুকে আমরাও গল্প লিখতে পারি৷এসব আজাইরা রাইটার দের বাদ দিয়ে বাস্তবে ফিরে আসো,কোথাকার কোন ছাগল পাগল,কি না কি ফেসবুকে লিখে,আর ওনি নাকি রাইটার হয়ে গেছে৷হো হো হো হাসি পাইলো(অনেক রাগানোর চেষ্টা করলাম)

এর পর কি হলো,আর বুঝতেই পারলাম না৷সাথে সাথেই লাবন্য আমাকে উড়াধুরা মারা শুরু করল৷সমুদ্রের তীরে বালুর ওপর ফেলে আমাকে পিটানো শুরু করল৷তাও আমি কিচ্ছু বলছিনা৷কারন পাগলিটার এমন করার কারন টা যখন আমি তখন আর কি বলব?তখন ভাবতেই অবাক লাগে?একটা মেয়ে না জেনে শূনে একটা ছেলেকে এতটা ভালোবাসতে পারে,সেটা লাবন্যকে না দেখে বুঝতেই পারতাম না৷আর আমিও যে এতটা ভাগ্যবান হবো৷সেটি কখনোই কল্পনা করতে পারিনি৷
আর যখন লাবন্য সব জানতে পারবে তখন ওর পৃথিবিটা জুড়ে আমার স্থান কোথায় হবে সেটা ভাবতেই৷
খুশিতে বুকটা ভরে যায়৷যাই হোক আজকেই পাগলিটাকে বলে দিবো,তার সেই প্রিয় মানুষ আর তার সেই প্রিয় রাইটার, আমি৷
আর তখন কতটা যে ভালোবাসা পাবো,সেটা ভাবতেই কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়৷আজকে বলবই বলব,
আর ভালোবাসার দুনিয়ায় লাবন্যকে নিয়ে হারিয়ে যাবোই যাবো৷
হি হি হি হি
কেউ কিন্তু নজর দিয়েন না৷পেট ব্যথা করব……….
চলবে……

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *