–আজকে আমি যাকে ভালোবাসি
তার সাথে আমার বিয়ের কথা ঘোষনা
দিবো৷তার আগে তার সাথে আপনাদের
পরিচয় করিয়ে দেই,আমি যাকে বিয়ে করব
সে হৃদয়,
কথাটা শুনেই বুকের ভিতর ভুমিকম্প হতে
লাগল৷আর তখন মনকে বুঝাতে লাগলাম
আরে বোকা মন ও যাকে নিয়ে সুখি থাকবে
তাকে তোর এত হিংসা হয় কেন?
আর এতে তুই কেন এত কষ্ট পাচ্ছিস৷কেন
চোখের জল ফেলে এগুলো
দর্শকের মত দেখছিস
চলে যা এখান থেকে
তখনই ওখান থেকে চলে আসতে চাইলাম৷তখনই
মাইকে শুনতে পেলাম..
—হৃদয়কে কিন্তু আমি বিয়ে করছিনা৷
আপনাদের একটা কথা বলতেই ওর নাম
টা মুখে আনা৷এই হৃদয় আমার ছোট খালার ছেলে৷আর আমার খালাতো ভাই৷
আমার নিজের ভাই থেকেও অনেক বেশি
আর ওর সাথে কথা বলার কারনে আমার
প্রিয় মানুষটা আমাকে মনে মনে
সন্দেহ করেছিল৷হয়ত সেটা ও নিজের
মুখে প্রকাশ করেনি৷কিন্তু আমি ঠিকই বুঝে
গিয়েছিলাম৷যার কারনে আমার খুব রাগ হয়
আর তার থেকে রাগের মাথায় ইচ্ছা করে
দুরে সরে গেলাম৷কারন ও জানত আমার
পৃথিবী জুরেই সে৷কিন্তু তারপরও ও আমাকে
সন্দেহ করল৷অথচ সত্যিটা একটিবারও
জানতে চাইল না৷
যাই হোক যার কারনে তার সাথে অনেক
অন্যায় করেছি আমি৷আর এই মিল বানানোর
জন্য সব থেকে বেশি অবদান তার৷
কারন তার কথা অনুযায়ি আমি
এই মিলটা তৈরি করেছি৷
–কথা গুলো শুনে কি বলব বুঝতেই পারছিনা
তার মানে কি লাবন্য এখনও আমাকেই
ভালোবাসে?আর আমার জন্যই ও এত কিছু
করছে?আর আমি এত বড় একটা ভুল করেছি?
না জেনেই ওকে সন্দেহ করেছি?
আর সেটার মাশুলই এভাবে দিতে হলো
আমাকে?
চোখ দিয়ে তখন অপরাধীর মত
পানি ঝরতে লাগল৷
আবারও নিজেকে ঠিক রেখে লাবন্যর কথাই
শুনতে লাগলাম৷ও বলতে লাগল..
— মনে মনে ভেবেছি ,আমার
প্রিয় মানুষটাকে একটু কষ্ট দিয়ে তার ভুলটা
ভেঙে দিব,আর তাকে আজকে এত বড়
খুশির দিনে সারপ্রাইজ দিবো৷
আর তখনই লাবন্য চিৎকার করেই
বলতে লাগল..
–আমি জানি আরমান,তুমি এখানেই আছো৷
আর যদি আমার প্রতি ভুল ধারনা
গুলো ভেঙে থাকে,আর এখানে থেকে থাকো
তাহলে প্লিজ মঞ্চে চলে আসো!
তখন কি করব বুঝতেই পারছিলাম না৷
খুশিতে চোখ দুটো এমনিতে ভিজে
গেছে৷একটা মেয়ে যে, সত্যিই এতটা
ভালবাসতে পারে তা লাবন্যকে না
দেখে বুঝতেই পারতাম না৷
আজকে এত গুলো মানুষের সামনে ও
আমাকে ভালোবাসে সেটা কিভাবে
বলল?আর এভাবেও কি বলে নাকি?
সত্যিকার অর্থে ভালবাসলে হয়ত সবই
সম্ভব৷
লাবন্য তখনও কান্না করেই মাইক
দিয়ে আরমান আরমান বলে ডাকতে লাগল৷
আর তখনই একটা বন্ধু আমাকে দেখল৷
আর দেখেই বলল…
–আরে তুই!তোকেই তো মনে হচ্ছে ডাকছে!
যা আরমান যা,আর দেড়ি করিস না
–আমাকে ডাকছে না রে।
–তোর চোখের পানি এটাই প্রমান করছে
এই মেয়েটার আরমান তুই৷
যা দোস্ত যা
তখনই আমি আস্তে আস্তে গুটি গুটি পায়ে
মঞ্চের দিকে এগুতে লাগলাম৷
আমাকে লাবন্য হঠাৎ ই দেখে ফেলল।
আর আমাকে দেখেই সবার সামনে
লাবন্য বলে উঠল…
–ওই যে আমার আরমান,তাকে সবাই একটু
আসার জন্য জায়গা দিন!
তখনই সবাই আমার দিকে এক অদ্ভূদ ভাবে
তাকিয়ে রইল৷আর আমাকে সবার মাঝখানে
একটা রাস্তা করে দিল৷আর আমি সেখান দিয়ে যাচ্ছি৷আর লাবন্য তখন এক দৌড়ে এসে
সবার সামনেই কান্না করে দিল৷তখন এতো মানুষের সামনে বলেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরেনি নাহয়….🤭
আর তখন এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি
হলো যেটা রোমান্টিক সিনেমাগুলোর
নায়ক নায়িকাদের অভিনয়টাকেও হার মানায়
লাবন্য এখনও কান্না করেই যাচ্ছে আর আমার হাত ধরে সরি সরি বলেই যাচ্ছে।
৷অনেকক্ষন পর
আমার হাত ছাড়ল৷আর ছাড়ার পর
কেমন জানি লজ্জা পেয়ে গেল৷
অনেকক্ষন পর ও আমাকে মঞ্চে নিয়ে
গেল৷আর মঞ্চে নিয়ে গিয়ে সবার সামনে
বলতে লাগল…
—এই সে আমার আরমান,যাকে আমি
আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি
যার কারনেই আপনাদের জন্য এই মিল
তৈরি করা,আর এর উদ্যোগই আরমানই
নিয়েছে৷সবাই ওর জন্য আর আমাদের জন্য
দোয়া করবেন৷সামনের শুক্রবারই আমাদের
বিয়ে,আর সেই বিয়েতে আপনারা সবাই
আমন্ত্রিত৷আর আপনারা সবাই আসবেন৷পাঠক/ পাঠিকাদের জন্য আলাদা করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই 😊আপনারাও আমন্ত্রিত😉ঠিকানা 找學生找想學中文的學生
বলার পর সবাই করতালি দেওয়া শুরু করল
আর আমি অশ্রুভেজা চোখেই সবার দিকে
তাকিয়ে রইলাম৷তবে এই অশ্রু কষ্টের না
মহা আনন্দের৷সেদিনের মত আমরা
বাসায় ফিরে আসলাম৷আর লাবন্য আমার
বাসায়ই যাচ্ছে,,,তখনই ভাবলাম
ওর সাথে একটু দুষ্টুমি করা যাক,ও আমাকে
একটু ভুলের জন্য এত্ত কষ্ট দিলো কেন?
এখন তো একটু মজা করাই যায়??
রাস্তায়ই লাবন্য বললাম..
–লাবন্য
–হুম বলো
–আমাকে এত কষ্ট দিলে কেন?
–তো কি করব?তুমি আমাকে সন্দেহ করলে
কেন?
–দেখো,আমার জায়গায় যে কেউ থাকলেই
সন্দেহ করত,,,আর তুমি তো আমাকে বিষয়টা বলতে পারতে…
–হুম বলতাম তবে তোমার প্রতি আমার খুব
রাগ হইছে৷তুমি কি জানোনা তোমাকে
আমি কতটা ভালোবাসি,তোমাকে ছাড়া আমি
বাঁচব না,,,,তাহলে কেন আমাকে ওইভাবে
অবিশ্বাস করে সন্দেহ করলে?
–দেখো,সন্দেহ না করে কি করব?ও
তো তোমার কেউ ছিল না,বা আমি তো
জানতাম না যে ও তোমার কাজিন।
–হুম৷জিজ্ঞাসা তো করতে পারতে?
–জিজ্ঞাসা করিনি বলে এমন করবে???তুমি
না আমাকে ভালোবাসো?তাহলে এত কিছু কেন করলে
–যাই হোক,যা হবার হয়ে গেছে৷এখন এগুলো বাদ দাও,আর আমরা নতুন করে
সংসার করব।
–হুম বাদ দিলাম৷কিন্তু একটা সমস্যা যে হয়ে গেছে
–কি সমস্যা হইছে(অবাক চোখে)
–আসলে তুমি চলে যাবার পর অনেক ভেঙে
পরেছিলাম৷আর তখন……
–তখন কি????
–তখন আমাদের পাশের বাসার তাজনুর
আমার পাশে দাড়ায়,আর আমি ওকেই
বিয়ে করে ফেলছি..
—কিহহহহহহ,এই আরমান এই টা তুমি কি বললে?তুমি এটা আমাকে কি শুনালে?
আরমান তুমি একটা বার বলো তুমি যা বলছো মিথ্যা বলছো(কান্না করে দিছে)
— দেখো এবার প্রিয় মানুষকে অন্যের হয়ে যেতে দেখলে কেমন লাগে(মনে মনে)
–কি হলো চুপ কেন?প্লিজ আরমান এমন করো না তুমি বলো ,এই মুহুর্তে যা বলছো সব মিথ্যা
–হুম
–হুম কি
–বিয়ে করছি
–তার মানে তুমি সত্যিই বিয়ে করছো?
আমি এখন নিজেকে শেষ করে দিবো
–এই দেখো ঊল্টা পাল্টা কথা বলবা না৷
আমি না থাকলে কি?হৃদয় তো আছেই
–ছিঃ আরমান,তোমাকে আগেই বলছি ওকে
আমি নিজের ভাইয়ার মত মনে করি
আর তুমি এটা বলতে পারলে?
–কি বলব বলো?আমি তো বিয়ে করেই
ফেলছি৷এখন তোমার জন্য তো কিছু
একটা করতে হবে তাই না?
–হুম৷আমার জন্য একটা কাজ করো,আমি এখন নিজেকে শেষ করে দিবো,আর আমার দেহটাকে মাটিতে পুতে রেখো,(কান্না করতে করতে)
বলেই লাবন্য দৌড় দিল,আমি দিলাম
ভো দৌড়,পাগলিটার সাথে
মজা করতে গিয়ে তো দেখছি বিপদ
ডেকে আনলাম৷অনেকক্ষন দৌড়াতে দৌড়াতে ওর হাত টা ধরে ফেললাম৷আর ধরার পরই
–আমাকে ছেড়ে দাও আরমান,আমি মরে যেতে চাই
–তুমি মরে গেলে,এই পাগলটার কি হবে?
–কি হবে আবার?তুমি তো তাজনুর নাকি ,কি যেন কাকে বিয়ে করছো?ওকে নিয়েই থাকো(এখনও কান্না করছে)
–আরে বোকা,আমি কাউকে বিয়ে টিয়ে করিনি আমি তো শুধু আমার এই পাগলি টাকেই ভালোবাসি
–তাহলে এমন করলে কেন?
–ওই যে আমাকে কষ্ট দিছো? তোমাকে সন্দেহ করেছি বলে আমাকে কষ্ট দিছো,
–তার মানে কি প্রতিশোধ নিলে?
— না লাবন্য প্রতিশোধ আমি নেইনি,
প্রিয় মানুষটাকে সন্দেহ করলে যেমন কষ্ট
পাওয়া যায়,ঠিক তেমন ভাবে তাকে অন্যের হতে দেখলে বা তার পাশে দেখলেও তার চেয়ে বেশি কষ্ট হয়৷আর আমাকে যখন কষ্ট দিলে,
আমিও যদি তোমার মত ধৈর্য না ধরে নিজেকে
শেষ করে দিতাম তাহলে হয়ত আজকে আমাকে আর পেতে না!
–এই দেখো,তুমি না একদমই এগুলো বলবানা
–হুম
–দেখছো সন্ধ্যে হয়ে গেছে,এবার চলো
–হুম যাবো তো,তবে তার আগে একটা…….
–একটা কি?
–একটা উম্মা দিবা
–এএএএএএ
–দিবা কিনা বলো
–না,দিবো না
–তাহলে ওই তাজনুরের কাছে চলে যাই?
ও তো প্রতিদিনই আমাকে দিতে
চায়🤭
–ওই কি বললি তুই?দাড়া তোকে উম্ম্মাহহহহহহ খাওয়াচ্ছি
বলেই লাবন্য আমার কলার ধরল৷আর আমাকে কলার ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে৷আমি
অবাক হয়েই শুধু ভাবছি একটা মেয়ে এতটা হিংস্র
হয় কিভাবে৷আর তখন লাবন্যর চোখটা একটু অস্পষ্ট
হলেও রাস্তার ল্যাম্পের আলোয় বুঝা যাচ্ছে
ওর চোখ লাল হয়ে আছে৷ফুপাতে ফুপাতে
আমাকে টানতে লাগল৷আমি হেব্বি ভয় পেয়ে গেলাম৷
কারন লাবন্যকে তখন অনেক ভয়ংকর লাগছিল৷
যেটা আগে কখনই দেখিনি
এক পর্যায়ে বাসার সামনেই এসে পরলাম৷আর
তখনই আমাকে কলার ছেড়ে ও একটু স্বাভাবিক
ভাবে আমাকে ভিতরে নিয়ে গেল৷আর ভিতরে
গিয়ে ওর বাবাকেও দেখতে পেলাম৷আমাকে
লাবন্য তখন একটা রুমে নিয়ে গেল৷আর হঠাৎ বাইরে
থেকে তালা মেরে আমাকে রুমে আটকিয়ে
রেখে চলে গেল৷
মাথায় কিছুই ডুকছে না৷লাবন্য আমাকে
আটকিয়ে রাখল কেন?
তাও আবার তালা মেরে কেন?
মাথাটা নানা রকন চিন্তা ঘুরপাক খেতে লাগল৷
এদিকে রাত প্রায় ১০টা বেজে যাচ্ছে৷পেটের খিদেও
পাচ্ছে অনেক৷খিদের জ্বালায় পেট চো চো করছে৷
কি যে করি?কিছুই মাথায় আসছে৷
এইদিকে ভিতর থেকে কতবার ডাকলাম কেউ
আমার ডাকে সাড়া দিল না৷আমি এতিমের
মতই রুমে আটকে রইলাম৷আর এই দিকে
খিদা কত প্রকার আর কি কি?সজ্ঞা সহ বুঝে
যাচ্ছি৷ওপপপপস কি খিদারে??????
দরজা টা কেউ একটু খোল খাইয়া নিই আগে৷
হঠাৎই বাইরে থেকে বাতির আলো আসল৷
বুঝতে পারলাম দরজা খুলছে৷আমি দরজার কাছে
যেতেই দেখি সামনে লাবন্য দাড়িয়ে আছে৷
আমি তো দেখেই ভয় পেয়ে গেছি৷কিন্তু
তখনও ওর চেহারা স্পষ্ট না৷কারন আমি
যে রুমে এতক্ষন ছিলাম সেটার বাতি অফ ছিল৷
আর দরজায় আলোর বিপরীতে লাবন্য ছিল৷আমি
আস্তে আস্তে সামনে যেতেই দেখলাম৷লাবন্য
অনেক সেজেছে৷
আই ইয়াম্মা,পেত্নিটাকে থুক্কু পাগলিটাকে তো হেব্বি
সুন্দর লাগছে৷হঠাৎ ও সাজল কেন?আমি তো
অবাক হয়েই ওর দিকে তাকিয়ে আছি৷এত সুন্দর
একটা মায়াবিনী আমার সামনে আছে দেখলেই
মনটা ভরে যায়৷ওকে দেখে তো খিদের কথাই ভুলে গেছি৷আর তখনই আস্তে আস্তে সামনে আসল৷
আমি ভাবতেছি হয়ত এখন একটু
আদর টাদর করবে৷কারন সুন্দর করে সেজেছে
হয়ত ভালোই হবে আমার জন্য কিন্তু ও সামনে আসার পর তার উল্টো টা হলো৷
ও এসেই আবারও আমার কলার ধরল৷আর রাগি
ভাবেই আমাকে টান দিয়ে অন্যরুমে নিয়ে গেল৷
দেখলাম মোর আব্বাজান,লাবন্যর
বাবা সবাই মাথায় টুপি দিয়ে বসে আছে৷ব্যাপার কি?
হঠাৎই দেখি গ্রামের ছাদেক আলি কাজিও এখানে
৷বুঝতে পারছিনা কি হবে?কার বিয়ে?
আমার আর লাবন্যর বিয়ে তো সামনের শুক্রবার
তবে আজকে কাজি কেন?
তার মানে কি অন্য কারো বিয়ে হবে নাকি৷
তখনই লাবন্য টান দিয়ে আমাকে
নিচে বসালো আর কিছু বুঝে উঠার আগেই
আমাদের বিয়ে হয়ে গেল৷
আর সবার কাছ থেকে দোয়া নিয়ে৷লাবন্য আমার
অন্য রুমে নিয়ে গেল৷আর রুমটাও অনেক
সুন্দর করে সাজানো৷বাসর ঘর যেমন হয় আরকি?
কিন্তু এত কম সময়ে এত কিছু করল কিভাবে?
তখনই মোর হারামি বন্ধু রনি আর হৃদয় উপস্থিত৷
এসেই বলল
–দোস্ত,সুখি হ৷আর এগুলো আমরাই করেছি৷
আমরা ৩জন মিলেই করেছি৷কিছু ভাবিস না(রনি)
–যাই রে ভাই,ভালো থাকিস,তোকে কিছুই বলতে পারছি না,কারন তুই একদিকে আমার বন্ধু অন্যদিকে
ছোট বোনের জামাই(হৃদয়)
–শালা,তাহলে কিছু বল আর না বল,দুলাভাই
আগে ক…..এতদিন পর তোকে শালা বলার
পুর্ণতা পেল৷এবার আল্লাহর কাছে শুকরিয়া
আদায় কর(আমি)
–হ হ ৷করমু নে৷এখন যাই(হৃদয়)
তারপরই ওরা চলে গেল৷আর ওরা চলে যাবার
পরই লাবন্য আমাকে বলল
–এই পাগল,এখন ওযু করে আসো
–ওযু করব কেন?
–আরে পাগল,এই দিনে আল্লাহর কাছে
নফল নামায আদায় করতে হয়।
–তাহলে আমি ওযু করে আসছি৷তুমিও আসো।
তারপরই দুজনে ওযু করে আসলাম৷আর তখনই
লাবন্য আমাকে সালাম করল৷
আমার তো অন্যরকম লাগছে৷তারপরও কিছু বলছিন৷পা থেকে ওকে টান দিয়ে বুকে আনলাম৷আর আমি
বললাম…
–লাবন্য!তোমার স্থান আমার পায়ে নয়,এই বুকে বুঝেছো,আর চলো আগে এশারের
নামাজ আদায় করি৷তারপর নফল
–হুম৷এটাই ভালো হবে
তারপরই দুজনে নামাজ পরা শেষ করলাম৷
আর তখনই লাবন্য বলল..
–আমরা আল্লাহর কাছ থেকে অনেক কিছু
পাইছি,আর সব থেকে বড় ,তোমাকে পাইছি
–হুম
–তো এখন থেকে আমরা আল্লাহর পথেই চলব
–হুম৷তো আগে থেকে চললে আরও বেশি ভালো হত না?
–হুম৷কিন্তু এখন থেকে ঠিকমত নামাজ আদায় করব। সব সময় ভালো কিছু করতে চেষ্টা করব আর অকল্যাণকর কাজ থেকে বিরত থাকবো।আমাদের সহ সকল পাঠক পাঠিকাদেরও যেনো উত্তম জীবন দান করেন।
–আমিন
তখনই লাবন্য আস্তে আস্তে আমার বুকে মাথা রাখল৷
আর আমি খাটে বসে আছি৷আর ও বাচ্ছাদের মতই
মাথা রেখে শুয়ে আছে৷
আর বলছে.
–আচ্ছা আরমান,আমাকে খুব ভালো
বাসো তাই না?
–হুম
–সব সময় আমাকে তোমার এই বুকের
মধ্যে এভাবে রাখবে তো?
–হুম৷আমি মরার আগ পর্যন্তু তোমাকে এই বুকে আগলে রাখব৷
–আর শুনো আমাদের বিয়ে আগে হইছে ,তারপরও কিন্তু সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠানটা করব৷
–হুম
–একটা কথা বলব
–হুম বলো
–জানো আরমান,আমার না খুব ইচ্ছে করে,
তুমি গল্প লিখবে আর আমি তোমার পাশে থেকে গল্প লেখা দেখব
–হঠাৎ গল্পের কথা আনলে কেন?
–কেন আবার?তুমি জানোনা?তোমাকে যেমন ভালোবাসি তেমনি তোমার গল্পকেও
–তাই?
–হুম৷আর আমার সব থেকে প্রিয় রাইটার তুমি৷
ভাবতেই অবাক লাগে আমার প্রিয় রাইটার আর কেউ না
আমারই স্বামি৷আর আমি তার স্ত্রী৷
–হুম৷
–আচ্ছা তুমি কি এখন আর গল্প লেখো না,একদম সত্যি কথা বলবা
–হুম লিখি তো
–কীহহহহহহ(বুক থেকে উঠে আমাহ মুখের সামনে এসে বড় বড় করে তাকালো)
–হুম
–তো আমাকে বলোনি কেন?
–তুমি কি আমাকে জিজ্ঞাসা করছো নাকি?
–আমি তো প্রতিদিনই তোমার
“বোকা রাজপুত্র” আইডিতে গল্প খুজি কিন্তু পাই না তো
–আরে আমি তো নতুন পেইজে গল্প লিখি
–নতুন পেইজ?সেটা আবার কোনটা?
–“হৃদয়ের কথা”
-এখন তাড়াতাড়ি বলো,গল্প কই,আর এখনি আমাকে দেখাও
–আরে বাসর রাত্রে কেউ গল্প পড়ে নাকি?
পরে পড়ো,এখন আমরা গল্প করব
–না,আমি ওখানেই পরব
লাবন্যকে অনেক বুঝাতে চাইলাম৷কিন্তু মানল না
আর অবশেষে বাসর রাতেই তার জন্য ফেসবুকে ডুকতে হলো,আর তাকে গল্প সামনে দিতেই ও হেব্বি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল৷আর সে বলল
–ওই ,তোমার গল্পের নাম কি এটা?
–দেখো
–গল্পের নাম “বসের দেমাগি মেয়ে”
–হুম
–দাড়াও দাড়াও পড়ে নিই আগে৷
তারপরই লাবন্য গল্প পড়া শুরু করল
৷আর একটু পর পর বাচ্ছাদের মত
কখনও হাসি,কখনও হাত তালি দিতে লাগল৷
যেটা দেখে আমি অনেক মূগ্ধ হতে লাগলাম৷
কারন এত বড় একটা বাচ্ছাদের মত করছে৷
কতই না অদ্ভুদ ,তবে সেটা আমার খুব খূব ভালো
লাগছে৷যাই হোক গল্প পড়া শেষ করেই আমাকে বলল
–ওই,তোমার কত্ত বড় সাহস তুমি তো দেখছি আমাকে দেমাগি মেয়ে বলছো🤬
আর সেই গল্প ফেসবুকে লিখে পোষ্ট করছো
–হি হি হি৷হুম৷কোনো সমস্যা?
–যাইহোক তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো?এত মানুষের
সামনেও তুমি আমাকেই উপস্থাপন করলে?
জানো আরমান আমি না সত্যিই খুব ভাগ্যবতি।
–কিভাবে?
–এই দেখো,যার গল্প এত লাইক করি,নিজেকে
সবসময় যার গল্পের একজন পাঠিকা ভাবতাম৷আজ
তার গল্পের নায়িকা আমি নিজেই,তো বলো এটা কি কম নাকি
–গল্পের নায়িকা হইছো ,সেটা খেয়াল করছো,আর তুমি যে বাস্তবেই আমার লাইফের নায়িকা হয়ে গেছো,সেটা খেয়াল করোনি
–উপপস ভুলেই তো গেছি !সত্যিই তোমাকে এত্তগুলা
উমমমমমমমমমমমমা৷
বলেই লাবন্য আমাকে একটা উম্মা দিল৷তখনই
মনে একটা ফাজলামি চিন্তা ডুকল৷আর আমি তখনই বললাম
–আমার না খুব খিদে পাইছে গো
–আগে বলো নাই কেন?
–এখন কি হবে?এতো রাতে আম্মু তো জেগেও নেই৷খাবো কি?
–হুম সেটাই তো৷দাড়াও আমি খাবার নিয়ে আসছি
–খাবার খাবো না
–তো কি খাইবা
-ওই যে ,উম্মা খাবো
–যাও সয়তান কোথাকার
–হুম৷তাড়াতাড়ি দাও,খুব খিদা পাইছে
–আমার লজ্জা করে
–ওরে আমার লজ্জাবতীরে
দিবা কিনা বলো
–তাহলে অন্যদিকে একটু তাকাও
–হুম
অন্যদিকে তাকাতেই লাবন্য আমাকে উম্মা দিতে যাবে
তখনই আমি তাকে উম্মা দিতে লাগলাম
–ওই ছাড়ো বলছি,দুষ্টু কোথাকার
–আজ সারারাত শুধু উম্মা চলবে ,আর ওইটা খেয়েই পেটের খিদে আর মনের খিদা মিটাবো
—এএএএএ
—এএএ না হ্যা..
বলেই শুরু হয়ে গেল.
ওই ,,,আপনারা এখনও এখানে কি?যান তো এবার? আর সামনের শুক্রবার কিন্তু দাওয়াত রইল৷ আর আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন৷
—————-!!! সমাপ্ত!!! ————–