সিনিয়র আপু যখন বউ পর্ব_০৩


সাদিয়াঃ তোকে আজ না খেয়ে যাওয়া লাগবেনা।
আমিঃ আপনি এমন লেট করলে তো না খেয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
সাদিয়াঃ বারে আমি তৈরি হবোনা।
আমিঃ আপনাকে তো এমনি সুন্দর লাগে তারপর আবার সাজার দরকার কি।
সাদিয়াঃ,,,,,,,,,।(লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো।)
তারপর আমরা নিচে এসে নাস্তা করে বাসা থেকে বার হলাম।আমি যেই রিকশা খুজার জন্য যাবো তখনই সাদিয়া আমাকে বলে,,,,,,,

সাদিয়াঃঐ পিচ্চি শোন।
আমিঃ উফফ!! আপনাকে না বলছি আমাকে পিচ্চি বলবেন না।(বিরক্ত ভাব নিয়ে)
সাদিয়াঃ পিচ্চিকে পিচ্চি বলবো না তো কি বলবো।(হেসে হেসে)
আমিঃ ধুর, বলেন কি বলবেন।
সাদিয়াঃ চল না আজ হেটে যায়।
আমিঃ কিহ্ এত দূর হেটে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
সাদিয়াঃ কেন একদিন হেটে গেলে কি হয় শুনি।
আমিঃ আপনার ভার্সিটিতে যেতে দেরি হবেনা।
সাদিয়াঃ একদিন দেরি করে গেলে কিছু হবেনা।
আমিঃ আচ্ছা চলেন তাহলে।
সাদিয়াঃ উফফ!! শেষ মেষ পাগলটা হেটে যেতে রাজি হলো তাহলে। আচ্ছা ওকি একটু ও বুঝতে পারছেনা যে আমি শুধু ওর সাথে সময় কাটানোর জন্য হেটে যাচ্ছি।(মনে মনে)
আমিঃ কি হলো একটু জরে হাটুন।
সাদিয়াঃ আমি এর থেকে বেশি জরে হাটতে পারিনা।
আমিঃ আজ যে ওর কি হলো। কিছুই বুঝতে পারছি না। আজ নাকি তার দেরিই হচ্ছে না।(মনে মনে)
সাদিয়াঃ ঐ পিচ্চি তোর কোন GF আছে।
আমিঃ মানে।(অবাক হয়ে)
সাদিয়াঃ এমন ভাব ধরছিস যেন কিচ্ছু বুঝিস না।
আমিঃ আসলে হঠাৎ কথাটা জিজ্ঞেস করলেন তো তাই বুঝতে পারিনি।
সাদিয়াঃ এখন তো বুঝতে পারছি তাহলে বল GF আছে নাকি।
আমিঃ না নেই।
সাদিয়াঃ আর থাকলেও আমি তাকে মেরে ফেলতাম। (বির বির করে)
আমিঃ কি বললেন।
সাদিয়াঃ হুমম এমন পিচ্চির সাথে কি কেউ প্রেম করতে চায় নাকি।
আমিঃ আপনাকে আর কত বার বলবো যে আমি পিচ্চি না।
সাদিয়াঃ তাহলে কি তুই বুড়ো নাকি।
আমিঃ আপনার সাথে এসব নিয়ে কথা বলা খালি-খালি। যান আপনার ভার্সিটি চলে আসছে।
সাদিয়াঃ ধুর আজ রাস্তাটা যে কেন এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো।(মনে মনে)
আমিঃ আচ্ছা এখন তাহলে আমি যায়।
সাদিয়াঃ ঐ শোন কলেজ ছুটির পর সোজা রিকশা নিয়ে এখানে চলে আসবি।যদি দেখি আজও অন্য কোন মেয়ের সাথে তাহলে তোকে যে কি করবো সেটা তুই ভাবতে ও পারবি না।
আমিঃ আচ্ছা আসবো না। কিন্তু যদি রিকশা না পাই তাহলে।
সাদিয়াঃ প্রয়োজন হলে হেটে আসবি বুঝলি।
আমিঃ ঠীক আছে।(ভয়ে ভয়ে)
সাদিয়াঃ আর শোন রাস্তার এক পাশ দিয়ে যাবি বুঝলি।
আমিঃ আচ্ছা।
এই কথা বলে আমি আমার কলেজে চলে গেলাম। কলেজে যেতেই দেখি কথা আর আমার কিছু বন্ধু দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাছে যেতেই,,,,,,,,,

কথাঃ কিরে আজ এত দেরি করলি যে।
আমিঃ আর বলিস না রিকশা পাইনি।(মিথ্যা বললাম)
কথাঃ তাহলে কাল থেকে বরং আমি তোকে বাসা থেকে নিয়ে আসবো।
আমিঃ এই না না। তার কোন দরকার হবেনা। আমি একাই আসতে পারবো।
রিদয়ঃ আবার না করছিস কেন।ওতো ঠীক বলছে আর তাছাড়া তোরা তো একই রাস্তা দিয়ে আসিস।
আমিঃ কেন না করছি সেটা যদি তোরা বুঝতি তাহলে আর এই কথা বলতিস না।আর সাদিয়া যদি এই কথা শোনে তাহলে তো আমি শেষ। (মনে মনে)
কথাঃ কিরে কি ভাবছিস।
আমিঃ নাহ্ কিছু না চল ক্লাসে যায়।
তার পর আমি ক্লাস শেষ করে বাইরে আসছি।
কথাঃ চল এক সাথে যাওয়া যাক।
আমিঃ নারে তুই যা আমার একটু দেরি হবে।
কথাঃ সমস্যা নাই। আমার ও এত তাড়া নেই।
আমিঃ আরে আমার জন্য তুই কেন শুধু শুধু দেরি করবি।তুই চলে যা। আমি একটু পরে আসছি।
কথাঃ আচ্ছা থাক তাহলে তুই আমি গেলাম।
আমিঃ আচ্ছা যা।কাল দেখা হবে।
তার পর কথা চলে গেলো আর আমিও একটু পরে অন্য একটা রিকশা নিয়ে সাদিয়ার ভার্সিটির সামনে এলাম। কিন্তু কথাও সাদিয়া কে দেখতে পেলাম না।তাই আমি রিকশা থেকে নেমে সাদিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম এমন সময় কথা থেকে একটা অপরিচিত মেয়ে এসে আমাকে বলে,,,,,,,,

অপরিচিতাঃ কি দুলাভাই আমার বান্ধবী কে খুজছেন নাকি।
আমিঃ সরি আপনার কথাও ভুল হচ্ছে।আর আমিতো আপনাকে ঠীক চিনলাম না।
অপরিচিতাঃ আরে দুলাভাই আপনি আমাকে চিনবেন না।কিন্তু আমি আপনাকে ঠীকই চিনি।
আমিঃ আপনি আমাকে চিনেন কি ভাবে। আর আমাকে দুলাভাই বলার কারণ কি।
অপরিচিতাঃ শুনুন তাহলে আ।(কিছু বলতে যাবে এমন সময় কথা থেকে সাদিয়া এসে)
সাদিয়াঃ কিরে তুই এখানে।
অপরিচিতাঃ হুমম দুলাভাই এর সাথে পরিচিত হচ্ছিলাম।
সাদিয়াঃ হয়ছে আর পরিচিত হওয়া লাগবে না এখান যা।
অপরিচিতাঃ বাব্বা পরিচিত হলে বুঝি আমি নিয়ে যাবো নাকি।
সাদিয়াঃ ঐ এত বেশি কথা বলিস কেন হ্যা।তোকে যেতে বলছি যা এখন। আমি পরে পরিচয় করিয়ে দেবো।
অপরিচিতাঃ আচ্ছা বাবা যাচ্ছি।
সাদিয়াঃ আর তুই এমন হা করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন তাড়াতাড়ি রিকশায় উঠে বোস।
তারপর আমি চুপ করে রিকশায় বসলাম।একটা কথা মাথায় আসছে না ঐ মেয়েটা কেন আমায় দুলাভাই বললো। আর আমি তো ওকে চিনিও না।

আমিঃ আচ্ছা ঐ মেয়েটা কে।
সাদিয়াঃ আমার বান্ধবী।
আমিঃ ও আমাকে দুলাভাই বললো কেন।
সাদিয়াঃ কেন বললো সেটা তোকে জানতে হবে না। এখন চুপ করে বসে থাক না হলে রিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবো।
এই কথা শোনার পর আমি আর কোন কথা বললাম না। কিছু বললে সত্যি সত্যি যদি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এই মেয়েকে তো বিশ্বাস নাই।

সাদিয়াঃ ঐ শোন আজ আমার এক বান্ধবীর জন্মদিনের অনুষ্ঠান আছে বুঝলি।
আমিঃ বুঝলাম কিন্তু এই কথা আপনি আমাকে কেন বলছেন।
সাদিয়াঃ কেন বলছি বুঝিস না। কারণ তোকে আমার সাথে যেতে হবে।
আমিঃ আপনার বান্ধবীর অনুষ্ঠানে আমাকে কেন যেতে হবে।
সাদিয়াঃ আরে বাসা থেকে কি আমায় একা যেতে দেবে নাকি।তাইতো তুই আমার সাথে যাবি।
আমিঃ আমি নাকি বাচ্চা তো আমাকে কেন নেবে।(মজা করে)
সাদিয়াঃ তুই বাচ্চা তাই তোকে ঘুরতে নিয়ে যাবো বুঝলি।
আমিঃ আচ্ছা ঠীক আছে যাবো।
তারপর সাদিয়া আমার কাধে মাথা রাখলো।উফফ!! এযেন অন্য এক অনুভূতি। নিজেকে আজ কেমন জানি প্রেমিক প্রেমিক মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে নিজের GF কে রিকশা করে নিয়ে ঘুরছি।

সাদিয়াঃ ঐ শোন তোর কাধে মাথা রাখছি বলে তুই আবার মনে মনে অন্য কিছু ভাবিস না। বুঝলি।মাথা ব্যাথা করছে তাই রাখছি।
আমিঃ আমিতো কিছু মনে করিনি।
সাদিয়াঃ পাগল একটা ওর কাধে মাথা রাখার জন্য আমি একটু মিথ্যা কথা বললাম তাই বিশ্বাস করে নিলো।(মনে মনে)
আমিঃ ঐ বাসায় চলে আসছি এখন কি নামবেন নাকি এভাবে থাকবেন।
সাদিয়াঃ এভাবে তোর কাধে মাথা দিয়ে থাকতে আমার বয়েই গেছে।
আমিঃ আচ্ছা তাহলে নামুন এখন।
সাদিয়াঃ ধূর আজ যেন রাস্তাটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো। মন চাচ্ছে এভাবে ওর কাধে মাথা রেখে পারিদি জীবনের বাকিটা পথ।(মনে মনে)
তারপর আমি আমার রুমে এসে সুয়ে থাকি। সন্ধ্যায় আবার সাদিয়ার সাথে যেতে হবে। বিকালের দিকে সাদিয়া আমার রুমে এসে বলে,,,,,,

সাদিয়াঃ কিরে তুই এখনও শুয়ে আছিস তো যাবি কখন।
আমিঃ যাবেনতো সেই সন্ধ্যায় তাহলে এখন শুয়ে থাকবো নাতো কি করবো।
সাদিয়াঃ কি করবি মানে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়েনে।
আমিঃ আচ্ছা।
তার পর সাদিয়া চলে গেলো আর আমি তৈরি হতে লাগলাম। একটু পর সাদিয়া আবার আসলো ওর হাতে একটা প্যাকেট দেখতে পেলাম,,,,,

সাদিয়াঃ ওয়াক থু এটা কি পড়ছিস তুই।
আমিঃ কেন কি হয়ছে আর এটাই তো ভালোই লাগছে আমাকে।
সাদিয়াঃ ভালো লাগছেনা ছাই একদম বাজে। যা এটা পরে আয়।(প্যাকেট টা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে)
আমিঃ এই প্যাকেটে কি আছে।
সাদিয়াঃ আরে নিলেই তো দেখতে পারবি ভেতরে কি আছে।
তার পর আমি প্যাকেট টা নিলাম। খুলে দেখি ওর ভেতর একটা পাঞ্জাবি আছে।পাঞ্জাবি টা দেখতে খারাপ না পছন্দ আছে বলতেই হবে।

আমিঃ এটা কার জন্য ।
সাদিয়াঃ আজব কথা। তোকে দিয়েছি মানে তো তোর জন্য এনেছি তাই না।
আমিঃ এটা আবার আপনি কখন কিনলেন।
সাদিয়াঃ ঐ এত কিছু জেনে তুই কি করবি হ্যা পড়তে বলছি চুপচাপ পড়বি।(শার্টের কলার ধরে)
আমিঃ আচ্ছা ঠীক আছে।(ভয়ে ভয়ে)
তারপর আমি পাঞ্জাবি টা পড়ে তৈরি হয়ে বাইরে আসলাম। বাইরে সাদিয়ার সামনে আসতেই দেখি সাদিয়াআজ শাড়ি পড়েছে এতে ওকে আরো সুন্দর লাগছে। এক বিষয় খেয়াল করলাম ওর শাড়ির সাথে আমার পাঞ্জাবি টা ম্যাচিং করা। আর শাড়িটা ও কেন জানি খুব চেনা চেনা লাগছে হুমম মনে পড়েছে এটাতো সেই শাড়ি যেটা সেদিন মার্কেটে গিয়ে দেখছিলাম শাড়িটা আমার খুব পছন্দ হয়ছিলো এর পরতো সাদিয়া রাগ করে মার্কেট থেকে চলে আসলো।

সাদিয়াঃ কিরে ওখানে দাঁড়িয়ে কি দেখছিস।
আমিঃ তোমাকে।(আনমনে)
সাদিয়াঃ কি বললি।
আমিঃ না কিছুনা একটা কথা বলি রাগ করবেন না তো।
সাদিয়াঃ কি কথা বল।( ভ্রু-কুঁচকে)
আমিঃ আগে বলুন রাগ করবেন না।
সাদিয়াঃ আচ্ছা যা রাগ করবোনা এখন বল কি কথা।
আমিঃ আপনাকে না অনেক সুন্দর লাগছে।
সাদিয়াঃ,,,,,,,,,। (কিছু না বলে লজ্জায় মাথাটা নিচু করে নিলো।)
তার পর আমরা ওর বান্ধবীর বাসায় পৌছে গেলাম। সাদিয়া আমাকে বলে,,,,,,

সাদিয়াঃ ঐ তোমাকে যেন অন্য কোন মেয়ের দিকে না তাকাতে দেখি।যদি তাকাও তাহলে কিন্তু চোখ একদম তুলে ফেলবো।
আমিঃ আচ্ছা ঠীক আছে কারো দিকে তাকাবো না।(ভয়ে ভয়ে)
সাদিয়াঃ হুমম মনে থাকে যেন। আর এখানে দাড়িয়ে থাকো আমি আসছি।
এই কথা বলে সাদিয়া চলে গেলো। আর আমি দারিয়ে দারিয়ে ভাবতে লাগলাম হঠাৎ করে ও আমাকে তুমি করে বলছে কেন।
অন্যদিকে সাদিয়া,

সাদিয়ার বন্ধুঃ কিরে ছেলেটা কে।
সাদিয়াঃ আরে তোদের আরমান এর কথা বলছিলাম না ঐ হচ্ছে সেই আরমান।
সাদিয়া বন্ধুঃ ওও তার মানে ইনি সে যে আমাদের বন্ধুর মন চুরি করছে।( হেসে হেসে)
সাদিয়াঃ ঐ আস্তে বল না হলে শুনে ফেলবে আবার।
সাদিয়ার বন্ধুঃ কেনরে তুই ওকে তোর মনের কথা এখন ও বলিস নাই।
সাদিয়াঃ বারে মনের কথা বলার জন্য কি সময় শেস হয়ে যাচ্ছে নাকি।ওতো শুধু আমারই থাকবে।
সাদিয়ার বন্ধুঃ তারপর ও তোর মনের কথাটা তো ওকে বলে দিয়ে দেখ একবার ওর মনে ভেতর কি তুই আছিস নাকি অন্য কেউ।
সাদিয়াঃ আমি ছাড়া অন্য কেউ থাকলে মেরেই ফেলবো।
সাদিয়ার বন্ধুঃ যায় বলিস না কেন দোস্ত দুলাভাই দেখতে কিন্তু খুব হ্যান্ডস্যাম।
সাদিয়াঃ দেখতে হবেনা জামাইটা কার।
সাদিয়ার বন্ধুঃ হুমম মন চাচ্ছে আমি প্রপোজ করে দি।
সাদিয়াঃ ঐ একদম নজর দিবিনা বলে দিলাম।
সাদিয়ার বন্ধুঃ বিয়ে হয়নি এখন থেকে এত ভালোবাসা।
সাদিয়াঃ বারে এখানে ভালোবাসার কি দেখলি।
সাদিয়ার বন্ধুঃ আচ্ছা তাহলে এত কেয়ারিং কেন হ্যা।
সাদিয়াঃ ধুর তুই যে কি বলিস। আচ্ছা যায় ও একা একা আছে।
সাদিয়ার বন্ধুঃ হুমম যা আর আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবিনা।
সাদিয়াঃ হুমম দেবতো কিন্তু আগে বিয়েটা হক তারপর।
অন্যদিকে,
ধুর কথায় যে গেলো আমাকে রেখে।না পারছি এখান থেকে সরতে। এখান থেকে সরলেই তো না যানি কি করে। কত সময় এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকা যায়। আরে ঐতো আসছে মহারাণী কিন্তু ওকে এমন রাগী দেখাচ্ছে কেন।আমিতো কারো সাথে কোন কথা বলিনি।

সাদিয়াঃ তুমি এখন ও এখানে দারিয়ে আছো কেন।
আমিঃ বারে আপনি না বললেন এখানে দারিয়ে থাকতে। তাইতো আপনার কথা মত এখানে দারিয়ে আছি।
সাদিয়াঃ সত্যি কি আমার কথা মত দারিয়ে আছো নাকি। এখানে দারিয়ে দারিয়ে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলছো।
আমিঃ আরে তুমি যে কি বলোনা।আমি কেন এমন করবো। ওহ্ সরি।
সাদিয়াঃহুমম ঠীক আছে কিন্তু সরি কেন।
আমিঃ আসে আপনাকে তুমি করে বলছি তো তাই।
সাদিয়াঃ সমস্যা নাই এখন থেকে আমাকে তুমি করে বলতে পারো। আর আমিও তুমি করে বলবো।
আমিঃ সত্যি।
সাদিয়াঃ হুমম সত্যি। এখন চলো।
আমিঃ কথায়।
সাদিয়াঃ তো কি এখানে দারিয়ে থাকবে নাকি।।
আমিঃ আচ্ছা চলুন তাহলে।
তার পর আমি আর সাদিয়া আমি পাশাপাশি হাঁটতে লাগলাম।

সাদিয়াঃ এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়েরা আসছে তাইনা।
আমিঃ হ্যা।(আনমনে)
সাদিয়াঃ কি বললি।(রাগী ভাবে)
আমিঃ হুমম সত্যিই তো বলছি।(রাগানোর জন্য)
সাদিয়াঃ ঐ কুত্তা তুই বলে কোন মেয়ের দিকে তাকাসনি তাহলে এটা জানলি কি করে। এখানে অনেক সুন্দর সুন্দর মেয়ের মেয়েরা আসছে।(কান্না ভরা কন্ঠে)
আমিঃ আরে আরে তুমি কাঁদছো কেন।
সাদিয়াঃ যা শয়তান তুই অনেক খারাপ। (কেঁদে দিয়ে)
আমিঃ এই প্লিজ কান্না থামাও। আরে বাবা আমি তো তোমাকে রাগানোর জন্য মিথ্যা বলছি।
সাদিয়াঃ না তুমি এখন আমার কান্না থামানোর জন্য মিথ্যা বলছো।
আমিঃ আরে নাহ্ আমার দেখা এখানে সুন্দর কেউ যদি থাকে সেটা হচ্ছে তুমি।
সাদিয়াঃ সত্যি তো।(লজ্জা মাখা মুখে)
আমিঃ হুমম সত্যি। এবার তো কান্না থামাও।
সাদিয়াঃ আচ্ছা।
আমিঃ তো এবার কি খাওয়ার ব্যবস্তা করবে।খুব ক্ষুধা লাগছে তো। নাকি না খেয়ে বাসায় যেতে হবে।
সাদিয়াঃ তুমি এখানে বসো আমি তোমার জন্য খাবারের ব্যবস্তা করছি।
এই কথা বলে সাদিয়া আমাকে বসতে দিয়ে চলে গেলো। আমি বসে আছি এমন সময় কয়েকজন মেয়ে এসে আমাকে বলে,,,,,,

১ম জনঃ ভাইয়া আমরা কি এখানে একটু বসতে পারি।
আমিঃ হুমম বসেন।(এই কথা বলে আমি চলে যেতে লাগলাম)
অন্য একজনঃ আরে আপনি উঠছেন কেন আপনিও বসেন না আমাদের সাথে।
আমিঃ না সমস্যা নাই আপনার বসেন।
১ম জনঃ আরে বসেন তো গল্প করি।(আমার হাত ধরে জর করে বসিয়ে দিলো।
আমিঃ না না আমি গল্প করবোনা। আপনারাই বসে গল্প করুন।
কথাটা বলে যেইনা পেছনে ঘুরলাম দেখি সাদিয়া রাগী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

আমিঃ বিশ্বাস করো আমি এই মেয়ে গুলোকে চিনিনা।
সাদিয়াঃ,,,,,,,,,,,,,।(চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে)
আমিঃ সত্যি বলছি আমি এদের কাউকে চিনিনা।
তারপর সবাই আমাকে অবাক করে দিয়ে এক সাথে সবাই হেসে উঠলো। সবার এক সাথে হাসতেছে কেন আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।তারপর সাদিয়া আমাকে বলে,,
সাদিয়াঃ আরে বোকা এরা সবাই আমার বন্ধু।
আমিঃ,,,,,,,,,,,,,।(চুপ করে আছি)
সাদিয়াঃ আমিই তোমার কাছে ওদের পাঠাইছি।
আমিঃ কিন্তু কেন।
সাদিয়াঃ ওরা তোমার সাথে পরিচিত হতে এসেছে।
আমিঃ ও আচ্ছা।
তার পর সাদিয়ার বন্ধুদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ করে আমি আর সাদিয়া খাওয়া দাওয়া করে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। বাসার সিড়ি দিয়ে উঠার সময় হঠাৎ করে সাদিয়ার পায়ে ব্যাথা পেলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

সাদিয়াঃ ও মাগো মরে গেলাম গো।আমার পাটা মনে হয় ভেঙ্গেই গেছে।
আমিঃ আরে তুমি আবার পায়ে ব্যাথা পেলে কি ভাবে।
সাদিয়াঃ দেখলে তো পরে গেছি।
আমিঃ দেখে হাটতে পারো না। হাটার সময় মন কথা থাকে।
সাদিয়াঃআমার মন কি আর আমার কাছে আছে নাকি মনতো আছে তোমার কাছে।(মনে মনে)
আমিঃ চুপ করে না থেকে এখন আস্তে আস্তে হেটে নিজের রুমে যাওয়া চেষ্টা করো।
সাদিয়াঃ হাটবো কি করে। আমি তো উঠে দারাতেই পারছি না।
আমিঃ এখন কি হবে নিজের রুমে যাবে কি করে।
সাদিয়াঃ কি করে মানে। তুমি আমাকে কোলে করে নিয়ে রুমে দিয়ে আসবে।
আমিঃ কিহ্।
সাদিয়াঃ হুমম নাও তুমি এখন আমাকে কোলে করে নিয়ে রুমে দিয়ে আসো।
আমিঃ পারবো না।
সাদিয়াঃ তাহলে যাও তুমি এখান থেকে। আমার রুমে যাওয়া নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা। আমি রুমে যেতে না পারলে সারা রাত এখানেই থাকবো।
আমিঃ হয়ছে আর বাইরে থাকতে হবেনা। নিচ্ছি কোলে করে।
এই কথা বলে সাদিয়া কে কোলে তুলে নিলাম,,,,,,,,,,

আমিঃ বাব্বা কি ভারি মনে হচ্ছে আটার বস্তা নিচ্ছি।
সাদিয়াঃ ঐ কি বললে আমি আটার বস্তা নামাও আমাকে নিতে হবেনা তোমাকে কোলে করে।
আমিঃ আরে না না তুমি আটার বস্তা হতে যাবে কেন। আমার তো তোমাকে একদম হাল্কা মনে হচ্ছে।
সাদিয়াঃ তাহলে বল্লে কেন।
আমিঃ ও তো একটু মজা করছিলাম।
সাদিয়াঃ পাগলটার কোলে উঠার জন্য ও পা ব্যাথার মিথ্যা অভিনয় করতে হচ্ছে। খুব হাসি পাচ্ছে। (মনে মনে)
আন্টিঃ আরে আরে ওর আবার কি হলো।
আমিঃ আর বইলেন না আন্টি আপনার মেয়ে তো এখন ও বাচ্চা আছে তাই তো সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় পায়ে ব্যাথা পাইছে।
সাদিয়াঃ ঐ ভালো হচ্ছে না কিন্তু।
আন্টিঃ আচ্ছা যাও বাবা তুমি ওকে তুমি ওর রুমে দিয়ে আসো।
আমিঃ ঠীক আছে আন্টি।
তার পর আমি সাদিয়া কে ওর রুমে দিয়ে আমি আমার রুমে চলে যায়।পরে দিন সকালে কলেজে যাওয়ার জন্য নাস্তা করছি এমন সময় সাদিয়া কে দেখলাম সিড়ি দিয়ে দৌড়ে নামছে।এটা দেখেতো আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছি। অবাক না হয়ে কি পারা যায় ওর পায়ে তো ব্যাথা তাহলে এমন দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নামে কি করে।

সাদিয়াঃ খাবার না খেয়ে আমার দিকে এমন হা করে তাকিয়ে আছো কেন।
আমিঃ তোমার না পায়ে ব্যাথা।
সাদিয়াঃ হুমম ব্যাথা তো ছিলো কিন্তু সেটা রাতে।এখন ব্যাথা নাই।
আমিঃ এত তাড়াতাড়ি ব্যাথা ঠীক হয়ে গেলো।
সাদিয়াঃ এত বেশি কথা না বলে তাড়াতাড়ি খেয়ে চলো এখন।
তারপর আমরা নাস্তা শেষ করে বাসা থেকে বের হয়ে রিকশাতে করে যেতে লাগলাম। সাদিয়া কে ওর ভার্সিটির সামনে নামিয়ে দিয়ে আমি আমার কলেজে চলে গেলাম। আজ ক্লাস কম তাই একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আমি আর কথা একটা Assessment নিয়ে আলোচন করছিলাম এমন সময় সাদিয়া এসে আমাকে চর মারে,,,,,,,,,

ঠাসসসসসসসসস,
সাদিয়াঃ ঐ তোকে না বলছি অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলবি না। তার পর ও তোর সাহস হয় কি করে অন্য মেয়ের সাথে কথা বলার।
কথাঃ আশ্চর্য কে আপনি আর আরমান কে কোন সাহসে চর মারলেন।
সাদিয়াঃ আমি ওর বউ হয় আর আমি ওকে চর মারি না মেরে ফেলি সেটা তোকে বলতে হবে নাকি।
আমিঃ চুপ করো তুমি অনেক বলছো আর একটা কথা না।
সাদিয়াঃ তুই আমার সাথে আর কোন কথা বলবিনা।তুই যে এত খারাপ আমি ভাবতে ও পারিনি। মেয়ে দেখলেই শুধু কথা বলতে মন চায় তাইনা।
আমিঃ ঠাসসসসসস। ব্যাস অনেক বলছো। তোমার অনেক কথা শুনছি কিন্তু আর না। তুমি বড় বলে যা খুশি তাই বলবে আর আমাকে তা শুনতে হবে তাইনা। আমি কোন মেয়ের সাথে কথা বলবো কি বলবোনা সেটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার তুমি বলার কে।
এই কথা বলার পর সাদিয়া কে দেখলাম আর কিছু নদ বলে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো,,,,,,,,,,

কথাঃ দোস্ত তোর ওকে এভাবে কথা গুলো বলা ঠীক হয়নি।
আমিঃ তাহলে কি করবো সিনিয়র বলে কি যা খুশি তাই করবে নাকি।
কথাঃ দেখ মেয়েটার কথায় যা বুঝলাম এতে করে মেয়েটা তোকে সত্যি ভালোবাসে।
আমিঃ ভালোবাসে নাই ছাই।আর তুই ওর হয়ে কথা বলছিস কেন।
কথাঃ নারে আমার কথা বিশ্বাস কর মেয়ে টা সত্যি তোকে ভালোবাসে।এ জন্যেই তো বললো যে তোর বউ হয়।
আমিঃ আরে রাগের মাথায় বলছে।
কথাঃ কোন মেয়ে রাগের মাথায় নিজেকে বউ বলে পরিচয় দেয়না বুঝলি।
আমিঃ,,,,,,,,,,,,,।(চুপ)
কথাঃ আর ভালোবাসার মানুষকে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে দেখলে রাগতো হবেই। ওর কোন দোস নেই।
আমিঃ তুই ঠীক বলছিস তো।
কথাঃ হ্যা।তুই বাসায় গিয়ে ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিস।
আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমি বরং এখনই চলে যায়।

এই কথা বলে আমি বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম। নাহ্ আমি যে কি করি রাগের মাথায় যে সাদিয়া কে কি বলছি কিছুই মনে নাই এখন ভালোই ভালোই সাদিয়া আমাকে ক্ষমা করে দিলে হয়।বাসায় এসে কলিং বেল দিতেও কেন জানিনা ভয় করছে। অবশেষে মনের ভয়কে জয় করে কলিং বেলে দিলাম চাপ। চপ দিয়ার কিছু সময় পর দরজা খুললো। দরজা খুলার সাথে সাথে আমি তো পুরাই অবাক হয়ছি। কারণ দরজা খুলেতে যাকে দেখলাম তাকে দেখার জন্য আমি মটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
চলবে….

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *