সিনিয়র আপু যখন বউ পর্ব_০৬


সাদিয়া আর কোন কথা না বলে চুপ করে একটা রিকশা নিয়ে যেতে লাগলো। আমি দৌড়ে গিয়ে তার পাশে বসলাম। কিন্তু ও আমার সাথে আর কোন কথা বললো না। অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকলো। বাসার সামনে এসে রিকশা থেকে নেমে তাড়াতাড়ি বাসার ভেতরে চলে গেলো। তারপর আমি বাসার ভেতর যেতেই আমার বাবা আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। আর সাদিয়া কে দেখলাম মা’র পাশে দারিয়ে আছে। না জানি বাবাকে ও কি বলেছে এখন তো আমি শেষ। তার পর বাবা আমার কাছে এসে বলে..

বাবাঃআমি এই দিন দেখার জন্যই কি বেঁচে ছিলাম?এই দিন যাতে দেখতে না হয় সেজন্যই তো ছেলেকে তারাতাড়ি বিয়ে করিয়েছি!
আমিঃবাবা আমি কিছু বুঝতেছি না।
কোন দিনের কথা বলছেন আমি তো কিছু করিনি।😢
সাদিয়াঃসব চোর ওই ধরা খাওয়ার পর একই ডায়লগ চালায় যে সে নাদান বাচ্চা শিশু (পিছন থেকে সাদিয়া বলে উঠলো)
বাবাঃহ্যা মা ঠিক বলেছো।😐কিন্তু আমি ভাবিনি আমার ছেলে এতটাই……. (বাবার কথা শেষ না হতেই সাদিয়া বলে উঠলো)
সাদিয়াঃথাক বাবা!আমি বলিকি এবারের মতো আরমানকে মাপ করে দেওয়া যায় না!
বাবাঃনা না মা!যে বান্দর একবার গাছে ওঠা শিখে সে আর বুড়ো হলেও গাছে না ওঠে পারে না।সে তোমার মতো সুন্দর বউ থাকতেও অন্যমেয়ের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয় কিভাবে?বউ থাকতে নিজেকে অবিবাহিত বলে কিভাবে?
আমিঃআরেহহহ না না এরকম কাকে কখন বললাম😯😯😯😯(ততক্ষণে আমার আর কিছু বুঝার বাকি নাই যে সাদিয়া বাবাকে এসব উল্টাপাল্টা বুঝিয়েছে আমার উপর প্রতিশোধ নিতে।কেমন গুট্টিবাজ বউ😭)

সাদিয়াঃহইছে আর না না করতে হবে না।
বাবা!এবারের মতো তাকে মাপ করে দেন।সে আর করবে না এরকম, সে অনেক ভালো আমি জানি(নিজে গিরিঙ্গি লাগিয়ে নিজে আলগা দরদ দেখায়)😵😵
আমিঃআমার বউ এতো নিখুঁত অভিনয় জানে!অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করলে তো অনেক বড় অভিনেত্রী হতে পারবে😬(মনে মনে)

সেখানে আমাকে একদম বোকা বানিয়ে দিল সাদিয়া।পিছন থেকে সাদিয়া আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আর ভেঙছি কাটছে😉এগিয়ে সাদিয়াকে কিছু বলতে যাব তখনই বাবা….

বাবাঃআমি আমার বউমার কথায় তোকে মাপ করে দিলাম কিন্তু এটাই লাস্ট সাবধান।এমন কোনো কাজ করবি না যাতে বউমা কষ্ট পায়
আমিঃজ্বি বাবা
বাবাঃশুন!আগামীকালই বউমাকে সাথে করে আমাদের বাড়ি যাবি।
আমিঃজ্বি……

তারপর আংকেল আন্টি ও বাবা যে যার মতো চলে গেলো আর সাদিয়া আমার কাছে এসে বলে..

সাদিয়াঃকেমন দিলাম হ্যা!(হাসতে হাসতে)
আমিঃহ্যা ভালোই অভিনয়!আজকের জন্য আমিও আর রাগ করব না আমার সিনিয়র বউয়ের সাথে।যেহেতু তুমি আমার নামে বউ এটা বলাতেই এতো প্রতিশোধ তাহলে আজ কাজেও বউ বানিয়ে নেবো।😊
সাদিয়াঃদেখা যাবে বলে দৌড়ে চলে গেলো।(রহস্যময় হাসি দিয়ে)
রাতে আমি বসে আছি তখনই একটা ফোন এসেছে।হাতে নিয়ে দেখি বন্ধুর ফোন।

সাদিয়াঃএই সময় কার ফোন?সত্যি সত্যি কোনো মেয়ে নয়তো?
আমিঃহ্যা নতুন বান্ধবী আজকেই পটালাম(মজা করে রাগানোর জন্য)
সাদিয়াঃকিহ!আচ্ছা বের করছি মেয়ের কল….
…………
এই কথা বলে আস্তে আস্তে আমার কাছে আসতে লাগলো। তারপর আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার ঠোঁটের সাথে ওর ঠোঁট জোড়া মিশিয়ে একটা লম্বা কিস করলো। উফফ!! এ যেন এক অন্য রকম অনুভূতি। এক মূহুর্তে জন্য আমি যেন ভালোবাসার জগতে কেমিস্টতে চলে গেলাম। আমি ও সাদিয়া কে ভালোবেসে বুকে টেনে নিলাম এভাবে কত সময় যে দু’জন দু’জনকে জরিয়ে ধরে ছিলাম মনে নাই। তারপর সাদিয়া আমাকে বলে,,,,,,,,,

সাদিয়াঃ ঐ এবার ছাড়ো।
আমিঃ নাহ্ আর একটু থাকি।
সাদিয়াঃ অনেক রাত হয়ছে এখন চলো ঘুমাতে হবে।
এই কথা বলার পর আমি সাদিয়া কে সাথে সাথে কোলে তুলে নিলাম,,,,,,,,,
সাদিয়াঃ আরে আরে কি করছো পরে যাবোত।
আমিঃ আমি তোমাকে পড়তে দিলেতো তুমি পড়বে।
সাদিয়াঃ বাব্বা আগে তো কোলে নিতে বললে নিতে চায়তে না কিন্তু আজ যে আমি না বলায় হঠাৎ কোলে নিলে যে। মতলব কি।

আমিঃ মতলব তেমন কিছুনা। এখনও তো আমাদের বাসর রাত হয়নি তাই আমি ভাবছিলাম বাসর রাতটা আজই করবো।
সাদিয়াঃ এই না। একদম দুষ্টুমি না।ছাড়ো আমায়।
আমিঃ না না করলে তো আমি শুনছিনা।

এই কথা বলে সাদিয়া কে কোলে করে নিয়ে আস্তে আস্তে খাটের কাছে যেতে লাগলাম। সাদিয়া ও আর কোন কথা না বলে লজ্জায় ওর মুখটা আমার বুকের মাঝে লুকিয়ে নিলো।তারপর আমি ওকে বিছানায় শুয়াই দিলাম। এর পর ধীরে ধীরে সাদিয়ার গোলাপের পাপড়ির মত ঠোঁট দুটির দিকে আমার ঠোঁট জোড়া এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলাম। সাদিয়া তার চোখ দু’টি বন্ধ করে নিলো। আর ওর ঠোঁট জোড়া কাঁপতে লাগলো। তারপর দুজনের দু’জোড়া ঠোঁট এক সাথে মিশে একাকার করে দিলাম।

বাসর রাতের সম্পর্কে কোন ধারণা নাই বলে আর কিছু লিখলাম না।আপনারা যে যার মত করে ভেবে নিবেন।

সকালে সাদিয়ার ভালোবাসার স্পর্শ পেয়ে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। চোখ খুলে দেখি সাদিয়া আমার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে আমি ওকে বলি,,,,,,,

আমিঃ কি ব্যাপার এভাবে তাকিয়ে আছো যে।
সাদিয়াঃ ভাবছি।
আমিঃ তা কি ভাবা হচ্ছে সকাল সকাল।
সাদিয়াঃ ভাবছিলাম যে আমার এই জুনিয়র জামাই টা কাল রাতে কি করে এত তাড়াতাড়ি বদলে গেলো।
আমিঃ তই বুঝি তাহলে রাতে যা করছি তা এখন আবার শুরু করা যাক।(দুষ্টুমি করে)
সাদিয়াঃ সকাল সকাল একদম ফাজলামো নয়।
আমিঃ কেন ফাজলামো করেলে কি করবে শুনি।
এই কথা বলে সাদিয়া কে ধরে জরিয়ে ধরে একটা লিপ কিস করলাম। তারপর ওকে ছেড়ে দিলাম।

সাদিয়াঃ যাহ্ শয়তান একটা। ( বুকে একটা কিল দিয়ে)
আমিঃ আরো একটা দেবো নাকি।
সাদিয়াঃ এখন আর না। যাও ফ্রেশ হয়ে নাও। আমাদের তো আবার বের হতে হবে।
আমিঃ কোথায় যাওয়ার কথা আছে নাকি।
সাদিয়াঃ কিহ্ তোমার মনে নেই আমাদের আজ বাড়িতে যাওয়ার কথা।
আমিঃ উফফ!! একদম ভুলে গেছি। আসলে রাতে তোমার এত ভালোবাসা পেয়েছি এই জন্য সব কিছু ভুলে গেছি।
সাদিয়াঃ হয়ছে আর বলতে হবেনা।এখন যাও ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও।
আমিঃ আচ্ছা।
এই কথা বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখি সাদিয়া ব্যাগ গুছিয়ে রাখছে। আমি গিয়ে ওকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলাম।

সাদিয়াঃ এই কি হচ্ছে ছাড়ো বলছি। দরজা খুলা কেউ এসে পড়বে।
আমিঃ আসলে আসবে।আমি কি অন্য কাউকে জরিয়ে ধরছি নাকি।আমি তো আমার সিনিয়র বউকে জরিয়ে ধরছি।
সাদিয়াঃ ছাড়তো এখন আমায় কাজ করতে দাও। তুমি যাও নাস্তা করে আসো।
আমিঃ তুমি যাবেনা।
সাদিয়াঃ আমার দেরি হবে।
আমিঃ তাহলে আমিও যাবোনা।
সাদিয়াঃ আরে পাগল তুমি যাও। আমি তোমার খাবার টেবিলে রেখে আসছি।
আমিঃ না আমরা এক সাথে যাবো।
সাদিয়াঃ বললাম না যেতে।(রাগি ভাবে)
আমিঃ আচ্ছা যাচ্ছি।

এই কথা বলে আমি নাস্তা করতে চলে গেলাম। নাস্তা করে এসে দেখি সাদিয়া শাড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এটা দেখে ওকে জিজ্ঞেস করলাম,,,,,,,,,

আমিঃ কি ব্যাপার তুমি এভাবে শাড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেন।
সাদিয়াঃ কি করবো শাড়ি পড়তে পারি নাতো।
আমিঃ কিহ্ মজা করছো। সেদিন তো আমার সাথে শাড়ি পড়ে বেরিয়ে ছিলে।
সাদিয়াঃ আরে নাহ্ সত্যি। সেদিন তো মা পড়িয়ে দিয়েছিলো।
আমিঃ তার মানে তুমি শাড়ি পড়তে পারোনা। হাহাহাহহাহা।
সাদিয়াঃ ঐ একদম হাসবেনা।
আমিঃ হাসাবোনা তো কি করবো। এত বড় মেয়ে সেকিনা শাড়ি পড়তে পারেনা।
সাদিয়াঃ পারিনা তো কি হয়ছে শিখে নিবো।
আমিঃ তো এখন কি এভাবে শাড়ি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি পড়বেও।
সাদিয়াঃ মা’র কাছে যাবো ভাবছি।
আমিঃ এই সাধারণ শাড়ি পড়তে আবার মায়ের কাছে যাওয়া লাগে নাকি। দাও আমি পড়িয়ে দিচ্ছি।
সাদিয়াঃ কিহ্ তুমি শাড়ি পড়াতে পারো।
আমিঃ হুমম একটু একটু পারি আরকি।
সাদিয়াঃ তাহলে দাও পড়িয়ে। কিন্তু একটা শর্ত আছে।
আমিঃ এখানে আবার কিসের শর্ত।
সাদিয়াঃ শাড়ি পড়ানোর সময় তোমার চোখ বন্দ রাখবে।
আমিঃ চোখ রাখবো কেন।
সাদিয়াঃ বারে আমার বুঝি লজ্জা করেনা।
আমিঃ আমার কাছে আবার কিসের লজ্জা।
সাদিয়াঃ ধুর এত কথা না। তুমি চোখ বন্দ রাখবে ব্যাস।
আমিঃ চোখ বন্ধ থাকলে শাড়ি পাড়াবো কি করে।
সাদিয়াঃ তা আমি জানিনা।
আমিঃ আচ্ছা দেখি চেষ্টা করে।
সাদিয়াঃ আচ্ছা এদিকে আসো আমি তোমার চোখ বেধেদি।
আমিঃ কি পাগলামি।

তার পর সাদিয়া আমার চোখ বেধে দিলো।আর আমি চোখ বাঁধা অবস্থায় সাদিয়া কে শাড়ি পড়াতে লাগলাম। শাড়ি পড়ানো শেষ করে আমি চোখ থেকে কাপড় টা আস্তে আস্তে সরালাম কারণ জানিনা কেমন করে পড়িয়েছি। চোখ খুলার সাথে সাথে সাদিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ও আমার দিকে রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে তো আমি ভয় পেয়ে গেলাম। হায় হায় ও আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন। তার মানে কি আমি শাড়ি ঠিক ভাবে পড়াতে পারিনি।

তারপর আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ চোখ খুলে ভালো করে তাকিয়ে দেখি নাহ্ চোখ বাঁধা অবস্থায় তো আমি খুব ভালোই শাড়ি পড়িয়েছি। তাহলে সাদিয়া কেন আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছে। তারপর আমি ওকে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম,,,

আমিঃ কি ব্যাপার তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেন।
সাদিয়াঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,।(চুপ করে আছে)
আমিঃ শাড়ি পড়ানো কি পছন্দ হয়নি।
সাদিয়াঃ আগে বলো তুমি শাড়ি পড়ানো শিখলে কিভাবে।
আমিঃ কিভাবে আর এর আগেও অনেক জনকে পড়িয়ে দিছি।
সাদিয়াঃ কিহ্ বললি তুই এর আগেও তুই অন্য আরো মেয়েকে শাড়ি পড়িয়ে দিছিস।
আমিঃ হায় হায় কি বলতে গিয়ে ভুল করে কি বলে ফেলছি। এখন বোঝাবো কি করে।দেখেতো মনে হচ্ছে খুব রেগে গেছে।(মনে মনে)
সাদিয়াঃ ঐ আগে বল এর আগে আর কত মেয়েকে তুই শাড়ি পড়িয়ে দিছিস। (কলার ধরে)
আমিঃ আরে মেয়েদের পড়াবো কেন।আমি শাড়ি ছেলেদের পড়িয়ে দিতাম।
সাদিয়াঃ না তুই মিথ্যা বলছিস। তুই এর আগেও অন্য মেয়েদের শাড়ি পড়িয়ে দিতি।( কেঁদে দিয়ে)
আমিঃ আরে বাবা না। তুমি শুনবে তো আমার কথা।

=সাদিয়াঃ না আমি আর তোর কোন কথা শুনবো না।( কান্নাকাটি করে)
আমিঃ আরে স্কুলের যেমন খুশি তেমন অনুষ্ঠানে একবার বন্ধুদের শাড়ি পড়িয়ে দিছিলাম বিশ্বাস করো।
সাদিয়াঃ না তুই মিথ্যা বলছিস।
আমিঃ আমি একদম মিথ্যা বলছিনা এই তোমার কসম।( ওর মাথায় হাত দিয়ে)
সাদিয়াঃ কুত্তা তুই আমার মাথা ছুয়ে একদম মিথ্যা কসম কাটবিনা।
আমিঃ তাহলে তুমি বিশ্বাস করছোনা কেন।
সাদিয়াঃ তোমাকে বিশ্বাস করতে আমার বয়েই গেছে।( অভিমানি শুরে)
আমিঃ তাই বুঝি আমি কি এতটাই বিশ্বাসের অযোগ্য।
সাদিয়াঃ জানিনা।(জরিয়ে ধরে)
আমিঃ পাগলি একটা।
সাদিয়াঃ হুমম তোমারই পাগলি।
আমিঃ এখন আমার পাওনাটা দাও।
সাদিয়াঃ তোমার আবার কিসের পাওনা।
আমিঃ এই যে তোমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিলাম। এর জন্য তো আমাকে কিছু দিত হবে যে।
সাদিয়াঃ নিজের বউকে শাড়ি পড়িয়ে আবার পাওনা চাওয়া হচ্ছে। আচ্ছা বলো কি চাও।
আমি চোখের ইশারা করে সাদিয়ার ঠোঁট জোড়া দেখিয়ে দিয়ে বললাম।

আমিঃ বেশিনা একটা দিলে হবে।
সাদিয়াঃ এখন এসব কিচ্ছু পাবেনা।
আমিঃ না না পাবোনা বললে তো শুনবো না আমি যে আমার পাওনা টা না পাওয়া পর্যন্তুক তোমাকে ছাড়ছিনা।
সাদিয়াঃ আচ্ছা বাবা দিচ্ছি। কিন্তু একটার বেশিনা।
আমিঃ ঠিক আছে।
সাদিয়াঃ নাও তুমি চোখ বন্ধ করো।
আমিঃ আবার চোখ বন্ধ করবো কেন।
সাদিয়াঃ আমার লজ্জা করে।
আমিঃ ওরে আমার লজ্জাবতি সিনিয়র বউ।
এই কথা বলে আমি চোখ বন্ধ করলাম। তারপর সাদিয়া আমার গালে কিস করলো।

আমিঃ এটা কি হলো।
সাদিয়াঃ কি হলো মানে।
আমিঃ এটা কোন কিস করা হলো।
সাদিয়াঃ হুমম তাহলে কি হ্যা।(মুচকি হাসি দিয়ে)
তারপর আমি সাদিয়া ঠোঁটের সাথে ঠোঁট মিশিয়ে কিস করে বলি,,,,

আমিঃ এটাকে কিস করা বলে বুঝলে।
সাদিয়াঃ যাহ্ দুষ্টু কোথাকার।এভাবে কিস করলে তো আমি দোম বন্ধ হয়ে মারা যাবো। ( মুচকি হাসি দিয়ে)
আমিঃ হাহাহাহা। তাই বুঝি।
সাদিয়াঃ হ্যা । আমার পাগল জামাই।

তারপর দু’জনে সাদিয়ার মা-বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম আমাদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে।বাস কাউন্টারে এসে বাসের টিকেট কেটে অপেক্ষা করতে লাগলাম…

চলবে…

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *