সিনিয়র খালাতো বোন যখন বউ পর্ব_০২

আমি বাসায় রওনা হলাম,বাসায় আসার পর,,,,

  • কিরে নবাবজাদা সারাদিন কই ছিলি,রেজাল্ট তো দেখলাম ফেলের কাছে থেকে উঠে আসছস,তর এই বাসায় কোনো থাকার জায়গা নেই বের হ,(বাবা)
    -আব্বা ভুলে যাইও না আমি তুমার ছেলের এই বাড়ির অধিকার আছে!আর আমি তো গনিতে ৩৩ পাওয়ার যোগ্য না, ভাগ্য ভালো হয়তো ভালো কোন স্যারের কাছে খাতাটা গেছিলো বলে পাশ করে দিছে,নয়তো তুমার মানসম্মান তো যাইতো।(আমি)

এটা বলেই রুমে দৌড়ে আসলাম কিছুক্ষণ পর

  • এই নে খাবারটা খেয়ে নে, (মা)
  • হুম, (আমি)

খাবারটা খেয়ে খালার বাসায় গেলাম, বাড়িতে ঢুকে চিল্লাতে চিল্লাতে বলতাছি খালা ও খালা আমি পাশ করছি।

  • হা হা হা কোনো মতে দয়ার পাশ করে আসছে তাই আবার চিৎকার করে বলতাছে লজ্জা শরম কি নেই তর। (ঈশিকা)

মেজাজ টা দিলো তো খারাপ করে,কেমন লাগে এমন কথা শুনলে!

  • তুমার মেয়েকে কিছু বলবা,খালাকে বললাম ,,,(আমি)
  • এই তুই চুপ থাক,(খালা)
    ওহ্ আরেক টা কথা খালার কোনো ছেলে নাই তাই আমাকে নিজের ছেলে হিসেবে মানে আমাকে,,
  • ও খালা টাকা দাও মিষ্টি কিনে আনি,(আমি)
  • তারপর খালার থেকে ৫০০ টাকা নিলাম।

কিসের মিষ্টি পকেটে টাকা নাই একটা, মিষ্টি কিনার টাইম আছে নাকি।

কিছুদিন পর কলেজে ভর্তি হলাম,তখন একটা আইডিয়া বের করলাম আমি ঈশিকার কাছে পড়বো,তাই খালাকে আর মাকে বললাম। ঈশিকাকে বললে না করতে পারবে না।ঈশিকাও পড়ানোর জন্য রাজি হলো,আর ঈশিকা ছাত্রী হিসেবে অনেক ভালো।

  • প্রথম দিন পড়তে গেলাম,আমার কিসের পড়া,,,, লেখা দিলে খাতার প্রথমে আই লাভ ইউ লেখে শুরু করি শেষ টাও আই লাভ ইউ লেখে শেষ করি।
  • এই পরের বার এইটা লেখলে এমন মাইর দেব না,(ঈশিকা)

-আমার লেখার স্টাইলই ওইটা, এটা লিখে শুরু করলে সব মনে পরে।বলেই চলে আসলাম সেদিনের মতো।

-পরদিন আবার পড়তে গিয়ে ডাক দিলাম, জবাব পেলাম না তাহ রুমে ঢুকে পরলাম,আমি ঈশিকার রুমে বসে আছি,কিছুক্ষন পর ঈশিকা ওয়াশ রুম থেকে বের হলো,একি আমি তো অবাক!ঈশিকা শুধুই একটা তোয়ালে পেচিয়ে আছে।

  • হারামজাদা তুই এখানে!কারো রুমে ঢুকতে হলে নক করে ঢুকতে হয় জানস না! চোখ বন্ধ কর।(ঈশিকা)
  • আমি চোখ বন্ধ করলাম,আর বললাম,, আমি তো নক করেই ঢুকছি,কিন্তু তুমার সাড়া না পেয়ে তো রুমে চলে আসছি।(আমি)
  • চুপ আর একটা কথা বলবি না!আমি যখন চোখ খুলতে বলবো তখন খুলবি।(ঈশিকা)
  • আচ্ছা,যা দেখার তো দেখছি এখন চোখ বন্ধ করে কি হবে আস্তে আস্তে বললাম। (আমি)
  • এই কিছু বললি?(ঈশিকা)
  • কি কই কিছু নাতো,(আমি)
  • কিছুক্ষণ পর, চোখ খুল এবার,(ঈশিকা)
  • চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি একটা নীল রংয়ের জামা পড়ছে অনেক সুন্দর লাগছে,তুমাকে অনেক সুন্দর লাগছে,(আমি)
  • চুপ একটা কথা বলবি না, পড়তে বস,,,(ঈশিকা)
  • হুম,,, (আমি).
  • পড়া শুরু করলাম কিছুতেই পড়াতে মন বসছে না,বার বার তখন কার দৃশ্যটা চোখে ভাসছে,আমি একটু হেসে উঠলাম।(আমি)
  • ওই তুই হাসস কেন,তখন কিছু দেখস নি তো?(ঈশিকা)
  • না কিছু দেখি নি।(আমি)

-দেখ স্বপন তুই যেটা চাইতাছস, তা সম্ভব না কেনো বুঝস না,,তুই আমার থেকে সুন্দর মেয়ে পাবি।
আর তুই আমার থেকে ২ বছর এর ছোট,এটা সমাজ কেউ মানবে না,আর তুই যা করছস সব আবেগ এটা ভালোবাসা না।(ঈশিকা)

  • আমার দরকার নেই সুন্দর মেয়ে আমি তুমাকেই চায়,আর এটা কোনো আবেগ না।(আমি)
  • এট শুনে ঈশিকা রেগে গেলো,বের হ এখান থেকে আর ককনো আসবি না আমার সামনে।(ঈশিকা)
  • আমি আর কথা না বলে সেদিনের মতো চলে আসলাম।

আমি ঈশিকা যেই কলেজে পড়ে, আমিও সেই কলেজে ভর্তি হইছি,একাসাথে কলেজে যাওয়া আসা করি।

এভাবেই চলতে লাগলো দিনগুলো, প্রতিদিন ঈশিকাকে প্রপোজ করি,কিন্তু থাপ্পড় খাইনা,কারন এখন দুরত্ব বজায় রেখে করি, তাহলে তো আর ধরতে পারবে না।

প্রতিদিনের মতো আজকেও একাসাথে কলেজে গেলাম,১ টা ক্লাস করে বাহিরে এসে দেখি!
ঈশিকা একটা ছেলের সাথে হাত ধরে হেসে হেসে কথা বলছে,এটা দেখে আমার মাথায় রক্ত উঠে গেলো।

  • এই তুমি কে ওর হাত ধরে আছো কেনো ছেডে দাও বলছি, ঈশিকা শুধু আমার, আমি ওকে ভালোবাসি।

আমার কথা শুনে ছেলেটা হাত ছেডে দিলো।
নেক্সট টাইম যেনো ঈশিকার সাথে না দেখি,এটা বলেই চলে আসছিলাম,,,,,,

  • দারা (ঈশিকা)
    আমি দারালাম,ঈশিকা আমার সামনে এসে ঠাস ঠাস করে ২/৩ টা চড় বসিয়ে দিলো আমাকে!অনেক ছেলেমেয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,তুই নিজেকে কি ভাবস!তকে আমি কোন দুঃখে ভালোবাসতে যাবো!একে তো তুই আমার ছোট।আবার ফকির,আর তুই কাকে অপমান করলি সে কে জানস,ওর নাম সাগর আমার বয়ফ্রেন্ড।আজকের পর থেকে ভাইয়া বলে ডাকবি ওকে,আর তর মুখ আমি দেখতে চাই না,দুর হ তুই,ক্ষমা চা বলছি সাগর এর কাছে।

-আমি কি বলবো,আমি কি শুনলাম এসব,,

  • কি হলো ক্ষমা চা বলছি,,,,,,,(ঈশিকা)
  • ভাইয়া আমাকে ক্ষমা করে দিন আমি না যেনে অন্যায় করছি।
  • আচ্ছা ঠিকাছে। (সাগর)
  • আমি সেখান থেকে চলে আসলাম।আর কোন ক্লাস না করে বাসায় আসলাম।
  • কিরে এত সকালে ফিরলি যে আজকে?(মা)

-এমনি ভালো লাগছে না তাই চলে আসলাম।

মা আর কিছু বললো না, শুধুই ওর কথা গুলো আমার কানে বাজছে ছোটলোক।

সত্যি আমি ছোটলোক! বামুন হয়ে চাঁদ ধরতে গেছিলাম।

সেদিন সন্ধ্যা সময় শুয়ে পরলাম,মা অনেক বার খেতে বললো কিন্তু খাইলাম না।সারারাত ঘুমাইতে পারলাম না একদিক পেটের খুদা আবার ঈশিকার দেয়া অপমান খুব অস্থিরতা লাগছে।

এদিক ঈশিকা ভাবতাছে আজ মনে হয় একটু বেশি করে ফেললাম, আবার বলে যা করছি ঠিক করছি।
আর তো বিরক্ত করবে না এখন।

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *