জমিদার বাড়ির মেয়ে যখন বউ পর্ব_০৫

  • গাড়ির কাছে গিয়ে গাড়ির দিকে
    তাঁকাই চারিদিকে ঘুরতেছি।
  • ঐ আরমান… গাড়িতে ওঠো।
    এমন চারিদিকে ঘুরতেছো ক্যান।
  • এই গাড়িতে করেই কী আমরা সিলেট
    যাবো।
  • হুমমমমমমমম।
  • দূর ভাল্লাগেনা।
  • আবার কী হলো।
  • মনে মনে ভাবছিলাম, সিলেট যাওয়ার সময় চারিদিকটা দেখমু আর যামু।
    এখন যদি এই গাড়ির ভিতরে হান্দাই….
    মনে তো হবে ঘরের মধ্যেই আছি,,,
    এই গাড়ি তে করে যাওয়া আর না যাওয়া
    সমান সমান।
  • তাহলে এখন কী করবা, যাবা না।
  • এতদূর আসছি আর যামু না,
    এইডা কোন কথা।
    তবে যদি ঐ গাড়িটার মতো খোলামেলা
    গাড়ি হইতো…. তাহলে যা মজা
    হইতো না….
    ঐ….. তোমার বাবা কে একটু কও না,
    যাতে ঐ গাড়িটা দেই।
  • আমি বলতে পারবো না, তুমি
    গিয়ে বলো বাবা কে।
    আর ঐ গাড়িতে কাউকে চড়তেই
    দেয় না।
    আর ঘুরতে যাওযার জন্য তো
    দিবেই না।
  • তাও একটু বলি দিলে দিলো…না দিলে
    আর কী করার…এটা নিয়েই যেতে হবে।
  • হুমমমমম… যাও বলো।
  • আমিই তো বলমু…. তোমার তো
    আর সাহস নাই বলার।
  • ধীরে ধীরে আংকেলের কাছে গিয়ে
    দাঁড়াই আছি।
  • আরমান কিছু বলবা।
  • জ্বী আংকেল।
  • ওহহহহ…. টাকা লাগবে।
  • না না আংকেল টাকা লাগবে না।
    আমার কাছে মেরে দেওয়া মেলা টাকা আছে।
  • তাহলে কী বলবা বলো।
  • আসলে মানে আংকেল…ঐ গাড়িটা
    না দিয়ে যদি আপনার ওই গাড়িটা
    দিতেন।
    তাহলে একটু ভালো হইতো।
  • কেনো…ঐ গাড়িটাও তো অনেক ভালো।
  • হুমমমমমম…. সেটা তো জানি।
    তবে আমি যদি একাই যাইতাম…তাহলে
    বাসের ছাদে চড়ে…. চারিদিকটা
    কী সুন্দর দেখতে দেখতে যাইতাম।
    কিন্তু এখনতো আমার সাথে নীলা আছে,
    বাসের ছাদে তো আর ওকে নিয়ে চড়তে পারতাম না।
    তাই বলতেছিলাম যে ঐ গাড়ির
    বদলে যদি এই খোলা মেলা গাড়িটা দিতেন..
    তাহলে জিনিসটা একটু খুুব ভালো হইতো
    আর চারিদিকটা দেখতে দেখতে ও যাওয়া
    হইতো।
  • কিন্তু ঐ গাড়ি তো আমি কাউকে দিই না।
  • কিন্তু আংকেল তবু একটু দেখেন না,
    আজকের দিনটাই তো…।
  • না না….. আমি অন্য একটা গাড়ি দিচ্ছি।
  • আংকেল…।
  • আবার কী?
  • আপনার গাড়িটা না সেইমনে ধরছে…
    ঐ টাই দেন না পিলিজ।
  • আরে আমি এটার মতো অন্য একটা
    গাড়ি দিতেছি তো নাকি।
  • ঠিকআছে…কিন্তু আংকেল…আপনার
    গাড়িটাই চড়ে যদি যাই… জিনিসটা আরো
    ভালো হইতো… প্লিজ আংকেল।
  • না না… এটা হবে না।
  • আংকেল…মুখে আপনি যতোই না না
    করেন না ক্যান….
    মনে মনে কিন্তু হ্যা হ্যা করতেছে… আমি জানি।
    দেন না প্লিজ।
    আপনার মেয়ে আর আমিই তো যামু।
  • ওহহহহ….আচ্ছা ছেলে তো তুমি।
    এই গাড়ি আমি ছাড়া আর কাউকে
    চালাতে দিই না।
  • ওহহহহহ….অন্য কাউকে চালাতে
    দিবেন কেনো।
    গাড়ি তো চালামুু আমি।
  • তুমি গাড়ি চালাতে পারো।
  • সে আর বলতে….জন্মের পর থেকেই
    তো গাড়ি চালাচ্ছি।
  • ঠিকআছে… তোমার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে।
  • না মানে… খালি ওই টাই নাই… তবে
    আমি সেই গাড়ি চালাতে পারি.. সত্যি।
  • পুলিশে ধরলে কী বলবা।
  • আপনার নাম বলমুু।
    আর এই জন্যই তো আপনার গাড়িটা
    নিয়ে যাইতেছি…যাতে সবাই চিনতে
    পারে…
    আর… দেন না গাড়িটা।
  • ঠিকআছে…… না দেওয়া অব্দি তো
    আবার ঘেনর ঘেনর বন্ধ ও করবা না।
    তবে খুুব সাবধানে যাবা।
  • আচ্ছা…. আর আংকেল
    আর একটা কথা।
  • আবার কী কথা।
  • উম্মা……হি হি।
  • ঐ নীলা…গাড়ি পেয়ে গেছি…
    ফটাফট এটাতে চলে আসো।
    নীলার দিকে তাঁকিয়ে দেখি
    কেমন অবাক হয়ে আমার
    দিকে তাঁকাই আছে…।
  • ঐ আমারে এমন হা করে না দেখে
    গাড়িতে ওঠো।
  • হুমমমমমম।
  • আরমান…ভালো করে যেও।
  • ঠিকআছে…. আংকেল।
  • আর হ্যা নীলাকে যেন ড্রাইভ করতে
    দিও না.. ও চালাতে পারে কিন্তু বেশি
    ভালো না।
  • আচ্ছা…….আর আংকেল আমি ও
    নীলার মতোই চালাই… হি হি হি।
    বলেই ওখান থেকে পগার পার।
  • আহা…কেবল একটু শান্তি শান্তি
    লাগতেছে।
  • আরমান…
  • হুমমমমমমম …।
  • তুমি বাবার কাছে থেকে কেমনে গাড়িটা নিলে।
  • কেমনে আবার… তোমার বাবা কাছে
    গেলাম, গিয়ে বললাম আংকেল আপনার গাড়িটাই লাগবে।
    প্রথমে না না করলো… তবে আমি
    তো না নিয়ে আসার পাত্র না…
    একটু ঘেনর ঘেনর করলা।
    এতো ঘেনর ঘেরন করা দেখে বললো
    ঠিকআছে যাও নিয়ে যাও।
  • কিন্তু … বাবা তো এই গাড়িটা কাউকেই
    দেই না।
  • কাউকেই দেয না বলে কী
    আমারে ও দিবো না… অদ্ভুত।
    আর দেখতে হবে না কে চাইছে.. না দিয়ে
    যাবো কই।
    দরকার হলে মারামারি করে নিয়ে আসতাম।
  • হইছে আর এতো চাপাবাজি করতে
    হবে না।
  • আচ্ছা তোমার বাবা এই গাড়িটাই
    কাউকে চড়তে দেই না কেনো।
  • আসলে….বাবা আর মা দুই জন
    দুই জনকে ভালোবেসে বিয়ে করছিলো।
    বাবা, মাকে নিয়ে ঘুরার জন্যই এই
    গাড়িটা কিনছিলো
    কিন্তু মা যখন আমাকে নিয়ে নানুর বাসাই
    চলে যায়…. তার পর থেকেই নাকি
    বাবা এই গাড়িটা কাউকে ছুঁতে ও দেয় না।

    আমি কিছুদিন পর পর বাবার কাছে আসি,
    কিন্তু কখনোই এই গাড়িটাতে কাউকে
    হাত দিতে দেখিনি ।
  • আচ্ছা.. তোমার মা বাবার মধ্যে কী ডিভোর্স
    হইছে।
  • আরে দূর..ডিভোর্স হবে কেনো… শুধু একজন আর এক জনের থেকে দূরে থাকে এই
    আর কী… দুই জনেরি
    সমান সমান রাগ।
  • তবে আমার মনে কী?
    তোমার বাবা তোমার মাকে সেই
    ভালোবাসে,
    আর এখনো অনেক মিস করে,
    তাই তো গাড়িটাকে সৃতি হিসেবে
    রেখে দিছে।
  • হুমমমমমমমমমমম।
  • গতকালকে রাতে তোমার বাবা কই
    গেছিলো,
    সেটা আমি একটু একটু বুঝতে পারতেছি।
  • কেমনে।
  • আচ্ছা তোমাদের এই দিকে
    কোন নদী আছে।
  • হুমমমমমমমমমমম।
  • তোমার বাবার শার্টে নদীর বালু
    লাগা দেখেই বুঝছিলাম।
    তোমার বাবা তো তোমার মার জন্য
    একদম মজনু।
  • দূর…কী বলো এই সব।
  • দূর না… যা বলতেছি এইটাই ঠিক বুুঝলা।
    তোমার বাবাকে এমন দেখে মেলা
    কষ্ট লাগতেছে।।
    মনে হয় বেচারা তার নিজের ভুল
    বুঝতে পারছে, কিন্তু কাউকেই
    কিছু বলতে পারতেছে না… লজ্জাই।
  • আজগুবি।
  • আজগুবি নয় আজগুবি নয়,
    সত্যি কারের কথা।
    তবে আমি যখন আসছিই…. তোমার
    বাবাকে আর কছিমদ্দিনের মতো
    থাকতে দিমুু না।
  • তুমি আবার কী করবা শুনি ।
  • তেমন কিছুই না… তোমার
    বাবা আর মার মধ্যে ঢুকে শুধু তাদের
    সমান সমান রাগটা ভাঙ্গাই আবার
    এক করে দিমু।
  • কিন্তু কেমনে শুনি।
  • জানি না…..আর… ঐ.. এই সব
    এখন বাদ।
    ঘুরতে আসছি পেঁট মুখ ভরে ঘুরি
    এরপরে বাসাই গিয়ে, দুইজনে ভালো করে
    ভেঁবে একটুু বুদ্ধি বের করতে হবে বুুঝলা।
  • হুমমমমমমম।
  • আহা… মনে হইতেছে চায়ের সমুুদ্রের
    উপর দিয়ে গাড়ি চালাইতেছি।
    তুমি আগে কখনো এই দিকে আসছো।
  • হুমমমমম…অনেক।
  • আর আসবাই না ক্যান….হাজার হলে ও জমিদারের মেয়ে বলে কথা।
  • ঐ থামবা তুমি।
  • ওকে।

    গাড়িটা থামালাম।
  • ঐ গাড়ি থামাইলা কেনো।
  • তুমিই না মাত্র থামতে বললা।
  • ওহহহহ….গাড়ি থামাতে বলি নাই…. তোমার বক বক থামাতে বলছি… ।
  • ওওও…. আচ্ছা গাড়ি যখন থামাইছি
    তাহলে আর একটা কাজ সেরেই আসি।
  • আবার কী কাজ করবা।
  • সেটা তো বলা যাবে না……তুমি দুই মিনিট গাড়িতে বসো… আমি যামু আর আসমু।
  • না আমি ও যাবো।
  • আরে না তুমি বসো আমি আসতেছি।
  • নাহ্ আমিও যাবো।
  • ওরে বাপুরে আমি যামু হিসি করতে,,
    তুমি গিয়ে কী আমার হিসি করা দেখবা.. হুমমমমম।
  • দূর…..আচ্ছা যাও।
  • আহা…. কী শান্তি,,, দুই কেজি
    খানেক হিসি।
  • ছি…. এই সব কেউ বলে,
    তোমার মুখে কী কোন কিছুই আটকাই না…. হুমমম।
  • আটকাই না দেখেই তো বলছি নাকি।
  • হইছে এবার গাড়িতে ওঠো।
  • আচ্ছা কোথায় যাবা এখন।
  • ওমমমমম… জানিনা…তবে গুগল ম্যাপে দেখতেছি কাছে কূলে কোন দর্শনীয় স্থান আছে নাকি।
  • ঠিকআছে।
  • পাইছি একটা।
  • কী পাইছো।
  • জিতু মিয়ার বাড়ী।
  • কই।
  • আর দশ কি.মি দূরে।
  • ওহহহহহহহহ।
  • আজকে ওখানেই যাই চলো।
  • ওকে।
  • ঐ তো… জিতু মিয়ার বাড়ির কাছে
    চলে আসছি।
    এবার নামো।
  • এখানেই নামবো।
  • ওহহহহ হ্যা তুমি তো আবার
    জমিদারের নাতনি এখানে নামবা ক্যান,
    চলো… গাড়ি সহ বাড়ির ভিতরেই নিয়ে যাই।
  • আরমান… এখন কিন্তু আমার খুব রাগ
    হচ্ছে….যখন তখন জমিদারের নাতনি,
    জমিদারের নাতনি বলবা না বলে দিলাম।
  • ওমা…কেনো…যা সত্যি তাই তো বলছি
    নাকি।
  • হোক সত্যি… তুমি ঐ সব জমিদারের নাতনি
    বলবা না ব্যাস।
  • আচ্ছা বলমু না…. এবার তো নামো।
  • হুমমমম…মনে থাকে যেনো।

    গাড়ি থেকে নামতেই
    দুইটা লোক ছুঁটে আমাদের কাছে
    আসলো।
  • ম্যাডাম… আসতে আপনার কোন
    অসুবিধে হয়নি তো।
  • না…. কিন্তু কে আপনি।
  • আমার নাম সজিব….আপনার বাবা
    আমাকে ফোন করে ছিলো…।
  • আচ্ছা ভাই ওর বাবা কী করে জানলো যে
    আমরা এখানেই আসবো।
  • আসলে ভাই…জমিদার সাহেব শুধু
    আমাকে না, এখানের যত জায়গা আছে,
    আর যারা যারা সেই সব জায়গা গুলো দেখাশোনা করে
    সবাইকে ফোন করে বলে দিয়েছে যে
    ওনার মেয়ে ওনার গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে।
    আর ওনার মেয়ের যাতে কোন
    অসুবিধে না হয়, সেটা দেখতে বলেছে।
  • বাহ্…. একেই বলে জমিদারে মেয়ে।
  • আরমান।
  • তো ভাই ভিতরে ঢুকতে কী কোন
    টাকা পয়সা লাগবে।
  • কী যে বলেন না।
    আপনাদের যেখানে খুশি যান।
    ম্যাডাম আসবে শুনে আমি বাহিরের
    বেশি লোক ভিতরে ঢুকতে দিই নাই।
  • যাক…. এই একটা কাজের মতো
    কাজ করছেন।
    তাহলে ভাই আপনি থাকেন আমরা
    একটু ঘুরে আসি।
  • আচ্ছা।
  • নীলা।
  • কী?
  • তোমারে নিয়ে এসে একদিন দিয়ে ভালোই হইছে।
  • তাই তো নিয়ে আসতে চাইলা না।
  • নিয়ে তো আসছি নাকি,
    এবার চলো ঘুরি।
  • ও মা গো…. ওরে জিতু মিয়া
    কী বাড়িটাই না বানাছোস ভাই।
    একদম পাপ্পি পাওয়ার মতো বাড়ি
    করছোস।

    বাড়িটার চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে
    খিদে লেগে গেছে।
  • ঐ নীলা.. তোমার খিদে লাগে নাই।
  • হুমমমম।
  • চলো খাই।

    একটা খাবার দোকানে যেতেই।

    ম্যাডাম.. ম্যাডাম.. আসেন আসেন।
    ঐ চান্দু সবাইকে বাহিরে বের কর,
    জমিদার বাবুর নাতনি আসছে।
  • ম্যাডাম আসেন ভিতরে আসেন।
  • চলেন ম্যাডাম ভিতরে চলেন।
    -আরমান…মাইর খাবা।
  • আমি বলি নাই… ওরাই বলছে।
  • হুমমমম…. ভিতরে চলো।
  • ম্যাডাম কী খাবেন।
  • ওই ফাজিলটাকে বলেন, ও কী
    খাবে।
  • স্যার…. কী খাবেন।
  • ওরে ভাই আমার ঐ সব স্যার ট্যার কইতে
    হইবো না…. আমি ও ভাই তোমাগো
    মতোই গরিব মানুষ।
    আমারে ভাই করে বইলো।
  • আচ্ছা ভাই কী খাবেন।
  • একদম কম তেলে রান্না করা কিছু
    যদি থাকে… ঐ সব নিয়ে আসো।
  • আচ্ছা একটু অপেক্ষা করতে হবে।
  • ঠিকআছে।

    কিছুক্ষণ পরে…. খাবার
    আসলো।
    খেয়ে দেয়ে।
  • এই যে ভাই রান্নাটা কে করছে।
  • করিম চাচা।
  • ওনাকে একটু ডাকা যাবে।
  • জ্বী ভাই।
  • ওরে চাচা….এইটা কী খাওয়াইলেন
    কন দেখি ।
    এত্ত টেস্ট আগে কোনদিন কোন
    খাবারে পাই না।
  • কী যে কন না… আসলে
    জমিদার বাবুর নাতনি আমাদের এখানে
    আসবে আমরা স্বপ্নে ও ভাবিনি।
    ওনার জন্যই হয়তো একটু স্পেশাল হইছে।
  • আমি কই আপনার কথা আর আপনি
    কন হের কথা।
    যাই হোক…. এই যে এই টাকাটা ধরেন।
  • আরে কী করছেন আপনাদের কাছে
    থেকে আমরা টাকা নিতে পারবো না।
  • কোনো।
  • কারণ…. জমিদান বাবুর কাছে আমরা
    এমনিতেই অনেক ঋরি।
    টাকা দিয়ে আর আমাদের লজ্জা দিবেন না।
  • আচ্ছা ঠিকআছে ।
  • তাহলে চাচা ভালো থাকেন।
  • আবার আসবেন।
  • আল্লাহ্ যদি বাঁচাই রাখে তাইলে তো
    আসমুই।
  • আর ম্যাডাম… আপনার দাদুকে
    আমাদের সালাম দিবেন।
  • জ্বী…চাচা।
  • তাহলে ম্যাডাম….চলেন যাওয়া যাক।
  • আরমান আবার।
  • হি হি।
  • বিকেল হয়ে আসছে….
    চলো বাসার দিকে যাওয়া দরকার।
  • হুমমমম।

    গাড়ি চলছে।
  • নীলা।
  • আমার না খুব খারাপ লাগতেছে।
  • কেনো।
  • তোমার বাবা আর দাদুকে সবাই কত
    সম্মান করে।
    আর আমি তাদের সাথে কী একটা
    ব্যবহার করে ফেলছি।
  • দূর….. তবু তোমার উপরে দুই জনেই
    অনেক খুশি।
  • দেখতে হবে না….হাজার
    হলে ও আরমান বলে কথা।
  • হুমমমমম…. হইছে।
    এবার গাড়িটা আমাকে দাও আমি ড্রাইভ করবো।
  • না না… তোমার বাবা তোমাকে ড্রাইভ
    করতে দিতে মানা করছে।
  • ঐ আমাকে ড্রাইভ করতে দিবা,
    নাকি কুতুকুতু দিবো।
  • ঠিকআছে… আসো।
  • এই তো গুড বয়।
  • আল্লাহ্ জানে…. কপালে আজ
    কী লেখা আছে!!!!
  • আআআআআআআআ….. ঐ আস্তে
    চালাও… মেরে ফেলবা নাকি।
    আমি এখনো বিয়ে করিনি।
    আর আজ পর্যন্ত একটা প্রেম ও করিনাই। (আমি কিন্তু সত্যি সত্যি কনো প্রেম করি নাই)
    আস্তে চালাও।
  • চুপপপপপ করে বসে থাকো।
    কপালে থাকলে আজকেই মরবা।।।। হি হি হি।

    সারাক্ষণ দুষ্টুমি করতে করতে কখনো নীলার দিকে সেভাবে তাকানোই হয়নি কিন্তু এখন খেয়াল করে দেখলাম একটা মেয়েকে হাসতে দেখলে যে এতোটাই সুন্দর লাগে!সেটা এই প্রথম নীলাকে দেখেই অনুভব করলাম।
    -হঠাৎই আনমনা হয়ে গেলাম আর নীলার দিকে তাকিয়েই আছি ঠিক তখনই নীলাও আমার চোখেচোখে তাকাতেই ঘোর কাটলো আমার।

    এভাবে এই প্রথমই নীলার দিকে এভাবে তাকিয়ে ছিলাম নিজের আনমনেই সালার তাও ধরা খেয়ে গেলাম।আসলে আমার দ্বারা ফাজলামোই সম্ভব হবে শুধু।

    তারপর নীলা আমার দিকে তাকিয়েই অট্টহাসি দিয়ে হঠাৎই গাড়ির গতি বাড়িয়ে দিয়েছে..
    এইরে আজকে তো আমি শেষ বলতেই…..

চলবে…….

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *