জমিদার বাড়ির মেয়ে যখন বউ পর্ব_০৮

  • এখন বর্তমানে তেমন কিছু
    করতে হবে না… শুধু আপনার ড্রেসের
    গেটাপটা পাল্টাতে হবে।
  • এই সব করলে ওরা ফিরে আসবে তো।
  • শুনেন আংকেল ফিরে যদি না আসে,
    তাইলে একদম টেনে হিচরে নিয়ে আসমু।
    আর সেটা ও যদি না হয়…আমার উপরে সব
    দায়িত্ব ছাঁইড়া দেন… নতুন একটু আন্টি
    ধরে নিয়ে আসমু।
    আল্লাহ্ দিছে আপনার বাবার কম কিছুু নাই,
    সাথে দেখতে ও মাসআল্লাহ্…
    মাইয়াগো লাইন ধরাই দিমু।
  • আল্লাহ্ জানে… না জানি কী
    ঝামেলাটাই না তুমি পাকাও।
  • আংকেল এত টেনশন নিয়ে কিচ্ছু
    হবে না…. চুপচাপ আমাকে ফলো করেন।
  • ঠিকআছে।

    আংকেলের ঐ সব ১৯৮০ সালের ড্রেস
    পাল্টাই…এখনের ২০১৮ একদম হিরো
    বানাই দিছি।
    ।।
  • কী আংকেল কেমন লাগতেছে।
  • ভালোই তো লাগতেছে…কিন্তু তোমার
    আন্টির পছন্দ হবে তো।
  • শুভ একটা কামে যাচ্ছেন তবু
    আপনার মুখে কোন ভালো কথা নাই।
  • কিন্তু আমরা এখন যাবো কোথায়।
  • কোথায় আবার আপনার নাইকাকে
    নিতে… আপনার নাইকার বাড়ি।
  • কীইইই…. না না না… আমি তো ওখানে
    কোন ভাবেই যাবো না।
  • তার মানে আন্টিকে আপনার দরকার নাই।
  • দরকার তো আছেই।
  • তাইলে এমন না না করেন ক্যান।
    চুপচাপ আমার সাথে সাথে আসেন।
  • আচ্ছা।

    আংকেলরে নিয়ে নিচে আসলাম….
  • এই যে দাদু তোমার ছেলের
    বউরে নিতে যাচ্ছি।
    একটু দোয়া করে দিও।
    ঐ টারে না আনতে পারলে যাতে
    অন্য আর একটা আনতে পারি… হি হি।

    ও মা এই যে আংকেল আপনি আবার
    হা করে দাঁড়াই আছেন কেনো।
    যান আপনার বাবার কাছে থেকে
    বিদায় নিয়ে আসেন।
    যেই বউরে নিতে যাচ্ছেন…ঐটা যুদ্ধের থেকে
    কম কিছু না।
    যান বিদায় নিয়ে আসেন।
  • হুমমমমমমমমম।
  • দোয়া করো বাবা তোমার বউ মা আর
    নাতনিরে নিয়ে যেন আসতে পারি।
  • ঠিকআছে…. ভালো করে যাস।
  • এই যে আংকেল ঐ দিকে আবার
    কই যাচ্ছে।
  • কেনো… ঐ গাড়িতে যাবা না।
  • ঐ গাড়িতে করে গেলে আপনার বউ
    জিবনে ও আসবো না…উপর থেকে আবার
    মনে মনে ভাববো তার কথা আপনি
    মনেই করেন না।
    মনে যদি করতেন তাহলে তার পছন্দের
    গাড়িটা নিয়ে যেতে।
  • এই টুকুর জন্য কী ও এতো কিছু
    ভেবে বসবে।
  • হাজার হলে ও আপনার বউ, কোন
    বিশ্বাস নাই…ভাবতেই পারে।
  • হুমমমম… ঠিক বলছো… তাহলে চলো
    ঐ গাড়িটাই নিয়ে যাই।

    আমি গাড়ি চালাচ্ছি আর আংকেল
    পাশে বসে আছে।
  • আরমান… আমার না কেমন কেমন
    লাগতেছে।
    তোমার আন্টিকে আমি ফিরিয়ে আনতে
    পারবো তো।
  • আংকেল আপনাকে কয়টা কথা বলি
    মাথাটা পরিষ্কার করে কথা গুলো
    মাথার মধ্যে ঢুকাই নেন।
  • ঠিকআছে… বলো।
  • এখন থেকে মনে করেন আপনি আর
    আপনি না…আপনি হচ্ছেন আরমান,,
    মানে আমি… যার কোন সরম লজ্জা
    ভয় ডর কিচ্ছু নাই।
    একদম ছেঁচড়া একটা পোলা আপনি।
    মনে থাকবে।
  • কিন্তু… আমি তো ওমন না।
  • ঠিকআছে…তাইলে গাড়ি ঘুরাই,
    আপনার আর কষ্ট করে যাওয়া
    লাগবো না।
    কারণ যেয়ে ও কোন লাভ নাই।
    আমি আমার রাস্তাই আপনি পারলে
    অন্য আর একটা বিয়ে করে নিয়েন,
    এতে আপনারি মঙ্গর।
    গাড়ি ঘুরালাম।
    -আরমান এমন করো ক্যান…. ঠিকআছে
    আমি চেষ্টা করবো তোমার মতো হয়ে
    থাকতে।
  • এই তো গুড…. এবার চুুপ চাপ
    বসে থাকেন…আর নিজেরে একটু
    ছেঁচড়া ছেঁচড়া ভাবেন।
  • হুমমমমম।

    আন্টির বাসার সামনে চলে আসছি।

    দরোজার সামনে দাঁড়াই…ঠক ঠক ঠক।
  • ঐ আপনি এমন কাঁপতেছেন কেনো।
  • আরমান… আমার তো কেমন
    লাগতেছে।
  • আপনি কী মানুষ হ্যা…আমার
    টাইটেল গুলা আপনারে দিলাম যাতে একটু
    সাহসী হন।
    কিন্তু আপনি তো দেখছি, আমার টাইটেল
    গুলারে একদম মাটির সাথে মিশিয়ে
    ফেলবেন।
    আন্টি যদি দরোজা খুলে দেখে আপনি
    এমন কাঁপতেছে, ওনি তো ভাববে
    আপনার মৃগী ব্যারাম হইছে।
    এমন কাঁপাকাঁপি না করে… মনে
    মনে ভাবেন আপনি আপনি না
    আপনি আরমান।
  • আচ্ছা।

    আবার….ঠক ঠক ঠক।
  • কে।
  • আন্টি আসতেছে আন্টি,
    একটু স্মার্ট হয়ে দাঁড়ান।
  • হুমমমমম ।

    দরোজা খুলতেই…দুইজন দুইজনের
    দিকে একটু তাঁকিয়ে ছিলো।
    একটু পরে আন্টি আংকেলের দিক থেকে
    আমার দিকে ঘুরলো।
  • আরমান… আচ্ছা ছেলে তো তুমি,
    তোমার কোন লজ্জা সরম নাই.. হুমম।
    ঐ দিন কী সব বলে চলে গেলে,
    আজকে আবার এখানে আসছো মানে।
    আসছো আসছো আবার বাহিরের লোক
    নিয়ে আসছো।
  • আর আপনি বুইড়া ভামের মতো একটা
    লোক এই সব কী পড়ছেন হ্যা…
    এই ছেলের রুপ ধরলে কী আপনার
    হবে,
    আপনার না কত্ত কাজ।
    ফ্যামিলিকে টাইম দেওয়ার মতো সময় ও তো
    আপনার নেই।
  • নিরা… সরি।
    আমি আর আগের মতো নেই
    বিশ্বার করো।
  • আমি ও আর আগের মতো নেই,
    এবার আসতে পারেন।
  • ও আন্টি হ্যালো….
    খালি হাতে যাওয়ার জন্য কী
    এতো দূরে আসছি
  • মানে….কারে নিয়ে যেতে চাও তুমি শুনি।
  • আমি আবার কারে নিয়ে যামু ,
    উপরের ঘরে আমার ব্যাগ আছে।
    আমি আমার ব্যাগ নিতে আসছি।
  • ওহহহহহ…… ঠিকআছে।
  • নীলা… নীলাআআআ।
  • হ্যা মা।
  • এই ছ্যাঁচড়া ছেলেটার ব্যাগ নাকি
    উপরে আছে…নিয়ে এসে দে তো।
  • আচ্ছা।
  • ব্যাগ পেয়েছো…এবার যাও, বিদায় হও।
    আর খবরদার এখানে আসবা না।
  • এহহহহ আসছে বাড়ির মালিক।
    আমরা আসমু কী করবেন।
  • আরমান…. আমাকে রাগাবা না
    বললাম।

    আংকেল আপনি একটু থাকেন,
    আমি একটু নাস্তা করেই আসছি।
  • এই এই দাঁড়াও…কীসের নস্তা,
    বাহিরে গিয়ে নাস্তা কইরো,
    এবার এখান থেকে বিদায় হও।
  • ওরে আংকেল কী দেখে
    বিয়ে করছিলেন… কী কিপ্টে ।
    একটু নাস্তা ও নাকি দিতে দিবে না।
  • হ্যা..আমি কিপ্টে… এবার যাও বের হও।
  • হুমমমম….হচ্ছি…আংকেল চলেন তো,
    একটা বউ নিয়ে পড়ে থাকতে হবে না।
    আপনারে নতুন একটা বউ আইনা দিমু,
    এমন কিপ্টে বউ দরকার নাই…
    যেখানে একটু নাস্তা করার স্বাধীনতাও নাই।
  • তোমরা কী বের হবা, নাকি আমি পুলিশ ডাকবো।
  • হুমমমম…হচ্ছি হচ্ছি।

    বাহিরে গিয়ে গাড়ির ছাঁদের উপরে
    বসে আছি।
  • আরমান…..আমার তো মনে হয় না,
    তোমার আন্টি আমাদের সাথে যাবে।
  • ওরে আংকেল আপনার মুখে কী
    কোন সময় ভালো কথা আসে না.. হ্যা।
    আপনার দোষেই তো আন্টি এমন হইছে,
    আমার তো মনে হচ্ছে সব দোষ আপনারই।
  • হুমমমম….. আসলে দোষ সব আমারি।
  • দোষ যখন আপনারই তখন একটু ধর্য
    ধরতে কী হচ্ছে।
    আপনার কপাল ভালো যে আমার
    মতো কাউরে পাইছেন….
    তা না হলে… আপনার আর আন্টির
    জীবনে ও এক হওয়া হইতো না।

    সমনে দেখি নীলা আসতেছে।
    কাছে এসেই হাঁসতে লাগলো।
  • হা হা হা…. বাবা তোমাকে একদম
    জোকারের মতো লাগতেছে।
    এই ফাজিলের বুদ্ধি শুনে এমন হয়ে এখানে
    আসছো তাই না।
  • ঐ শোন… আজ আমি ফাজিল বলেই,
    তুমি তোমার বাপ মারে এক সাথে
    দেখতে পাইতেছো বুঝলে।
  • হুুমমমমমম….এবার যদি আম্মুর কাছে যাও না,
    তোমারে ঝাঁড়ু পেটা করবে।
  • সে আমি জানি… তোমার আম্মুকে
    চেনা আমার হয়ে গেছে।
  • এই সব ছেঁচড়ামি বাদ দিয়ে , খাবার
    আনছি খেয়ে নাও।
  • এই সব রান্না কে করছে।
  • কে আবার করবে… মা করছে।
  • কই দেখি দেখি (আংকেল)।
  • এই যে ।
  • ও আংকেল বউয়ের হাতের খাবার
    দেখে এত উতলা হওয়ার কিছু নাই….
    পড়ে দেখবেন খাবারে বিষ মেশানো
    আছে।
    আর সেই খাবার খেয়ে আমার দুইজন
    সোঁজা উপরে ।
  • আরমান…. তুমি আসলেই একটা
    আস্ত ফাজিল…।
  • হুমমমমম….খারাপ তো আমিই আর
    তোমরা সব গুলা অনেক ভাবো।
  • এতো কথা না বলে খাও আমি
    গেলাম।
  • হুুমমমম… যাও।
  • এই যে মজনু সাহেব… আপনি খাবেন,
    নাকি আমি একলাই খামু।
  • আচ্ছা দাও খাই।
  • আরমম্মম্মম্মম্মম্মম্মান।
  • আমি জানতাম খাবারে বিষ
    আছে।
  • আরে দূর বিষ থাকবে কেনো।
  • তাহলে এমন আরম্মম্মমান… বলে
    উঠলেন কেনো।
  • সেই সতেরো বছর আগে রান্নাই যেই
    টেস্ট ছিলো… সেই টেস্টটাই আজকে
    পাইতেছি।
    কোন রকমের কোন কমতি নেই,
    সেই একই রকমের গন্ধ।
  • কী সব আজাইরা কথা কন না…
    বউয়ের হাতের রান্না দেখে মাথাটা
    হয়তো গেছে।
  • না আরমান… নিরা যখন স্পেশাল ভাবে
    একমাত্র আমার জন্য রান্না করতো,
    তখনই এমন হতো।
  • সত্যি।
  • হুমমমমমমম।
  • যাক….তাহলে আন্টিও একটু সাঁড়া
    দিচ্ছে।
  • আরমান… রাত তো অনেক হয়ে গেলো,
    এবার কী করবে।
  • চলেন….রাত্রে আর একবার আপনার
    বউরে পটানোর ট্রাই মারি।
  • কেমনে।
  • আপনার বউয়ের রুমে গিয়ে।
  • ঐ… ওখানে গিয়ে কী করবা।
  • আমি গিয়ে কী করমু….যা করার সব তো
    আপনি করবেন… আমি শুধু আপনারে
    পথ দেখাই নিয়ে যামু।
  • ওহহহহ…. আচ্ছা।

    চুপি চুপি আন্টির রুমে গেলাম।

    ঠক ঠক।
  • ঐ আরমান… কী বলবো আমি।
  • আপনার কিছু বলতে হবে না।
    দরোজা খোলা মাত্রই আন্টিকে জরাই
    ধরবেন।
    আর.. যা মুখে আসে সব বলে দিবেন।
    পরে যা হবে দেখা যাবে।

    ঠক ঠক….।

    দরোজা খোলার শব্দ।
  • আংকেল রেডি তো।
  • হুমমমম।
  • আমি সাইটে আছি কোন ভয় নাই।
  • দরোজা খোলা মাত্রই।
    মনে হলো…
    আংকেল আন্টিরে জরাই ধরলো।
  • নিরা তোমাকে ছাড়া আমি আর থাকতে
    পারবো না…তোমাকে আমি অনেক
    ভালোবাসি।
    আমি আর তোমার থেকে দূরে থাকতে
    চাই না।
    কী বলে যে তোমাকে বুুঝাবো
    কিছুই বুঝতেছি না।
    আমি আরো আগেই তোমার
    কাছে আসতে চাইছিলাম।
    কিন্তু কী যেন একটা ভয় আমার
    ভিতরে কাজ করতো।
    আমি আসতে পারতাম না,
    তোমাকে ছাঁড়া থাকতে খুব কষ্ট হতো জানো।
    আমি আর পারছি না।
    প্লিজ আবার আগের মতো হয়ে যাও,
    আমার সাথে চলো… প্লিজ।
    তোমার দুইটা পায়ে ধরতেছি।
  • ঐ ছেঁচড়া আরমান এই সব পায়ে ধরা
    শিখাইছে তাই না।
  • আরে না।
  • আমি জানি তো… ঐ বাঁদরটারই কাজ এই সব।
  • আচ্ছা ঐ সব বাদ দাও না… আমার সাথে
    যাবে বলো।
  • যেতে পারি তবে একটা শর্তে।
  • কী শর্ত বলো…আমি তোমার সব শর্তে রাজি।
  • সব সময় আমাকে টাইম দিতে হবে,
    আমার কথা শুনতে হবে।
  • আচ্ছা…. সব সময় তোমার সাথেই একদম
    লেগে থাকবো।
  • ঠিকআছে।
    ঐ বাঁদরটা কই আছে বলতো।
  • পাশেই তো থাকার কথা।
  • আরমান…. আরমান।
  • আন্টি আমি এখানে।
  • আউউউওও…. লাগতেছে তো কান ছাঁড়েন।
  • এমন কান ধরে তোরে পুরো এলাকা
    ঘুরানো দরকার।
  • কেনো… আমি আবার কী করছি।
  • কিছুই করিস নাই জন্যই তো এমনটা
    করা দরকার।
  • আচ্ছা ঠিকআছে…কান ধরে ঘুরাইয়েন,
    তার আগে বলেন…
    আপনারা সব মিটমাট হইছে তো।
  • হুমমমমম।
  • যাক…. আলহামদুলিল্লাহ্…. আমি তাইলে
    এবার বাঁচলাম।
    এখন তো ফ্রি মাথাই পুরা সিলেট খালি
    ঘুরমু আর ঘুরমু।
  • তাই না।
  • হুমমমমম…আচ্ছা আন্টি সব যখন
    হয়েই গেছে…আপনারা ও ঘুমান আর
    আমি ও একটু ফ্রি মাথাই ঘুমাই।
  • ঠিকআছে… যা ঘুমা।

    পরেরদিন সকালে…. নীলার রুমে গেলাম।
    ঠক.. ঠক.. ঠক…।
    দরোজা খুলেই।
  • আরমান তুমি এখনে কখন আসলা।
    আর তারাতারি ভিতরে আসো।
    আম্মু যদি তোমারে দেখে না…
    সেই রকম মাইর দিবো।
  • আরে দূর… কালকে রাতেই সব
    মিটমাট হয়ে গেছে।
  • মানে।
  • মানে আবার কী?
    তোমার বাবা মা এক হয়ে গেছে।
  • সত্যি।
  • আরে হ্যা সত্যি।
  • আরমান….. উমমমমমমম্মা।
  • ঐ ঐ কী করতেছো…. ছি…. বাসি
    মুখে কী কেউ কাউরে এই সব করে।
    তুমি তো দেখি আমার বিয়ে হতে দিবা না।
  • হুমমমমমমম……উমমমমমমমম্মা।
  • আবার!

    দরোজার দিকে তাঁকাই দেখি….
    আংকেল, আন্টি দুই জনেই দাঁড়িয়ে আছে।
    তারপর….
    চলবে..

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *