কে জানি পিছনের দিকে টান দিয়ে
ঠাসসসসসস,,,ঠাসসসসসস,,ঠাসসসসসসস
আমি তো পিছনে ফিরে অবাক😱
আমি- মারলেন কেন আমারে?!
ইতি- আমার ইচ্ছা হয়ছে তাই মারছি?!!
আমি- দেখ তোর সাথে ভালো ভাবে কথা বলে লাভ নাই তুই আমাই মারলি কেন। কোনো ভুল ছাড়া অযথা এই আরমান কে মারার কারো অধিকার নায়?(চিৎকার করে)!
ইতি- এইটা কলেজ ফষ্টিনষ্টি করার জায়গানা বুঝলি??!
ঠাসসসসসসসসসসসসস
আমি- এটা কলেজ ও আমি জানি আমাকে তুই পাগল ভাবছিস নাকি, আর এই খানে ফষ্টিনষ্টি করবোনা তো কোথায় করবো তোর বাসাতে গিয়ে করবো, আমার যা মন চাই তাই করবো আমাকে মারার তুই কে হুম!?!
ওই দিকে ক্যাম্পাসের সবাই তো ‘হা হয়ে আছে ইতিকে থাপ্পড় দেওয়াতে!
ইতি- তোর এতো বড় সাহস তুই আমার গায়ে হাত তুল্লি এই ইতি চৌধুরীর গায়ে হাত(গালে হাত দিয়ে রেগে)!
আমি- হুম, তোর কি করে সাহস আমাকে মারার আমাকে তো আজ পর্যন্ত আমার মা বাবা ওই কখনো মারে নায়??!
ইতি- ফকির কোথাকার তোকে তো আমি এখনি এই কলেজ থেকে লাথি দিয়ে বের করে দিবো দেখবো তুই কি করে থাকিস আর জীবনেও কোনো কলেজ যাতে ভর্তি না হতে পারিস সেই ব্যবস্তা আমি এখনি গিয়ে করতাছি?!(ফুল রেগে)!
আল্লাহ এই মেয়ে এখন নি আবার T.C. করিয়ে দেই তাইলে কি হবে তখন অন্য কলেজে ভর্তি হবার কোনো টাকা ও নাই!(মনে মনে বলতে লাগলাম)
আমি- ওই শুন তোর হুমকি কে আমি ভয় পাইনা আর একটা কথা এতো বড় বড় আলাপ যে করছিস কিসের উপর থেকে তোর নিজের কোনো ক্ষমতা আছে??!
ইতি- মানে কি বলতেছাস তুই?!!
আমি- সত্যিকারে জীবন আর রিয়েল হিরো তো তারাই যারা নিজের ক্ষমতা প্রয়োক করে আর কোনো ভাল কাজে, তোর মতো আলতু ফালতু ভাবে না?!!
ইতি- ওই মুখ সামলিয়ে কথা বল! তোর কি ক্ষমতা আছে হুম!
আমি- এই যে বড় আলাপ করছিস সব অন্যের পাওয়ারে ক্ষমতাতে তোর বাপ মন্ত্রী বলে পারবি কিন্তু তোর নিজের কি ক্ষমতা আছে বল আমাকে আর তোর বাপকে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ ওই মন্ত্রী বানাইছে তাই বলে ওর ক্ষমতা আছে , আর বাপের ক্ষমতা ছাড়া তুই আমার একটা শরীরের লোম ও ছিঁড়তে পারবিনা তোর নিজের ক্ষমতা দিয়ে তোর তো নিজের কোনো ক্ষমতা ওই নাই পারলে করে দেখাস পরের প্রভাব তো তেলাপোকারা করে?! (চিতকার করে)!
ক্যাম্পাসের সবাই শুধু শুনতে আছে!
ইতি- ও তাই ওকে তাইলে দেখ আমি ও কি করতে পারি নিজের ক্ষমতাই তুই এই কলেজে থাক আর আমার খেলা দেখতে থাক?!!
আমি- হুম যা যা যা দেখার আছে!
তারপর ও চলে গেলো রাগে গটগট করতে করতে!
রিয়া- দোস্ত আমি কিছু বোঝতে পারছি না এই মেয়েকে?!
আমি- মন্ত্রীর মেয়ে?!
রিয়া- তাইলে ওর সাথে তোর কি ঝামেলা হলো এটা?!
আমি- সেই অনেক কথা?!
রিয়া- কি?!
তারপর ওকে সব কিছু খুলে বল্লাম!
রিয়া- আরমান দেখ ওদের সাথে কি আমরা জীবনে পারবো তুই কেন এমন টা করতে গেলি?!
আমি- দেখ জানিনা পারবোনা তারপর ও ওনী অনেক ভুল করছে তারপর ও আমি অনেক চেষ্টা করছি শেষ করতে আর sry ও বলছি সেই খানে ওনার ভুল ছিল তারপর ও কিন্তু কথায় আছে না কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয়না ওনার একি অবস্তা??!
রিয়া- তারপর ও আমার ভাল মনে হচ্ছে না, যাইহোক তুই আবারো ক্ষমা চেয়েনে আমি দরকার হলে আমরা সবাই ছাইবো ওনাদের সাথে কি আমাদের জমবে বল??!
আমি- দেখ এটা হবে না ওনী মনে হচ্ছে আমি ওনাকে ওনার ইগো হার্ড করছি, তারপর ও কিছু বলি নাই কিন্তু ওর মতো রাগি আর শাঁকচুন্নি কে কি ভাবে ঠিক করতে হয় আমি জানি?! ভালো কথাতে সোজা হয়না?!!
রিয়া- চল ক্লাসে যাই?!
আমি- হুম! চল!
তারপর ক্লাস শেষ করে বাসাতে ফিরে গেলাম!
আপু- ভাই আমার জব টা হয়ে গেছে?!
আমি- সত্যি?!
আপু- হুম।নে মিষ্টি খাঁ!
আমি- হুম, যাক আল্লাহ, বল্লাম না আপু আল্লাহ নিরাশ করবেনা তোমাকে?!
আপু- হুম!
আমি- এবার আমার একটা কিছু হলে হয় আল্লাহ আল্লাহ করে!!
তারপর খেয়ে এসে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লাম দেখতে দেখতে প্রায় ১মাস কেটে গেলো ইতি আমাকে অনেক ভাবে অপমান করে কিন্তু কোনো ভাবে পারে না আমি সুযোগ পেলে ছাড়ি না কেও কাওকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেই না লেগেই থাকি একজন আর একজনের পিছনে!! আরমানকে চিনতে পারিস নাই শাঁকচুন্নি এখনো আরমানের সাথে পাংগা!
যাইহোক আজ ২দিন পর কলেজেতে যাইবো একটু কাজ ছিল তাই ২দিন যাইনাই!
সাইকেল নিয়ে কলেজে যাইতেছে কিছুদূর যাওয়ার মাত্রয় দেখি ২টা ছেলে একটা মেয়েকে ধরে টানা হিজড়া করতাছে আমি এগিয়ে গেলাম, গিয়ে দেখি আরে এটাতো ইতি কিন্তু ওরা কারা আর ওর গাড়ি কোথায়!
আমি- ওই ছাড় বলছি?!কিছুটা এগিয়ে যাওয়া মাত্রয় ছুরি বের করে ওর দুই হাতে পুচকে দিয়ে ওর জিনিস গুলা নিয়ে চলে গেলো!আমি যাওয়ার আগেই ওরা চলে গেলো দৌড় দিয়ে ওনার কাছে গেলাম!
আমি- এই ঠিক আছেন আপনি?!
ইতি- হুম, ঠিক আছি?!
আমি- এই কি আপনার হাত দিয়ে তো রক্ত পরতাছে গড়িয়ে,, চলেন ডাঃ কাছে যাইবেন ?!
ইতি- না আমি ঠিক আছি তুমি চলে যাও(ব্যথাতে ও কাৎরাচ্ছে)!
আমি- (মনে মনে কি বেপার তুই থেকে তুমি বল্লো চেঞ্জ😱) আপনাকে এই ভাবে রেখে কি ভাবে যাই, চলেন আপনি ডাঃ কাছে মেডিসিন আর বেনডেজ করবেন?!
ইতি- কি দিয়ে যাবো?!
আমি- এই খানে তো এখন কোনো রিক্সা ও পাওয়া যাবেনা আপনি কি ভাবে যাবেন?? হেটে ওতো যেতে পারবেন না??!
ইতি-হুম তাও কথা?!
আমি- আপনার হাত দিয়ে অনেক রক্ত পড়তাছে তবে আমি বলি কি আপনার কোনো সমস্যা না থাকলে আমার সাইকেলের সামনে বসে যেতে পারেন?!
ইতি- ওও আচ্ছা চলো?!
আমি- ভেবে বলছেন তো?!!
ইতি- ওই ভেবে বলার কি আছে,, এতো কথা বলো কেন আর আমি ওটা বলতে চাচ্ছিলাম তার আগে তুমি বলে দিছো?!
আমি- ও আচ্ছা চলেন!
তারপর ওনাকে আমার সাইকেলের সামনে বসিয়ে নিয়ে চলতে লাগলাম ওনার চুলের সুঘ্রাণে সুভাষে আর ওনার শরীলের স্প্রে মাতানো মধুর ঘ্রানে আমি জেনো এক অন্য ভুবনে হারিয়ে যেতে লাগলাম!।সেই মোমেন্টে আছি মনে হয়😍
আর মনে মনে বলতে লাগলাম এই পথ যদি না শেষ হয়!
চলবে…………..