পাশের বাসার মেয়ে যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-০১

আমি: এই এই কি শুরু করছিস এই সকালে হুম
মেয়ে: ওই তোর সমস্যা কি? আমি যাই করি।

দেখেন তো ভাই,
শালা সকাল সকাল ঘুম ভাঙায় দিচ্ছে আর উনি হলেন আমার পাশের বাসার মাইয়া যাকে বলে দজ্জালের আম্মু
আমি: মানে কি? যাই করি
মেয়ে: এই দেখ সকাল সকাল সিন ক্রিয়েট করতে চাই না।
আমি: কে সিন ক্রিয়েট করছে শুনি তুই প্রতিদিন ছাদে এসে চিল্লাচিল্লি শুরু করিস কেন?
মেয়ে: এই দেখ খুব খারাপ হচ্ছে কিন্তু?
আমি: এই এই ছেমড়ি কি খারাপ হচ্ছে শুনি? আজ এর একটা বিচার হওয়াই লাগবে।
মেয়ে: উম আসছে, আর হ্যাঁ এটা তোর বাপের জায়গা নাকি যে চিল্লাচিল্লি করা মানা আছে।
আমি:কি তুই আমার বাপ তুলে কথা কইলি।
মেয়ে: জ্বি কইলাম কি করবি তুই
আমি:এই দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু। তুই প্রতিদিন আমার ঘুমের ডিস্টার্ব করিস কেন বলতো
মেয়ে: হিহিহি, ভালো লাগে গো।
আমি: এই দেখ এক ন্যাকামি সহ্য হয় না।
মেয়ে: ও হো গফ ন্যাকামি করলে সহ্য হয়, আর ফ্রেন্ড ন্যাকামি করলে সহ্য হয় না তাই না।
আমি: এই ছেমড়ি তুই আমার কোন কালের ফ্রেন্ড হ্যাঁ
মেয়ে: বাবা পোলা দেখি সব ভুলে গেছে গা, সেই ছোটো থেকে একসাথে সব স্কুল কলেজ যাই।
আমি: হ্যাঁ এবার বল না এক সাথে টয়লেটেও যাই, যত্তসব

এটা বলে আমি রেগে রুমে চলে এলাম।
বালিশে মাথা দিতেই আব্বু হাজির হলো….

আব্বু: এই যে মহারাজ কখন উঠবেন বাজে তো ১০ টা।
আমি: আব্বু এখন যাও না একটু ঘুমাতে দাও না।
আব্বু: শেখো শেখো মেয়েটাকে দেখে শেখো, সে ভোরে উঠে চারিদিকে একবার ঘুরে বাসায় সব কাজ কর্ম করছে।
আমি: ওহ আব্বু, অন্যের মাইয়ার লগে তুলনা করা বন্ধ করবা কি?

শালা কানের মাথা সবসময় এক কথা বলেই খায়, না জানি আর কতো শুনতে হবে। আর সবার আব্বু আম্মুই এরকমই হয় অন্যের পোলা মাইয়ার নিয়ে তুলনা। কই কখনো এটা তো বলে না যে ওর পোলা এতোগুলা প্রেম করছে তুইও কর, ওর পোলার একটা আইফোন আছে তোকেও একটা দিতে হবে,,,,,

আব্বু: ওহ এখন তো গায়ে লাগবেই, আপনাদের দুজনের ঝগড়াতে তো পুরো মহল্লা জড়ো হয়ে গেছে।
আমি: তা জানি সেটা প্রতিদিন হয়।

জ্বি ভাইয়ারা আমাদের দুজনের ঝগড়া প্রতিদিনি হয় আর প্রতিদিন সবাই বাসায় নীচে এসে থামানোর চেষ্টা করে

আব্বু: তা কলেজ যাওয়া হবে কিনা মহাশয়? এতোগুলা টাকা দিয়ে তো অ্যাডমিশন করালাম।

শালা এতো তো মাথা খেয়ে নেবে, নাহ এর থেকে বেটার কলেজ গিয়ে ক্লাস রুমের বেঞ্চে ঘুমানো।

আমি: আচ্ছা আব্বু, উঠছি। কলেজে যাবো।

এবার আমি ওয়াশরুমের দিকে এগোলাম, শালা চোখে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছি না। টলমল টলমল করে যাইহোক করে ফ্রেশ হয়ে বাইরে এলাম। ওহ আমার পরিচয়টাই তো দেওয়া হয়নি,,,,,

আমি আরফান চৌধরী আপনারা আবার ভাবেন না আমি চৌধরী বংশের কেউ আসলে ওইটা ভালো লাগে তাই দিছি আমার পুড়ো নাম আরফান পিয়াল ভালোবেসে সবাই আরফান বলে ডাকে, আর অনেকে থাক এটা বলব না আর ওই দজ্জাল মাইয়াটির নাম ঐশী, ও আমি একসাথেই পড়াশোনা করি মানে ফ্রেন্ড, না ভাই যাকে বলে চির শত্রু আমরা ইন্টার ২য় বর্ষে স্টাডি করি। আচ্ছা পাঠক ভাইয়ারা লেট হয়ে যাচ্ছে, পরে কথা বলবানে। এবার চেঞ্জ করে ব্যাগ নিয়ে বাসার নীচে গিয়ে বাইকে চাপতেই…
ঐশী: এই আরফান আমাকে একটু ড্রপ করে দে না।

উফ সুরেলা আওয়াজ, না ভাই এতো জান্নাতের ভয়েস শালা ছেমড়ি।
আমি এবার পিছন তাকিয়ে…

আমি: না হবে না।
ছুটে এসে ঐশী আমার হাত ধরে মিষ্টি করে….
ঐশী: আরফান প্লিজ ড্রপ করে না দে, আর ডিস্টার্ব করবো না, আমার সোনা আমার মোনা।
আমি রেগে…
আমি: এই দেখ সোনা মোনা একদম বলবি না আমার সহ্য হয় না।
ঐশী: আহা কেন বাবু প্রেমে ধোঁকা খাইসো।
আমি: জানিস তো আবার এত কথা কিসের।
ঐশী: আহা গো।
আমি: এই দেখ এতো আলগা পিরিতি দেখানো লাগবে না, উঠে বসবি তো বস নাহলে আমি গেলাম।
ঐশী: আচ্ছা।
ঐশী দেখি উঠে বসলো।

রাস্তায় যেতে যেতে আমি বাইকের আয়নায় লক্ষ করলাম ঐশী রেগে আমার মাথাতে ঘুষি মারার জন্য রেডি হচ্ছে।
আমি এবার বাইক থামিয়ে…
আমি: এই নাম
ঐশী: কেন?
আমি: নামতে বলেছি তো নাকি
ঐশী: আচ্ছা।
এবার ঐশী নেমে গেলো…
আমি: আচ্ছা বাই, আমি তোকে আর নিয়ে যেতে পারবো না।
আবার ঐশী আমার কাছে এসে….
ঐশী: আরফান এই আরফান
আমি: এই দেখ এই ন্যাকামি আমার একদম সহ্য হয় না
ঐশী: আমাকে নিয়ে চল না আচ্ছা আমার দোষটা কোথায় বল?

আমি তো শুনেই অবাক, শালা এ মেয়ে তো কথাই কথাই মিথ্যা বলে এজন্যই কোনো মেয়েকে আমার আর বিশ্বাস হয় না।
আমি: আবার মিথ্যা, বাইকের সিটে বসে কি করছিলি শুনি?
ঐশী এবার জিভ বের করে এক চোখ মেরে…
ঐশী: ইশ তুই দেখে নিয়েছিস? সরি সরি সরি প্লিজ আরফান ড্রপ করে দে না।
আমি: না পারবো না।
ঐশী: প্লিজ, এই দেখ ভাড়াও দেবো।

এটা বলে একটা ১০ টাকার নোট বের করলো।
ভাইরে আমার মাথা তো রাগে গরম হয়ে গেলো, তার পরও মূহুর্তেই মাথায় এলো, নাহ দশ টাকায় সিগারেট তো হবে। ফালতু আমিও যাচ্ছি ওকেও না হয় নিয়ে যাই।
আমি: আচ্ছা আগে টাকা দে, নেক্সট আমার বাইকে চাপাবো।
ঐশী: আচ্ছা।

এটা বলে বাইকে ঐশী চাপলো, আমরা এবার কলেজে ঢুকতেই আমার সব ফ্রেন্ডরা আমাকে ঘিরে ধরলো,,
রোমান এসে আমার মাথায় একটা থাপ্পড় মেরে…
রেদওয়ান: শালা গান্ডু আমরা বাজিতে হেরে গেলাম তো।
দেখি ঐশী আর ওর ফ্রেন্ডরা হাসাহাসি করতেছে।
আমি: মানে কি?
ভাইরে আমি তো অবাক, বাজি আবার কিসের
রিফাত: আমরা বাজি লাগিয়ে ছিলাম কাল সকালে ঐশী তোর বাইকে কখনো কলেজের গেটে আসতে পারেনি, তুই মাঝ রাস্তাতেই নামিয়ে দিস, আজ কেন নামালি না ভাই?
আমি: যাহ শালা আমাকে তো এ কথা আগে বলবি।
ঐশী এবার আমার কাছে এসে বলল…
ঐশী: হিহিহি তোকে দশটা দিয়ে পাঁচশো টাকার বাজি জিতে নিলাম কেমন বল
আমি: এই দেখ মেলা ফ্যাঁচফ্যাঁচ করবি না আর হ্যাঁ ওর মধ্যে আমারো ভাগ আছে।
এবার ঐশী কোমড়ে হাত দিয়ে…
ঐশী: ওই কিসের ভাগ?
আমি: ওহ এখন তো কিসের ভাগ? এতোটা রাস্তা কে নিয়ে এলো শুনি আর কার জন্য বাজি জিতছিস ভেবে দেখ।
ঐশী: ও তো ভাবা লাগবে না যা তো।
আমি: তোকে দেখে নিবো আমি ঐশী।
ঐশী এবার ওর মুখটা আমার কাছে নিয়ে এসে…
ঐশী: এই দেখ না কতো দেখবি।
আমি বিরক্ত হয়ে….
আমি: এই ছি ছি দূরে সর, উম কি দূগন্ধ
এটা বলতেই ঐশী রেগে….
ঐশী: কুত্তা, বিলাই, হারামি। আমাকে তোর কোনদিন ভালো লেগেছে শুনি।
আমি: জ্বি ভালো লাগবে তো তখনই যখন ওই ৫০০ টাকার ভাগটা আমায় দিবি।
ঐশী: তুই এমন কেন হুম
আমি: আমি তো ছোটো থেকেই এমন।
এবার ঐশী ওই বাজির টাকাটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে…
ঐশী: আমাদের জন্য চক্লেট নিয়ে আসিস, আর তোরা গিলিস যা থাকবে।

ঐশী এবার চলে গেলো, এবার আমরা সব ফ্রেন্ড এক হয়ে ক্যান্টিনে গেলাম, কিন্তু রেদওয়ানের মুখ বাংলার পাঁচ হয়ে আছে কারন টাকাটা রেদওয়ান শালা বাজিতে হেরে গেছে আর এখন টাকাটা চাইতাছে।
আবার রোমান আমার কাছে এসে…
রেদওয়ান: এই আরফান দেখ শুধু এতোগুলো টাকা খরচ করে লাভ আছে, চল না তোদের একটা করে সিগারেট খাইয়ে দেবো।
আমি: ওটি হপ্পে না সোনা ।
রেদওয়ান : প্লিজ।
আমি: না না।

কথায় আছে না বৌ হারালে বৌ পাওয়া যাই রে কিন্তু ফ্রেন্ডের হাতে কোনো জিনিস এসে গেলে সেটা পাওয়া অসম্ভব একটা ব্যাপার
ঐশী আর ওর ফ্রেন্ডদের জন্য চক্লেট নিয়ে আমার বৈঠকখানায় হাজির হলাম মানে আমরা যেখানে সবাই বসে আড্ডা মারি, কলেজ মানেই তো আড্ডা মারার একমাত্র জনবহুল জায়গা
বসে থাকতে থাকতে রিফাত বলল …
রিফাত: এই বোরিং লাগছে, চল না কিছু একটা খেলি?
বাবু: চল বাসায় গিয়ে তোর বৌ এর সাথে লুডো খেল।
রেদওয়ান: হঠাৎ বলে উঠলো….
রেদওয়ান: চল ট্রুথ ডেয়ার খেলি।
আমি তাড়াতাড়ি করে উঠে…
আমি: এই ভাই আমি নেই, শালা এর আগের বার আমাকে মাথায় পানী দিতে হয়ছিলো।
হাসি: না এবার দিতে হবে না শুধু সিম্পেল হবে।
আমি: আচ্ছা।

এবার শুরু হল ট্রুথ ডেয়ার…..
বোতল ঘোরানো শুরু হলো,
শালা সবার মুখের দিকে তাকাতেই হাসি পাচ্ছে
রেদওয়ানের গফ আবার হাসি সো রেদওয়ান তো একটু ভয় পাচ্ছে, আর আমি রেদওয়ান এনিটাইম ট্রুথ নেয় ডেয়ার একদম নয়
বোতলটা ঘুরতে ঘুরতে মারিয়ার দিকে থামলো, সবাই চিৎকার করে..
রিফাত: মারিয়া তোর পালা, বল ট্রুথ না ডেয়ার।
মারিয়া: ট্রুথ।
আমি: বল লাইফে কি রকম জামাই চাস।
মারিয়া: যে আমার সব কথা শুনবে, যে আমাকে অনেক ভালোবাসবে প্রতিদিন অফিস যাওয়ার আগে রান্না করে রেখে যাবে, আর কোনো মেয়ের দিকে ফিরেও তাকাবে না আমাকে ছাড়া আর আমার প্রতিটা সুখ দুঃখের সময়ে পাশে থাকবে।
রিফাত আবার মারিয়াকে ভালোবাসে
রিফাত: ওহ হো, শালি তুই তো দেখি কল্পনার রাজ্যে ভেসে আছিস
এবার রেদওয়ানের টার্ন এলো….
রেদওয়ান ট্রুথ বলার আগেই…
আমি: রেদওয়ান ভাই যদি সাহস থাকে আজ ডেয়ার নিয়ে দেখা।

রেদওয়ান এটা শুনে থতমত খেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মনে হয় বলছে খুব বাঁশ দিতে শিখছো তাই না আমি বুঝলাম এখানে হাসি আছে তার মানে একটা সম্মানের ব্যাপার আছে।
রেদওয়ান: আচ্ছা আচ্ছা ডেয়ার। (আমতাআমতা করে)
আমি: ভাই তুই জীবনে কয়টা প্রেম করেছিস আর এখন কটা করছিস? (আমি হেসেহেসে)
শালা ফ্রেন্ডকে কে না বাঁশ দিয়ে খুশি হয়েছে
রেদওয়ান: দেখ দেখ আরফান, এটা কেমন যে কোনো একটা কর। (ঘেমে আমতাআমতা করে)
বাবু: আচ্ছা প্রথমেরটা বল।
রেদওয়ান: এই এই তো একটা।
রিফাত: মাম্মা এই একটা খেলা।
রেদওয়ান: নাহ নাহ মানে হবে হয়তো ৮ থেকে দশটা। (এটা বলেই মাথা নিচু করে দিলো।)
দেখি রেদওয়ান আমার দিকে তাকিয়ে রাগে ফুঁসছে
আবার হাসি দেখি রেদওয়ান কি যেন ইশারা করছে আজ ওদের মধ্যে জোর রকম ঝগড়া ঝাঁটি চলবেই দেখছি
এবার দেখি আমার টার্ন এলো….
আমি: ট্রুথ।
রেদওয়ান: চিৎকার করে রাগে সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করতে করতে……
রেদওয়ান: এই এই এই সবাই চুপ, আমি বলছি কি করতে হবে।
আমি: আচ্ছা বল।
রেদওয়ান: ঐশীকে লিপ কিস করতে হবে।

এটা শোনার পর আমি তো পুরাই অবাক ভাই কি বলে।
ঐশীও দেখি শুনে অবাক।
আমি: দেখ রেদওয়ান এটা হয় না।
বাবু: জ্বি ভাই হয় এটাই গেম।
আমি: আচ্ছা ভাই অন্যকিছু করলে হয় না।
সবাই চিৎকার করে….
সবাই: না না আরফান হবে না এটা করতেই হবে।

এতো মহা বিপদ , দেখি ঐশী আমার দিকে রেগে তাকিয়ে আছে।
আবার না করলেও মান সম্মানের বারোটা বেজে ক হয়ে যাবে।
আমি এবার সবার সামনে সামনে…
আমি: ভাইরে শেষে এই মাইয়াকেই কিস করতে কইলি

এটা বলে আমি ঐশীর কাছে গিয়ে বসলাম

ঐশী আমার দিকে তাকিয়ে….
ঐশী: এই আরফান প্লিজ ওসব করিস না।

আমি ঐশীর দিকে হেসে….
আমি: কিচ্ছু করার নেই পাগলি তুই যদি বাজি জেতার জন্য আমাকে ওভাবে কিনতে পারিস আমিও আমার মান সম্মান রক্ষার তোকে তোকে কিস করতে পারি, কিন্তু তোর মুখে যা দূগন্ধ বাপ রে, উহ
ঐশী এবার আমার মাথার চুল ধরে….
ঐশী: এই কুত্তা আমি কি করতে বলেছি আর খবরদার করবি না, যাহ দূর হো চোখের সামনে থেকে
আমি: কিচ্ছু করার নেই যে মামনি

এটা বলেই আমি ওর গোলাপি রঙের গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটে আমার ঠোঁট চাপিয়ে দিলাম, ঐশীর চোখ আমার চোখের দিকে, সাপের মতো রাগে ফুঁসছে
আমি কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিয়ে…
আমি: ধন্যবাদ দোস্ত রেদওয়ান, ঐশীর লিপস্টিক এতো মিষ্টি তা কখনো জানতামই না

ঐশী আমার দিকে ছুটে এসে আমার উপর চেপে গেলো…
আমি একটা জোরে ধমক দিতেই ঐশীর চোখে পানী এসে গেলো, ঐশী আমাকে ভীষন ভয় করে কেন জানিনা।

জান্নাত এবার চোখের পানী মুছতে মুছতে…
ঐশী; হুম আমার কিস খুব সস্তা তাই না, আজ বাসায় চল না হুহুহু তোকে মজা দেখাবো।
আমি হেসেহেসে…
আমি: ওহ সুইটি আর কেঁদো না
ঐশী: কুত্তা দূর হো আমার চোখের সামনে থেকে।
এটা বলে ওর দুহাত দিয়ে আমাকে ঠেলে দিয়ে রেগে…
ঐশী: তোকে আমি বাসায় শাস্তি দেবো আয় একবার বাসায়।

তার পর কলেজ শেষ করে রেদওয়ান, বাবু, রিফাতদের বিদায় দিয়ে বাসায় যেতেই দেখি ঐশীর আব্বু আর আমার আব্বু কি যেন আলোচনা করছে ভাইরে ঐশী ওসব কির্তী কলাপ বলে ফেলেনি তো ভাই আমার তো ভয়ে ঘাম ঝড়ছে
আমি এবার আস্তে আস্তে আমার রুমে যাবো ঠিক তখনই আব্বু ডাক দিলো…..
আব্বু: এই হারামী এদিকে শোন কলেজে আজ কি করেছিস

ভাইরে আমার পা তো থরথর করে কাঁপছে, আর বুকের ভিতরে যে গিটারটা আছে তার একটা একটা করে তার টুং টুং করে ছিঁড়ে যাচ্ছে

নেক্সট পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন সবাই আগামীকালকে নেক্সট পর্ব দেওয়া হবে,,,লেখার মধ্যে ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া।

চলবে ———————

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *