বাসায় এসে কলিং বেল বাজালাম। একটুপর আম্মু এসে দরজা খুলে দিলো আমাকে আম্মু দেখে তো অবাক।
আম্মু- কিরে রিফাত তুই কোনো খবর না দিয়ে চলে এলি সব কিছু ঠিক আছে তো।
আমি- হুম আম্মু সব কিছু ঠিক আছে তোমাদের খুব মিস করছিলাম তাই চলে এলাম ভাইয়া কোথায়।
আম্মু- রুমে আছে।কি করছে তোর ভাইয়া জানিস।
আমি- কি করছে ভাইয়া আবার।
আম্মু- বিয়ে করে কাল বউ নিয়ে বাসায় এসেছে আমরা কেউ জানিনা।
আমি- কি ভাইয়া বিয়ে করেছে তাও আবার আমাকে না জানিয়ে।
আম্মু- আমাদের কেই বলেনি বিয়ে করে বউ নিয়ে এসে বলছে বিয়ে করে ফেলছি।
আমি- ভাবির বাসায় সবাই মেনে নিয়েছে।
আম্মু- হুম তাদের কেও আমাদের মত বিয়ের পর জানিয়েছে।
আমি- মেনে নিয়েছে তাহলে?
আম্মু- না মেনে কি করবে দুজন দুজনকে নাকি ৫ বছর থেকে ভালোবাসে আর কালকে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে এসেছে।
আমি- আচ্ছা আমি দেখছি।
আমি ফ্রেশ হয়ে ভাইয়ার রুমে চলে যাই। ভাইয়া আমাকে দেখে কাছে এসে জরিয়ে ধরতে গেলে
আমি- তোর সাথে আমার কোনো কথা নেই তুই বিয়ে করছিস আর আমাকে বলিসনি আমি তোর কেউ না তাই না।
ভাইয়া- তুই একটু বোঝার চেষ্টা কর আমি কোন অবস্থাতে বিয়েটা করছি
আমি- আমি কিছু বুঝতে চাই না তোর সাথে কোনো কথা নেই মানে কথা নেই সর ভাবীর সাথে কথা বলতে দে।
ভাবীর কাছে গেলাম। ভাবীর কাছে গিয়ে পাশের জনকে দেখেতো আমার চোখ কপালে সাদিয়া এখানে।
আমি- তুই এখানে কি করছিস।
সাদিয়া- তুই এখানে কেনো ও আমাকে খুঁজতে খুঁজতে এখানে চলে এসেছিস ইরার কাছে যা তোর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই
আমি- এই ছেমরি থাম তোর মতো তার ছিড়াকে আমি খুজতে যাবো কেনো।আর এটা আমার বাসা তুই এখানে কি করছিস।
ভাইয়া- রিফাত কি হচ্ছে আর তোমরা একে অপরকে চিনো সাদিয়া।
সাদিয়া- খুব ভালো করেই চিনি দুলাভাই এক নাম্বারের লুচ্চা এটা।আমাকে ভালোবাসে আর কত মেয়ের সাথে কথা বলে বেড়ায়।
আমি- ভাইয়া ওকে চুপ থাকতে বল আমার জীবনে এর মতো মেয়ে আমি দেখিনি শুধু শুধু সন্দেহ আর কথায় কথায় ব্রেকআপ।এই সালির সাথে ১টা বছর প্রেম করে আমার জীবনটা তেজপাতা হয়ে গিয়েছে। এক সেকেন্ড ও তোকে দুলাভাই বললো কেনো
ভাইয়া- কারণ ও তোর ভাবীর ছোটো বোন।
সাদিয়া- তার মানে এটাই আপনার ভাই।
ভাইয়া- হুম সালিকা এটাই আমার একমাত্র আদরের ভাই।
সাদিয়া- এতো আদর পেয়ে তো দিন দিন বাঁদর হচ্ছে।
আমি- দেখ মুখ সামলিয়ে কথা বল।ভাইয়া তুই আর মেয়ে খুজে পেলিনা এই সালির বোনকেই বিয়ে করতে হলো।
সাদিয়া- আপু তুই আর ছেলে খুঁজে পেলিনা এই লুচ্চা সালার ভাইকে ছাড়া।
ভাবী- অনেক্ক্ষণ থেকে তোদের ঝগড়া শুনছি এবার থাম কি শুরু করলি।(ধমক দিয়ে)
ভাবীর ধমক শুনে ২জনে চুপ হয়ে যায়।
ভাবী- আচ্ছা কি হয়েছে একটু বুঝিয়ে বলবে রিফাত।
ভাবীকে সব খুলে বললাম।
ভাবী- সাদিয়া এই সামান্য বিষয়টাকে তুই এতো বড় করছিস কেনো।
সাদিয়া- এখন যদি দুলাভাই কোনো মেয়ের সাথে বসে কথা বলে আর তুই কল করার পরও কল রিসিভ না করে তখন তুই কি করবি আপু।
ভাবী- মেরে হাত পা ভেঙে ফেলবো।
সাদিয়া- তাহলে তোর দেবরের কপাল ভালো আমি ওর হাত পা ভাঙিনি।
আমি- হুম আয় হাত পা ভাঙতে এই যে চুলে বেলুনি করেছিস না এটা তোর কেটে দিবো।
ভাইয়া- আচ্ছা থাম তোরা অনেক হয়েছে এবার রুমে যা বিকেলে কথা হবে। অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছিস রেস্ট নে।
আমি- ঠিক আছে ভাবী বিকেলে আমরা গল্প করবো আর এই যে তোকে যেনো না দেখি ঘুম থেকে ওঠে। সালি ঝগরুটে কোথাকার।
সাদিয়া- যা ভাগ সালা লুচ্চা তোর কথায় যাবো নাকি আমি আমার দুলা ভাইয়ের বাসায় এসেছি।
ভাবী- হয়েছে থাম তোরা রিফাত রুমে গিয়ে রেস্ট নাও।
আমি- ওকে ভাবী।
সাদিয়া- হুস হুস হুস।
আমি- দুর দুর দুর।
বলেই আমি আমার রুমে চলে আসি।মনে মনে বলছি সালা শেষমেশ এক্স গালফ্রেন্ড হলো বিয়ান।শুয়ে পড়ে ঘুমালাম।এক ঘুমে সন্ধ্যা।
নিচে সাদিয়া সবার সাথে বসে গল্প করছে হঠাৎ সিড়ি দিয়ে রিফাতকে নামতে দেখে সেই দিকে তাকিয়ে সাদিয়া তো পুরা ফিদা।
সাদিয়া- সালা আমার সাথে যখন প্রেম করতো তখন কেমন পাগলের মতো থাকতো। আর এখন ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে আর এখন পুরাই হিরোর মতো সেজে এসেছে।(মনেমনে)
আমি সিঁড়ি দিয়ে নামছি হঠাৎ চোখ যায় সাদিয়ার দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আমি গিয়ে ভাইয়ার পাশে বসতেই ভাইয়া বলে,,,,,,,,,,