আম্মু: দুদিনের মেয়ের জন্য এই আম্মুকে রাগ দেখালি তো, বিয়ে করলে তো তোর এই আম্মু আব্বুকে বাসা থেকেই বের করে দিবি।
আমি- উফফফফ
এরা কারা ভাই, শালা এতো প্যারা কেন দিচ্ছে, আমি কখন বলেছি এই মেয়ে আমার গফ এই মেয়ে আমার বৌ।
বাইরে বের হতেই দেখি রিদি গাড়িতে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চোখে একটা কালো সানগ্লাস, ওহো কি লাগছে মাইরি, পুরাই পরী, চুলগুলো উড়ছে বাতাসে, আর ফারিয়া আনমনে মোবাইল টিপছে, যে কেউ ক্রাশ খেয়ে যাবে তার আজ পড়েছে নীল শাড়িটা যেটা আমাত ফ্রেবারিট কালার। উফ মাশাল্লাহ, দেখে আমি তো পুরাই ফিদা, পাগল হয়ে যাবো দেখছি।
আমি এবার রিদির কাছে গিয়ে…..
আমি- জ্বি বলো….
রিদি: বলবো না আজ শুধু শুনবো।
আমি- কি শোনাবো শুনি?
রিদি: জানিনা কি শোনাবা।
আমি: ওহ কোথাও যাবা?
রিদি:- জ্বি যাবো তো তোমায় নিয়ে একটু বাইরে যাবো।
আমি- ওহ আচ্ছা।
রিদি:- ওহ আচ্ছা মানে কি? যাও ড্রেস চেঞ্জ করে আসো।
আমি- মন চাইছে না ড্রেস চেঞ্জ করতে যেতে।
রিদি:- কেন?
আমি- তোমার এই সুন্দরী চেহারা দেখার একটা সুযোগ হারিয়ে ফেলবো যে,,,,,,
রিদি হাল্কা হেসে…..
রিদি: যাও না বের হবো তো।
আমি হাল্কা হেসে ওর দিকে মিটিমিটি চেয়ে….
আমি- কি ব্যাপার ম্যাম? আজ কি কেউ আসছে নাকি। 😁
রিদি:- আসছে না নিয়ে যেতে হবে তাকে, সে একটা আস্ত গাধা।
(এই গল্পের মধ্যে ফারিয়া নামের কেউ নাই, এইটা গল্প লেখার সময় ভুলে নামটা উঠে গেছে, ফারিয়া নামের জায়গায় রিদি হবে)
শালা আমাকে গাধা বলছে, দেখাচ্ছি মজা।
আমি- হুম গাধীর সাথে একমাত্র গাধাই তো যাবে,,,,,
রিদি এবার রেগে….
রিদি:- এই যাবা তুমি
আমি- ওকে বাব্বা যাচ্ছি
আমি এবার রুমে ড্রেস চেঞ্জ করছি।
আব্বু এবার আমার রুমে এলো,
আব্বু- উহুহুহু।
আমি এবার তাকিয়ে…
আমি- কিছু বলবে?
আব্বু- হুম,
আমি- বলো।
এবার কিছু টাকা এগিয়ে……
আব্বু- এই নে নিয়ে যা।
আমি দেখেই অবাক, এতোগুলো টাকা আব্বু দিচ্ছে তাও আবাত নিজের হাতে ও ভাইসাব।
আমি টাকাগুলো হাতে নিয়ে খুশি হয়ে আব্বুকে জড়িয়ে ধরতেই আব্বু রেগে….
আব্বু- এতো খুশি হওয়ার কিছু নেই তোর আম্মু বললো তাই দিচ্ছি।
__শুনে আমার পুরাই হুঁশ উড়ে গেলো, শালা কি বাপ মাইরি এতো কিপটা।আম্মুর ভয়ে টাকা দিতে এসেছে তাও আবার আম্মু বলেছে বলে, আমি তো এই জন্যই আম্মুকে বেশি ভালোবাসি আম্মুই তো আমার সব।
আমি ড্রেস চেঞ্জ করে এবার সোজা রিদির কাছে এলাম।
গাড়িতে উঠে বসতেই রিদি বলে উঠল……
রিদি:- বাবুউউউউউউ…..
__আমি তো শুনেই চমকে গেলাম, আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম অন্যকেউ বলেনি তো। নাহ কেউ বলেনি নিশ্চয় ফারিয়া বলেছে, ওমাহো টুরু লাভ করে মেয়েটা আমায়।
আমি তবুও….
আমি- কিহহহহহহহ?
রিদি এবার আমতাআমতা করে….
রিদি: না না না না নাঈমমমমমম….
আমি হাল্কা হেসে রিদির দিকে তাকিয়ে…
আমি: যেটা বলছিলে বেশ মিষ্টি লাগছিলো।
সাথে সাথে রিদি রাগ দেখিয়ে…..
রিদি:- চুপ
__যাহ শালা আমি আবার কি করলাম,
সারা রাস্তা কোনো কথা না বলে একটা সমুদ্রের পাড়ে নিয়ে গেলো, চারিদিকে কেউ নেই। শুধু ও আর আমি।
আমরা দুজনে গাড়ি থেকে নামলাম, ও এবার আমার কাছে এসে দাঁড়িয়ে…..
রিদি: জানো নাঈম ওই জায়গাটা আমার খুব প্রিয়।
আমি- হুম মন ভালো করার জন্য এই জায়গাটা বেশ।
রিদি এবার আমার দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে…..
রিদি:- তারজন্যই তো আজ মন খুলে কিছু বলতে এলাম তোমায় নিয়ে।
আমি হিহিহি অন্যকিছু খুললে হয় না।
রিদি চোখ রাঙিয়ে…..
রিদি:- নাঈম সিরিয়াস হও
আমি- ওকে বাবা বলো।
রিদি:- জানো নাঈম আমি আর আম্মু এখানে প্রায় তখন আসতাম যখন আব্বুর সাথে আম্মুর ঝগড়া হয়। আম্মু আমাদের ছেড়ে চলে গেছে আজ ৬ বছর।এখনো অনেক মিস করি। যখন মিস করি তখনই এই জায়গায় এসে কিছুক্ষন বসে থাকি আর সাথে সাথেই মন ঠিক হয়ে যায়।
আমি রিদির দিকে হাল্কা হেসে….
আমি- মন ভালো করার জন্য আর এই জায়গা আসা লাগবে না যদি তুমি পারমিশন দাও তো আমি নিজে থেকে তোমার মন ভালো রাখার দায়িত্ব নিতে চাই।
___রিদি আমার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে, বুঝতে পারছি ও ইমোশোনাল হয়ে গেছে, আমি ওকে হাসানোর জন্য বুকে হাত রেখে……
আমি- আহহহহহ কি জ্বালা করছে?
_সাথে সাথে রিদি আমার বুকে হাত দিলো যেখানে আমি হাত দিয়ে আছি।
আর রিদি….
রিদি:- কি হয়সে তোমার?
আমি- উফ তুমি যেভাবে লুক দিচ্ছিলে তখন আমার বুকটা তো জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছিলো।
রিদি এবার আমাকে ঠেলে দিয়ে অভিমান করে দূরে সরে গেলো। আর বলল……
রিদি:- খুব মজা লাগে তাই না এসব করতে (রেগে রেগে)
আমি ওর সামনে গিয়ে কান ধরে……
আমি- সরি
ফারিয়া মুখ ঘুরিয়ে
রিদি:- হুহ
আমি- এই এমন করবা না বলছি একদম আমি কিন্তু ক্রাশ খাচ্ছি।
রিদি:- তাতে আমার কি শুনি তুমি খাচ্ছো খাও না।
আমি- এভাবে বিনা পয়সায় আমাকে খাওয়াচ্ছো খাওয়াও বাট অন্যকাউকে খাওয়ালে….
রিদি আরো অভিমান করে
রিদি:- কিহহহহ হুম
আমি- কিছু না।
_শালা যা রাগ দেখাচ্ছে বাপরে।
দাঁড়াও পাগলি তোমায় দেখি একটু লাইনে আনতে হবে…
আমি- ওই শোনো না…..
রিদি:- কিহহহ হয়সে?
আমি- জানো মনটা সবসময় চাই যে তোমায় প্রোপজ করি।
এটা শোনার সাথে সাথে ও আমার দিকে খুশির লুক নিয়ে তাকালো….
আমি- বাট
বাট শুনতেই ও….
রিদি:- বাট কি?
আমি- বাট তোমায় মতো এতো সুন্দরী কিউট মেয়ে যদি আমার গফ হয় তাহলে তো সরকার আমার উপরে টাক্স বসাবে এতো সুন্দরী গফ রাখার জন্য।
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
ভাইরে রিদি মুখে হাত দিয়ে হেসেহেসে …..
রিদি: তো দিবা..
আমি- পারবো না তো দিতে, অনেক স্যালারি কম, যদি একটু বাড়িয়ে দিতেন তবে ট্রাই করে দেখতাম আর কি।
রিদি:- হিহিহি পাগল একটা।
আমি- আচ্ছা রিদি তুমি কি ঘুমাও না নাকি। (আমি সিরিয়াস হয়ে)
রিদি:- ঘুমায় তো কেন?
আমি- যদি তুমি ঘুমাতে তাহলে রাতে দিনে আমার স্বপ্নে যাওয়া আসা করতে না।
রিদি এবার লজ্জা পেয়ে…..
রিদি:- একশো বার যাবো তাতে তোমার কি শুনি?
আমি- জ্বি অসুবিধা নেই তবে ভাড়া দিতে হবে এভাবে যখন তখন তো আর আসতে যেতে পারেন না।
রিদি:- তা কতো ভাড়া দিতে হবে শুনি?
আমি- বেশি না দিনের দুবেলা তোমার হাসিমুখটা দেখালেই চলবে।
ভাইরে রিদি তো পুরাই ক্ষির হয়ে গেছে। লজ্জায় আর আমার দিকে তাকাতে পারছে না। মাথাটা নিচু করে আছে।
————–চলবে না দৌড়াবে————–