রিদির আব্বুর দেখি বুকটা আরো দু ইঞ্চি ফুলে গেলো।
রিদির আব্বু- হ্যাঁ সে তো জ্বলবেই। জাপানী তেল বলে কথা আমি মাথায় লাগাবো তারপর চুল গজাবে। কি খুশি আমি শুনে।
ভাইরে আমি এখন গল্পটা লেখবো নাকি হাসবো শালা পেট বুক দুটাই ফেটে যাচ্ছে এতো হাসি পাচ্ছে ভাই।
আমি- জ্বি স্যার।
রিদির আব্বু- আচ্ছা আমি তাহলে আসি।
আমি- জ্বি স্যার যান তবে এই তেলের কথা বাইরে বললে কিন্তু আপনার খবর আছে।
রিদির আব্বু- কি খবর?
আমি- আরে স্যার জেনে গেলে প্রব্লেম হবে না এই বয়সেও আপনি চুল বের করার স্বপ্ন দেখেন।
রিদির আব্বু: হ্যাঁ তাই তো, নাঈম তুমি সত্যিই অনেক ভালো ছেলে।
_হিহিহি আমি যে কতোটা ভালো ছেলে সেটা আপনার মেয়ে আর আমার বাসার লোক ছাড়া কেউ জানে না।
লাঞ্চ টাইমে অফিসের পাশের ক্যান্টিনে বসে আছি। রিদি আমায় ফোন দিয়ে বলেছে ও আসছে।
কিছুক্ষন পর রিদি এসে….
রিদি:- কিছু অর্ডার করোনি তুমি?
আমি- Amazon, Filpcart এ কি তোমায় পাওয়া যায় নাকি তাহলে তো আগেই অর্ডার করতাম।
ফারিয়া হাল্কা হেসে চুল ঠিক করে……
রিদি: আমি খাবারের কথা বলছিলাম,,,,,,
আমিও দুষ্টু লুক দিয়ে হেসে
আমি- হুম আমার তো এসেই গেছে।
রিদি:- কই টেবিলে তো দেখা যাচ্ছে না।
আমি- দেখবে….
রিদি:- ওকে দেখাও।
এবার আমি চারিদিকে তাকিয়ে ওর ঠোঁটের মাঝে আমার একটা আঙুল দিয়ে…..
আমি- এটা আমার খাবার।
সাথে সাথে রিদি আরো রেগে গেলো আর….
রিদি:- কুত্তার বাচ্ছা প্রোপজ করতে পারে না আবার এতো বড়ো বড়ো কথা,,,,,,,
_বাপরে মেয়ে তো ভারী রেগে গেছে। এতো দেখি এয়ার কুলারেও ঠান্ডা হবে না যাইহোক আমিই ঠান্ডা করার ট্রাই করি…..
আমি- জানো তো তোমার কথা গুলো খুব লাগে?
রিদি:- কেন আমার কথায় কি মধু লেগে আছে নাকি (রেগে রেগে)
আমি- আরে না তোমার প্রতিটা কথা ক্যাডবেরি আর চক্লেটের মতো, যত শুনি আরো মন চাই শুনতেই থাকি।
রিদি এবার একটু ভাব দেখিয়ে…..
রিদি:- সেতো হবেই দেখতে হবে আমি কে?
আমি- জ্বি তুমি তো একটা পেত্নি।
রিদি:- কিহহহহহ আমি পেত্নি।
আমি জ্বি না আপনি তো শ্যাওড়া গাছের শাঁকচূর্ণী
ভাইরে দেখে যা এবার মজা।
রিদি:- এই কুত্তা ভালো হচ্ছে না কিন্তু,,,,,
আমি: ওকে বাবা তুমি ওসব কিছুই নয়।
এটা শুনতে ও কিছুটা শান্তি পেলো, কিন্তু আপনারা জানেন তো আমি কতোটা ফাজিল
আমি হুম ওসব কিছুই না তবে তুমি ময়দা সুন্দরী।
রিদি: ওহ হ্যালো মেয়েদের মেকাপ বক্সকে মেকাপ বলতে শিখো আর হ্যাঁ আমি নেচারেল বিউটি, আমি ওসব করিনা। (ভাব দেখিয়ে)
আমি এবার হাসতে হাসতে….
আমি: আরে আমি কখন বললাম তুমি মেকাপ করো, আমি তো বললাম আটা ময়দা মাখে
__ভাইরে রিদির গাল গুলো পুরাই লাল টমেটোর মতো হয়ে গেছে। ওকে এবার একটু হাসাতে হবে দেখছি।
আমি- এভাবে তাকালে কিন্তু আমি হারিয়ে যাবো তোমার ওই দুচোখের মধ্যে।
এখনও রিদি রেগেই আছে।
আমি আবারো….
আমি- রিদি i love you……
ভাইরে সাথে সাথে রিদি পুরাই অবাক হয়ে গেলো, আর গালে হাত রেখে……
আমি- সত্যিইইইইইই
আমি এখন বুঝতে পারছিনা ও রেগে বলছে কিনা খুশিতে বলছে, দরকার নেই বাবা আগে সেফটি নেওয়া দরকার
আমি- না, মুভিটা কয়বার দেখেছো সেটাই জিজ্ঞাসা করছিলাম আর কি।
ও এবার চেয়ার থেকে উঠে টেবিলে একটা ঘুষি মেরে…..
রিদি:- রাবিস, কুত্তার বাচ্ছা দেখে নিস তোর কখনো গফ জুটবে না,
এটা বলে রিদি কিছু না খেয়েই চলে গেলো…..
আমিও কিছু না খেয়ে কেবিনে গিয়ে বসে রইলাম।
রিদি দেখি আমার কেবিনের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আমি ওর দিকে বেশি নোটিশ না করে কাজে মন দিলাম।
আমি মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি রিদির দিকে ও কেমন অস্বস্তি বোধ করছে। আমি ওকে এভাবে দেখে ওর কাছে গিয়ে….
আমি- কি হয়েছে তুমি এভাবে এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছো।
ফারিয়া আঙুলের উপর আঙুল ঘষে…….
রিদি: না মানে?
আমি- কি মানে?
রিদি:- কিছু না একটু কম্পিউটারে প্রব্লেম হয়েছে।
আমি- প্রব্লেম বলতে?
রিদি: কিছু ডাটা ডিলিট হয়ে গেছে আমার অজান্তেই।
আমি এবার হাল্কা হেসে…..
আমি- আরে দূর পাগলি এতে ভয়ের কি আছে? অনেক apps আছে যা থেকে আবার সব ডাটা রিকোভার করা যায়।
রিদি:- বাট আমি তো করতে পারবো না। তুমি একটু দেখে দেবে চলো না।
আমি- ওকে চলো কেবিনে।
__আমি এবার কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটয়ার ইনস্টল করছি বাট কিছুতেই কোনো ডাটা আসছে না। দুপুর ৩ টা থেকে প্রায় এখন বাজে সন্ধা ৬ টার মতো। আমার কপালে ঘাম এসে গেছে।
আমি কম্পিউটারের এদিক ওদিকে যাচ্ছি শুধুই।
অফিসের সব ক্লাইন্ড চলে গেছে, আছি বলতে আমি আর রিদি।
আমি রিদির দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি আর দেখছি ওর আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে আবার আমার চোখের উপর চোখ পড়তেই ও মুখ সরিয়ে নিচ্ছে।
রিদি এবার গম্ভীর হয়ে…..
রিদি- কি হলো করো জলদি।
আমি- জ্বি জ্বি করছি তো বাট কোনোরকম ভাবেই তো আসছে না।
রিদি:- ওয়েট আমি দেখছি,,,,,,,
_এবার আমি চেয়ার থেকে ঘুরে নামতে যাবো ঠিক তখনই আমার কোলে বসে গেলো রিদি আমার দিকে মুখ করে।
আমি আমতাআমতা করে….
আমি- আমার দিকে কি ওই যে ওদিকে কম্পিউটার।
রিদি চোখ মেরে…..
রিদি:- সব ডাটা রিকোভার করতে হবে তো।
আমি- মা মা মা নে নে নে কি? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছিনা।
রিদি এবার আমার দু গলায় হাত দুটো ঢুকিয়ে……
রিদি:- তোমার মনে আমার জন্য ডাটা ডিলিট হয়ে গেছে তার জন্যই রিকোভার করতে চাইছিলাম।
_শালা আমি শুনে হাঁ, তারমানে আমি এতোক্ষন বেকার খাটছিলাম।
আমি রেগে গিয়ে….
আমি- এটা কিন্তু তুমি ঠিক করলে না, আমায় এতোক্ষন বেকার খাটালে।
রিদি:- কে বলেছে বেকার খাটালাম।?
আমি রিদির দিকে বিরক্তি কর লুক দিয়ে…..
আমি- এই সরো বাসায় যাবো।
আচ্ছা আপনারাই বলুন কেউ এভাবে বেকার খাটালে কেমন লাগে।
আমার গম্ভীর কথা শুনে ফারিয়া কষ্ট পেয়ে আমার কোল থেকে নেমে গেলো আর বললো……
রিদি:- সরি।
আমি কোনো কথা না বলেই আমার কেবিনে এসে ব্যাগটা নিয়ে গ্যারেজের দিকে দৌড় দিলাম।
শালা পেটে ইঁদুর লাথি মারছে, কিছুই খাওয়া হয়নি।
গ্যারেজে এসে মেয়েটার জন্য অপেক্ষা করছি বাট ও আসছেই না।
গাড়িটাও তো এখানে আছে।
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
____আমি আবারো দৌড়ে অফিসে ঢুকলাম, ওর কেবিনে গিয়ে দরজাটা হাল্কা খুলে দেখছি ও খুব কান্না করছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। ওর কষ্টতে আমার বুকটাও কেমন থরথর করে কেঁপে উঠছে,,,,,,,,
আমি এবার দরজায় টোকা মেরে…..
আমি- আসতে পারি।
সাথে সাথে ও দুচোখ মুছে…..
রিদি:- জ্বি আসো।
আমি রিদির সামনে যেতেই রিদি দুচোখ নামিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আমি এবার…..
————–চলবে না দৌড়াবে————–