আম্মু গো তোমার পোলা শেষে তোমার বৌমার গোলাম হয়ে থাকবে।
রিদি এবার আমায় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে…..
রিদি:- কি ভাবছো বাবু?
আমি- না না ভাবছি আরো কতো বাঁশ খেতে হবে।
রিদি:- মানে 😡😡
আমি:- না না না কিছু না।
রিদি:- বলছি বাবু আমরা না জলদি বিয়েটা সেরে নেবো।
_শালা জলদি বিয়ে করলেই তো রান্না করে খাওয়াতে হবে। 😭 যেমনই হোক ভাতটা রান্না করে দেবে আম্মু কিন্তু জামাকাপড় তো আর আম্মুকে দেওয়া কাচানো যাবে না। শালা কি গফ জুটালি রে নাঈম, পুরাই একটা বাঁশ নিয়ে নিলি নিজেই। 😰😰
না না কিছুদিন পরেই বিয়ে করা লাগবে একটু খাটানিটা কমবে।
আমি- বাবু কিছুদিন পরে বিয়েটা করলে হয় না।
রিদি:- ওকে দুদিন পর করতাম সেখানে তিন ওকে, ডিল পাক্কা।
শালা বিয়েটাও ডিল, কি বৌ পেলাম রে শেষ পর্যন্ত।
আমি- না না এতো কম সময়?
রিদি:- ও তাহলে কতো সময় লাগবে শুনি?
আমি- কম করে তিনশো বছর,,,,,,
ভাইরে আমার মুখটা এখন কি বলবো শালা কপাল থেকে ঘাম ঝড়ছে। রিদি আমার পুরো শরীর ঘেমে যাওয়া দেখে খুব হাসছে আর আমার দিকে আঙুল তুলে……
রিদি:- হাহাহা, তুমি কিভাবে ভাবলে তোমার এই বাঁশ কঞ্চি বডি দিয়ে তোমায় সব কাজ করাবো?
আমি এবার শ্বাস নিতে নিতে……
আমি- তারমানে করাবে না। 😍
ভাইরে কি খুশি আমার। 😍😍
রিদি:- আলবাত করাবো।
যাহ শালা সব খুশি সাথে সাথেই গায়েব 😖
আমি- তাহলে এভাবে বলার কি মানে ছিলো শুনি? এক তো অপমান করলে বাঁশ কঞ্চি বলে 😡
রিদি: আরো বেশি হেসে…..
রিদি:- নাঈম তুমিও না তোমাকে আমি কেন কাজ করাবো শুনি? তুমি আমার বর আর আমি তোমার বৌ সো আমায় তো সব কাজ করা উচিত তাই না।
শালা এবারো বিশ্বাস হচ্ছে না। 😒
আমি- হ্যাঁ সেটাই তো।
আমি আবারো মুখ নামিয়ে নিলাম 😞
রিদি:- আরে বাবা মুখ নামিয়ে কেন তুমি?
আমি- না হিসাব করছি তোমায় বিয়ে করলে আরো কত বাঁশ খেতে হবে।
রিদি এবার আমার আরো ঘাম বের হওয়া দেখে ছুড়ে টাওয়ালটা এনে বিছানায় রেখে…..
রিদি:- এই শার্ট খোলো….
ওমা এই কি রে। 😱
আমি- এই না না না এসব কি হচ্ছে, বিয়ের আগে এসব😱 তৌবা তৌবা 🙈
রিদি:- শার্ট খোলো বলছি 😡
আমি- আস্তাগু
রিদি এবার আরো বেশি হাসতে লাগলো আমার কথা শুনে….
রিদি:- নাঈম তুমি সেই পিচ্চিই রয়ে গেছো। শার্টটা খোলো তোমার গোটা শরীর ঘেমে গেছে মুছে দেবো একটু।
আমি দুষ্টামি করে……..
আমি- নাহ বাবা যদি অন্যকিছু করে ফেলো।
রিদি:- অন্যকিছু বলতে…..
আমি- যদি আমায় তোমার বাচ্ছার আব্বু বানিয়ে ফেলো তখন লোকে কি বলবে শুনি? আমি তো তখন সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। 😜😁
_ভাইরে রিদি আরো হাসতে হাসতে আবারো আমায় জড়িয়ে ধরে আমার বুকে কিল ঘুষি দিতে লাগলো।
রিদি:- নাঈম প্লিজ থামো এবার, উফ আল্লাহ তুমি এতো হাসির কথা পাও কিভাবে শুনি?
আমি রিদির চোখের দিকে তাকিয়ে হাল্কা হেসে….
আমি- বাবু প্রিয়মানুষটাকে মায়াবী হাসির এক ঝলক দেখার জন্য মজার কথা ভাবতে হয় না তাকে দেখেই জিভে চলে আসে কথা।
রিদি আমার দিকে একবার তাকিয়ে আবারো আমায় জড়িয়ে ধরলো।
রিদি:- আই লাভ ইউ….
আমি- হুম টু…
রিদি:- টু মানে? 😡😡
আমি- টু মানে হ্যাঁ আমিও
রিদি:- দূর তুমি এতোটুকুও রোমান্টিক না। 😡
এটা বলেই অভিমান করে আমায় ছেড়ে দিলো।
হিহিহি পাগলিটা বুঝি রেগে গেছে রে, আমি এবার ওর সামনে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসতেই রিদি মুখ ঘুরিয়ে নিলো। আমার হায়ে একটা আংটি ছিলো সেটা খুলে ওর সামনে ধরলাম আর বলতে লাগলাম…..
আমি- ওই তুমি কি আমার কেরোসিন হবা, তোমায় দিয়ে আমার বংশের বাতি জ্বালাবো।
ভাইরে রিদি তো এবার আরো বেশি হাসতে লাগলো। বামহাতটা বাড়িয়ে দিয়ে…….
রিদি:- জ্বি হবো আমি তোমার কেরোসিন 🙈 হিহিহি।
আমি এবার ওর আঙুলে আংটি পড়িয়ে দিলাম। 😍
ভাই সত্যি কথা বলতে কি কোনোদিন এভাবে কাউকে প্রপোজ করার সুযোগ হয়নি তাই জানিনা কোন আঙুলে পড়াতে হয়। 😁
আমি এবার ওর সামনে উঠলাম। আমি ওর হাত দুটো ধরে ওর দিকে তাকিয়ে…..
আমি- ওই লিপস্টিক খাবো।
রিদি:- জ্বি ওই যে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখা আছে কামড়ে কামড়ে খাও যাও।
__এটা বলতেই আমি রাজধানীর এক্সপ্রেসের মতো ওর ঠোঁটে গিয়ে কামড় বসালাম 😁 আর রিদি চিৎকার করে উঠলো…..
রিদি:- আহহহহহুহুহুহু
আমি এবার কামড় দিয়েই….
আমি- এই তো বললে কামড়ে কামড়ে খেতে, আমি তো খাবো না আমি শুধু চুষবো। 🙈
রিদি:- ইশ কি ফাজিল, বাবু লাগছে তো ছাড়ো।
আমি- নাহ। 😁
রিদি:- উহুহু বাবু খুব লাগছে ছাড়ো না….
আমি- আমার জন্য এতোটুকু ব্যথা সহ্য করতে পারবে না 😒 তাহলে ওই যে ওইদিনে কিভাবে সহ্য,,,,,,,
___পুরোটা না বলতে দিয়ে আমার ঠোঁটটা এবার ও কামড়ে ধরে আমার চোখের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে।
রিদি আমায় ঠেলতে ঠেলতে বিছানায় ফেলে দিলো বাট আমার ঠোঁট ছাড়ছে না।
ভাইরে তারমানে আজ খেলা হচ্ছে
এবার বাইরে থেকে কে যেন দরজায় নক দিচ্ছে। প্রায় কুড়িবার নক করার পর আমি গিয়ে দরজা খুললাম জানি আম্মু হবে তাই না তাকিয়েই……
আমি- উফ আম্মু যাও না এখন, একটু গল্প করো গিয়ে।
আম্মু- জ্বি গেলাম আর জলদি ফাইল গুলাতে সাইন করে বাইরে আসো ওকে, এদিকে যে সন্ধা হয়ে গেছে তার খেয়াল আছে। 😡
___৪হায় হায় এতো আব্বুর গলা, শালা এখানেও আব্বু।
নাহ আজ খেলা হলো না।
আমি নিরুপায় হয়ে আব্বুর সাথেই বেরিয়ে এলাম।😞
_____আজ আমার বিয়ে, বাসায় অনেক রিলেটিভও এসেছে। সব কাজিনরা আমায় ঘিরে বসে আছে। আমি নিজেও জানিনা এরা আমার কোন সম্পর্কে কাজিন হয়, শালা কখনো দেখিওনি, এসে বলছে আম্মু নাকি এরা তো তোর কাজিন।
ধ্যাত শালা এতোগুলো অপরিচিত মেয়ের সাথে বসে থাকতে প্রচুর বিরক্ত লাগছে। আমি এবার ফোনটা হাতে নিয়ে….
আমি- দেখি একটু বোনরা….
কাজিন- কেন?
আমি- একটু কল করতে হবে ক্যামেরা ওয়ালাদের।
কাজিন- হিহিহি তাই নাকি ভাইয়া, আমাদের তো মনে হচ্ছে ভাবীরে কল দিতে যাচ্ছেন।
আমি- আরে বাব্বাহ সেরকম কিছু না। সরেন একটু।
_আমি এবার ওদের ডিঙিয়ে ডিঙিয়ে সোজা ওয়াশরুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম। উফ আল্লাহ এতোক্ষনে শান্তি পেলাম।
ওয়াশরুমে আমি সিগারেট রাখি আর সাথে ম্যাচবক্সও। ওগুলোকে নিয়ে সিগারেটটা মুখে জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে আছি আর ভাবছি শালা আমার বিয়ে নাকি আমার ৪০ দিনের দাওয়াত হচ্ছে। 😖
আমি এবার কাজিনকে ফোন দিলাম ও ফোন রিসিভ করলো…..
আমি- হ্যালো।
রিদি- হুম বলো।
আমি- কি করো বাবু?
রিদি- এই তো বসে আছি
আমি- ওহ আচ্ছা।
রিদি- তুমি কি করছো?
আমি- এই তো বাবু সব কাজিনরা ঘিরে বসেছিলো তাদের হাত থেকে বেঁচে ওয়াশরুমে এসে তোমায় কল দিয়ে প্রান পেলাম।
রিদি- উম ফালতু কথা। কাল রাত থেকে একবারো কল দাওনি
আমি- উফ আল্লাহ, আমি তো সারাদিন বাসার এটা ওটা কাজে বিজি ছিলাম তো।
রিদি- ওহ আচ্ছা, ভালো। জলদি আসবা কিন্তু…
রিদি- কই যাবো জলদি।
রিদি- কোথায় আবার, আমার বাসায়।আমি হাল্কা হেসে.
আমি- কেন শুনি?
রিদি- তোমার রক্ত চুষবো।
আমি হেসেহেসে আবারো….
আমি- হুম জানি তো তুমি যা পেত্নি রক্ত তো খাবেই। না জানি বিয়ের পর আমার শরীরে এক ফোঁটাও রক্ত থাকবে কিনা। 😁
ভাইরে রিদি এবার…..
রিদি- রাখ তুই ফোন 😡
এইরে বড্ড বেশি রাগিয়ে ফেললাম 😁
আমি- এই বাবু আজ অন্তত রাগ করো না….
রিদি- কেন আজ কি পৌষমাসের মেলা নাকি।😡
আমি- হিহিহি তা হতে যাবে কেন? আজ তো আমার লুডো খেলার দিন। 😜
রিদি- কিহহহহহহহহহহহ 😡
আমি- উফ বাবা বিয়ে।
_শালা জিভ একটু সামলে থাক না ভাই কেন এটা ওটা বলে ফেলিস, মনে হচ্ছে আমার বিয়েটা ভাঙিয়েই ছাড়বি 😖
রিদি আবারো রাগ দেখিয়ে…..
রিদি- রাখছি কাজ আছে।
আমি- কি কাজ শুনি যার জন্য আমার সাথে একটু কথা বলা যাবে না। 😒
রিদি- না বলা যাবে না।
আমি- কেন শুনি?
রিদি- আমি এখন রাগ করেছি তাই।
আমি- রাগ করলে তো মানুষ সব গড়গড় করে বলে দেয়।
রিদি- না আমি বলি না। 😡
___এটা বলেই ফোন রেখে দিলো মাইরি,
শালা আমার কোনো ভ্যালুই নেই। এখন যদি এমন হয় তাহলে বিয়ের পর কি হবেরে ভাই,,,,,,,
__আমি এবার ফ্রেশরুম থেকে বেরিয়ে আসকাম বাংলার পাঁচ করে।
সেখানে দেখি আমার ফ্রেন্ডরা এসে জুটেছে, শালারা এতো চুতিয়া তারা……
এক ফ্রেন্ড- কিরে ভাই তর সইছে না নাকি? আর মুখটা অমন কেন? হয়নি বুঝি।
আমি এবার হাল্কা হেসে…..
আমি- ধ্যাত তোরা না কি যে বলিস।
এক ফ্রেন্ড- জ্বি জ্বি সব বুঝি, মাম্মা কতো ডিম খাইছিস রে,,,,,,
ভাইরে শালারা দেখি সবার সামনে ইজ্জত লুটেই ছাড়বে। সব মেয়েগুলো সব উঠে চলে গেলো লজ্জায়।
কিছু মেয়ে হাসতে হাসতে বলে গেলো….
মেয়ে- কি ফাজিল নাঈম ভাইয়ার ফ্রেন্ডগুলো।
(পাঠক-পাঠকীরা আপনাদের উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলি, আপনাদের সবার জন্য একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খোলা হয়েছে, এই গ্রুপে শুধু আমার নতুন কোনো গল্প এর লিংক বের হলে, ওই গ্রুপে লিংক দেওয়া হবে তাহলে আপনাদের জন্য সুবিধা হবে, ছেলেদের জন্য একটা গ্রুপ আর মেয়েদের জন্য আর একটা গ্রুপ, আমাদের মেয়েদের গ্রুপে কিছু একটিভ মেম্বার দরকার সো জারা জারা এই গ্রুপে এড হতে চান তারা আমাকে ইনবক্সে নক করুন অথবা কমেন্ট করুন, গ্রুপ নাম: NR Story)
আমার দুটা বেস্টফ্রেন্ড, সিয়াম আর রোমান। শালারা আমার কলিজার টুকরা, সব জবের জন্য বাইরে থাকে। আমার বিয়েতে ওরা এসেছে।
দুজন এবার আমার জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো।
লেখার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,,,,,,
————–চলবে না দৌড়াবে————–