__টানা কুড়ি মিনিট ইঁদুর গুলারে বুঝাচ্ছি, ভাই তোরা থাম তোরা থাম ভাই আর কতো ডিজে চালাবি , শালা ১লা জানুয়ারিতেও এতো নাচে নারে, ভাই যা তোরা নাচছিস,,,,,
_এবার রিদি এলো, দরজায় নক দিচ্ছে আমি দরজা খুলতেই রিদি আমার হাতে খাবার ধরিয়ে দিয়ে….
রিদি: এই আমি আসলাম।
আমি মুখ নামিয়ে….
আমি: চাঁদের বুঝি এতোটাই ভাব, বাসার দরজা পর্যন্ত এসে ঘুরে যাচ্ছে।
রিদি হাল্কা হেসে….
রিদি: এই চাঁদ কে হুম?
আমি: কে আমার সামনে যে দাঁড়িয়ে আছে।
রিদি: আমি মোটেও না চাঁদ না বুঝলেন।
আমি: হুম তুমি চাঁদ না সে তো জানি তবে চাঁদকে হার মানাবে সেই তুমি চাঁদ যার কোনো নাম জানিনা।
রিদি: তাই (একটু লজ্জা পেয়ে)
আমি: আচ্ছা ভেতরে আসো না।
রিদি: উফ না গিয়ে উপায় আছে এবার,,,,
রিদি ভেতরে এলো। আমি এবার খেতে শুরু করলাম। আমার খাওয়া দেখে রিদি মুচকি মুচকি হাসছে।
আমি: খুব খুদা লাগছিলো গো, থ্যাংক্স আমার জন্য এতো কষ্ট করে খাবার নিয়ে আসার জন্য (হালকা হেসে)
রিদিও হাল্কা হেসে….
রিদি: তোমার বাসাটা তো অনেক সুন্দর।
আমি: জ্বি, তবে আর একটা জিনিস হলে আমার বাসাটা আরো সুন্দর লাগতো।
রিদি: কোন জিনিসটা?
আমি: তোমার মতো একটা নরম মনের মানুষের।যে আমার আব্বুর আম্মুর খুব বেশি কেয়ার করবে,,,,,
রিদি মুখ নামিয়ে….
রিদি: তাই, তা আমাকে রেখে দিলেই তো হয়।
ভাইরে একথা শুনে আমার গলায় খাবার আটকে গেলো…
আমি: উহু উহু উহু উহু
রিদি দৌড়ে পানীর গ্লাসটা আমার সামনে নিয়ে এসে….
রিদি: এই নাও পানী খাও ঠিক হয়ে যাবে,,,,,,,
_এটা বলেই মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
আমি গ্লাসে একটা চুমুক দিয়ে….
আমি: ঠিক এমন একটা মানুষ দরকার যে আমার ঠিক এভাবে কেয়ার করবে।
__সাথে সাথে রিদি হাতটা সরিয়ে নিলো, আর লজ্জা পেয়ে একটু সরে দাঁড়ালো।
আমি খাওয়া সেরে হাত ধুয়ে রিদির সামনে বসে আছি।
আমি: রিদি একটা কথা বলবো?
রিদি: হুম বলো।
আমি: আই লাভ ইউ।
রিদি শুনেই অবাক,,,,,,
রিদি: কিহহহহহ?
আমি: জ্বি আই লাভ ইউ মুভিটা কয়বার দেখেছো?
__সাথে সাথে ফারিয়ার মুখটা বাংলার পাঁচের মতো নেমে গেলো,,,,,
রিদি: জানিনা।
হিহিহি মেয়েটা রাগ করেছে মনে হয়।
চলো আরো একটু বেশি রাগানো যাক….
আমি: আচ্ছা রিদি তোমাদের এই মেয়েদের রূপের রহস্যটা কি জাতি জানতে চাই।
রিদি: নেচারেল বিউটি।
আমি: উহহহহ শালা সব আটা ময়দার কল্যানে (মুখ বাঁকিয়ে বললাম)
রিদি রাগ করে মুখটা অন্যদিকে করে বসে রইলো।
আমি ওকে হাসানোর জন্য……
আমি: এই যে ম্যাম এদিকে একবার তাকান।
আমি: কেন তাকাবো শুনি?
রিদি: তোমার রাগান্বিত মুখটা বড়োই প্রিয় একজনের।
রিদি: কার শুনি?
আমি: এই নাঈমের।
রিদি: উহু
এটা বলেই আমার দিকে তাকালো আমি সাথে সাথে বুকে হাত দিয়ে…..
আমি: আহ লাগে তো।
রিদি: কি লাগে?
— এই যে তোমার চোখের আগুনে আমার বুকটা কেমন পুড়ছে, খুব জ্বালা করছে মানে এককথায় বুকে চিন চিন চিন করছে হায় মন তোমায় কাছে চায়,,,,,
রিদি: তা কি করতে হবে শুনি? (হেসে)
আমি: কিছু না শুধু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একটাবার হেসে বলো আজ থেকে তুমি আমার (দাঁত বত্রিশটা দেখিয়ে একটা ভেটকি মারলাম)
রিদি: একদমই না। এতো সহজে আমি পটছি না ওকে পিছনে পড়ে থাকাটাই বেকার হবে।
আমি: আরে আমাদের রাজ্যে বেকারত্বের সংখ্যা অধিক সবাই না নয় পড়াশোনা করে বেকার হয়ে বসে আছে আর আমি না হয় তোমার পিছনে পড়ে থেকে বেকার হয়ে বসে থাকবো
রিদি:- হাহাহা সো ফানি।
আমি:- তোমার জন্য আমি সারা পৃথিবী ঘুরতেও রাজি আছি।
রিদি:- হাহাহা তাই নাকি, পৃথিবী তো অনেক বড়ো তা কিভাবে ঘুরবা শুনি?
আমি এবার উঠে রিদির চারপাশ ঘুরতে লাগলাম এটা দেখে…
রিদি: এই কি করছো পাগল নাকি?
আমি: উহু পাগল না, আমার পৃথিবী তো তুমি তাই তোমার চারিপাশে ঘুরছি,,,,,
__ভাইরে মেয়েতো পুরাই পটে গেছে।
আমি রিদির পাশে বসে ওর বাম হাতটা ধরতেই ও কেমন ছিটকে নিলো, আমি ভয় পেয়ে…
আমি: সরি সরি আমি বুঝতে পারিনি ওটা তোমার হাত বলে।
রিদি রাগী লুক দিয়ে মুচকি হেসে….
রিদি: সমস্যা নাই ধরতে পারো।
আমি তো ভাবতে পারছিনা রিদি এই কথা আমায় বলছে।
আমি হাল্কা হেসে……
আমি: তাই নাকি।
এবার আমি হাতটা ধরতে যাবো ঠিক তখনই রিদি উঠে……
রিদি: আমায় যেতে হবে কেমন আমি আসি।
এটা বলেই দরজা খুলে দিলো। আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে….
আমি: ভেবেছিলাম আজ আমার বাসাটা পূর্নিমার আকাশ, কিন্তু চাঁদ চলে যাচ্ছে সেটা ভেবে অনেক কষ্ট পাচ্ছে এই পিচ্চি পোলাটা।
রিদি হাল্কা হেসে….
রিদি: কাল অফিসে আসবে, রুমে দরজা লাগিয়ে তোমার সব কষ্ট দূর করে দেবো।
ভাইরে রিদি এবার লজ্জা পেয়ে গাড়ির গেট খুলতেই আমিও জানেন তো শালা প্রচুর ফাজিল….
আমি: তারমানে লুডো খেলা হবে নাকি, চিন্তা করো না আমি ছক্কা ফেলতে খুব ভালো পারি যাকে বলে এক্সপার্ট।
রিদি রাগী লুক দিয়ে…
রিদি:- চলো বাই, আর হ্যাঁ 143
আমি:- মানে?
রিদি:- এটার উত্তর কাল অফিসে যেন পাই নাহলে কাল তোমায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।
এটা বলেই চলে গেলো।
যাহ শালা 143 মানে,,,,,
আমি বুঝে উঠতে পারছিনা আমি ওনাদের কোম্পানীর কর্মচারী নাকি ওই মেয়ের কর্মচারী, কি হতে পারে এটার মানে,,,,,
হয়তো হবে ম্যাথ কিংবা ফিজিক্সের ক্লু, যাই খুঁজি, আমার এবার পুরাতন ধুলা পড়ে যাওয়া সব বইগুলো একে একে খুঁজতে লাগলাম, প্রতিটা পেজ খুব মন লাগিয়ে পড়ছি, ধ্যাত কোথাও পাচ্ছি না তো। শালা ভোর চারটা পর্যন্ত খুঁজাখুঁজির পরেও পেলাম না। শালা রাত জাগাই বেকার হলো। পাঠক ভাইয়ারা আপনারাই এখন আমার একমাত্র পাশে থাকার সাথী। কি হতে পারে সেটা একটু কমেন্ট বক্সে লিখে যাবেন প্লিজ।
__ ঘুম থেকে উঠলাম বাসায় কেউ না, বাজে ৯টা।
ঘুম ভাঙতেই চাইছে না, তবুও ঘুম বাবা জীবনকে মানিয়ে ওর থেকে বিদায় নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে এগোলাম।
ব্রাশ ট্রাশ করে সব করার পর এলো আসল আজ, শালা গোসল করা।
_আমি গলায় টাওয়াল নিয়ে পানীর দিকে একভাবে তাকিয়ে আছি, শালা চোখ দিয়ে হিসু বের হয়ে যাবে এমন অবস্থা থুক্কু চোখ দিয়ে পানী বের হয়ে যাবে।
_অনেক কষ্টে এক বালতি পানী নিজের উপর ঢাললাম, ওরে আল্লাহ গো বাঁচাও বাঁচাও, শালা জেলে রাখলেও মনে হয় এতোটা কষ্ট হবে না,,,
_যাইহোক করে গোসলটা সেরে নিলা আজ ১০ দিন পর, হিহিহি আবার কবে হবে কে জানে?
আমি এবার ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে রুমের ছড়িয়ে থাকা অফিসে যাবো এমন ড্রেস খুঁজে নিয়ে সেটাকে পড়লাম, সারা শরীরে পারফিউম লাগিয়ে বের হলাম অফিসের দিকে।
বাসা থেকে বের হয়ে বাইকে চাপতেই মনে পড়লো, 143 এর মিনটাও জানতে পারছিনা এখনো। এসব ভাবতে ভাবতে বাইক স্টার্ট দিতে লাগলাম। বাইক নিয়ে এবার অফিস পৌছালাম, বাইক পার্কিং করার জায়গায় বাইক রাখলাম। আমি হেঁটে হেঁটে পার্কিং স্লট থেকে অফিসের দিকে এগোচ্ছি। বাসা থেকে কিছু খেয়েও আসিনি খুদাও লাগছে তাই আমি এবার অফিসের পাশে থাকা ক্যান্টিনে গিয়ে বসলাম।
————–চলবে না দৌড়াবে————–