পাশের বাসার মেয়ে যখন রোমান্টিক বউ পর্ব-০৩

আমি এবার ফ্রেশ হয়ে বাইরে বের হয়ে এলাম, ঐশী দেখি আবার একটা নতুন ড্রেস পড়ে এসেছে।
আমি সবার সামনে হেসেহেসে…
— ও বাবা আবার নতুন ড্রেস কেন? (আমি)
ঐশী হেসেহেসে…
— এমনি রে। (ঐশী)
আমি এবার ঐশীর পাশে গিয়ে চুপিচুপি…
— আজ কি ওনার সাথে মিট করার প্লান আছে নাকি?(আমি)
আহহহুউউউউউ
শালা পেটে একটা কনুয়ের গুতা দিলো
এবার দুজনে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়লাম।
বাইকে দুজনে যাচ্ছি। দেখি ঐশী আমার কোমড় ধরেছে, ভাইরে কি লজ্জা আবার খুব কাতুকুতু লাগছে।
আমি এবার ওর হাতটা সরিয়ে দিচ্ছি আবার ও আমার কোমড়ে হাত দিচ্ছে।
আমি এবার হেসেহেসে…
— আহ ঐশী কাতুকুতু লাগে ছাড় না। (আমি)
— লাগার জন্যই তো কাতুকুতু দেওয়া।(ঐশী)
— এই দেখ বাইক চালাতে পারছিনা।(আমি)
— তো আমাকে চালাতে দে না।(ঐশী)
— আবে পাগল নাকি?(আমি)
— ওই দে না প্লিজ। (ঐশী)
— দূরে সর ভালোভাবে সাইকেলটাই চালাতে পারিস না আবার বাইক (আমি)
— দেখ আরফান আমি খুব ভালো সাইকেল চালাতে পারি(ঐশী)
— চল দূরে সর।(আমি)
এবার দেখি আমার কোমড় থেকে ঐশী হাত সরিয়ে একবারে সিটের শেষে বসলো…
— এই পড়ে যাবি তো আমাকে ধর।(আমি)
— না লাগবে না, দূরেই তো সরে বসেছি খুশি তো।(ঐশী)
— জ্বি খুব খুশি।(আমি)
— হুম তা তো হবেই যদি গফ বসতো তাহলে তাকে কোলে বসিয়ে আদর করতে করতে নিয়ে যেতে।(ঐশী)
— অবশ্যই তুই তো আমার গফ নয় তাই তোকে কোলে বসানোর কোনো প্রশ্নই উঠে না।(আমি)
— তোর কোনোদিন গফ জুটবে না এই অভিশাপ দিলাম।(ঐশী)
— হাহাহাহা, শকুনের অভিশাপে কি গরু মরে রে পেত্নি (আমি)
— এই শোন বেশি না বকে সামনে যে পার্কটা আছে সেখানে যাবো।(আমি)
— ও দজ্জালের শাশুড়ি তাহলে কি তোমারটা এখানে আছে। আচ্ছা দাঁড়াবানে।(ঐশী)
এবার পার্কে ঢুকতেই দেখি শালা সব চুতিয়া গুলা জড়ো হয়সে, তাদের মধ্যে আমি কিছু কম নয়
কেক নিয়ে দেখি সবাই চারপাশে ভিড় করে দাঁড়িয়ে। আমি ঐশীর পাশে দাঁড়িয়ে আছি।
ঐশী এবার মোমবাতি নিভিয়ে কেক কাটতে যাবে ঠিক তখনই….
— guys, একটা আমার কথা আছে। (আমি)
— বল তোর কি বক্তব্য। (রেদওয়ান)
এটা শুনে সবাই হেসে উঠলো।
— আচ্ছা তোরা তো জানিস ঐশী হলো আমার চির শত্রু, তাহলে আমার কি উচিত হাতের তালি দেওয়া(আমি)
ঐশী এটা শুনে…
— কুত্তা হারামি বিলাই।(ঐশী)
এটা বলে সারা পার্ক আমাকে ছুটিতে মারলো। উফ বাবা শেষে ধরাই পড়ে গেলাম উফ আল্লাহ কি কেলানিটাই না কেলালো মাথার চুল মনে হয় আর একটাও নেই।

এবার কেক কাটছে, প্রথমেই আমাকে কেক খাওয়ালো, আমিও খাওয়ালাম।
এবার সবাই চিৎকার করে…
— awwwww মাম্মা তাহলে তলে তলে এতো কিছু।(সবাই)
— কই এত কিছু মানেটা বুঝলাম না। (আমি কিছু না বুঝতে পেরে)
দেখি ঐশী এই কথা শুনে মুখ নিচু করে হাসছে..
— ওই না রে এসব কিছুই না।(আমি)
আমি কারোর কথাই কেয়ার না করে…
— আচ্ছা মাম্মারা বক্স কোথায় একটু ডান্স হবে তো নাকি (বাবু)
রিফাত চিৎকার করে…
— মাম্মা এখানে তোমাদের অপারেটর।(রিফাত)
আসলে রিফাতের আব্বু dj বাজায় তো ওরাই হব আরেঞ্জ করেছে এসব।
রিফাতকে এর জন্যই দেখতে পাচ্ছিলাম না।
এবার সবাই ডান্সে মেতে উঠেছে। আমিও ধাই ধাই ডান্স করছি। দেখি ঐশী না এসে এক জায়গায় বসে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমি ঐশীকে এখানে আনার জন্য ঐশীর কাছে গিয়ে…
— ওই এখানে কেন চল ডান্স করবো। (আমি)
— আরফান তুই ডান্স কর আমি এখানেই থাকছি। (ঐশী)
— আরে সবাই মজা করছে তুইও চল, জাস্ট চিল(আমি)
— আচ্ছা।

আমি আবার ডান্সে জোগদান করলাম, আমি আবারো নোটিশ করলাম ঐশী আমার দিকে কেমন অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়েই আছে একটা হাত গালে রেখে, আমার মনে একটু সংশয় হলো। আমি এবার ঐশীর কাছে গিয়ে ওর মাথায় হাত রেখে….
— আচ্ছা ঐশী তোর কি শরীর খারাপ? (আমি)
— না। (ঐশী)
— তাহলে তুই এমন ভাবে বসে আছিস কেন?(আমি(
— কিছু ভালো লাগছে না তাই।(ঐশী)
— কেন?(আমি)
— জানিনা।(ঐশী)
— উফ আল্লাহ মেয়েদেই এটাই সমস্যা। এই আমার দিকে তাকা।(আমি)
এবার ঐশী আমার দিকে তাকিয়ে…
— বল…(ঐশী)
— এভাবে তাকাস না প্রেমে পড়ে যাবো(আমি)
— ধুর পাগল। (এটা বলে হাসছে)
— ওই তোর হাসি বিক্রি করে কিন্তু সিগারেট কিনে খাবো।(আমি)
— ওকে আর হাসবো আর তোকে সিগারেট খেতেও দেবো না।(ঐশী)
এটা বলে খুব হাসছে।

যাইহোক মেয়েটাকে হাসাতে পেরে অনেকটা নিজেকেও খুশি মনে হচ্ছে, যতোই আমার পিছু লাগুক তবুও ওর প্রতি ছোটো থেকে আমার মায়া একটু বেশিই। সুখ দুঃখে দুজনই দুজনেই পাশে থাকি। ঐশীর হাত ধরে…
— মিস চলেন এবার একটু ডান্স করা যাক।(আমি)
ঐশী এবার আমার দুটো হাত ধরে…
— চলেন পিচ্চি লেখক মহাশয়।(ঐশী)

সব ফ্রেন্ডদের সাথে অনেক মজা করলাম, লাঞ্চ করে এবার বাসায় চলে এলাম।
আমি এখন রুমে বসে বসে Free Fire তে মনোযোগ দিয়েছি ভাইরে এটাই একমাত্র গেম যেখানে কোনো ex কোনো y কোনো z কে মনে করায় না। আর আমার তো খেলা তখনই থামে যখন মোবাইলের ২% ব্যাটারির ওয়ার্নিং দেয়। প্রায় বিকাল ৫ টা পর্যন্ত গেম খেললাম ব্যাটারিও শেষ তাই চার্জে লাগিয়ে দিলাম,(আমার একটা দুও পাটনার লাগবে কেউ হতে চাই লে বলবেন)
পরেরদিন বিকালে আমার ফাটা গিটারটা নিয়ে ছাদে এলাম বেসুরে গলায় গান গাওয়ার জন্য। বেশ পকেটে সিগারেটও রেখেছি।
ছাদে এসেই প্রথমে সিগারেট মুখে নিয়ে টান দেওয়া শুরু করলাম হঠাৎই ঐশী আমার সামনে এসে….
— কি আন্টিরে বলবো নাকি? (ঐশী)
(আপনাদের জন্য এত কষ্ট করে গল্প লিখি আর আপনারা গল্প পড়ে চলে যান, এত কষ্ট করে গল্প লেখতাছি আপনাদের জন্য, আপনারা আমাকে সাপোর্ট করেন গল্পের পোষ্টের মধ্যে লাইক কমেন্ট করবেন, যারা যারা আমার গল্প গুলো পড়বেন তারা কষ্ট করে আমাকে লাইক কমেন্ট করে সাপোর্ট করবেন, তাহলে নেক্সট পর্ব লিখতে আমি আরও আগ্রহী হব যত বেশি সাপোর্ট পাবো,)
আমি এই কথা শুনে পুরাই অবাক এতোদিন সিগারেট খাচ্ছি ও জানে কোনোদিন কাউকে বলেনি কিন্তু আজ বলবে বলছে, না ভাই কাহিনি জানা লাগবে। আর ভাই যদি আম্মুর কানে কথা চলে যাগ তাহলে আমাকে আর কোনোদিন বিশ্বাস করবে না আম্মু আমায় প্রচুর বিশ্বাস করে। তাই আম্মু আমার সবসময়ের জন্য সার্পোটার
— এই এই ঐশী প্লিজ আম্মুরে বলিস না। (আমি)
— না বলতেই হবে যা দিন দিন খাচ্ছিস এসব গাজা বিড়ি, এবার তো মদও খাবি।(ঐশী)
— এই দেখ আমি তোর সামনে হাত জোড় করছি বলিস না।(আমি)
— ওকে। (ঐশী)
শালা এমন ভাবে বলছে যেমন ওর আব্বুর টাকায় আমি সিগারেট খাই, তবুও ভাই কিচ্ছু করা নেই এখন কচ্ছপ হয়েই থাকতে হবে।
ঐশী এবার…
— আগে সিগারেট ফেল নেক্সট আমার একটা শর্ত আছে।(ঐশী)
আমি এই কথা শুনে একটু রেগে…
— এই আবার কিসের শর্ত রে।(আমি)
— তবে রে ফাজিল আমার উপর রাগ দেখানো আন্টিইইইইইই(ঐশী)
আমি সাথে সাথে ওর মুখ আমার হাত দিয়ে চেপে ধরে….
— এই চুপ চুপ, আমি সিগারেট ফেলে দিচ্ছি আর বল তোর কি শর্ত।(আমি)
— এই তো লক্ষী পোলা।(ঐশী)
— জ্বি এটা তো আমার আম্মুও বলে তবে তোর মতো লক্ষীছাড়া মেয়ে একটাও দেখিনি।(আমি)
— কিহহহহহহহহহহ আমি লক্ষীছাড়া মেয়ে (ঐশী)
আহ শালা এতো দেখি পদে পদে বিপদ ক্রিয়েট করছে
— আরে তুই তো খুব সুইট তা বল না তোর কি শর্ত?(আমি)
— উম ভাবতে দে।(ঐশী)
উম এমন ভাবে ভাবছে যেন কোনো মহারাজার রাজকন্যা তার বাপের কাছে মহা মুল্যবান জিনিস চাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
পাক্কা পাঁচ মিনিট ভাবছে, শালা আমি তো চিন্তায় পড়ে গেলাম কি শর্ত রে ভাই। হঠাৎ আমার কোলে বসে গেলো আমি সাথে সাথে…
— এই এই এই এটা কি হচ্ছে ওঠ বলছি ওঠ(আমি)
— জ্বি এটাই আমার শর্ত আমাকে কোলে নিয়ে গিটার বাজানো শেখাতে হবে। টানা ১ সপ্তাহ।(ঐশী)
— এই ঐশী এটা সম্ভব না, আরে ছাদে তুই আবার আমার কোলে কেউ দেখে নিলে এবাবা (আমি)🙈
— কিচ্ছু হবে না ছাড় তো আর এই মহল্লায় সবাই জানে আমরা কেমন ।(ঐশী)
— না আমি পারবো না।(আমি)
— ওহ তাই নাকি? আন্টিইইইইইইই(ঐশী)
— এই কুত্তি শেখাচ্ছি তো শুধু আন্টি আন্টি করোস কেন হুম (আমি)
— হিহিহিহি ওকে।(ঐশী)

এবার ঐশীকে গিটারটা ধরিয়ে দিলাম…
এখন আমার কোলে ঐশী বসে, ভয়ে বুক কাঁপছে ভাইরে যদি কেউ দেখে নেই তাহলে আবার নতুন কাহিনি শুরু হবে।

ঐশীর হাতের উপরে এবার আমার হাত রেখে গিটার বাজাচ্ছি, ঐশী আমার বুকে আমার বুকের দিকে আরো এগিয়ে এসে আমার কাধে মাথাটা রাখলো, ওর চুল গুলো আমার মুখে এসে ঠেকলো। মেয়েটা এতোটা কাছে না আসলে হয়তো কখনোই বুঝিনি যে মেয়েটা এতোটা মায়াবী। মেয়েটাকে খুব ভালো লাগে এজন্যই।
ঐশী এবার গিটার ছেড়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে….
— ঐশী আমায় দেখতে আসছে। (ঐশী)
আমি খুব হেসে…
— আবে তুই কবে ফেমাস হলি যে তোকে দেখতে তোর বাসায় লোকজন আসছে। আমাকেও পাশে নিস আমি তোর ম্যানেজার বলে চালিয়ে দিস। (আমি)
— হুম মজা করে নে, আর কয়দিন পর তো তোকে কেউ ডিস্টার্ব করবে না কেউ সকালে তোর ঘুম ভাঙাবে না।(ঐশী)
এটা বলে মাথা নিচু করলো…
— মানে বুঝলাম না।(আমি)
— আজ আমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছে।(ঐশী)
— ওহ কনগ্রাটস, বিয়েতে ইনভাইট করিস কিন্তু।(আমি)
এটা শুনেই ঐশী কান্না শুরু করে দিলো, আর বুকে কয়েকটা কিল ঘুষি দিয়ে…
— আমি চলে গেলে অনেক ভালো থাকবি তাই না। সন্ধায় আমাদের বাসায় আসিস কিন্তু। (ঐশী)

ঐশী এবার উঠে কান্না করতে করতে চলে গেলো।
আমারো খুব খারাপ লাগছে মেয়েটা আমাকে সবসময়ের জন্য ছেড়ে চলে যাবে। খুব নিজের মন খারাপ করছে। কান্নাও পাচ্ছে। যতোই হোক আমার সব থেকে ক্লোজ ফ্রেন্ড।
আমি নিজেকে সামলাতে পারবো না তাই রেদওয়ানের বাসায় চলে এলাম। সারাটা সন্ধা মন খারাপ করে বসে আছি।
রাতে ডিনার সেরে আমি আর রেদওয়ান ঘুমানোর রুমে এসে….
— দোস্ত কি হইসে ক তো? (রেদওয়ান)
— ঐশী বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো আজ সন্ধায়। মেয়েটার বিয়ে ঠিক হওয়াতে আমি দেখতে পারছিলাম না রে। (আমি)
— হাহাহা তোর তো খুশি হওয়ার কথা রে বেটা।(রেদওয়ান)
— নারে দোস্ত কেমন জানি করছে মেয়েটা সব সময়ের জন্য আমায় ছেড়ে চলে যাবে।(আমি)
রেদওয়ান আমার মুখের সামনে এসে…
— আরফান তুমি দেখি ঐশীর প্রেমের জালে ফেঁসে গেছো।(রেদওয়ান)
— আবে শালা ভাগ, প্রেম ট্রেম নয়।(আমি)
— তাহলে বেটা তোমার চোখের পানী কেন?(রেদওয়ান)
— জাস্ট ফ্রেন্ড শুধু।(আমি)
— জ্বি ফ্রেন্ড থেকে যে তোমরা একে অপরের কখন যে এতোটা প্রিয় হয়ে গেছো সেটা তোমরা কখনোই টের পাওনি। বেটা সময় থাকতে থাকতে প্রপোজ করে দে।(রেদওয়ান)
— না দোস্ত একবার ভালোবাসার জালে খুব বড়ো ধোঁকা খেয়েছি। আর নয়। আর ওর যদি কোনো বফ থাকে।(আমি(
— আরে এতোদিন একসাথে আছি দেখেছিস কোনোদিন ওর মুখে অন্যকারোর নাম নিতে।(রেদওয়ান)
— সেটাও ঠিক।(আমি)
— দেরি না করে তোর মনের কথাটা বলেই ফেল।(রেদওয়ান)
— ওকে দোস্ত আজই বলবো।(আমি)
— কিভাবে?(রেদওয়ান)
— আমি এখন বাসায় যায়।(আমি)
— আরে এতো রাতে কেন?(রেদওয়ান)
— মন মানতে চাই না ভাই।(আমি)
— কাল বলবি আজ নয়।(রেদওয়ান)

আমি কোনো কথা না শুনে সোজা বাসায় চলে এলাম। বাইক ঢুকিয়েই আমি ওর বাসার নীচে এসে দাঁড়ালাম। পাইপ বেয়ে এবার উপরে উঠছি ওর রুমে পাইপের পাশেই। উঠতে খুব কষ্ট হচ্ছে তবুও উঠতে হবে কিচ্ছু করার নেই।

আমি এবার ঐশীর রুমে গিয়ে ঐশীর বিছানার তলে ঢুকে গেলাম, কেউ নেই দেখি হয়তো ডিনার করতে গেছে। ঐশী কিছুক্ষণ পর রুমে এলো। এবার লাইট অফ করতে যাবে ঠিক তখনই আমি ঐশীর সামনে যেতেই ঐশী চিৎকার করা শুরু করে দিলো..
— আম্মু আব্বু আহহহহহ আহহহহ আহহহহহহ। (ঐশী)
সঙ্গে সঙ্গে আমি ওর মুখ চেপে…
— আমি কুত্তি আমি চুপ।(আমি)

সঙ্গে সঙ্গে ওর আম্মু আব্বু আসার শব্দ পেতেই আমি বিছানার নীচে আবার ঢুকে গেলাম।
ঐশী এবার ওর আম্মু আব্বুকে ম্যানেজ করে রুমে পাঠিয়ে দিলো। ঐশী এবার রুমের খিল আটকিয়ে দিলো।

আমি ঐশীর সামনে যেতেই কেমন একটা ভয় পাচ্ছে মেয়েটা, আমি ওকে একবারে দরজার কাছে নিয়ে এলাম আর আমি গাঁ ঘেষে দাঁড়িয়ে…
— ঐশী তুই জানিস আমি সব কথা খুলে বলতে পছন্দ করি। (আমি)
— হুম বল কি বলবি আর এখানে এতো রাতে কেন এসেছিস? (ঐশী)
— আমি তোকে প্রপোজ করতে এসেছি।(আমি)
— হাহাহা, কিসের প্রপোজ আর কাকে?(ঐশী)
— তোকে।(আমি)
— পাগল নাকি আমার বিয়ে দুদিন পর সব ঠিক হয়ে গেছে আজ।(ঐশী)
কথাটা শুনতেই আমার মাথায় বাজ পড়ে গেলো, দুচোখে জল চলে এলো…
— সত্যিই তোর দুদিন পর বিয়ে।(আমি)
— হুম।(ঐশী)
— আচ্ছা তাহলে এখন আসি রে।(আমি)
এটা বলতেই ঐশী আমার সামনে এসে একটা জোরে আমার হাতে কামড় দিয়ে…..
— ছি আরফান ছি।
আমি এটা শুনে আরো চমকে গেলাম। আমি কি প্রপোজ করতে এসে কি ঐশীর একটা ঘৃনার পাত্র হয়ে গেলাম, এখন তো নিজেকেই খারাপ মনে হচ্ছে।

নেক্সট পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন সবাই আগামীকালকে নেক্সট পর্ব দেওয়া হবে

চলবে,,,,,,,,,,,,,

More From Author

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *