–আজকে আমি যাকে ভালোবাসিতার সাথে আমার বিয়ের কথা ঘোষনাদিবো৷তার আগে তার সাথে আপনাদেরপরিচয় করিয়ে দেই,আমি যাকে বিয়ে করবসে হৃদয়, কথাটা শুনেই বুকের ভিতর ভুমিকম্প হতেলাগল৷আর তখন মনকে বুঝাতে লাগলামআরে বোকা মন ও যাকে নিয়ে সুখি থাকবেতাকে তোর এত হিংসা হয় কেন?আর এতে তুই কেন এত কষ্ট পাচ্ছিস৷কেনচোখের জল ফেলে এগুলোদর্শকের মত দেখছিসচলে যা এখান থেকেতখনই…

এটা বলেই লাবন্য চলে গেল।তখন কেনোজানি নিজের ওপর খুব রাগ হতে লাগল৷আর লাবন্যর প্রতিও কেন জানি অনেকবেশি সন্দেহ হতে লাগল৷ও কেন হঠাৎ এইসিদ্ধান্ত নিল.কিছুই তো বুঝতে পারছিনা৷আর সে অলরেডি বাসায় সবাইকে বলে দিছেসামনের সপ্তাহে আমাদের বিয়ে হচ্ছেনা৷তখন সবার মনেই কেমন জানি একটাখটকা লেগে গেল।ও কি বলছে এসব?কিন্তু ওর কথারওপর কেন জানি কেউ বেশি কথাবলল না৷আর…

আআমমমুওওভুততততততততততত বলেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। চোখ খুলতেই আবারও ভয় পেয়ে গেলাম৷আবার যখনই চিৎকার করব,তখনইমুখে চেপে ধরল৷আর বলতে লাগল..–একদম চুপ থাকবা(পেত্নী)–প্লীজ আমাকে মেরো না,আর তুমি এটা কেন করলে?(কান্না করে দিলাম)–আমি কি করছি?–তুমি কেন মরে গেলা?আর কেন এমন পেত্নি হয়ে আমাকে মারতে এসেছো?সত্যি বলছি আমি কখনোই তোমার কাছে যাবো না!–কি বললা?আমি পেত্নী?দাড়াও মজা দেখাচ্ছি… তখনই ওর ঠোঁট…

ফেসবুক দিয়ে যদি লাবন্যকে সত্যিটা বলে দেই?তাহলে কেমন হবে।আমাকে না হয় বিশ্বাস করেনি৷কিন্তু ফেসবুক কে তো আর অবিশ্বাস করবে না৷৷হঠাৎ ভাবলাম লাবন্যকে শেষ বারের মত ফেসবুকেই একটা মেসেজ করি,আর তার ভুল ভাঙ্গিয়ে দিয়েই ফেসবুক থেকে চিরতরে বের হয়ে যাবো৷আর কখনোই তাকে বিরক্ত করব না৷আর কখনও ফেসবুকেও যাবো না৷ তখন রনিকে বললাম..–দোস্ত তোর ফোনটা একটু দিবি?–দিমু…

চোখের পানিতে বালিশ ভিজাতে ভিজাতেকখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতেই পারিনি।ঘুম ভাঙতেই দেখি প্রায় বিকেল হয়ে এসেছে৷আর তখনই আম্মু এসে ডাকতে লাগল..–কি রে বাবা,এখনও কি ঘুমাবি নাকি?এবারউঠে খাওয়া দাওয়া কর।–হুম উঠতেছি মা। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম৷আর ফ্রেশ হবারপর আম্মু আর বাবার অনেক জোড় করল৷আরতাদের কথায় হালকা খাবার খেলাম”কেন জানিগলা দিয়ে ভাত নামছিল না৷অনেক কষ্ট হচ্ছিল,তারপরও…

লাবন্যর মার খাচ্ছি৷আর ভাবছি আজকেই বলব আর না বললে তো উপায়ও নেইযেই খেপা খেপছে,না জানি আমাকে মেরেই ফেলে?তখনই লাবন্যকে বললাম….–ওরে বাবা রে,মরে গেলাম,প্লীজ এবার ছেড়ে দাও লাবন্য!–না ,ছাড়ব না,তোকে তো আজ আমি শেষই করে দিব,তোর সাহস কত বড়,তুই আমার প্রিয় মানুষকে নিয়ে বাজে কথা বলিস?তাও আবার আমার সামনে-এতটা খেপছে,বুঝতেই পারিনি(মনে মনে)–বল,আরও বলবি এগুলো?(গলার মধ্যে টিপে…

সেদিনের মত লাবন্যর সাথে কথাবলা শেষ করলাম৷আর মনে মনেভাবতে লাগলাম৷এবার পরিচয়টা দিয়েইদিবো৷পরের দিন।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হলামআর আজকে এমনিতেও লাবন্যআমার সাথে সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে যাবে৷তাই ভাবতে লাগলাম আজই লাবন্যকেসব বলে দিবো৷আর লাবন্যকে আমারজীবনে চিরদিনের জন্য নিয়ে আসব৷কিন্তু তার আগে আরও একটা কাজআছে৷সেটা হলো লাবন্যর বাবাকেআমার সব পরিচয় আহ সত্যিটা জানানো৷ আর তখন মনে মনে ভাবতে…

লাবন্যর ভালোবাসায় তো তখন আমি বিভর হয়ে ভাবছি,আমার পাগলিটা কত্ত সুইট৷মন চায় ওকে বুকের ভিতর নিয়েই সারাজীবন পাড় করে দেই৷যাক আগামিকাল আরও মজা করব৷পরেরদিন যেই ভাবা সেই কাজ৷সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে ডুকলাম৷ওমাহ ডুকতেই দেখি লাবন্যর মেসেজ.–আসসালামু আলাইকুম৷গুড মর্নিং৷কেমন আছেন?–চুপ করে ভাবছি,এত সকালেই মেসেজ?–কি হলো মেসেজ সীন করেও রিপ্লে দিচ্ছেন না কেন?–ওরে আল্লাহ?আমি মেসেজ সীন…

মাথাটা নিচু করেই রাখলাম৷কি করব বুঝতেই পারছিনা৷চোখ দিয়ে পানি টপটপ করে বের হচ্ছিলো৷আর তখনই বাকি পোষ্টগূলো দেখার সিদ্ধান্ত নিতেই আইডিতে আবারও ডুকলাম আর তখনই চোখ দুটো আসমানে উঠে গেল৷মনের ভিতর কৌতুহল টা বেড়ে গেল৷কারনহঠাৎ ই ওর আইডির নাম টা চোখে পড়ে গেল৷আর আইডির নাম হলো মিম চৌধুরী৷তখন তো আরও অবাক হয়ে গেলাম৷কারন এই নামের আইডি…

–কি হলো আরমান,তুমি চুপ হয়ে গেলা কেন?(লাবন্যর বাবা)–কই না তো,বলেন আংকেল আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি!–আরমান,আমি যেহেতু ভাবছি লাবন্যর বিয়েটা আমি বাসায় গিয়েই দিয়ে দিবো,তো তোমার ওপরই কিন্তু সব দায়িত্ব পড়বে (কথাটা শুনার পর মনটাই ভেঙ্গে গেল,কি করতে চেয়েছিলাম,আর আমার জীবনে কি হয়ে গেল,যাকে ভালোবাসি তার বিয়ের দায়িত্বই নাকি এখন আমার কাধে,?দুনিয়া বড়ই অদ্ভুদ)–কি…